নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্রঃ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২০

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে পরিমাণ প্রতিবাদ, আলোচনা, পক্ষে বিপক্ষে গুঁতাগুঁতি হচ্ছে তা থেকে নিজেকে আর দূরে রাখতে পারলাম না। তাই আমিও একটা পক্ষ নিলাম এবং তা নিজের মত করেই।



এই বিষয়টা নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে ...

১) আমরা ভুলে গেলাম রামপালের কথা, ভুলে গেলাম ওখানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা। ধরে নিলাম ওখানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা হল না। ভাল খবর! সবাই খুশি মনে যে যার মত বাড়ি যেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে গেল, কিন্তু তাতে কি দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটে গেল? বাসায় ফিরে কি তারা ফ্যানের সুইচ টিপবে না? সুইচ টেপার পরে বিদ্যুৎ না পেলে যেন তারা আবার সরকারকে গালিগালাজ না করে? দেখবেন কিন্তু ব্যাপারটা?

২) আজ যারা এই প্রকল্প বাতিলের দাবী করছে, তারা কি বিকল্প কোন স্থানের কথা বলেছে? যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নতুন করে স্থান নির্ধারণ করা যাবে?

৩) নতুন স্থান নির্ধারণ করার পর সেখানে কি নতুন করে কোন প্রতিবাদ হবে না?

৪) বিদ্যুতের বিকল্প কি কিছু আছে? আছে কোন উপায়? স্পষ্ট কোন ধারনা আছে তাদের?

৫) আজ যারা এই প্রকল্প বাতিলের কথা বলছে তারা তো বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, গ্যাস ইজারারও বিরোধিতা করেছিল এর কোন কোনটা বাতিলও করা হয়েছিল, যেগুলো বাতিল করা হয়েছিল তা থেকে দেশের কতটুকু লাভ হয়েছিল? আর যেগুলো সরকার না মেনে বাস্তবায়ন করেছিল তা থেকে দেশ কতটুকু লাভবান হয়েছিল? আছে কোন সার্ভে রিপোর্ট তাদের কাছে?

৬) দেশের মানুষ প্রতি মিনিটে বাড়ছে, এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাদের চাহিদা আর এই চাহিদা মিটানোর প্রধান চালিকা শক্তিই হল এই বিদ্যুৎ। এমন কি কোন উপায় আছে যার মাধ্যমে এই বিদ্যুতের চাহিদা কমানো যাবে? আজকে থেকে আর এক মেগাওয়াটেরও চাহিদা বাড়বে না? গ্যারান্টি দিতে পারবে তারা?



আমরা জানি ......

যারা এই আন্দোলন করছে তাদের মনোভাব হল, আমরাও দেশের উন্নয়ন চাই কিন্তু কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না, বেশী দামে বিদ্যুৎ চাই না, কুইক রেন্টাল চাই না, গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন চাই না, কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন চাই না, সব সময় না, না আর না ......



আবার সকাল, দুপুর ও রাত এই তিনবেলা গরম ভাত চাই, পড়ার জন্য সুন্দর কাপড় চাই, বাসায়, অফিসে এসি চাই, ফ্যান চাই, সব সময় বিদ্যুৎ চাই, ঘরে সুন্দরি বউ চাই, বউকে নিয়ে শপিং -এ যাওয়ার সময় মানি ব্যাগ ভর্তি টাকা চাই! আরও কত চাই চাই ...



অথচ একবারও ভাবিনা এগুলো আসবে কোথা থেকে? কিভাবে আসবে?



সর্বোপরি, বলতে চাই......

যারা আজ রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানাতে যেয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের কথা বলছে, তারা কিন্তু একটা বাহানা দাড় করিয়েছে আর এই বাহানাটা হলো "সুন্দরবন"!



আজ যদি সরকার অন্য এক জায়গায় এই প্রকল্পটা স্থানান্তর করতে যায়, দেখা যাবে সেখানেও তারা অন্য একটা ইস্যু তৈরি করেছে এবং সেটাও বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।



আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্র!



... বেচারা সুন্দরবন, তোর জন্য ভীষণ মায়া হয়! রামপাল বাতিল হওয়ার পর কেউ তোর খোজও রাখবে না! পুঁছবেও না?



আফসুস...



৩০/০৯/২০১৩, রাতঃ ১১-৫৮

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০১

কষ্টবিলাসী বলেছেন: সুকান্ত কুমার সাহা

বাংলাদেশী নাকি ভারতীয়!!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বাংলাদেশী ।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০১

জাকির সজিব বলেছেন: tui ekta awami paid blogger.

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমাকে গালি দিলেই কি দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটবে? যদি মিটে তাহলে যত খুশি গালি আমাকে দেন কোন মাইন্ড করবো না।

ভাইজান, অনুগ্রহ করে কি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন...

১) আমরা ভুলে গেলাম রামপালের কথা, ভুলে গেলাম ওখানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা। ধরে নিলাম ওখানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা হল না। ভাল খবর! সবাই খুশি মনে যে যার মত বাড়ি যেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে গেল, কিন্তু তাতে কি দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটে গেল? বাসায় ফিরে কি তারা ফ্যানের সুইচ টিপবে না? সুইচ টেপার পরে বিদ্যুৎ না পেলে যেন তারা আবার সরকারকে গালিগালাজ না করে? দেখবেন কিন্তু ব্যাপারটা?

২) আজ যারা এই প্রকল্প বাতিলের দাবী করছে, তারা কি বিকল্প কোন স্থানের কথা বলেছে? যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নতুন করে স্থান নির্ধারণ করা যাবে?

৩) নতুন স্থান নির্ধারণ করার পর সেখানে কি নতুন করে কোন প্রতিবাদ হবে না?

৪) বিদ্যুতের বিকল্প কি কিছু আছে? আছে কোন উপায়? স্পষ্ট কোন ধারনা আছে তাদের?

৫) আজ যারা এই প্রকল্প বাতিলের কথা বলছে তারা তো বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, গ্যাস ইজারারও বিরোধিতা করেছিল এর কোন কোনটা বাতিলও করা হয়েছিল, যেগুলো বাতিল করা হয়েছিল তা থেকে দেশের কতটুকু লাভ হয়েছিল? আর যেগুলো সরকার না মেনে বাস্তবায়ন করেছিল তা থেকে দেশ কতটুকু লাভবান হয়েছিল? আছে কোন সার্ভে রিপোর্ট তাদের কাছে?

৬) দেশের মানুষ প্রতি মিনিটে বাড়ছে, এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাদের চাহিদা আর এই চাহিদা মিটানোর প্রধান চালিকা শক্তিই হল এই বিদ্যুৎ। এমন কি কোন উপায় আছে যার মাধ্যমে এই বিদ্যুতের চাহিদা কমানো যাবে? আজকে থেকে আর এক মেগাওয়াটেরও চাহিদা বাড়বে না? গ্যারান্টি দিতে পারবে তারা?

আর একটা কথা আমি আওয়ামীও না, আবার পেইডও না।

শুভকামনা!

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: Click This Link

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ ! ক্লিক করেছি এবং পড়েছি !!

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১২

তথই বলেছেন: হৃদয়ে হিন্দুস্তান নিয়া বাংলাদেশে থাকিস কেন ????

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: না ভাই! হ্রদয়ে বাংলাদেশ নিয়ে বাংলাদেশেই থাকি।

আর আমি আপনাদের মত বর্ণচোরা নই! নিজের পিতৃপ্রদত্ত নামে লেখার সৎ সাহসটুকু রাখি!

শুভ সকাল!

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৫

সৌমিক জামান বলেছেন: ওরে দালাল আইসে রে!!! ধর ধর। মামু, লাগলে সুন্দরবনের নাম পরিবর্তন কইরা বঙ্গবন্ধু বন করো। কিন্তু এমন আকথা কইয়ো না। আর দেশে কি জায়গার অভাব নাকি? আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর করতে পারো তোমরা। দিনাজপুরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করো। কয়লা পরিবহণ খরচও লাগবো কম।

আর যদি মনে কর,না আমার বাপ-দাদা পাইক্কা/ বিহারী। আমিও তাই। তাইলে মামু তোমার এই লেখালেখি এমন কইরা চালাইয়া যাও। কোন সমস্যা নাই।

মাথায় ঢুকসে দালাল ভাই?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে আসলে কি হবে বলুনতো? আপনি যে জায়গা দুটোর নাম বললেন সেখানে যদি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে যায় তাহলে কি বাধা আসবে না?

গাল দিয়ে কি বিদ্যুৎ পাবেন? নাকি এর জন্য উৎপাদন কেন্দ্র লাগবে?

এটা ছাড়া তো আপনি ব্লগিংও করতে পারবেন না?

শুভকামনা!

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৪

কেএসরথি বলেছেন: কষ্টবিলাসী বলেছেন: সুকান্ত কুমার সাহা

বাংলাদেশী নাকি ভারতীয়!!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বাংলাদেশী। কোন আপত্তি ? আসুন নিচের বিষয় নিয়ে আলোচনা করি ...
সর্বোপরি, বলতে চাই......
যারা আজ রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানাতে যেয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের কথা বলছে, তারা কিন্তু একটা বাহানা দাড় করিয়েছে আর এই বাহানাটা হলো "সুন্দরবন"!
আজ যদি সরকার অন্য এক জায়গায় এই প্রকল্পটা স্থানান্তর করতে যায়, দেখা যাবে সেখানেও তারা অন্য একটা ইস্যু তৈরি করেছে এবং সেটাও বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্র!

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই আপনার জন্যই আমার আফসোস হচ্ছে।

"বেঁচে থাক সুন্দরবন"

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: "বেঁচে থাক সুন্দরবন" আমিও তাই চাই >>>

আবার বিদ্যুৎ ও চাই এবং তা খুব দ্রুত !!
বর্তমান পৃথিবীতে ভাল ভাবে বাঁচতে চাইলে আপনার বিদ্যুৎ লাগবেই এর কোন বিকল্প নেই!

যেভাবে দেশের মানুষ বাড়ছে তাতে কি আপনার মনে হয় আপনারা সুন্দরবনকে বাঁচাতে পারবেন? আপনারা কি সাতক্ষীরা, মংলা, বাগেরহাট প্রভৃতি সুন্দরবন এলাকার আশেপাশে গেছেন কখনো? গেলে দেখবেন কিভাবে মানুষ বসতি স্থাপন করে করে সুন্দরবনকে ছোট করে ফেলছে?

ধন্যবাদ!

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

বোকা সোকা বলেছেন: দাদা তো অসাম যুক্তি দিলেন X( X( তা আপ্নার কাছে আর কি কি সার্ভে রিপোর্ট আছে ??

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমার কাছে কোন সার্ভে রিপোর্ট নেই ভাই!

আমি বুঝি >>>>
যারা আজ রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানাতে যেয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের কথা বলছে, তারা কিন্তু একটা বাহানা দাড় করিয়েছে আর এই বাহানাটা হলো "সুন্দরবন"!

আজ যদি সরকার অন্য এক জায়গায় এই প্রকল্পটা স্থানান্তর করতে যায়, দেখা যাবে সেখানেও তারা অন্য একটা ইস্যু তৈরি করেছে এবং সেটাও বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।

আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্র!

ধন্যবাদ!

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: হৃদয়ে হিন্দুস্তান নিয়া বাংলাদেশে থাকিস কেন ????

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আসল প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ভিন্ন প্রসঙ্গে যাচ্ছেন কেন ভাই?

বিদ্যুৎ ছাড়া কিন্তু আপনিও অচল! মনে রাখবেন?

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

তারেক বলেছেন: আমার একটা ব্যক্তিগত প্রস্তাব ছিল। রামপালের বিদ্যুত কেন্দ্রটি সেখানে না করে ঠাকুগাও বা দিনাজপুরের কোথাও করা যায় কি না। কেউ কি ভেবে দেখবেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১১

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমি আপনার প্রস্তাবের পক্ষে।

আমাদের আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ কেদ্র জরুরি ভিত্তিতে দরকার।

বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা এগুতে পারবো না।

ধন্যবাদ!

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

সোহানী বলেছেন: @সুকান্ত কুমার সাহা, আপনি কি জেগে ঘুমান? সাম্প্রদায়িক মন্তব্য আমি করতে চাই না তবে দয়া করে চুক্তির শর্তগুলো একবার পড়ে দেখবেন। কতভাগ বিদ্যুৎ আমরা পাবো আর কতভাগ ভারত পাবে। কেন নিজের দেশ সম্পদ ধ্বংস করে ভারতকে বিদ্যুৎ দিব।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: হ্যাঁ এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

কিন্তু আমার মূল বক্তব্য নিয়ে কেউ কিছু মন্তব্য করছেন না।
১) বিদ্যুৎ কি আমাদের দরকার নেই?
২) নতুন কোন জায়গা সিলেকশন করা হলে কি সেখানেও নতুন কোন ইস্যু নিয়ে হাঙ্গামা হবে না?
৩) জন ঘন বসতির এই বাংলাদেশে কি একটা বড় বিদ্যুৎ কেদ্র করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে?

ধন্যবাদ!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: সোহানী বলেছেন: @সুকান্ত কুমার সাহা, আপনি কি জেগে ঘুমান? সাম্প্রদায়িক মন্তব্য আমি করতে চাই না >>>>>

এই কথা বলে কি আপনি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেননি ?

আফসুস ! আপনার বিচক্ষনতা দেখে !!!

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: তুই একটা মালাউনের বাচ্চা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: শুধুই গালি দিলেন ???

তারপরেও আপনাকে ধন্যবাদ !!!

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্র!

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: হায়রে দল ও তীর্থস্থান কানা লোক

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আপনার ধারনা ভুল!
ধন্যবাদ !!

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: তুই একটা মালাউনের বাচ্চা।
লেখক বলেছেন: শুধুই গালি দিলেন ???

তারপরেও আপনাকে ধন্যবাদ !!!

তবে এতো শান্ত, ভদ্র, মার্জিতভাবে যে আপনি প্রতিউত্তর দিচ্ছেন। আপনার জন্য রইলো অপরিসীম শ্রদ্ধা ভাই।

তবে, চুক্তিগুলো নতুনভাবে সংশোধন করে, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্ট নাকরে অন্য কোথাও করা যেতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র সরকার ইচ্ছে করলেই যেকোন জায়গায় তৈরী করতে পারে। এমনকি তাজমহলও বানানো যায়। কিন্তু ভাই সুন্দরবন চাইলেই বানানো যায়না। পৃথিবীর কোনো মানুষকেই এ ক্ষমতা দেয়া হয়নি।

জনগণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সরকার যদি সুন্দরবনেই বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে পারে, তবে অন্য কোথায় জনগণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে তৈরি করলে সমস্যা কি?

আশাকরি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি ভাই। হিন্দু নাম দেখে যারা আপনাকে সাম্র্রদায়িক আক্রমণ করেছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: খেয়া ঘাট, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

আমার মনে হচ্ছে, আপনার সাথে আলোচনা করা যায় !!!
দেখুন আমার লেখাটার মুল বক্তব্য হচ্ছে:

১) যদি আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাই তাহলে আমাদের বিদ্যুৎ দরকার, এর সংস্থান বাড়াতে হবে, তা যেভাবেই হোক না কেন? সেটা গ্যাস, কয়লা, জলবিদ্যুৎ, ডিজেল-ফার্নেস ওয়েল, আণবিক, সৌর, বর্জ্য ভিত্তিক হোক বা কুইক রেন্টাল, আমদানি পদ্ধতিতে হোক। এর কোন বিকল্প নেই। আবেগ দিয়ে দেশের বা পরিবারের আর্থিক অভাব কাটানো সম্ভব নয়। তবে না খেয়ে থাকা সম্ভব!

২) দেশে মানুষ প্রতিনিয়ত বাড়ছে, বাড়ছে- ক্রয়ক্ষমতা, শিক্ষার হার। মাথাপিছু আয় ক্রমোন্নতির দিকে, সেই সাথে বাড়ছে মানুষের চাহিদা, বাড়ছে বিদেশের সাথে যোগাযোগ, এর জন্য শক্তি প্রয়োজন, আর এই শক্তি মানেই বিদ্যুৎ। যা আসবে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এর কোন বিকল্প নেই।

৩) রামপাল নিয়ে এত প্রতিবাদ-সমালোচনা এর মুলে আছে রাজনীতি, ডেফেনেটলি রাজনীতি। সুন্দরবন একটা “বাহানা মাত্র”। হ্যাঁ! আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মূল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র’টা হতে না দেওয়া, এর জন্য সুন্দরবনকে ইস্যু বানানো হয়েছে। এর পক্ষে আমি আনোয়ারা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হয়ে যাওয়ার ঘটনাটা উল্লেখ করছি, সেটা কিভাবে বাতিল করা হল তা নিশ্চয় জানেন? সেখানেও ইস্যু হয়েছিল, পরিবেশ আর বসতি। কয়লা খনির কথাও উল্লেখ করা যায় রেফারেন্স হিসেবে, যদিও বিষয়টা খনি ও উত্তোলন কেন্দ্রিক কিন্তু ঘটনার ঘনঘটা একই, প্রকল্প বন্ধ করা।

৪) রামপাল-এর কেন্দ্রটা যদি স্থানান্তর করা হয়, তাহলে কি নতুন জায়গা নিয়েও প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে না? আমার ব্যক্তিগত মত হল, সেখানেও একই রকম আচরণ করা হবে, তখন “বাহানা” হবে ভিন্ন কোন বিষয়!

৫) প্রতিবাদকারীদের নেতৃস্থানীয়রা চায় না বাংলাদেশ উন্নতি করুক, মাথা উঁচু করে দাঁড়াক পৃথিবীর বুকে, আমাদের ভাই-বোন যারা পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রম বিক্রয় করছে তারা মর্যাদা পাক একটা স্বাধীন ও শক্তিশালী দেশের নাগরিক হিসেবে। কেটে যাক “মিসকিন” ট্যাগিং (মধ্যপ্রাচ্যে)! এক কথায় তারা দেশের ভাল চায় না, সেটা বুঝে করুক আর না বুঝে করুক – এটা আমার ব্যক্তিগত মত। তাই তারা দেশের যে কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করেন, যদিও এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

৬) জন ঘন বসতির এই দেশে, একটা বড় কোন প্রকল্পের জন্য প্রচুর জায়গা লাগে একটা নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে, যা একেবারে ফাঁকা বা অব্যবহৃত পাওয়া এক কথায় অসম্ভব। এর পর আছে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, প্রকল্পের ফ্যাসিলিটি’র বিষয়। আমরা জানি, সব জায়গায় সব শিল্পকেন্দ্র করা যায় না, লজিস্টিক, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অর্থনৈতিক ভাবে ভায়াবল প্রভৃতি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এর যে কোন একটার অনুপস্থিতে প্রকল্পটা লোকসান দিবে। তখন জাতির ঘাড়ে শ্বেতহস্তী চাপবে।

৭) মানুষের উন্নয়ন মানেই পরিবেশের ক্ষতি। আমি, আপনি সারাদিন যাই করছি না কেন, তা দ্বারাই পরিবেশের ক্ষতি করছি। একটা সিঙ্গেল উদাহরণও দেখাতে পারবো না, যা দ্বারা আমরা “মানুষ” পরিবেশের উপকার করছি।

৮) একটু ভাল ভাবে খুঁজলেই দেখবেন কিভাবে ক্রম বর্ধমান মানুষের চাপে গত ২০-৩০ বছরে সুন্দরবন ছোট হয়ে গেছে এবং আগামীতে আরও ছোট হবে সেটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও। প্রতিনিয়ত আমরা সুন্দরবনের গাছে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছি, একটা বাঘ ভুল করে বা খাবারের অভাবে লোকালয়ে (যা ছিল সুন্দরবনের অংশ ছিল একসময়) এসে পড়লে পিটিয়ে হত্যা করে, গাছে ঝুলিয়ে রেখে পোজ দিয়ে ছবি তুলছি, হরিণের মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে তা কিনে খাচ্ছি বিনা বাঁধায়, সামান্য কষ্ট লাঘব ও অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্য নদীতে বিষ দিচ্ছি, মাছের সাথে সাথে হত্যা করছি জলজ প্রাণীকুল। কিন্তু আমরা সে বিষয়ে একেবারেই বেখেয়াল, কোন ব্যাপক ভিত্তিক প্রতিবাদও হয়নি কখনো। আর এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমি বলছি, রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রটা বাতিল করার জন্য সুন্দরবনকে ইস্যু বানানো হয়েছে।

আর তাই বলেছি,
“ ... বেচারা সুন্দরবন, তোর জন্য ভীষণ মায়া হয়! রামপাল বাতিল হওয়ার পর কেউ তোর খোজও রাখবে না! পুঁছবেও না?”

আমার ধারনা, ফুলবাড়ি, আনোয়ারা প্রজেক্ট বাতিলের পর যেভাবে আন্দোলনকারীরা সেই এলাকার কথা (রাজনৈতিক ব্যবহার বাদে যা প্রচুর) ও মানুষের কথা ভুলে গেছে, সেই একই ভাবেও সুন্দরবনের কথা ভুলে যাবে......

সবশেষে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে, একটা কথা বলবো, আর তা হচ্ছে, “সুন্দরবনকে কেউ যদি রক্ষা করতে পারে, সে হলো “রয়েল বেঙ্গল টাইগার” মানুষ না! পারলে একে রক্ষা করুন, সুন্দরবন বাঁচবে ...

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন!

শুভ মহালয়া!

N.B: চুক্তি বিষয়গুলো নিয়েও আলাচনা চলবে ...

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: মনে হচ্ছে পৃথিবীতে একমাত্র আমরাই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছি! নিচের ছবিটা আসুন দেখি ...

উপরের তথ্য দেখুন চীন ২০১০ সালে পৃথিবীর মোট কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩৭.৬০% (৩২ লক্ষ ৭৩ হাজার গিগা ওয়াট) করেছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আর তারপর আছে আমেরিকা ২২.৯০% ভারত ৭.৫%! লং মার্চ তো দেখি চীনের দিকে করা লাগে? ওরাই তো আমাদের সমুদ্রে ডুবাইবো !!! এই লন উইকির লিঙ্ক, পড়েন... খালি চিক্কুর পারেন না বুঝাই ...... লিঙ্ক

আরও তথ্য ...
পৃথিবীর ২৩০০ খান কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে চীনেরই ৬২০ খান। এই লন লিঙ্ক

আমরা কেবল দ্বিতীয়টা বানাইতে গেছে তাতেই এত হাউকাউ! আন্ধা কাকে কয়!

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আরও তথ্য দেখি ...


পৃথিবীর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে কয়লার অবদান ৪১%, তারপরে আছে গ্যাস ২১%, জল ১৬%, আনবিক ১৩% ... (২০০৮ সালের তথ্য) লিঙ্ক

অর্থাৎ এই কাজটা শুধু আমরাই করছি না !

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১

লিখেছেন বলেছেন: মন্তব্য ভালই হইয়াছে , তবে বাক্য বিন্যাসে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হইয়াছে। যাহা হোক, পরিশ্রম করিলে এই ত্রুটি গুলি কাটিতে পারিবেন বলিয়াই আমার বিশ্বাস । রসের উপাদান যথেষ্ট ছিল যাহা পাঠকদের চিত্ত উৎফুল্ল করিয়াছে তাহাতে বিন্দমাত্র সন্দেহ নাই। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলি পরবর্তী ওই ঘরানার লেখকদের চাহিদা মিটাইতে বিশেষ সচেষ্ট থাকিবেন এই প্রত্যাশায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.