নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতঃপর আমিও একদিন মারা যাবো...

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ

আমি অভদ্র; কারন.......................................... ভদ্রতার মুখোশ কেনার টাকা আমার নেই!

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যালয়বিহীন একটি গ্রাম রসুলপুর

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৬


বিদ্যালয়বিহীন একটি গ্রাম রসুলপুর। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের এই গ্রামটিতে কোন বিদ্যালয় নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই গ্রামের শিশুরা পার্শ্ববর্তী গ্রামের বিদ্যালয়েও যেতে পারে না। ফলে গ্রামের তিন শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। বছর কয়েক আগে এই গ্রামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ছয়বার দরপত্র আহবান করেও কোন ঠিকাদার সেখানে কাজ করতে যায়নি, একমাত্র দুর্গম এলাকার জন্য। এই গ্রামের সবচেয়ে কাছের বিদ্যালয়টি হচ্ছে দুই কিলোমিটার দূরে। তারপরেও যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় সেই বিদ্যালয়েও যেতে পারে না শিশুরা। দেশের সর্বত্র যখন নতুন নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, বেসরকারী বিদ্যালয়গুলো একে একে সরকারিকরণ হচ্ছে, বাড়ছে বিদ্যালয়গামী শিশুর সংখ্যা-ঠিক তখনই এই ধরনের একটি খবর সত্যি কষ্টদায়ক।

রসুলপুর গ্রামটি গড়ে ওঠে প্রায় চার দশক আগে। পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবার এই স্থানে এসে বসতি গড়ে তুলে। এর নামকরণ হয় রসুলপুর। বর্তমানে এই গ্রামে দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু এই গ্রামে এখন পর্যন্ত কোন বিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। এখানকার শিশুরা লেখাপড়া বঞ্চিত হয়েই বেড়ে উঠছে। অর্থাৎ বিগত প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্ম আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে শিক্ষার আলো ছাড়াই।
চার বছর আগে গ্রামবাসী একটি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু এখনও বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেই। ইতোপূর্বে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেও কোন ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বর্তমানে সরকারের ‘বিদ্যালয়বিহীন এক হাজার গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের মধ্যেও রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে দুঃখের খবর এটাই যে, বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও চার বছরেও বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়নি। একজন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
দেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে সরকার দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন ধাপে বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়। কিন্তু এখনও অনেক গ্রাম রয়েছে বিদ্যালয়বিহীন। তেমনি একটি গ্রাম হচ্ছে এই রসুলপুর। এখানে এতোদিনে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রধান কারণ হলো সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতা। তাছাড়া, দেশব্যাপী অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। এই ধরনের কোন প্রতিষ্ঠানেরও নজর পড়েনি রসুলপুর গ্রামের দিকে। আর দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে ব্যাপকভাবে; এই প্রেক্ষিতে রসুলপুর গ্রামটি যোগাযোগ বিহীন দুর্গম হয়েই পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এটাই দুঃখজনক। দুর্গম এলাকায়ও ইদানিং ভাসমান নৌকায় বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। রসুলপুর গ্রামের জন্যও একটি ভাসমান বিদ্যালয় চালু করার কথাও চিন্তা করা যায়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকাশ!!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ বলেছেন: একদম।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি আসলে জানেন যে, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না? আমি ৩ কিলোমিটার দুরে প্রাইমারী স্কুলে পড়ালেখা শুরু করেছিলাম। আপনি কি সেই এলাকার লোক?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ বলেছেন: জী, আমার বাড়ি সুনামগঞ্জে। রসুলপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে বিদ্যালয় আছে। যাতায়াতের অসুবিধার কারনে কেউ স্কুলে যায় না।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০১

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক গ্রামেই স্কুল নেই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ বলেছেন: হুমমমম

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এটা আমাদের অহংকার গর্ব।
ডিজিটালাইজেশন

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিকাদারদের হয়তো লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই ওখানে কাজ করতে যায় না। এক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকী দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া উচিৎ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

মুহাম্মদ সুমন মাহমুদ বলেছেন: হয়তো তাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.