![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গফুর মিয়া এই শহরের একজন দুধ বিক্রেতা। তিনি চিকন বুদ্ধির বাঙ্গালি। তাইতো তিনি ১০ লিটার দুধে ৫ লিটার পানি মিশিয়ে ১৫ লিটার করেন।সামান্য বুদ্ধির জোরে পাক্কা ৫ লিটার লাভ। খুশিতে গফুর মিয়ার চোখ চকচক করে উঠে। দুধ বিক্রির টাকা পকেটে নিয়ে তিনি চাল কিনতে যান সাবু মিয়াঁর মুদি দোকানে। "অতি উত্তম চাল, এমন চাল কোথাও পাবেন না" বলে সাবু মিয়াঁ তাকে পাথর মেশানো চাল ধরিয়ে দেন, ওজনেও আধা কেজি কম দেন। কত লাভ করে ফেললাম ভাবতে ভাবতে সাবু মুদি যায় মাছ ব্যবসায়ী সুরুজের কাছে। সুরুজ মিয়াঁ তাকে ফরমালিন দেয়া পচা মাছ ধরিয়ে দেন কেনা দামের প্রায় দিগুন দামে। তার লাভ করতে হবে না! কিছুক্ষন পর খবর আসে সুরুজ মিয়ার ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে। সে দ্রুত তার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের এক দালাল ধান্দাবাজ ভালো চিকিৎসার বাবস্থা করে দিবে বলে ভং চং বুঝিয়ে সুরুজের কাছ থেকে ভালো পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়। সেই দালাল বাসায় ফেরার পথে পরে ছিনতাইকারির কবলে। ছিনতাইকারী তার পেটে ছুরি মেরে সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পরে। পুলিশ তাদের পেদানি দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে এবং উদ্ধারকৃত টাকা থানায় বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নেন। সেই পুলিশের ছেলে আবার মাদকাসক্ত। মাদকের পেছনে টাকা দিতে প্রতিদিন সে তার বাবার পকেট খালি করে দিচ্ছে। আর মাদক বিক্রেতা সেই টাকা দিয়ে হয়তো গফুর মিয়াঁর কাছ থেকে ভেজাল দুধ কিনছে। অবৈধ উপার্জনকারীরা ভাবে যে তারা ব্যবসায় বিরাট লাভ করে ফেলছে কিন্তু আসলে বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। আপনি একজনকে ঠকালে অন্য আরেকজন আপনাকে ঠকাবেই। যেহেতু আমরা সমাজে একে অপরের উপর নির্ভরশীল আলটিমেটলি সবাই চক্রাকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দূর থেকে দেখে মনে হয় অসৎ লোকগুলো সফল, আসলে তা নয়। তারা নিজেরা হয়তো মনে করে তারা এইভাবে ভালো থাকবে, আসলে তাও হয়না। অসৎ পথে উপার্জন করে শেষ পর্যন্ত আসলে কেউ পার পায় না। পরকাল তো পরের হিসাব। দুনিয়াতেই তারা পেয়ে যায় ফিরতি হিসাব। প্রকৃতির নিয়ম হলো এইখানে কাউকেই ছেড়ে দেয়া হয় না। আজ কিংবা কাল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
আহমেদ রেহান বলেছেন: ভালো লেগেছে