![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় ভিসা এখন সোনার হরিণের চেয়েও দামী। তারচেয়েও বেশী দামী এদেশের অনলাইনে ভিসার এপ্লিকেশন করে সেখান থেকে সাক্ষাৎকারের ডেট পাওয়া। আমরা যেই হই না কেন? এদেশের ভিসা পেতে হলে এই অনলাইন নামক ভিসা এপ্লিকেশন ফর্মটা পূরণ করে তা থেকে ডেট পেয়েই তা ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে সাবমিট করতে হবে।
সিস্টেমটা সুন্দরই ছিল; কারণ এই সিস্টেমের আগে হাতে লেখা ফর্ম পূরণ করে ভিসার অফিসগুলোর সামনে টানা তিনদিন দাঁড়িয়ে থেকেও ভিসা সেন্টারে ঢোকা যায়নি এমন রেকর্ড আছে। মধ্য থেকে ভিসা প্রার্থীরা ঝড়, বৃষ্টি, শীত মাথায় নিয়ে অফিস গুলোর সামনে টানা দিন-রাত দড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে যেত। টাকাও খরচ হত অনেক; আর পুলিশ-দালালের হাতে হ্যারাজমেন্টের কথা না হয় বাদই দিলাম। আর এতে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হত নিরীহ, গরীব আর দূরের মানুষ গুলো। কুকুরের মত সারারাত শুয়ে থাকতো তারা রাস্তায়। আর মাঝে মাঝে খেত দালালের উসকানিতে পুলিশের লাঠির মার!
কিন্তু এখন ভাল করতে যেয়ে সমস্যা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আমরা ভিসা চাওয়ার অধিকারই হারিয়ে ফেলেছি। অনেকে এটাকে ডিজিটাল সমস্যা বলে কিন্তু আমি মনে করি এই সমস্যা ডিজিটালের না; সমস্যা হল ডিজিটালের মিস ব্যবহারের! ভারতীয় ভিসার "অনলাইনে ই-টোকেন সিস্টেম" টা ঠিকই ছিল কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো ই-টোকেনে সাক্ষাৎকারের (Appointment) ডেট পাওয়া নিয়ে।
আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি- আমরা বাঙ্গালী যেখানে আছি; সেখানে দুর্নীতি আছেই। বিদেশীরাও আমাদের সাথে মিশে তাতে জড়িয়ে পড়ে। এই যেমন- আপনি হাজার বার চেষ্টা করেও ভিসার অনলাইন ফর্ম ফিল আপে Appointment ডেট পাবেন না! কারণ সেটা সামহাউ বন্ধ করা থাকে। হ্যাঁ! আপনি এটা পাবেন তখনই যখন আপনি দালালকে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা দিবেন প্রতিটা ডেটের জন্য। অর্থাৎ এই টাকা ভাগ হয়ে সেই অনলাইন অপারেটরের কাছে যাচ্ছে তারপর সেই দালাল ডেট পাচ্ছে ভিন্ন পথে সাধারণের অজানা টাইমে। তবে সেই দালাল কিন্তু আপনাকে ভিসার গ্যারান্টি দিচ্ছে না। ভিসার গ্যারান্টি পেতে হলে দিতে হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
এখন ধরুন- ভারত ২,০০০ জন বাংলাদেশীকে ভিসা দিচ্ছে প্রতিদিন; এখন যদি প্রতি ভিসার জন্য ২,০০০ টাকা করে দালালকে দিতে হয়; তাহলে দিনে দিতে হয় ৪০ লক্ষ টাকা; যার বেশীর ভাগই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসের সাথে জড়িত দেশী–বিদেশী মানুষ গুলো পাছে। তাহলে এ খাত থেকে মাসে কত টাকা তারা পাচ্ছে? এবং বছরে? এর পুড়োটাই দুর্নীতি যা আসলে ছিনতাই এরই নামান্তর। ডাকাতরা অস্ত্র ধরে টাকা নেয় আর এরা নিচ্ছে ডেট না দিয়ে; ডিজিটালী।
এই লেখার মাধ্যমে, আমি ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই- ভিসা প্রার্থীদের হয়রানী না করে ঝামেলাবিহীন ভাবে অন্তত ভিসার আবেদন করতে দেওয়া হোক! পাশাপাশি এক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা হোক; যাতে ভারতের নাগরিকরাও জড়িত আছে বলে মনে করি।
সবশেষে নিবেদন জানাই, বাংলাদেশের মানুষকে আগামী দিনগুলোতে যেন দোকানে, দালালের কাছে যেয়ে বলতে না হয়, “ভারতের ভিসার ডেট” পেতে কত টাকা লাগে ভাই? যা এখন ওপেন সিক্রেট।
ধন্যবাদ !!!
০৯/১২/২০১৪
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ !
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
এমএম মিন্টু বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ !
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: ভাই আপনি কি রিসেন্টলী এপ্লাই করেছেন ??? আপনার স্বপক্ষে ডকুমেন্ট দিয়ে ভারতীয় মিনিস্ট্রী অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সে একটা মেইল করেন দেখেন কোনো রেসপন্স পান কিনা??
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: দেখি কি করা যায় ?
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এ ব্যাপারে আজকে একভাই একটি চিঠি ডেইলী স্টারে লিখেছেন- Daily star-indian visa obstacle
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ !
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
পাগলামৃদুল বলেছেন: ঠিক কথা।