নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার নিজস্ব কিছু মন খারাপের গল্প থাকে :( আবার সময়ে মন খারাপের গল্পের ভুমিকা বদলায়, গল্প বদলায় কিন্তু মন খারাপের গল্প না থাকলেও কেমন যেনো অপূর্ন ভাব থেকে যায়, তাই আমি চাই মন খারাপের গল্প লিখে যেতে :) সময়ে-অসময়ে :( শেষ কবে কেঁদেছি সে কথা মনে থাকলেও শে

তাই-ফি

আমি বাংলাদেশের একজন দালাল বলছি !!

তাই-ফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদক সমাচার!!

২৭ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮



কয়েকটা নাম বলি। দেখেন তো, এদের চেনেন কিনা।

প্রথম নামঃ মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস। চেনেন? চেনার কথা না। কীভাবে চিনবেন বলছি।

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তার ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ভালো লোক এবং সৎ আওয়ামী নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সৈয়দ নজরুলের ছোট ভাই সৈয়দ ওয়াহিদুল।
ওয়াহিদুলের মেয়ে মোনালিসা ইসলাম শিলা। শিলার হাজবেন্ড জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল। এই ফরহাদ হোসেন দোদুল - সৈয়দ আশরাফ মারা যাওয়ার পরে, চাচাতো বোনের জামাই কোটায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পায়।
মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাসঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুলের বাবা - এইবার, ২০২২ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

দ্বিতীয় নামঃ ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী।

শেখ মুজিবর রহমানের বড় বোনঃ ফাতেমা বেগম। ফাতেমা বেগমের ছেলে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। ইলিয়াস সাহেব ছেলের বিয়ে দিয়েছেন - আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ের সাথে। ছেলের নাম নিক্সন চৌধুরী, মাঝেমাঝেই তাকে বিভিন্ন জনসভার ভিডিওতে হাউমাউ করে চিৎকার করতে দেখবেন।
নিক্সনরা দুই ভাই, দুইজনই মাদারিপুর-ফরিদপুরের সংসদ সদস্য। আরেক ভাইয়ের নামঃ লিটন চৌধুরী। এই দুই রত্নসন্তানের পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী - ২০২২ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

তৃতীয় নামঃ খন্দকার নাজমুল হুদা। উনিও এইবার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ওনার মেয়ে, আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য - নাহিদ ইজাহার খান।

চতুর্থ নামঃ সিরাজুল হক। এইবার উনিও "পেয়েছেন", কী পেয়েছেন বুঝতেই পারছেন। সিরাজুল হকের ছেলেঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

পঞ্চম নামঃ আবদুল জলিল। আওয়ামী লীগের বিখ্যাত নেতা। ওনার ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিলও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। জলিল সাহেবও এইবার "পেয়েছেন"।

ষষ্ঠ নামঃ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। আওয়ামীপন্থী উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। ওনার ছেলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাকিল আহমেদ ভাস্কর। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে পনেরোটির মতো বই লিখেছেন। - "পেয়েছেন"।

সপ্তম নামঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের এক্স-ভিসি। নামকরা ডাক্তার। নাম করার অন্যতম কারণ - তিনি "পার্টিকুলারলি" আওয়ামী লীগের ডাক্তার। ওবায়দুল কাদের, নাসিম সহ তাবড়-তাবড় নেতারা তার অবজার্ভেশনেই চিকিৎসা নিতেন। উনিও এইবার "পেয়েছেন"। ওনার আগে, এই বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি প্রাণগোপাল দত্তও "পেয়েছিলেন" স্বাধীনতা পুরষ্কার।

প্রাণগোপাল দত্ত কার ডাক্তার, মনে আছেনা? ইয়েস, উনি শেখ হাসিনার ডাক্তার।

একটা স্বাধীনতা পদক পাইতে গেলে, এই যে হাই ভোল্টেজ নামগুলো বললাম - এই লেভেলের হ্যাডমওয়ালা পাবলিক হইতে হয়। শেখ হাসিনার যতো কাছের লোক হবেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক - স্বাধীনতা পদক, পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার ততো বাড়বে।

স্মরণ করায় দেইঃ ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদক না পাওয়াতে, শেখ হাসিনার ক্লাসমেট নির্মলেন্দু গুণ - ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন, আক্ষেপ করে। নয়দিনের মাথায়, সেই স্বাধীনতা পদকের লিস্টের মধ্যে নির্মলেন্দু গুণের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

যে আমির হামজার স্বাধীনতা পদক নিয়ে আপনারা কপাল চাপড়াচ্ছেন, সেই আমির হামজা যতো বড় চারণ কবিই হন না কেন - স্বাধীনতা পুরষ্কার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য তাকে শেখ মুজিবকে নিয়ে দুইখানা বই প্রকাশ করতে হয়েছে। আমির হামজার পুরষ্কার বাতিল হওয়াতে যারা "সত্যের জয় হয়েছে" ভেবে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, আপনাদেরকে দেখে উল্টা আমার ঠা-ঠা করে হাসতে ইচ্ছা হচ্ছে।

এই পদক বালের পদক।

যাদের এই পদক দেয়া হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখেনঃ এরা সব প্রধানমন্ত্রীর লোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.