![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পেজে পড়লাম স্যার সৌমিত্র শেখরের একটি লিখা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো কে নিয়ে তার লিখাটি। তিনি কিছু বিষয় বলেছেন যার ব্যাখ্যা আমি দিতে চাই। আমি নিজেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ এর ছাত্র।
স্যার তার পুরো লেখাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি সংসার এর বড় কর্তা ধরি তাহলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ছোট সদস্য। আর কর্তা সব সময় সংসার এর সব কিছুর প্রধান থাকে আর ছোট জন সবার পরে। কর্তা বেছে সুন্দর আর বড় ঘর নেয় আর ছোট জন দেখা যায় ঘর পায়ই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব দিক থেকে সুবিধা নেয় সরকার তাদের বেসি বেসি পরিবহন দিছে, হলও তাদের বেসি তাহলে কি তাদের সাথে তুলনা করা উচিত?? সমানে সমানে তুলনা হয়।
আবার তিনি বলছেন, " ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে এখন প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রীদের আসন দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে তাঁরা ভাড়া বাসায় বা বাইরের হোস্টেলে থাকেন। ছাত্ররাও প্রথম বর্ষে হলে আসন বরাদ্দ পান না"
কিন্তু স্যার আমরা তো পুরো শিক্ষা জীবনে হলে সিট পাইনা। ভাড়া-বাড়ি আর মেসে কাটে আমাদের জীবন। আমদের সবার তো আর মেসে থাকার সামর্থ্য নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সবাই মান সম্মত শিক্ষা আর কিছুটা সাশ্রয়ে পড়াশুনা করতে। হল না থাকাতে আমাদের ক্ষেত্রে সেই সাশ্রয় কথা টা প্রযোজ্য হয় না। আপনাদের হল যা আছে তা যথেষ্ট। আর আমাদের হলই নেই তাহলে দাবি আমরা করবো না কে করবে?? আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বড় বড় হল, বড় ক্যাম্পাস, বড় গ্রন্থাগার এগুলার কোনটা আছে আমাদের??? পরিবহনও নামকা ওয়াস্তে। প্রতিদিন বাদুর ঝোলা হতে হয়। ভার্সিটি বাস না লোকাল ৩ নং বাস বোঝা মুস্কিল। ক্যান্টিন এর খাবারে মান নেই। তাহলে আছে টা কি???
আবার তিনি বলেন "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নিগ্ধ-নৈসর্গিক পরিবেশ ধ্বংস করে উঠছে একের পর এক হল ও শিক্ষক-কর্মচারীর আবাসন"
যদি একাডেমিক বিল্ডিং করে স্নিগ্ধ-নৈসর্গিক পরিবেশ নস্ত না হয় তাহলে হল করে নস্ট হবে কেন??
হল হলে নাকি ছাত্র রাজনীতি বেড়ে যায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কি তাহলে ছাত্র রাজনীতি থেমে আছে?? আর তাই যদি হত তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হত রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়। কারন তাদের তো ১০০% আবাসন ব্যাবস্থা আছে।
তিনি বলেছেন, "এখনই উচিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেকোনো রকমের আবাসিক ভবন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে এই প্রক্রিয়ার পথিকৃৎ"
স্যার এর পথিকৃৎ যদি হতে হয় ঢাবি, জাবি হবে। যার ৬০% জমি তে হল উঠেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ৬০% জমিতে হল নেই যে এর পথিকৃৎ হবে। তাই যদি পারেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নির্মাণের স্বার্থে কিছু লিখুন। দয়া করে বাধা দিবেন না। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.