![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।
নোয়ারাই গ্রামে যে বাড়িতে আমরা ছিলাম, ঐ ভদ্রলোকেরা ছয় ভাই। সবাই লন্ডন প্রবাসী। ক’মাস আগেই উনি মা’কে নিয়ে দেশে এসে আটকে পড়েন। উনার মায়ের কথা এখনো মনে আছে। খুব সাহসী এবং স্নেহ-প্রবন মহিলা ছিলেন উনি। প্রথম দিনই আব্বাকে বললেন, “এত দিন আমার ছয় ছেলে ছিলো, এখন থেকে আমার সাত ছেলে, তুমি আমার ছেলে, এটা তোমার নিজের বাড়ি”। শহুরে মানুষ --সকালে ভাত খেতে পারেনা মনে করে উনার নির্দেশে আমাদের রুটি, পরোটা দেয়া হত। আব্বা আম্মার শত বারন উনি কানে নেন নি। বিশাল বাড়ী, আত্মীয়-স্বজন, আশ্রিত, কামলা, মুনিষ, অনেক মানুষ। সকাল দশটার দিকে ক্ষেতে ভাত পাঠানো হত, সেটা ছিল দেখার মত। বড় বড় দুইটা টুকরিতে ভাত ঢালা হত, তার উপরে গাদা খানিক আলু ভর্তা বা বেগুন ভর্তা আর পুড়ানো শুকনা মরিচ, কলাপাতা দিয়ে ঢেকে একজন কাঁধে করে ভার নিয়ে মাঠে যেত।
তেমনি এক সকালে ভাত বাড়া হচ্ছে, আমি সাগ্রহে বসে বসে দেখছি, এমন সময় অনেক মানুষের হইচই শোনা গেলো, কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা ছোকরা মুনিষ চেঁচাতে চেঁচাতে এল, “মাজন সাব মাজন সাব মিলিটারি আয়রো”। মুহুর্তে পুরো বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেল। আব্বা বললেন, “আগে ব্যাপারটা বুঝি, তারপর ব্যাবস্থা নেয়া যাবে”। ঐ মুনিষকে সামনে ডেকে এনে যা জানা গেলো, মিলিটারি পাশের গ্রামে এসেছে, এ গ্রামের নদীতীরে সবসময় কেউ না কেউ পাহারায় থাকত, যাতে মিলিটারি দেখলেই খবর জানাতে পারে, স্পিডবোটে নদী পার হয়ে পাশের গ্রামে ঢুকেছে। ততক্ষণে গুলির শব্দও আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম। আব্বা সবাইকে বললেন, “ জিনিস-পত্রের মায়া করলে এখন হবে না, জান বাঁচাতে হবে, ঘর তালা দিয়ে সব বেরিয়ে পড়েন, আমি তো এদিকের পথঘাট চিনিনা, সুতরাং কোনদিকে যেতে হবে সেটা আপনারাই ভালো বুঝবেন”। বৃদ্ধা গৃহকর্তী এগিয়ে এলেন, বললেন, আল্লাহের নাম নিয়ে তোমরা বেড়িয়ে পড়, আমি এদিকটা সামাল দিবো”। হাজার কাকুতি মিনতি, অনুরধেও উনাকে টলানো গেল না। উনার এক কথা, ইনশাল্লাহ আমার কিছু হবেনা, তোমরা বেড়িয়ে পড়।
বেতের ঝুড়িতে ছোটবোনের দুধের সরঞ্জাম নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম। গ্রামের মানুষ প্রাণভয়ে সবাই ছুটছে। ক্ষেতের আলপথ ধরে, কখনো বা ন্যাড়া ক্ষেতের উপর দিয়ে আমরা হাটছি। পিছনে ফেলে আসছি, চিৎকার, আগুনের লেলিহান শিখা। প্রচণ্ড গরমে ঘেমে নেয়ে হাফিয়ে উঠেছি সবাই, কিন্তু থামা চলবে না। দুপুরের দিকে একটি বাড়ির বাইরে পুকুর ঘাটে এসে থামলাম। আম্মা ওখানেই ধপ করে বসে পড়লেন। বাড়ির মানুষ ছুটে এলো। আম্মার হাত ধরে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেল। আমরা প্রায় ২০/২৫ জন ছিলাম। সবাইকে পানি খেতে দিয়ে জানতে চাইল কোন দিকে মিলিটারি এসেছে। ঘণ্টা দুয়েক পর আমাদের ভাত খেতে দিল। আলু ভাজি, আর ডাল। গৃহকর্তা বারবার বলতে লাগল, “ আপনারা এত কষ্ট করে আমার বাড়ীতে এলেন, জীবনে আর কোন দিনও আসবেন না জানি, কিন্তু আপনাদের কোন সমাদর করতে পারলাম না”। মানুষ মানুষের জন্য-- কথাটা গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ গুলো যেনো শহরের মানুষদের সে সময় বুঝিয়ে দিয়েছিল।
খাওয়া দাওয়ার পর বড়দের সাথে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে ফেলে আসা গ্রামের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। কুয়াশার মত ধোঁয়ার কুণ্ডলি নজরে পড়ল। তখনও মানুষ ছুটে চলছিল অজানার উদ্দেশ্যে। বিকালের দিকে দু’একজন সাহসী যুবক গ্রামের পরিস্থিতি দেখে আসতে চেয়েছিল, কিন্তু কেউ তাদের কথায় সম্মত হয়নি। রাতটা ওখানেই গাদাগাদি করে বিছানা হল। মাটিতে শুয়ে কাটিয়ে দিলাম। খুব ভোরে দু’জন গ্রামে গিয়ে দেখে খবর নিয়ে এল, না,এখন মিলিটারি নেই, তবে কাল এসেছিল--গ্রামটা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। এটা শুনে বৃদ্ধা মায়ের জন্য ভদ্রলোক অস্থির হয়ে উঠলেন। সকাল সকাল আমরা গ্রামে ফিরে চললাম। গ্রামে ঢুকেই মনে হল পুরো গ্রামটা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই। খড়ের গাঁদা থেকে তখনো ধোঁয়া উড়ছিল। গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখা অগ্নিদগ্ধ মৃত গরু-ছাগলও নজরে পড়ল। খুব কষ্ট হচ্ছিল, কি দোষ করেছিল এই নিরিহ মানুষ, পশুগুলো? ছোট্ট মনে এই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল
মাকে জড়িয়ে ছেলের কান্না দেখে আমাদের কারো চোখই শুকনো ছিলনা।
এ বাড়িতেও মিলিটারি এসেছিল। এসেছিলো মানে, নিয়ে আসা হয়েছিলো। কয়েকজন রাজাকার মিলিটারিদের সাথে ছিলো। আর তারা ছিলো বাঙ্গালি(???) বৃদ্ধা বলেছেন, আমার ছেলেরা বিদেশে থাকে, আমি তোমাদের কথা কিছুই বুঝি না, তোমরা আমাকে মারতে চাইলে মারো। সাথের রাজাকারগুলো চিৎকার চেচামেচি করলেও ওরা কি বুঝেছিল কে জানে, ফিরে গিয়েছিলো। ঐ রাজাকারেরা যাওয়ার সময় গোয়াল ঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। গোয়ালে কিছুই ছিল না, সকালে রাখাল সব গরু নিয়ে মাঠে গিয়েছিল। তারপর কোথায় সব ছিটকে পড়েছিলো কে জানে। বৃদ্ধা আরও বললেন বিকেলের দিকে কয়েকজন লোককে চোখ, হাত বেধে কোমরে দড়ি দিয়ে ঐ রাজাকারেরা টানতে টানতে নদীর দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। এ কথা শুনে সবাই আতংকিত হয়ে পড়লো। পাকিস্তানি সৈন্যরা বর্বর, নিষ্ঠুর। কিন্তু তাদের দোসর ঐ বাঙ্গালিগুলো??? ২/১ দিন পর আব্বা বললেন, এবার কাজে যোগ না দিলে চাকুরি থাকবে না। কিছু দিন আগেই অফিস আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন হুমকি দেয়া হচ্ছে, যারা এখনো কাজে যোগ দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের রেখে আব্বা মৌলভীবাজার ফিরে যাতে চাইলেন। কিন্তু আম্মা বেঁকে বসলেন, উনার এক কথা- যা হবার তা হবে, এক সাথেই থাকব। অগত্যা কি করা- আমাদের নিয়েই ফিরে এলেন।
বাসায় ফেরার সময় দেখলাম শহরের বুকেও নতুন অনেক ক্ষত চিহ্ন। গলির মুখ থেকে ১০০ কদম পশ্চিম দিকে ছিল সোনালি ব্যাঙ্কের ট্রেজারি, এসে দেখলাম, বোমার আঘাতে ওটা বিদ্ধস্ত।ধংসস্তুপের ভিতর থেকে অনেকেই নাকি বস্তা ভরে অক্ষত টাকা আর ভাংতি পয়সা নিয়ে গিয়েছে। দেখলাম, মিছিরউল্লাহ মোক্তারের পরিবার ওখানেই আছেন। উনার স্ত্রী তো আম্মাকে রীতিমত ধমকই দিলেন, উনার স্বামী শান্তি কমিটিতে থাকতে আমরা কেনো এত দুশ্চিন্তা করছি, বাড়িওয়ালা হিসেবে ভাড়াটিয়ার প্রতি উনাদের কর্তব্য আছে না? আম্মা বললেন, আপা, এই যে আপনার বাসায় সবসময় মিলিটারি অফিসারেরা আসছে, খুকী ভার্সিটীতে, রানু, মেরীও তো এবার মেট্রিক দিবে, এটা কেমন দেখায় না? উনি উস্মার সঙ্গে বললেন, “ বাপীর আম্মা, আপনি এটা কি বললেন? আমার খুকীর কাছে তো অমুক মেজর বাংলা শিখছে”। তীব্র বিতৃষ্ণায় আম্মার মুখ কঠোর হয়ে গেল। উনি চুপ করে গেলেন।
কদিন পরেই নির্দেশ এল স্কুলে যেতে হবে। শুনে তো আমি মহা খুশী। কত দিন পরে বন্ধুদের সাথে দেখা হবে। স্কুলে যাওয়ার পথে কত যে ধংসস্তুপ দেখলাম। একসারি সোনার দোকান ছিল। ওখানকার দুটি মেয়ে আমার সাথে পড়ত, তাদের দোকান, বাসা কিছুই খুঁজে পেলাম না। পোড়া খুঁটিগুলো সেই বিভৎসতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্কুলে শিক্ষক, ছাত্রি দু’টোর সংখাও খুব কম। পড়াশুনার কোন বালাই নেই। আমাদের দিয়ে অনাগত অনুষ্ঠানের মহড়া করানো হচ্ছিল। কবে, কোথায় অনুষ্ঠান যানিনা। একটি ছড়া গান শিখানো হচ্ছিল, কিছু কিছু মনে আছে—
ইন্দি বিন্দি সিন্ধি খেলা করে,
গাছের আড়াল থেকে শুনিবারে,
একদিন নাঁকি সুরে গাইলো কে গান
তাই শুনে ইন্দি বিন্দির উড়ে গেলো প্রাণ......
এসব ছড়া গানের আগামাথা না বুঝলেও গাইতে হত। কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলের আকর্ষণ হারিয়ে ফেললাম।তবুও ঘর থেকে বেরুতে পারব, এই ভেবেই স্কুলে যেতাম।
আজ যখন সেই সময়ের স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছি, তখন একটি স্মৃতি খুব করে মনের জানালায় উঁকি দিচ্ছে। এ ঘটনা আমি কখনই বিস্মৃত হইনি। বিকেল হলেই আমি ছোট্ট ফুটফুটে পরীর মত বোনটিকে কোলে করে বাইরে যেতাম। গলির মোড়ে একদিন এক মাঝ-বয়সী মিলিটারি আমার সামনে এসে হাত বাড়ালো, আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি বোন তার কোলে। অনেক আদর করে আমার কোলে ফিরিয়ে দিল। ভয়ে আমি আম্মাকে কিছু বলিনি। পরদিন দেখি লোকটা দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখেই এগিয়ে এসে বোনকে কোলে নিল। আমাদের দু’জনের হাতেই লেবেঞ্চুস ধরিয়ে দিলো। এ ভাবেই কিছু দিন গেল। দু’বোনের লেবেঞ্চুস আমি একাই সাবাড় করে ঘরে ফিরি। একদিন বোনকে কোলে নিয়ে লোকটি অনেক আদর করে ফিরিয়ে দেয়ার সময় অনেক গুলো লেবেঞ্চুস, বিস্কিট আমার হাতে দিলো। চলে যাওয়ার সময় বারবার পিছু ফিরে তাকাচ্ছিল। আমার তখন কেনো যেনো মনে হচ্ছিল লোকটা কাবুলীওয়ালা, আর বোনটি মিনি।
কোলে বোন, আর হাত ভর্তি এসব জিনিস, ঘরে ফিরব কি করে? একবার মনে হলো ছুড়ে ফেলে দেই পুকুরে। কিন্তু প্রাণে ধরে তা পারলাম না। বাসায় ফিরে আম্মাকে বলতেই হল। আম্মা বললেন, “তোমার তো ভয় ডর বলতে কিছুই নেই জানি, কিন্তু তুমি কোন আক্কেলে ঐ জানোয়ারের কোলে বোনকে দিলে? যদি নিয়ে চলে যেত”? আমি বললাম, না আম্মা, ওটা তো ভালো মিলিটারি, কাবুলিওয়ালার মত। ঝাঁঝিয়ে উঠে আম্মা বললেন এই বয়সে গুচ্ছের বই গিলে বসে আছ, কিন্তু ঘটে তো বুদ্ধির ছিটেফোঁটাও নেই।পরবর্তিতে ব্ল্যাকলিষ্টে থাকা আমার আব্বাকেও এই রকম এক মিলিটারি বাঁচিয়ে দিয়েছিল। পরে তার কথাও উল্লেখ করব। এই দু’জন পাকসেনার কথা আমাদের সবসময় মনে হয়েছে, আজও হয়।
স্মৃতি ১৯৭১ (৩)
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১১
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ নীলু।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২০
সজল শর্মা বলেছেন: আপনি আসলেই খুব সাহসী আর দুষ্ট ছিলেন।
এই বয়সে গুচ্ছের বই গিলে বসে আছ, কিন্তু ঘটে তো বুদ্ধির ছিটেফোঁটাও নেই।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৩
সুরঞ্জনা বলেছেন:
সাহস থাকা ভালো। আর ছোটবেলায় যারা দুষ্টু থাকে বড় বেলায় তারা বরফের মত শান্ত হয়ে যায়।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫১
গানচিল বলেছেন: শেষ করলাম,,,এবং দারুন লাগছে........ ৪নং পর্ব কবে আসছে?
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ গানচিল। এটা চার পর্ব। ৫ পর্ব তৈরী আছে, এটা পড়া হলেই দিবো।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:০৬
পাখা বলেছেন: হাত ভর্তি এসব জিনিস, ঘরে ফিরব কি করে? একবার মনে হলো ছুড়ে ফেলে দেই পুকুরে। কিন্তু প্রাণে ধরে তা পারলাম না।
মজা পাইলাম..
সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লিখার মধ্য..
+++
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ পাখা। আপনি সঠিক জায়গাতেই ধরেছেন।
হাত ভর্তি ঐসব লোভনীয় খাবার কি প্রানে ধরে কোন পাষান ফেলতে পারে?
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৭
শুভ্রতা বলেছেন: valo laglo. ++++++++++
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুভ্রতা।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
গানচিল বলেছেন: এপিসোড গুলো আরেকটু শর্ট হলে বোধ হয় ভাল হয়।ঘটনা যেভাবে আগাচ্ছে তাতে বোধ আরও অনেক লিখতে হবে। তাই লিখার ফর্মাটা একটু ছোট হলে কনসেনট্রেট করা যাবে ভাল করে।
অ,ট,........পর্ব ২ এ কিছু গান রেখেছি। দেখেছেন?
১৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ গানচিল। আর ছোট করলে এপিসোড বেশী হয়ে যাবে। হয়তো আর ২টাতেই শেষ হয়ে যাবে।
দেখেছি। কমেন্ট করবো।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:০৮
anisa বলেছেন: সুরঞ্জনা তোমার লেখা পরে ছোটবেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমার বড়দের মুখে কত শোনা যেন ।
আজ যেন তুমি সেদিনের চিত্র তুলে ধরলে ।
হয়ত ওই সৈনিকটির একটি বাচ্চা আছে তোমার ছত বোনের মতন...।
স্নেহের বন্ধন রক্তের বন্ধন বড়ই কঠিন !
খুব সুন্দর তোমার লেখাটা.............
রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আনিসা। যুদ্ধ মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়। পশুদের সাথে কিছু ভালো মানুষের পতন হয়।
৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২২
শোশমিতা বলেছেন: ঝাঁঝিয়ে উঠে আম্মা বললেন এই বয়সে গুচ্ছের বই গিলে বসে আছ, কিন্তু ঘটে তো বুদ্ধির ছিটেফোঁটাও নেই
স্মৃতি ১৯৭১ ,এক সাথে ৪ পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে চোখে সামনে সব দেখতে পাচ্ছি.....
অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপু
অনেক ভালো লাগলো !!
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শোশমিতা এতো ধর্য্য নিয়ে সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য।
অনেক ভালো থেকো।
৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫
গানচিল বলেছেন: দিদি , "আমি ঝড়কে সাক্ষি...... জেতা বাজি হেরেছি" নয়....ওটা হবে
"আমি ফুলকে যেদিন ধরে বেধে
আমার সাজি ভরেছি
আমি সেদিন থেকে জেতা বাজী হেরেছি
আমি ঝড়কে যেদিন কেঁদে সেধে
আমার মাঝি করেছি
আমি সেদিন থেকে জেতা বাজী হেরেছি"
হ্যা! আছে । একসময় আপলোড করে জানাব। তবে আপাততঃ ইউটিউব থেকে শুনে নিন।
http://www.youtube.com/watch?v=
এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। জটিলেশ্বর মুখার্জীর কথা ও সুরে এই গানটা মূল শিল্পী কিন্তু পিন্টু ভট্টাচার্য্য। অজয় চক্রবর্তী অনেক পরে এটা গেয়েছেন।
http://www.youtube.com/watch?v=
আর "বাবুল মোরা নাইহার ছোটোহি যা্য়".....ভৈরবী ধুনটা অনেকেই গেয়েছেন........জগজিৎ/চিত্রা....জগজিত একক ভাবে অনুপ জালোটা...প্রমুখ। হ্যা! ওটা মূলতঃ কে,এল সায়গলেরই। ওটা আছে আমার কাছে। লাগবে?
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ গানচিল। গানটা আমার ভাইয়া ভিষন ভাবে খুঁজছিলেন। উনাকে দিবো। খুব খুশী হবেন।
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭
গানচিল বলেছেন: মানে সায়গলের কন্ঠে,,,,,, "বাবুল মোরা........... লাগবে?
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ গানচিল। গানটি আমার কাছে আছে। ভালো গান ডাউনলোড করার জন্য আমি কতো সাইট যে ঢু মেরে বেড়াই।
গান নিয়ে পরে আলাপ করবো।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: এত সুন্দর করে লিখছো সুরন্জনা... একটা বই বের করো।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুন।
কি যে বলো না! আমার লেখা বই?
১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: বুবু, আপনি যখন পাকিস্তানী মিলিটারীদের হাতের ল্যাবেঞ্চুশ খাচ্ছিলেন-তখন আপনার এই ভাইটি পাকিস্তানী আর এক দল মিলিটারীর হাতে চড় থাপ্পড় খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেছিল।একটু ঘটনার বয়ান করিঃ-
নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর মেহেদী আলী ইমাম(বীর উত্তম) আর ক্যাপ্টেন শাজাহান ওমর(বীর উত্তম)'র নেতৃত্বে বৃহত্তর বরিশাল জেলায় বিভিন্ন যায়গায় পাকিস্তানীদের ওপর গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।নয় নম্বর সেক্টরের সেক্টর হেড কোয়াটার তখন বামনা থানাধীন(বর্তমান বরগুনা জেলাধীন)বুকাবুনিয়া, সিংড়াবুনিয়া এলাকার অজপাড়াগায়ের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে।ভারত থেকে আর্মস এমুনেশন সুন্দরবন এলাকা হয়ে চলে আসে ঐখানে। ওখান থেকেই বৃহত্তর বরিশাল জেলার সকল মুক্তি যোদ্ধাদের হাতে অস্র পৌঁছে দেয়া হতো। ২/১ জন মুল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমারমতো ১১/১২ বছরের শিশুরাই এই কাজটি করতো। তেমন এক অবস্থায় আমিও যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা দুই শিশু দুই জন মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে অস্র পৌঁছে দিতে যাচ্ছি বাকেরগঞ্জ জেলার 'চামটা-নেয়ামতি' নামক এলাকার মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার আঃ হক সাহেবের কাছে। আমাদের চলার পথ ছোট্ট ডিংগী নৌকায় প্রতিদিন রাতের আঁধারে অথবা লোক চক্ষুর আড়ালে কখনো ছোট ছোট খাল, নদী, ধানক্ষেতের ভিতর দিয়ে। দিনের বেলা দুই মুক্তি যোদ্ধা(একজন আর্মীর সিপাহি খলিলুর রহমান আর একজন ইপিআর সেনা,নাম মনে নেই)পানিতে নেমে নৌকা ঠেলে নিয়ে যায়। আমরা দুই শিশুর একজন নৌকার মাঝিদেরমতো বৈঠা হাতে নৌকা চালানোর ভান করে থাকি। নৌকার পাটাতনের নীচেই রাইফেল, এস এল আর, গ্রেনেড ইত্যাদি। চলতে চলতে কিছুদুর গিয়ে নৌকা রাখা হয় নির্জনে। তখন মুক্তিযোদ্ধা দুইজন যখন যেমন সুবিধামতো কখনো মাছ ধরার কিম্বা কৃষকের মতো থাকে। ঐ সময় আমার সাথের শিশুটির কাজ আস্তে আস্তে নৌকা চালানো এবং ঐ ছেলেটিই আমাদের পথ চলার মুল গাইড। আমার সম বয়সী ঐ শিশুটি ঐ এলাকার পরিচিত এবং নৌকা চালাতেও সক্ষম। তখন আমার কাজ হেটে হেটে এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাক সেনা/ রাজাকারের অবস্থান জেনে এসে দুই মুক্তি যোদ্ধাদের জানানো। কেউ আমার পরিচয় জানতে চাইলেই উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে "বাড়ি ফেরার"! আবার পথ চলা। খাওয়া দাওয়া দিনে একবার চিড়া মুড়ি আর পাকা আইট্টা কলা। কখনো পথের কোনো হাটের ভাংগা হোটেল থেকে ভাত কিনে খাওয়া।
এমনি করে করেই আমরা তিন দিনে চলে আসি নেয়ামতি নামক এলাকায়। আমাদের গন্তব্য 'চামটা-নেয়ামতি' খুব দূরে নয়। তবে সামনেই একটি "জল থানা" আছে-যা পার হয়ে যাওয়া বিপদ জনক! আমি যখন "জল থানা" সম্পর্কে ইনফর্মেশন নিতে যাই তখন আমাকে রাজাকার ধরে নিয়ে যায় 'চামটা-নেয়ামতিস্থ্য "জল থানায়"। আমি পুর্বের শিখিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত মত জানাই-"আমি মোকামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র"। মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসেছি বরিশাল 'মামুগো' বাড়ি যাবার জন্য, বরিশাল গিয়া ছিনেমা দেখেই আবার মাদ্রাসায় ফিরে যাবো"। ছেলে বেলায়ই আমি খুব ভালো কোরআন তেলোয়াত করতে পারি, পাকিস্তানী সেনা অফিসারকে কোরআনের আমপাড়া মুখস্থ পড়ে শোনাই। তারপরেও এক মিলিটারী আমাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে কিছুক্ষণ 'নীলডাউন' করে রাখে -মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে পালাবার অপরাধে! তারপর ডেকে নিয়ে ওদের পিঠ, হাত-পা টেপায়(ম্যাসাজ করায়)। আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ওরা যতই মারুক মুক্তি যোদ্ধাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেবোনা। বিকেল বেলা আমাকে ছেড়ে দেয়। আ্মি নির্দিস্ট যায়গায় ফিরে এসে দেখি নৌকা নেই। একটি খাল থেকে ভেজা অবস্থায় আমার সাথে অন্য শিশুটি আমার দিকে চলে আসে। আমি ধরা পরেছি ওরা বুঝেই নৌকা সরিয়ে অন্যত্র চলে যায় ছেলেটিকে রেখে।আমার সাথে কেউ নেই নিশ্চিত হয়েই আমাকে নিয়ে ফিরে আসে নৌকায়।বুঝতে পারি- ছেলেটি আমার থেকেও শক্ত মনের এবং ট্রেন্ড! রাতেই আমরা যথাস্থানে অস্র সরবরাহ করেছিলাম।
মেজর মেহেদী আলী ইমাম(বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন(পরে মেজর এবং রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর(বীর উত্তম) আমাকে পছন্দ করেছিলেন, বিশ্বাস আর আস্থা রেখেছিলেন-'এই ছেলেটিই তাঁদের ভালো ইনফর্মার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হবে'! আমি তাঁদের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছিলাম ১৯৭১ সনের মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত-স্পেশালী শাজাহান ওমরের খুব কাছাকাছি থেকে সরাসরি উনার সিদ্ধান্তে। নভেম্বরের শেষ দিকে আমি ঢাকা চলে এসেছিলাম কয়েকজন মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের সাথে।
( মুক্তি যুদ্ধ সম্পর্কে আমার এই বয়ানটুকু প্রচার নয়-শুধু প্রসংগত বলা।তারপরেও যদি কারো মনে হয়-আমি নিজেকে প্রচারের জন্যই এই কথাগুলো প্রকাশ করেছি-তাহলে বুক ফুলিয়ে বলবো-মুক্তি যুদ্ধে আমার পরিবারের অনেকের মতই আমারও সামান্য অবদান আছে...)
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: বলবেন না কেনো? অবশ্যই বলবেন। মুক্তিযুদ্ধে যা দেখেছি, যার যতটুকু অবদান (মুক্তিযুদ্ধের কোনো অবদানই খাটো নয়) অবশ্যই এ প্রজন্মের জানার অধিকার। আপনাকে বার বার বলছি লিখুন। এ প্রজন্মকে বঞ্চিত করার কোনো অধিকার আপনার নেই।
ওদের অধিকার, দাবী আছে আপনার কাছে, আমার কাছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের সবার কাছে। আপনি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যকারী ছিলেন এটা অনেক গর্বের কথা। ইসস! আমিও যদি এমন কিছু করতে পারতাম।
আমি তখন পাক আর্মির দেয়া লেবেঞ্চুস গিলছি।
১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৩
সায়েম মুন বলেছেন: আপনার যুদ্ধ সময়কার স্মৃতিগুলো জ্যান্ত হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠলো যেন। বেশ কিছুক্ষণ অন্য জগতে ছিলাম। চোখের কোনে পানি চলে এসেছে সত্যি সত্যি। পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা আপু।।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে আছ জেনে খুব ভালো লাগছে মুন।
সাথে থেকো। শুভ কামনা।
১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৫
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: স্মৃতিকথা ভাল লাগল আপু। রোমাঞ্চিত।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা শূণ্য উপত্যকা।
১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:১২
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: মনে হচ্ছো যেন সব কিছুই আমার সামনেই হচ্ছে।
সামনের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়.....................................
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩১
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে আছ জেনে ভালো লাগলো বৃষ্টি ভেজা সকাল।
১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩২
বড় বিলাই বলেছেন: ঐটুক থাকতেই এত বই পড়ে ফেলেছিলেন, আবার সেটা বাস্তব জীবনেও মেলানো শুরু করে দিয়েছেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: ৫ বছর বয়স থেকে বানান করে পড়া শুরু। প্রথম বইটি ছিলো অনুবাদ। কার লেখা মনে নেই। তবে নামটি মনে আছে। "হাড় কিপটে বুড়ি"। তারপর থেকে তো চলছেই।
বই ছাড়া আমার চলেই না...
১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:০৮
সোমহেপি বলেছেন: আমি কুসতা কইতাম নাই।৭১ লইয়া কুসতা কইতে বালা পাই না।
তয় তোমার লেখাডা বালা পাইলাম।
চালায় যাও।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: কুছতা না খইয়া লগে থাকিয়ো। বুজছোনি?
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:৫৯
করবি বলেছেন: তোমাদের সেই কষ্টের দিন গুলো আজ আমাদের গৌরব গাঁথা।
শেষের অংশটুকু পড়ে কিছুটা হাসলামও।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: জীবনে শুধুই কি কষ্ট থাকে? আনন্দ, হাসি কান্না মিলিয়েই তো জীবন।
আম্মা বেঁচে থাকলে আমার বাঁদরামীর অসংখ্য কাহিনী মনে করিয়ে দিতেন।
যা কিনা আমার কাছে মোটেই বাঁদরামী মনে হয়নি।
১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১১
আরিয়ানা বলেছেন: চখে পানি চলে আসে বার বার। ভাল লাগলো।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪১
সুরঞ্জনা বলেছেন: ভালো থেকো আরিয়ানা। অনেক অনেক শুভ কামনা।
২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
চেম্বার জজ বলেছেন: আপু, এমন দরদী লেখা! পড়েই অনুভব করি-সেই দুঃসহ সময়ের অবস্থা। আপনি লিখুন-এইসব অরাজনৈতিক সৃতিকথাতেই প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।
@ জুলভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে শরির শিউরে ওঠে। প্লীজ আপনিও লিখুন মুক্তি যুদ্ধে একজন শিশুর সৃতি কথা।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ চেম্বার জজ।
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:০৬
বীনা বলেছেন: ................ চলতে থাকুক.......... সবগুলো লেখা হলে একসাথে পড়ে কথা বলবো................... ভাল থাকবেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: তুমিও অনেক ভালো থেকো বীনা।
২২| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৫
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আগে আমি আপনাকে ভাবতাম বাচ্ছা মেয়ে হি হি হি হি
সিরিজ লেখার পর বুঝতে পারছি আপনি বড় আপু
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
সুরঞ্জনা বলেছেন:
বাচ্চা মেয়ে কেন মনে হয়েছিলো? আমি তো কোন কবিতা লিখিনি।
এখন বুঝলে? আমি তো নানী। আমার পুরনো পোস্ট ঘাটলেই আমার বিচ্ছু বাহিনীর দেখা পাবে।
২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সারথী মন বলেছেন: আপু লিখেযান-সাথে আছি, সাথে থাকবো।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১০
সুরঞ্জনা বলেছেন: আপনাদের মত ব্লগারদের অনুপ্রেরনাতেই তো লিখে যাচ্ছি সারথি মন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৩
আন্না০০৭ বলেছেন: আপনি কত ভাগ্যবতী তাই না আপু কত জনের ভাগ্য হয় মাতৃভূমির স্বাধিকারের জন্নে লড়াইয়ের মুহূর্ত গুলো নিজের চোখে দেখার??
লেখা গুলো পড়তে পড়তে বার বার শিহরিত হই
অনেক ভাল থাকুন আর আমাদের জন্নে লিখতে থাকুন
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:০৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: স্বাধীনতা দেখেছি সেটা আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বুঝতে পারছিনা আন্না। স্বাধীনতা-বিরোধী পক্ষ আজও এ মাটির বুকে বুক ফুলিয়ে চলছে এও দেখতে হচ্ছে। যারা স্বাধীন দেশটির জন্ম দিয়েছিলো, তারা কিন্তু নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন নি। আর আজ সেই স্বাধীন দেশটিকে নিয়ে কেমন লুটপাট স্বার্থের খেলা চলছে, এও দেখতে হচ্ছে।
ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থেকো।
২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৬
ফাইরুজ বলেছেন: আপু আগের পর্বগুলোর মত এই পর্বটাও মন ছুঁয়ে গেল
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১০
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে আছ... অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাইরুজ।
২৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন: আপু মন্জু ভাইয়ার মত এইবার তুমিও একটা বই বের করে ফেলো এই স্মৃতিগুলি নিয়ে।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ওরে...... আমায় কেউ ধর...
কোথায় মঞ্জু ভাই আর কোথায় আমি?
কোথায় আগরতলা আর কোথায় চোকির তলা।
২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৬
ফাহিম আহমদ বলেছেন: আপু কেউ ধরা লাগবেনা সায়মা আপ্পি ঠিক-ই বলেছেন। তাই উনার সুরে আমিও সুর মিলিয়ে বলছি আপনি এই স্মৃতি গুলো দিয়ে অনায়াসে একটি বই প্রকাশ করতে পারেন। এতে অব্বাক হওয়া কিচ্চু নাই
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪০
সুরঞ্জনা বলেছেন: শায়মা হলো সানাই, তুমিও তার পোঁওওওওওও হলে?
আমি কই যাই?
২৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৭
পুরাতন বলেছেন: খুবই ভাল্লাগতেছে... আপনে তো খুপ খারাফ, ছুটো বইনের লেবেঞ্চুষ সাবার করতেন
১৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ছুটো বইন খাইলে তো ধরা পইরা যাইতাম। ছুটূ মানু খাইতে গেলে কাপড় চুপড় ভরাইয়া ফালাইতো না?
২৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আমি বললাম, না আম্মা, ওটা তো ভালো মিলিটারি, কাবুলিওয়ালার মত। ঝাঁঝিয়ে উঠে আম্মা বললেন এই বয়সে গুচ্ছের বই গিলে বসে আছ, কিন্তু ঘটে তো বুদ্ধির ছিটেফোঁটাও নেই।
মায়াবী তোমাকে দেখতে পেলাম লেখার পরতে পরতে।
অনেক শুভকামনা রইলো আপু
১৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৩
সুরঞ্জনা বলেছেন:
অনেক অনেক ভালবাসা আমার শিউলি সাজিমনি।
৩০| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:২৯
মহলদার বলেছেন: ব্লগে এখন তেমন সময় দিই না, মাঝে মাঝে একটু ঢু মারি। অনেক ভাল লেখা যে মিস করি সেটাও বুঝতে পারি। সময় করে আপনার লেখা গুলো পড়ব।
এখন আমরা ঐ সময়ের অভিজ্ঞতা যতই পড়ি ও উপলব্ধির চেষ্টা করি না কেন, বুঝতে পারব না কত কঠিন ছিল সেই সময় গুলো। আমার মনে হয় শুধু ভুক্তভোগীর পক্ষেই উপলব্ধি সম্ভব।
ভাল থাকবেন আপু।
১৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি কিইবা লিখতে পারি মহলদার। শুধুই স্মৃতি নিয়ে নাড়াচাড়া করি।
এখন যারা ঐসব দিনের কথা পড়ে শিউরে উঠেন, তারা কিভাবে বুঝবেন সেসব দিনের ভয়াবহতা। ঠিক কথা বলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৫
আন্না০০৭ বলেছেন: স্বাধিকারের আন্দোলনের মুহূর্ত গুলো দেখাটা অনেক বেশী সৌভাগ্য এর আপু আপনি সঠিক সত্য টা জানেন আমাদের মত বার বার নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে আপনাকে মিথ্যা ইতিহাস জানতে হয় নি আপনি ৭১ এর দালাল দের যেভাবে ঘৃণা করতে পারেন আমরা শত চেষ্টা করেও ঠিক ততটুকুন ঘৃণা করতে পারি নাহ ৭১ যারা দেখেছে আমি সব সময় তাদের মধ্যে একটা অহংকার দেখেছি এই অহংকার করার সৌভাগ্য আমরা নতুন প্রজন্ম পাই নি
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: আন্না, আমি কিন্তু বিপরিত চিত্রটিই বেশী দেখছি। ৭১ দেখেনি, বা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসটুকুও জানেনা কিন্তু রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে লড়াই করে। তাদের দাপটে আমরা মুখ খুলতে পারিনা।
সেদিন পত্রিকায় ডাঃ শফীর স্ত্রীর একটি লেখা পড়লাম। উনার স্বামী, ভাইকে পাক-আর্মি ধরে নিয়ে যায়। কারন উনারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করছিলেন। উনাকেই ধরে নেয়। তবে গাড়িতে উঠানোর সময় উনার বাচ্চাদের কান্নায় ছেড়ে দেয়।
উনি এক কাপড়ে সাতটি সন্তান নিয়ে রাতের অন্ধকারে আত্মিয়দের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। ভয়ে কেউ আশ্রয় দেয়নি। পায়ে হেটে উনি ভারতে আশ্রয় নেন, এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেন। স্বাধীনতার পর উনাকে একটি ফর্ম ফিল-আপ করতে দেয়া হয়, যেটা করলে উনি যে মুক্তিযোদ্ধা তা স্বিকৃত হবে। উনার স্বামী শহীদ বলে স্বিকৃত হবে। উনি তা ছিড়ে ফেলে দেন। কোন তালিকায় উনাদের নাম নেই। কোন স্বীকৃতি নেই।
শেখ মুজিবর রহমানকে উনি বলেছিলেন, " বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধার তালিকা না করে রাজাকারদের তালিকা করুন"। উনার নামঃ বেগম মুশতারী শফি।
আর কি বলবো বলো?
৩২| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১৪
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আপু মন্জু ভাইয়ার মত এইবার তুমিও একটা বই বের করে ফেলো এই স্মৃতিগুলি নিয়ে।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১২
লেখক বলেছেন: ওরে...... আমায় কেউ ধর...
হাসতে হাসতে শেষ
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমারে না ধইরাই হাসতাছ?
৩৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:১০
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: সরি...................................................... ্আপু আর হাসবোনাতো , মাপ দেন
১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
সুরঞ্জনা বলেছেন: আর তাহলে শায়মা দুষ্টু সানাইএর পোঁওওও হোয়োনা। কেমন?
৩৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৫
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: সঙ্গে আছি আপা।
১৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪১
সুরঞ্জনা বলেছেন: আজ, এই মুহুর্তে তোমার মন্তব্য দেখার আগেই ভাবছিলাম, তোমায় বকা দিতে হবে।
কাল দেখেছি ঘুরে গিয়েছ। যাক!!! বকা দেয়ার আগেই ভাইটি ঠিকই উপস্থিতি জানিয়ে দিয়েছে। অবশ্য বকা আমি দিতেও পারিনা।
৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩
রিতা ইসলাম বলেছেন: আমি যুদ্ধ দেখিনি। আপনার লেখায় যুদ্ধের সময়কার অবস্হা দেখছি। সব গুলোই পড়েছি।খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন ঐ সময়ের অবস্থাকে। প্রিয়তে নিলাম।
১৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম রিতা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৮
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: শায়মাপুরে নিয়া কিচ্ছু কইয়েন্না।
আমার নতুন দেখতে এলেননাযে??
১৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:০৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: ঐ পাঁজি দুষ্টু শায়মার নামে কেডা কয়?
দাঁড়াও। দেখছি।
৩৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১৯
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: উপস্থিত
১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৮
সুরঞ্জনা বলেছেন: আফনারে এক বস্তা ধইন্যা।
৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:২০
সরল মানুষ বলেছেন: porechi...
valo laglo...apu
ager porbo golo mone hoy miss korechi... ..
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সরল মানুষ।
সময় পেলে পড়ে নিও। কেমন?
৩৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩০
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: তাইলে এটা কি কইছিলেন?? লেখক বলেছেন: আর তাহলে শায়মা দুষ্টু সানাইএর পোঁওওও হোয়োনা। কেমন?
আমি দুষ্টু পোলা না,
আমি ভাল শেলে
আবার আসলাম বড় বুবু নতুন কিছ আসছে কিন দেখতে।
সরি.......... দুষ্টুমীর জন্য।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি জানি তো তুমি অনেক অনেক ভালো শেলে।
আজই দিবো নতুন পর্ব।
৪০| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৩
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: কিছ "কিছু" হবে
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
সুরঞ্জনা বলেছেন:
৪১| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:০৪
নাআমি বলেছেন: স্কুলে যাওয়ার পথে কত যে ধংসস্তুপ দেখলাম। একসারি সোনার দোকান ছিল। ওখানকার দুটি মেয়ে আমার সাথে পড়ত, তাদের দোকান, বাসা কিছুই খুঁজে পেলাম না। পোড়া খুঁটিগুলো সেই বিভৎসতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
পড়তে পড়তে চলে গেলাম সেই ছেলেবেলায় !! কত কিছু জানতামনা, খুব ভাল লাগছে আপনার এই লেখা আপুনি..........বই এর অপেক্ষায় রইলাম.......।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নাআমি।
সেই পোড়া খুঁটিগুলোর মতো নিজেদেরও পোড়া সাক্ষী মনে হয় আজকাল।
৪২| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৫৭
শিপু ভাই বলেছেন: আপ্নারা আবার আগের বাড়িতে ফিরে এলেন কেন সেটা বুঝলামনা।
মিছিরউল্লাহ মোক্তারের বাড়িতে।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: গ্রামে অন্যের বাড়িতে ক'দিন থাকা যায় শিপু ভাই?
ঐ যে বললাম, আব্বাকে অফিস করতে হবে, তাই বাসায় তো ফিরতেই হবে।
মিছিরউল্লাহ মোক্তার আমাদের বাড়িওয়ালা ছিলেন।
৪৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:২৫
চর্যা পদ বলেছেন: আপনার এই লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগছে ।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৫০
সুরঞ্জনা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ চর্যা পদ।
৪৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৪
দীপান্বিতা বলেছেন: আবার পড়লাম...খুব ভাল লাগল...
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ দীপামনি।
৪৫| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:৫৯
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
দিদি,
ঐ সময়টা ছিল বাংগালীদের একাত্বতার। রাজাকার কুলংগাররা বাদে সবাই একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভাষমান মানুষদেরকে অপরিচিত গ্রামবাস দিনের পর দিন , বাড়ীতে থাকার জায়গা করে দিয়েছে। চেষ্টা করেছে তাদের সবটুকু সামর্থ দিয়ে আপ্যায়ন করতে।
৭১ এ এমনি কত অপরিচিত লোকজনদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি, তার হিসেব নেই। ২৭ এপ্রিল থেকে ৩ মাস পর্যন্ত বাড়ী থেকে বাইরে ছিলাম। আ্ত্নীয় , অনাত্নীয়দের কাছে।
খুব ভালো লাগছে আপনার এই নিজের কথা শুনে।
২১ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
সুরঞ্জনা বলেছেন: সত্যি জিসান। সেই দিনগুলোতে দল মত, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একই সারিতে দাড়িয়েছিলো। ফুটে উঠেছিলো মানবতার ফুল। ফুলের মাঝেও কীট থাকে, তেমনি জঘন্য নোংরা কীট হলো রাজাকারের দল। আমরাও নোয়ারাই ছাড়াও আরও দুটি গ্রামে গিয়েছিলাম। নাম মনে নেই। অবশ্য বেশীদিন থাকিনি।
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৪৬| ২১ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: সেই সময়ের ঘটনা গুলো তোমার প্রাঞ্জল বর্ণনায় চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠছে আপু। এভাবে তোমাদের চোখে আমাদের দেখে নেয়া উচিত, বাঙ্গালীর সংগ্রামের সময় গুলোকে.....
২১ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
সুরঞ্জনা বলেছেন: সুন্দর অনুপ্রেরনামুলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রেজুমনি।
৪৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আমার প্রথম মন্তব্যে উল্লেখ করেছিলাম-"নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর মেহেদী আলী ইমাম(বীর উত্তম)"-এখানে আমার একটু তথ্যগত ভুল হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে হবে-নয় নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর মেহেদী আলী ইমাম(বীর বিক্রম)
২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৩০
সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৪৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫০
মরুর পাখি বলেছেন: আপু আপনার বয়স তখন কত ছিল?
আপনার সাবলিল লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম--- পরের পর্বে যাই------
২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:২৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি তখন ১০ বছরের বালিকা ছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ মরুর পাখি।
৪৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৮
মহাবিশ্ব বলেছেন: দিদিভাই, আপনার লেখা বাক্যবন্ধ চোখের পানি বেঁধে রাখতে পারে না। অসম্ভব খারাপ কিছু মুহুর্তে নিমজ্জিত হলাম।
২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৫
সুরঞ্জনা বলেছেন:
৫০| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:০৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বেশ হচ্ছে । তাইতো একদিনেই পুরোটা পড়ে নিচ্ছি ।
৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: আমিও মাঝে মাঝে এক একজনের ব্লগে গিয়ে শুধু তার লেখাই পড়ি।
যখন এমন করি, তখন আমি সে দিনটির নাম দেই সেই ব্লগারের নামে...
এমনি করে আমি অপ্সরা, দীপান্বিতা, শ্রাবনসন্ধ্যা, আরিয়ানা, ভাঙ্গন, সাজি, আরও অনেক দিবস পালন করেছি।
৫১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: একদিন তবে তানিম দিবস পালন করুন । আমার ওয়ালে আপাতত একটা কবিতা আছে যার নাম মিশ্র প্রাণের সুর । ওটার মাঝেই অনেক কিছু লুকিয়ে আছে । শুধু খুজে নিতে হবে ।
ভাল থাকবেন আন্টি ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: অবশ্যই সময় করে তানিম দিবসও পালন করবো।
৫২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৪৭
ত্রিশোনকু বলেছেন: প্রথম দিনই আব্বাকে বললেন, “এত দিন আমার ছয় ছেলে ছিলো, এখন থেকে আমার সাত ছেলে, তুমি আমার ছেলে, এটা তোমার নিজের বাড়ি”। শহুরে মানুষ --সকালে ভাত খেতে পারেনা মনে করে উনার নির্দেশে আমাদের রুটি, পরোটা দেয়া হত। আব্বা আম্মার শত বারন উনি কানে নেন নি।
-বাৎসল্য!
আমি বললাম, না আম্মা, ওটা তো ভালো মিলিটারি, কাবুলিওয়ালার মত। ঝাঁঝিয়ে উঠে আম্মা বললেন এই বয়সে গুচ্ছের বই গিলে বসে আছ, কিন্তু ঘটে তো বুদ্ধির ছিটেফোঁটাও নেই
- গল্পের বইয়ের দৃশ্য আর বাস্তবকে আমি একাধিকবার মিশিয়েছি। বোঝা যাচ্ছে বই পড়তেন খুব। মোহন ও অনুসুয়া, স্বপন কুমা্রের চার আনা সিরিজ, Of Human Bondage, Moon and Six Pence, কড়ি দিয়ে কিনলাম, ধ্বংস পাহাড়......
০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২০
সুরঞ্জনা বলেছেন: বই পরতেন নয় ত্রিশোনকু, এখনও পড়ি। পড়ি বললে ভুল হবে গোগ্রাসে গিলি। আমাকে এখন কেউ ঈদ পার্বনে কাপড় কিনার জন্য টাকা দেয়না। অতিতের অভিজ্ঞতায় সবাই বুঝে গেছে ঐ টাকা বইএর পিছনে খরচ হবে।
আমার বালিশের পাশে কয়েকটা বই থাকবেই। বই না হলে আমি বোধহয় বাঁচবোনা।
সবসময় আল্লাহের কাছে প্রার্থনা করি উনি যেন মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত আমার দৃষ্টি-শক্তি সচল রাখেন। আর আমার একটা দোষ। আমি যখন যে বইতে ডুবে যাই, সেটার ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক সময় লাগে।
প্রথম হাতে খড়ি ইউসিস লাইব্রেরীর অনুবাদ দিয়ে। মোহন ও অনুসুয়া, স্বপন কুমার, কালোভ্রমর, দস্যু বনহুর, কুয়াশা, পরে মাসুদরানা। কড়ি দিয়ে কিনলাম, বিভুতিভূষনের পঁথের পাঁচালি সমগ্র, আশাপূর্ণা দেবী থেকে শুরু করে আমার পছন্দের তালিকা ভি-ষ-ন লম্বা।
ভাবছি বই নিয়ে একটি পোস্ট দিবো।
৫৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৩
ত্রিশোনকু বলেছেন: আমি এই ব্লগে আরেক জনের পোষ্টে আমার পছন্দের বইয়ের একটা দীর্ঘ তালিকা দিয়েছিলাম। তালিকাটি দরকার। কি করে খুঁজি বলতে পারেন কি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: মনে হচ্ছে চোখে সামনে সব দেখতে পাচ্ছি.....