![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে F-35, ফ্রান্সের কাছে রয়েছে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান। ইরানের F-3 এবং F-13, রাশিয়ার রয়েছে SE-57 আর ইতালির রয়েছে টাইফুন। কিন্তু আমাদের কি আছে? আমাদের আছে সালমান মুক্তাদির, তাহসিনেশন, তৌহিদ আফ্রিদি, হিরো আলম, সেফুদা কিংবা বাংলা ফানি ভিডিও, রোষ্টিং ভিডিও আর জনপ্রিয় শো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ। আমাদের দেশকে যদি কেউ আক্রমণ করে তাহলে তাহসিনেশন রোষ্টিং করে ভিডিও বানাবেন। ইউটিউবাররা তাদের ভিউ বাড়ানোর জন্য নানা রকমের কনটেন্ট দিয়ে ভিডিও বানাবেন। সুন্দরীরা তাদের রুপের ঝলক দিয়ে আক্রমণ কারিদের চোখ ঝলসে দিবে। আর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশর সুন্দরীরা বলবে H2O মানে হল একটি রেস্টুরেন্ট! আমরা এদের থেকেই কাউকে পাঠাব বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের হয়ে লড়তে! এখন আমি যদি প্রশ্ন করি যে, আমরা কি প্রকৃত মেধার মূল্য দিতে পারছি? কেনইবা এদেশের মেধাবী তরুণরা সবাই দেশ ছেড়ে বিদেশ চলে যাচ্ছে? আসুন এর কারনগুলো একটু বিস্তারিত আলোচনা করে দেখি।
নাসায় যাবার ডাক পেয়েছিলেন এই দেশের কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীরা কিন্তু সেখানে তাদের জায়গায় গিয়েছিলো রাষ্ট্রের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা! এমনটি কি হবার কথা ছিল? বিপিএল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের খরচ হয়েছিলো ২৮ কোটি টাকা। শুধু কি তাই ভাই! ১৮ কোটি টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছিলো রোবট সফিয়াকে। কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিলো ক্রিকেটের জন্য। হাজার হাজার কোম্পানি স্পন্সর করে কে হতে চায় মাসুদ রানা ? নায়ক-গায়ক, গান বাজনা কোন কিছুতেই বাজেটের কমতি নেই।
অন্যদিকে কিছু পোলাপান তাদের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে রোবট বানায় কিংবা রোভার বানাচ্ছে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর জন্য। যারা সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে দেশের শত্রুদের কিছু গোপন ওয়েবসাইট হ্যাক করে কিংবা যারা ফেরারী বা ল্যাম্বরগিনী ডিজাইনের গাড়ি বানাচ্ছে, তারা তৈরি করছে ড্রোন তাও আবার সম্পূর্ণ নিজেদের টেকনোলজি ব্যবহার করে। তাদেরকে ১০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবে এমন কেউ কিন্তু নেই। অন্যদিকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে স্পন্সর করার জন্যে হাজারো কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের কিন্তু অভাব নেই?
কিছুদিন আগে আমাদের দেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ পাট থেকে আবিষ্কার করেছেন পলিথিন এবং বাজারের ব্যাগ অথচ আজো সাফল্যের মুখ দেখেনি পরিবেশবান্ধব এই আবিষ্কারটি। একবার ভেবে দেখুনতো এই আবিষ্কারটি যদি অন্য কোন দেশে হতো তাহলে তা মুহূর্তেই হয়তো ছড়িয়ে পড়তো পুরো পৃথিবীতে। তারা আমাদের মত হাত গুটিয়ে কখনই বসে থাকতো না। আমরা নিজেরাই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের প্রকৃত ভাবে সম্মান দিতে জানি না। আর এইভাবে যদি চলতেই থাকে তাহলে এই দেশটি কিভাবে এগোবে?
কিছুদিন আগে বাংলার গ্লোব বায়োটেক করোনা ভাইরসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিলো এমনকি যে ভাক্সিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতিও পেলো অথচ আমরা ভারতের থেকে কিনছি অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন এবং সেটি আবার ৪৭% বেশী মূল্য দিয়ে ! কেন রে ভাই? আমরা কি অক্সফোর্ড চিনিনা? তাদের সাথে কি আমরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারিনা? তানাহলে ভারত থেকে এতো চড়া দামে কেনার কারন কি? এভাবে কত সম্ভবনা ফোটার আগেই ঝড়ে যাচ্ছে তার হিসেব নেই। কারণ আমরা জানিনা এসবের মূল্য দিতে। এজন্যই হাজারো মেধাবী তরুরা এই দেশ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। কারন তারাই জানে কিভাবে মেধার মূল্যায়ন করতে হয়।
জ্ঞানের বা জানার দিক দিয়ে বাংলাদেশের ঠিক উল্টো দিকে আছে চাইনিজরা। চাইনিজরা আমাদের মতো এতো জ্ঞানী না কিন্তু সঠিক রাষ্ট্রীয় মূল্যায়নে তারা যতটুকু জানে সেটা কাজে লাগাতে পারে। তারা মানে তারা সঠিক পথে আছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতীওরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের থেকে কম জানে। তুলনামূলক ভালো নেত্রীত্ব এবং দেশপ্রেমের কারনে তারা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। তারা জানে মেধাবীদের কিভাবে কাজে লাগাতে হয়। এই থেকে বোঝা যায় এই দেশ একটি দালালীর দেশ, বিজ্ঞানের নয়।
আশরাফুল মাহমুদ
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের শিল্পপতিরা বেশিরভাগ দুর্নীতিবাজ শিল্পপতি।তারা পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য এক পয়সাও খরচ করে না।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৭
আহমেদ রেহান বলেছেন: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:২১
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: যেদেশে গুনির কদর নাই- সে দেশে গুনি জন্ময় না কখনো- জানেন না বুঝি?