![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুজুগে বাঙ্গালীর চরিত্রটা সবার আগে বুঝতে পেরেছিলেন লর্ড ক্লাইভ তাই উনার ডাইরিতে লিখে গেছেন উনি যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে জুতার মালা পড়িয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ভারতকে দাসত্বের ব্রিটিশ শাসনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে যেই পরিমান বাঙ্গালী তার নিজের রাজার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে অপমান জনক ভাবে পতনে দাঁত কেলিয়ে হাসছিল তারা যদি হাতে একটা করে ছোট পাথর নিয়েও ছুড়ে মারত তবে ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে পালাতে হত। ব্রিটিশরা তখন হাতে পায়ে ধরে ধনির দুলালি ৩০০০ ব্রিটিশ অফিসার/সৈনিক ভারতে এনেছিল আর সিরাজউদ্দৌলার অধীনে তখন ছিল ৩০,০০০ পদাতিক আর ১০,০০০ অশ্বারোহী তবুও এই বাঙ্গালী জাতী স্বেচ্ছায় গোলামী বরন করেছিল। জাতীর এই দুর্বলতা লর্ড ক্লাইভ জেনেছিল সবার আগে আর এখন বর্তমান সরকার ও ভারত সেটা ব্যবহার করছে।
ফেইসবুক সয়লাব হয়ে গেছে হুজুগে বাঙ্গালীর পোস্ট করা কোন এক চিকিৎসকের চোখের পানি মোছার ছবিতে। যখন পেয়াজের দাম বাড়ে তখন সারা ফেইসবুকে জুড়ে পেয়াজের ছবি, কার্টুন, জোকস ইত্যাদি কত কাহিনী। এভাবেই বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অনৈতিক প্রতিনিয়ত মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গুরুতর বিষয় নিয়েও হুজুগে বাঙ্গালী কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলন না করে সমগ্র ফেইসবুক জুড়ে ঠাট্টা মসকরা করে এমন স্পর্শকাতর বিষয়কে হাসির বিষয় বানিয়ে ফেলে মনের আবেগকে করে দেয়ে দুর্বল আর সম্ভাব্য আন্দোলন হয়ে যায় পরের দিনের দীর্ঘ নিঃশ্বাস আর আবার সরকারের অন্যায় মেনে নিয়ে শুরু হয় গতানুগতিক কষ্টের জীবন চলা। এই সব হুজুগে লিখক গুলা রাত জেগে এমন জোকস ও তামাশা করে আত্নতৃপ্তি নিয়ে ঢেকুর তুলে রাতে ঘুমাতে যায় যেন আবার এক স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ করলো। সেই তেলের দাম, গ্যাসের দাম বা পেয়াজের দাম তো কমলই না বরং সরকার নিরবে সবাইকে ফেইসবুকে ব্যস্ত রেখে আবার পরের বারের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করলো। এই যে স্পর্শকাতর সামাজিক ও জাতীয় বিষয় গুলি নিয়ে সামাজিক আন্দোলন তৈরি না করে তা হাসি ঠাট্টা তামাশায় পরিনিত করা এই জাতীর বহু পুরনো নোংরা এক চরিত্র। তাই সরকার দুই দিন পর জাতীকে ব্যস্ত রাখার হুজুগ পয়দা করে। এই জাতী যেমন প্রশংসায় অতি আবার তেমনি নিষ্ঠুরতায়ও অতি। নিজের বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনতে যাওয়া মা কে যখন ছেলে ধরা বলে পিটিয়ে মারা হচ্ছিল আর অসহায় মা বিস্মিত চোখে বার বার সত্যি বলে যাচ্ছিল আর শেষে সব আশা ছেড়ে দিয়ে একটু পানি চাইছিল তখন চারিদিকে দাঁড়িয়ে ঢাকা শহরের মত জায়গায় বিভিন্ন বয়সের অমানুষ গুলি ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। এই ঘটনার সাথে কি সিরাজউদ্দৌলার সময়ের ঘটনার মিল পাওয়া যায়? জী, যায়। এত শত বছরেও এই জাতীর চরিত্রের সামান্য উন্নতি হয় নি, শুধু পরিবর্তন হয়েছে বেশ বুশা আর দালান কোঠা কিন্তু বেশীর ভাগ বাঙ্গালী জাতী সেই অমানুষই রয়ে গেছে। কোন নেতৃত্ব কোন ভাল পরিবর্তন আনতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এই জাতীর সমষ্টিগত চরিত্রের পরিবর্তন না হবে। নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন না করলে তা কেউ এসে করে দেবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অত্যন্ত সত্য কথা।
আপনার পোস্ট এত কোম কেন?