নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশ্বাস করি, \'মানুষের জন্যই ধর্ম ধর্মের জন্য মানুষ নয়\'৷ তাই প্রথমে প্রকৃৃত মানুষ হওয়া চাই, নিরাপদ আলোকিত একজন মানুষ৷ \nhttps://www.facebook.com/SufiMahfuz/

সুফী আহমাদ মাহফুজ

সুফী আহমাদ মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ খোদার মুখশ্রী

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৫০

মানুষের মধ্যে খোদাকে সকলে দেখিতে পায় না৷যদিও কুরআনুল হাকিম অসংখ্যবার খোদার মুখমন্ডলের কথা বলিয়াছে তবুও অধিকাংশ মুসলমানের খোদা নিরাকারই রহিয়া গিয়াছে৷তাহারা কোনোদিন চিন্তা করিয়াও দেখে নাই যে কুরআন কেন বারংবার খোদার মুখ-মন্ডলের কথা বলিয়াছে! মনে রাখিতে হইবে তৃতীয় মাত্রাতে সকলই আকার ধারণ করে আর পন্ঞ্চম মাত্রায় সকলই আকার পরিত্যাগ করে৷ নিরাকার স্বত্তার বস্তু ধারণ বুঝিতে চাহিলে পন্ঞ্চম মাত্রা হইতে পর্যবেক্ষন করা জরুরী৷ এক শ্রেনীর আধ্যাত্মিক সাধকগন সর্বদাই তৃতীয় মাত্রায় লটকাইয়া থাকেন; অন্য মানুষের কুৎসা গাহিয়াই তাহারা সময় পায়না, সেই মানুষের অভ্যন্তরে তাহারা খোদা দেখিবে কি রূপে? অথচ সকল মানুষই খোদার সৃষ্টি , খোদা কুরআনে নিশ্চিত করিয়াছেন যে- "সকলকেই খোদাতে প্রত্যাবর্তন করিতে হইবে"৷ সেই মানুষ কানা হউক, লেংড়া হউক, দলিত হউক বা নিকৃষ্ট হউক তাহাকে খোদা হইতে বিচ্যুত করিবার অধিকার খোদা কাউকেই দেন নাই৷
শক্তি মানেই খোদার রঙ, শক্তি তৃতীয় মাত্রায় আসিয়া বস্তু ধারণ করে৷ফলে সংগত কারণে বস্তুও খোদার বিভিন্ন রঙে রন্ঞ্জীত হয়৷ মানুষও তাহার ব্যাতিক্রম নহে; ইহা বুঝিতে পারিলেই তৃতীয় নয়ন খুলিয়া যায়, তখন জগতময় খোদার অপরূপ মুখশ্রী পরীলক্ষিত হয় আর খোদার মুখশ্রী সর্বাধিক প্রকাশিত হইয়াছে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের মধ্যে৷ যাহারা কেবলই দেহ কেন্দ্রীক তৃতীয় মাত্রার বস্তু জাগতিক মোহে লটকাইয়া আছে তাহাদের পক্ষে কখনোই খোদার মুখশ্রী দর্শন করা সম্ভব হইবেনা, তৃতীয় মাত্রায় সত্তর হাজার পর্দা দ্বারা তাহাদের বিভ্রান্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে৷

রেফারেন্স- বাক্বারাহ:১১৫, রুম:৩৮

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খোদাকে দেখার বিষয় নয় অনুভবের বিষয় বলেই জানি , তিনি নিরাকার তাঁর কোন মুখ নেই তিনি পরম সত্মা । কোরানের কোন কোন সুরায় কত নং আয়াতে মখমন্ডলের কথা বলা হয়েছে তা জানালে উপকৃত ও প্রিত হই ।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: বাক্বারাহ: ১১৫

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: রুম:৩৮

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: তাহলে এই মহাবিশ্ব যে সৃস্টি করেছে সে দেখতে মানুষের মতন?

আর আপনি আপনার মতন করে সৃস্টি করা মানুষকে কেন এতো কস্টের ভেতরে দিনপাত করতে দেবেন?

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: কারন পরের স্তরের জন্য প্রস্তুত করা. পন্ঞ্চম মাত্রার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়৷সবাই যার যার মত উপযুক্ত ফল প্রাপ্ত হয়৷ধন্যবাদ

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৯

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: এই জীবনকে খাড়ির জীবন বলা যায়...সামনে অনন্ত সাগর জীবন

৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

নতুন বলেছেন: মানুষ এযাবত মহাবিশ্বের যেইটুকু অনুভব করতে পেরেছে তার বিশালতা এতই বড় যে এই বিশ্বের তুলনায় একটা বালুকনা যতটুকু মহাবিশ্বের তুলনায় এই বিশ্বটা কে সেই রকমের তুলনা করা যায় না।

সেহেতু সৃস্টিকতা` ঐ নগন্য মানুষের জন্য এই মহাবিশ্ব সৃস্টিকরেছে এবং তার মুখের আদলে মানুষ সৃস্টি করেছে এবং আরো ভাবনা যেটা আমরা ভাবি সেটা নিতান্ত্যই বোকামী পূন` ভাবনা মাত্র।

মানুষের জীবন এই পৃথিবিরই কোন কাজে আসে না। বরং মানুষ এই বিশ্বে না থাকলেই সবকিছু ঠিক থাকবে।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

সুফী আহমাদ মাহফুজ বলেছেন: আপনি যা বলছেন তা তাসাউফেরই অংংশ , মাল্টি ভার্স থিওরী সুফীদের বহু পুরনো আবিস্কার৷আপনি না বুঝে মন্তব্য করছেন৷ আমরা সকলেই একের প্রতিরূপ মাত্র৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.