![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে রোগী করনায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং বর্তমানে সুস্থ, উনি কেমনে সুস্থ হয়েছেন? ঔষধে? বা কোনও ভ্যাকসিনে? তা কিন্তু না। উনি সুস্থ হয়েছেন তার এন্টিবডি স্ট্রং থেকে... তার মানে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো।
একটা রিসেন্ট স্টাডি দেখাচ্ছে, এই সকল ভালো হয়ে যাওয়া রোগীর রক্ত থেকে যদি প্লাজমা নিয়ে একজন করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর দেহে পুশ করা হয়, তাহলে তার সুস্থ হয়ে উঠার প্রবণতা বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। কারণ প্লাজমা পুশ করার কারণে সেই রোগীরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখন বেড়ে যাচ্ছে।
এটা কিন্তু কোন রকেট সাইন্স না... এটা একটা সিম্পল থিওরি।
এই থিওরীটা এপ্লাই করার জন্য বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বহু জায়গায় দৌড়াচ্ছে পারমিশানের জন্য কিন্তু পারমিশান পাচ্ছে না। কেউ ইচ্ছে করে পারমিশান দিচ্ছে না তা কিন্তু না... পারমিশানটা বা করোনার চিকিৎসার এই প্রটোকলটা লিখিত আকারে ডাক্তাররা পাচ্ছে না শুধু আমাদের দেশের প্রশাসনিক জটিলতার কারণে। এই ফাইল একদিন এখান থেকে ওখানে যায়, আরেকদিন ওখান থেকে আরেক জায়গায় যায়। ততদিনে, আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ওদিকে মৃত্যু কিন্তু থেমে নেই এটা বলে যে ‘একটু ওয়েট করি, ফাইলটা সাইন হউক’ ।
এই প্লাজমা থেরাপির কনসেপ্ট কিন্তু আজকে নতুন না... ১২৫ বছরের পুরানো কনসেপ্ট। আর এই কারণে সুবিধা হলো আমাদের দেশের উপজেলার হাসপাতালগুলোতে পর্যন্ত প্লাজমা কালেক্ট করার মত ব্যবস্থা আছে... আর সব মেট্রোপলিটনের হাসপাতালগুলোতে তো আছেই। এখন একটু দরকার সরকারী লেভেল থেকে এটাকে সিরিয়াসলি দেখা।এখন একটু দরকার যারা সুস্থ হয়ে গেছে করোনায়, তাদের মাথায় এই বিষয়টা ঢুকানো।
আমি গত ৫/৬ দিন থেকে এটা নিয়ে স্টাডি করে দেখলাম যে এটা আসলেই কার্যকরী... ইন্ডিয়া আমেরিকা ব্রিটেন সবাই শুরু করেছে। ভাই এটায় লাভ না হলেও তো ক্ষতি নেই... শুধু মাত্র রোগীর দেহে রক্তই তো পুশ করা হচ্ছে... এই চান্সটা নিলে যদি রোগী বাঁচার চান্স একটুও বাড়ে, তাহলে ক্ষতি কি? প্লীজ ফাইল নাড়াচাড়া বন্ধ করুন... কাকে এটা নিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে এটা পলিসি মেকাররা ভালো করেই জানে। একটু সিরিয়াসলি নেন এই বিষয়টা।
আর যারা সুস্থ হয়েছে করোনায়, তাদের বলছি; ভাই আপনারা নিঃসন্দেহে লাকি যে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। কিন্তু আপনি একাই বা বেঁচে কি করবেন যদি আশেপাশের বেশীরভাগ মানুষেরা না বেঁচে থাকে? করোনা কিন্তু আমাদের এই একটা শিক্ষাই দিতে এসেছে; আপনি দোকান থেকে সব ডেটল কিনে নিয়ে গেলেন কিন্তু আপনার পাশের বাসার একজন কিনতে পারলো না... ফলাফল? ফলাফল, আপনি একা ভালো থেকেও সমাজটাকে ভালো রাখতে পারছেন না
এখানেও বিষয়টা সেইম, দীক্ষাটা সেইম; আপনি একা ভালো থেকে কোন লাভ নেই। এই প্লাজমা কনসেপ্ট শীঘ্রই কয়েকদিনের মাঝে টক অফ দ্যা টাউন হতে চলেছে ফোর শিওর। প্লীজ আপনারা এখন থেকেই মনে মনে প্রস্তুতি নেন আরও কিছু জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য।
আপনাকে সব সময় ডাক্তারই হতে হবে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য, তা কিন্তু না... একজন সুস্থ সবল মানুষ হয়েও আপনি সহজেই আর ২ টা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারছেন।
তাও আবার এই বৈশ্বিক দুঃসময়ে। আপনার নাতী পুতিরা গর্ব করে বলতে পারবে, ‘আমার নানায় বিশ্বকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল... তোর নানা কি করেছিল রে সে সময়?’
জীবনে তো আমরা অনেক কিছুই করলাম... now, let’s do some real bloody good job comrades।
©somewhere in net ltd.