![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ভয়ানক মন খারাপের দিন। তাই কথাকে খুব বেশি লম্বা করবো না। আজ একটি রঙ্গিন প্রজাপতি আমার চোখের সামনে হঠাৎ করেই এসেছিলো। কিছুক্ষণ সামনেই ডানা ঝাপটা ঝাপটি করে তারপর আবার নিজের পথে চলে গেছে। কয়েক সেকেন্ডের ডানার ঝাপটাগুলো এখনও আমার চোখের সামনেই ভাসছে। ধুসর বর্ণের ডানার মাঝে বেগুনী রঙ্গের অসাধারণ কারুকাজ। মুহুর্তের এই দেখায় প্রজাপতিটি আমাকে দুটি বিষয় শিখিয়েছে। এক, দুটি ডানা থাকলেই প্রজাপতি হওয়া যায় না। ডানার মাঝে রঙ্গের কারুকাজ থাকতে হয়। থাকতে হয় অসাধারণ কিছু যা অন্য কিছুর মধ্যেই নেই। দুই, রঙ্গিন ডানা থাকলেও একটিতে একটুও আঘাত পেলে দ্বিতীয়টি যতই ভালো থাকুক না কেন ঝাপটাতে পারবে ঠিকই সমান বেগে কিন্তু উড়তে আর পারবে না।
মানুষের জীবনও ঠিক তেমনই মনে হলো আজ। ছোটবেলায় পড়েছি মান এবং হুশ এর সমন্বয়েই মানুষ হয়। আর সেটি সুখের হয়, অসাধারণ আরেকজনের সঙ্গতে। যেখানে মানুষ একে অপরের পরিপূরক হয়ে যায়। যেখানে কষ্ট কখন ভাগাভাগি হয় কখনো বা দেয়া কষ্টের কয়েকগুন বেশিই অনুভূত হয়। সুখের মুহুর্তগুলো প্রজাপতির দুটি ডানার এক একটি ঝাপটার মত। একটু একটু সুখেই ছোট্ট শরীরটি ভেসে বেড়ায়। আজ মনে হয়েছে মানুষ বেশিরভাগ সময়ে পাপীই থাকে। হয়তো কম আর বেশী। একটু ভয়ানক বা বেশি ভয়ানক। অপরাধ সবারই হয়। তাহলে কী কেউই মানুষ নয় ? অবশ্যই, সবাই না হলেও কেউ কেউ ঠিকই মানুষ হয়। আমি বরং নিজেকে দো'ঠ্যাঙা জন্তু বলতেই এখন বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আজও আমরা নিচের পাটিতে পূর্বপুরুষদের মাংশাসী ধারালো দাঁত বয়ে বেড়াই। আর মস্তিষ্কের বিকাশ কতটাই বা হয়েছে মাত্র কয়েক হাজার বছরে ? ৬ মিলিয়ন বছরের অমানুষদের মানুষ করার জন্য এটুকু সময় একেবারেই যথেষ্ঠ নয়। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কেউ কেউ মানুষ হয় কীভাবে? এখন পর্যন্ত আমার উপলব্ধি হচ্ছে, আলোর মাধ্যমে আমাদের চোখে সব রঙ্গই আসে। কিন্তু সব রঙ্গে ভেসে বেড়ালে মানুষ হওয়ার সম্ভাবনা হাওয়া হয়ে যাবে। রঙ নিতে হবে প্রয়োজন মত। ঠিক ধুসরের উপর বেগুনির অসাধারণ কাজের প্রজাপতির মত। তবেই মানুষ হওয়া যাবে।
দো'ঠ্যাঙা জন্তু থেকে মানুষ হওয়ার জন্য খুব কঠোর প্রচেষ্টায় আছি। যদিও সেদিন পর্যন্ত সময় পাবো কী না জানিনা। আজকাল কৃষ্ণগহ্বর আমাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে যাচ্ছে। আমার সব আলোকে বাঁকিয়ে নিজের মাঝে নিয়ে নিচ্ছে। অভিকর্ষের আকর্ষণ আমার উপর থেকে ধীরে ধীরে কম থেকে অনেক কম হয়ে যাচ্ছে। আমি শূণ্যে মিশে যাচ্ছি। এটুকু আশির্বাদ করো শূণ্যে মিলিয়ে যাবার আগে একটিবার যেন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি। চোখ লুকিয়ে মাথা নিচু করে ভয়ে ভয়ে তোমাকে কেমন আছোটি বলতে আমার ঠোঁট কাঁবপে। আমি চিৎকার করে বলতে চাই দেখো আমি সব অপরাধের আবর্জনা থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি । এবারও কি তুমি আমাকে দেখতে পারছো না ? আমার হাতটি ধরে একটু টান দিয়ে আলোতে নিয়ে যাও। কেউ এই অবর্জনার গন্ধে আমার কাছে আসতে চায় না। পারবে আমাকে আবার সুন্দর পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ দিতে ? ওই যে ভালো মানুষরা যেভাবে বাঁচে । তোমরা যেভাবে বাঁচো । প্রজাপতি যেভাবে বাঁচে। আমি খুব করে সেভাবে বাঁচতে চাই !!!
____________________________________________________
আশরাফুল মাহমুদ
বিবিসি ওয়ার্ল্ড
ঢাকা, বাংলাদেশ
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০
তাই-ফি বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৭
ওমেরা বলেছেন: আরো বেশী বেশী লিখুন ।