নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাক মুখ খুলে রাখতে পারাটা ও বিশাল স্বাধীনতা !

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৬

ছবি নেট৷।

আমি ১৯৯৮ সালের বন্যার কথা বলছি। প্রতিদিন দেখি পানি বাড়ছে। চোখের সামনে ডুবতে দেখছি সব। কিছু করার নাই। আমার পরিচিত এক শিক্ষক তাঁর গবাদি পশু কোথায় রাখবে সেই চিন্তায় তাঁকে ব্যকুল হতে দেখেছি। শেষমেশ উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি গবাদি পশুদের ছেড়ে দিছেন যদি ওরা বাঁচে !

খাবার সংকট হওয়ার ভয়ে অনেকে নিত্যকার প্রয়োজনীয় জিনিস গুলি স্টক করা শুরু করল।
আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে বারান্দায় গিয়ে দেখি পানি আরও বেড়ে গেছে। মুখ মলিন করে টিভি দেখি।

ভিতরে ভিতরে হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। বাইরে যেতে পারছি না তেমন। অবশেষে যখন ফ্লাটের সবাই মিলে চাঁদা তুলে নৌকা কেনা হলো। কি যে আনন্দ!  উফ! মসজিদে যাই নৌকায় করে ছাদে নামাজ আদায় হয়।
সারাদিন নৌকা নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি ইয়ার দোস্তদের বাড়িতে যাওয়া।

অনেকে ছাদে আশ্রয় নিয়েছে এক তলা তাদের বাসাটি ডুবে গেছে। যাক শেষমেশ দীর্ঘ তিন মাস পর আস্তে আস্তে পানি কমতে শুরু করল। আমরা আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেলাম।

আর এখন সাল ২০২১। এইযে, করোনা চলছে এর থামার কোন লক্ষ্মণ নেই। থামবে বলে মনে হয় না।
ভারতের খবর দেখছি আরও ভয়ে মরছি। চোখের সামনে কেমনে মানুষ গুলি ছুটছে অক্সিজেন নাই, হাসপাতালে বেড নাই। রাস্তার পাশে বেঞ্চ এ মানুষ।গাড়ী তে বসে অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরে বসে আছে। বাঁচতে কে না চায়?

যে ধনী। আপনি ও বাঁচতে পারবেন কি না সন্দেহ! পর্যাপ্ত অক্সিজেন নাই, আই সি ইউ তে সংকট, ভেন্টিলেটর সংকট। ভাবা যায় প্রতিটা মানুষ ধীরে ধীরে অন্য মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। ভারত পাশের দেশ তাই ডর বেশী।

বাংলাদেশে এমন হলে আল্লাহ না করুক কি যে হবে?  ভাবতেই গলা, বুক, চোখ, মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। কেয়ামত চলে আসছে মনে হয়। আমাদের ও হাসপাতালে তেমন সিট নাই। অক্সিজেন কতদূর মজুদ আছে আল্লাহ মালুম ! ভেন্টিলেটর সংকট, আই সি ইউ তে জায়গা খালি নাই।

এর পরেও কিছু মানুষের চাপাবাজী থামছে না। অহংকার করা থামছে না। অনেকে করোনার সুযোগে লুটপাটের প্লান করছে। খুব কাছ থেকে এখন আমরা মরণ দেখছি। হয়তো সামনে এর চেয়ে ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। পরিবেশ দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। এইতো কানাডায় কয়দিন আগে বরফে সব ঢেকে গেল। লন্ডনে তুষারপাত হলো। সব মিলিয়ে লক্ষ্মণ যে সুবিধার হচ্ছে তা মনে হচ্ছে না। ঢাকার বাতাসে যে হারে সীসা, পেট্রোল, ডিজেল, পোড়া মবিল আছে এমনিতেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
আল্লাহ মাফ কর।

আসলে এখন টের পাই নাক, মুখ খোলা রাখতে পারাও একটা বিশাল স্বাধীনতার ব্যাপার। বাংলাদেশের কথাই ধরেন, একজন রিক্সা চালক এই গরমে ঘেমে গোসল করে ছুটছে তার উপর মুখে এক টুকরা কাপড় নাক, মুখ ঢাকা নিশ্বাস নিতে কেমন কষ্ট হচ্ছে খালি একটু ভাবেন।

দেখবেন মগজ শীতল হয়ে যাবে এই ভেবে কিসের জন্য এত ছুটে মরা যেখানে এ জীবন এর কোন গ্যারান্টি নাই। কিসের জন্য অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খাওয়া যেখানে মরণ ঠেকানোর রাস্তা নাই।

এই যে পাশের দেশ ভারতের এই হালে অনেক আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দিবে। এমনিতেই রোজা আসলে দাম বাড়ে আর এখন বাড়তি যোগ হইছে করোনা। ছিঃ! থু !

বর্ডার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ভাবা যায় সামনের দিন কি হবে? পকেটে টাকা থাকবে কিন্তু না খেয়ে মরতে হবে।অনেকের তো চাকরি চলে গেছে। পুরা পরিবার নিয়া কি যে কষ্টে আছে।

আমরা প্লান করি দুই বছর পাঁচ বছরে হেনতেন করে ফেলব। আরে ভাই আগে তো বাঁচেন !

করোনা আংগুল দিয়ে দেখাচ্ছে আমাদের ভুল কি ছিল। যা হবার হয়ে গেছে এখন মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আল্লাহ কে ডাকতে হবে যদি তিনি রহম করেন।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অপ্রিয় হলেও চরম সত্য !

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০০

স্প্যানকড বলেছেন: সত্য বুঝি এমন ই! ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ৯৮ বন্যায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘরে পানি প্রবেশ করে কি যে ভয়াবহ দিন গেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০১

স্প্যানকড বলেছেন: আসলে যারা ভুক্তভোগী তারাই এর মর্ম বুঝে । সাবধানে থাকবেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্ত আমরা তো আমাদের পাপগুলো, ভুলগুলো অহংকারগুলো স্বীকারই করছি না। হেদায়েতও চাচ্ছি না আল্লাহর কাছে। পাপের জন্য মাফও চাই না। আমাদের মরণেরও ডর নাই :(

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৮

স্প্যানকড বলেছেন: আমরা আমাদের বদ অভ্যাস এর দাস হয়ে গেছি। হেদায়েত তারা চায় যাদের অন্তরে আল্লাহর ডর আছে। যাদের অন্তরে আল্লাহর ডর থাকে তারাই হেদায়েত প্রাপ্ত হয়। সবার নসিবে হেদায়েত জুটে না। সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিল গেটস বলেছে ২২ সালে পৃথিবী করোনা মুক্ত হবে। এর ভিতর কতো লোক মরবে আল্লাহ জানে

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩০

স্প্যানকড বলেছেন: বিল গেটস এর কথা মানলে শিরক হয় কি না কে জানে ! ভবিষ্যৎ একমাত্র আল্লাহ জানে। আর যদি এমন হয় তাইলে ধরে নিতে হবে প্রি প্লান করে একটা যুদ্ধ চলছে। সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সবাই মনে করে যে 'আমি ছাড়া অন্যরা আক্রান্ত হবে....'

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩২

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, ঠিক তাই। উহান হইছে আমার কি এই ভাব ছিল সবার বা মরে যাক শালার চীনা মাল! এহন বুঝ ! সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০১

শেহজাদী১৯ বলেছেন: গবাদী পশুগুলির মত অবস্থা এখন আমাদের।
কে বাঁচে কে মরে সবই নিয়তীর উপর।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, একদম সত্যি ! ধন্যবাদ, সাবধানে থাকবেন।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

মা.হাসান বলেছেন: মানুষের ক্ষুধা সর্বগ্রাসি। কবরের মাটি ছাড়া আর কিছুতে মানুষের উদর পূর্তি হয় না। নেতাদের হাবভাবে মনে হয় এনারা অমর।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

স্প্যানকড বলেছেন: মরলে অনেকে হা হা রিয়েক্ট দেয় ! কেমন অমরত্ম পাইছে বুঝেন ! ধন্যবাদ, সাবধানে থাকবেন।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: তিনি যদি রহম করেন।
অমানুষগুলো মাথার উপর পাহাড় তুলে ধরলেও মানুষ হবে না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৭

স্প্যানকড বলেছেন: একটু সবুর করেন ইন শা আল্লাহ অমানুষ মানুষ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: করোনা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিল বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করতে হবে।বিজ্ঞানকে আরো উন্নত করতে হবে,ভ্যাকসিনের ফর্মুলা বের করতে হবে।মন্দির,মসজিদ,দোয়ায় কাজ হবে না।ঐ গুলোতে কাজ হবে মরার পর।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪০

স্প্যানকড বলেছেন: দুইটাই লাগে জীবনে চলতে। কথায় আছে না, " দোয়া ও লাগে দাওয়া ও লাগে " ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: এভাবে যে পুরো পৃথিবী লন্ডভন্ড হয়ে যাবে সামান্য একটি ছোট্ট ভুলে তা কি কেউ ভাবতে পেরেছে? ...... তারপরও আমরা সাবধান হই না, যেমন খুশি চলছি। আর ভারতের অবস্থা আমাদের জন্য সাবধান বানী। এরপরও যদি সাবধান না হই তাহলে কি করার আছে!!

অফটপিক: কানাডার বরফ প্রায় এপ্রিল পর্যন্ত থাকে। বরফ কম পড়াতে ২০১৯ এ মারাত্বক আগুন ধরে ম্যাকমারির বনে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

স্প্যানকড বলেছেন: ভয়টা হলো ভারত উহান থেকে বহু কাছে । ভারতের কোন করোনা রোগী যদি খালি বর্ডার এলাকায় এসে হাঁচি কাশি দেয় তাইলে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সুবিধার না। বর্ডার খোলা বলতে মাল আনা নেয়া চলছে। কি যে হবে আল্লাহ জানে।

বলেন কি বরফ না পড়াতে আগুন !

ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভারতে এই অবস্থার মধ্যে খবরে দেখলাম দিল্লির ঔষধের দোকান গুলোতে নাকি নকল ঔষধে ভরে গেছে।
ভাবা যায়!!

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

স্প্যানকড বলেছেন: এমন টা আমাদের এখানে হতে পারে ! চিন্তায় আছি খুব। সাবধানে থাকবেন। ধন্যবাদ।

১৩| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুষ খুব বেশী উদাসীন হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.