নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার নিজস্ব কিছু মন খারাপের গল্প থাকে :( আবার সময়ে মন খারাপের গল্পের ভুমিকা বদলায়, গল্প বদলায় কিন্তু মন খারাপের গল্প না থাকলেও কেমন যেনো অপূর্ন ভাব থেকে যায়, তাই আমি চাই মন খারাপের গল্প লিখে যেতে :) সময়ে-অসময়ে :( শেষ কবে কেঁদেছি সে কথা মনে থাকলেও শে

তাই-ফি

আমি বাংলাদেশের একজন দালাল বলছি !!

তাই-ফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতে ওঠা হইলো না আমার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৬

জাতে ওঠার শখ নিয়া বিলাত যাত্রা করেছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম এইবার জাতে উঠব,সাথে পাতেও উঠবো! এইবার পাবলিক আমাকে দেখে বলবে দেখ বিলাত ফেরত পোলা। স্বপ্ন নিয়া বিলাত যাত্রা ই...ই হোল কিন্তু শুধু জাতে উঠাটাই আর হোল না।
বিলাত যাওর পরে আমার বাড়িতে এক ভদ্র পোলা উঠল। প্রথমে তাকে দেখে মনে হল শালা একি বিলাত আসলাম নাকি নাইজেরিয়া আসলাম? শঙ্কিত মনে দিন পার করতে থাকলাম। কিছুদিনের মাঝে তার সঙ্গীত রসের সাথে পরিচিত হলাম। তিনি আমাকে বঙ্গদেশের মহাগায়েন শরিফুদ্দিন সাবের সাথে পরিচয় করায়া দিলেন । আমিও অবাক মনে শুনতে লাগলাম “বুরকা পড়া মেয়ে পাগল করেছে”, “বড় ভাইয়ের শালী”, “বিলাতী লাল চকলেট” ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি প্রতিদিন সকালে উঠে এই ধরনের উচ্চমার্গীয় সং-গীতের সাথে পরিচিত হবার জন্যে উক্ত ভদ্র পোলা ও গাইবার জন্য শরিফুদ্দিন সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক নত করতে শুরু করলাম।
মনোযোগী ছাত্রের মত প্রতিদিন শরিফুদ্দিনের গান শুনবার অভ্যাস করলাম। মনে মনে খুশী হলাম আমার জাতে উঠবার পথ বুঝি সুগম হল। কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর উক্ত ভদ্রলোক বার্গার কিং নামক একটি উচ্চশ্রেনীর খাবার দোকানে কাজ পাইলেন। আমার গান শুনবার সাথীও হারায়া গেলো। মনে মনে আমি বার্গার কিঙয়ের মা-মাষী এক করলাম কেন তাড়া তারা আমার সাথী কাইরা নিলো।
যাইহোক জীবন কারো জন্যেই থেমে থাকে না। এই মহান বানীতে বিশ্বাস রাইখা আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতি সকালে শরিফুদ্দিন চর্চা চালায়া যেতে থাকলাম। যেহেতু আমার পথ প্রদর্শক সময় দিতে পারতেছিলো না তাই আমার পদচুত্যি ঘটলো। ধীরে ধীরে আমি আজকালকার সস্তা বিনোদন ধুম-ধারাক্কা ধরনের গানে ফিরতে শুরু করলাম।
এক সকালে আমি শিরোনামহীন নামক একটি সস্তা গানের দলের গান শুনতেছিলাম, ঠিক সেই মুহূর্তে আমার পথপ্রদর্শক আমার কক্ষে তার পদধুলি দিলেন। ভ্রু কুচকায়া আমাকে কইলেন “এই সব কি শুনতেছো?” আমি লজ্জা পাইয়া গেলাম। মিনমিন কন্ঠে বললাম, “জ্বী একটি বঙ্গদেশীয় গানের দল, নাম শিরোনামহীন।” তিনি এমন ভাবে আমায় দেখলেন যেনো আমি এই মাত্র নর্দমা স্নান কইরা আইছি। তিনি আমাকে বললেন, এইসব গান কোন মানব সন্তানের পক্ষে শুইনা উপভোগ করা সম্ভব নয়। আমি মনে মনে তখন সীতার মত বলতেছি “হে ধরণী দ্বিধা হও”। নিষ্ঠুর ধরনীও আমার কথা শুনলো না। আমি মিনমিন কইরা বললাম, আমি রোজ সকালে শরিফুদ্দিন চর্চা কইরা থাকি কিন্তু তোমার অনুপস্থিতি তে আমার এই পদস্থলন। তারপর আমি রবিবাবুর আমারো পরানো যাহা চায় ছাইরা দিলাম। তর চেহারা দেইখা বুঝলাম তিনি আমার প্রতি নাখোশ হয়েছেন। আমি তাই গান বন্ধ কইরা দিলাম। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, বাংলা গান ছোট জাতের লোকেরা শুইনা থাকে। আমি দিশেহারা হইয়া তাকে প্রশ্ন করলাম তবে কি গান শুনব? তিনি আমাকে তখন তার অন্তর্জাল হতে কিছু গান বাহির কইরা দিলেন এবং কইলেন, শুনিতে হলে জাস্টিন বেইবার, অসার(!), লেডী গাগা, বাউন্স (!) ইনাদের গান শুনবে। তিনি আমাকে লেডি গাগা নামক মহিলার সচিত্র গান ছাইরা দিয়া গেলেন।
তিনি ইংরেজী ভাষায় কি বলতেছিলেন কিছুই আমার বোঝে আসে নাই শুধু মাত্র তাহার ছোট ছোট কাপড় ও অঙ্গ চালনা দেইখা কামভাব উদ্রেক হল। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার জানাইলাম যে কিছুই বুঝলাম না গানের, হায় আমার আর জাতে উঠা হল না, পাতে উঠা হল না।

চলবে .।.।.।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করুন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

তাই-ফি বলেছেন: চেষ্টার ত্রুটি হবেনা। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.