নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন আত্মবিশ্বাসী মানুষ ।যে মচকায় কিন্তু ভাঙ্গে না ।
কথাটা কি জানেন? আমাদের অনেকের বাড়িতেই খাবারের একটা লিস্ট থাকে. আজ ভাত, কাল সোলা ।পিয়াজু beans, দু'দিন পরে হয়তো খিচুড়ি। কিন্তু এগুলো তো আল্লাহর রহমত আর নেয়ামত, যেগুলোর জন্য আমরা অনেকেই হয়তো কৃতজ্ঞতা জানাই না।
আমাদের নবীজির (সঃ) জীবনে কখনো এধরণের বাছবি করার সুযোগ ছিল না। তাঁর জীবনটা ছিল মূলত কষ্টের, অনাহারের। দিনের পর দিন তাঁর ঘরে চুলা জ্বালানো হতো না, কোনো রান্না হতো না। তাই, তাঁর জগতে কোন খাবারটাকে সেরা বলা যায়, সেই প্রশ্নই উঠতো না।
প্রথম যুগের মুসলমানদের খাবারের অপশন বলতে মূলত দুধ, খেজুর আর মাংসই থাকতো। আজকে আমরা যে সব তুষ ওন শিঁকাফ, বড় বাপের পোলাই খাই "ইত্যাদি উপভোগ করি, সেগুলোর তখন কোনো অস্তিত্বই ছিল না। নবীজি (সঃ) ও তাঁর সাহাবীরা খেতেন বাঁচার জন্য, জীবন ধারণের জন্য; খাবারের জন্য তারা বাঁচতেন না।
যেটা আমরা রমজান মাসে প্রায়ই উপেক্ষা করে যাই। সেটা হলো আমাদের খাওয়ার অভ্যাস আর সময়সূচী।
এই মাসে আমাদের সকালে সকালে সহরি খেয়ে ফজরের আজানের পর থেকে রোজা রাখতে হয়। আর সূর্য ডুবতেই রোজা ভাঙা এবং পরের দিন সকাল পর্যন্ত সব ধরনের বৈধ কাজে মশগুল থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফলে, রমজান মাসটা মুসলিম পরিবারগুলোর মধ্যে আত্মীয়তা আরো গাঢ় করার একটা সুযোগ এনে দেয়। এটা বাড়ির স্বামীকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তার পরিবারের প্রয়োজন আর আকাঙ্ক্ষাগুলোর প্রতি যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়ার কথা।
রমজান মাসে, মুসলিম স্ত্রীরা আল্লাহর ইবাদতে নতুন শক্তি লাভ করে। তার মনে হয়, স্বামী ও সন্তানদের সন্তুষ্টির জন্য রান্নাঘরে যে সময় সে ব্যয় করছে, তার সৃষ্টিকর্তা তাকে দ্বিগুণ পুরস্কৃত করবেন।
আমাদের সবারই উচিত, এই মাসে এবং এর পরেও, খাবারকে একটা ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করা। আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রতিটি ইবাদতস্থলে তোমাদের সাজসজ্জা পরিষ্কার রাখবে এবং খাবে ও পান করবে, কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করে না’
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর লেখা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৮
নিমো বলেছেন: রমজান মাসে, মুসলিম স্ত্রীরা আল্লাহর ইবাদতে নতুন শক্তি লাভ করে। তার মনে হয়, স্বামী ও সন্তানদের সন্তুষ্টির জন্য রান্নাঘরে যে সময় সে ব্যয় করছে, তার সৃষ্টিকর্তা তাকে দ্বিগুণ পুরস্কৃত করবেন।
ভাইজান কি তোরা বোরা গুহা থেকে ব্লগিং করছেন ?