![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাল সবুজের একটি দেশে এ রীতি ও নীতি বহু প্রাচীন। সরকারী দল ও বিরোধী দল নামেও যেমন বিপরীত, কাজেও ঠিক তেমনি কিংবা আরেকটু বেশী বিপরীত। প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি বিষয়ে তাদের মতবিরোধ যেন অলিখিত নিয়ম। বামকে ডান, ডানকে বাম বলার মধ্যেই যেন তাদের সর্বোচ্চ সন্তোষ নিহিত। এতো গেল দলীয়, তথা সমষ্টিগত আচার উপাখ্যান। ব্যক্তিক বিরোধ গাঁথা আরও নিদারুণ। দলীয় প্রধাণগণ পারস্পারিক ছায়া পর্যন্ত মাড়াতে চান না, সৌজন্য মূলক বাক্যালাপ কিংবা অধর নিঃসৃত মুচকি হাসি নিখাদ অকল্পনীয়।
সে দেশটি বাংলাদেশ, যে দেশের জন্ম হয়েছিল একতা আর সম্প্রীতির উদ্বাহু দৃষ্টান্ত প্রদর্শনীতে। সেই বাংলাদেশে বহুদিন পর যেন প্রীতির ফল্গুধারা বইছে। রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে এক কাতারে শামিল হয়েছে কোটি জনতা নির্দ্বিধায়, এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে শত মতের ধারাপাত। অশ্রু বিসর্জনে, শোকের বিনীত মাতমে, সান্ত্বনার মোলায়েম প্রলাপে রাষ্ট্রপতি তিরোধানের পর্ব গুলো এগিয়ে চলেছে। রাজপথ থেকে রাষ্ট্র প্রাসাদ- কোথাও কোন বিরোধের চিহ্নটুকু নেই আজ, নেই দলীয় কোন্দলের গোমরামি, নেই সমালোচনা বক্র শর। আরে উনি তো দলীয় লোক, দলের অন্ধ উগদাতাই শেষতক- এরকম একটি উপলব্ধিও প্রকাশিত হয়নি এখনো।
যদিও সৌহার্দের এই মাহেন্দ্রক্ষণেও দুই প্রধান দলের দুই রমণী কর্ণধারের সৌজন্য খাতিরতা আরও একবার অনুপস্থিত, তবুও অন্তত কয়েকটি দিনের জন্য দেশ মাতা যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। এই কয়েকটি দিন সবুজ চরাচরে ধ্বংসলীলা, হরতালের পয়গাম নেই; নেই বিশদ্গার কিংবা নিন্দাঝড়ের আলামত। রাষ্ট্রপতির দাফন অন্তেই আবার হয়তো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে রাজনীতির মরণকামড়, প্রাণসংহারী পদক্ষেপগুলো। তবু তো একটু শুকরিয়ার ঢেঁকুর তোলা গেল। প্রমাণিত হল, আমরা ইচ্ছা করলেই পারি অনেক কিছু করতে, কারণ আমরা বাঙ্গালী, বহিঃবিশ্বের অনেক দৃষ্টিতেই আমরা বীরের জাতি।
এই মহতি ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ যিনি ঘটিয়ে দিয়ে গেলেন- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, একজন নীরব যাদুকর। যাকে নিয়ে উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি কখনো, যিনি হননি নানা মুনির নানা মতের বিতর্ক বিন্দু। নিভৃত পথচলায়, দেশমাতৃসেবার সাধনায়, জনদাবী আদায়ের আরাধনায় সদারত এক যোদ্ধা কিংবা সাধক। জাগতিক মায়া ছেড়ে তিনি না ফেরার দেশে প্রস্থান করলেন, তবে সমগ্র বাংলাদেশকে এবং বিশ্ব পরিসরকেও একটি বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়ে গেলেন কিছুদিনের জন্য হলেও। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায়, জান্নাতের উদ্যানে আত্মার আশ্রয়ণে প্রার্থনা করি; তবে কায়মনোবাক্যে এও প্রার্থনা করি, যেন তার রেখে যাওয়া আদর্শের শিক্ষায় অনুপ্রেরণার রসদ খুঁজে পাই আমরা, খুঁজে পান আমাদের রাজনৈতিক কর্ণধারেরা।
চাঁদের হাটে ভাঙ্গন
অনিবার্য মহাযাত্রার ইশারায়
নশ্বর জীবন হাটে বৈরাগ্য তান-
সব ভেঙে যায়, স্মৃতি ফেলে যায়;
অগণিত সান্ধ্য দেয়ালি, দিনপঞ্জিকা
স্মৃতির স্মারক- স্থান পায় শেলফে।
এতো সরগরমের উপলক্ষ, সে মানব কই?
সুখ ছোঁয়া রয়ে যায়, কীর্তি হেসে যায়-
কুঁড়ের অলিন্দে পায়রা বন্দনা বসেছে,
গ্রামোফোনে বেজে যায় রাগসঙ্গীত,
বিদায়ী পথিকের ছায়াটুকুও থাকেনা
তবু চিহ্ন থেকে যায়, সুখ ছোঁয়া থাকে।
কালো কালো অক্ষরে শোকগাঁথার ভীড়
ক্যামেরা লেন্স জুড়ে হারানোর মাতম-
যাকে ঘিরে, সে তো সময় রথে সওয়ার
সপ্তাকাশ চুমী ক্যারাভানে একা থাকা
স্মরণিকা, দেয়ালিকাময় স্মৃতিচারণ সারা,
চা বৈঠকে আড্ডা সীমাহীন- একটাই বিষয়,
কীর্তিমান থাকেনা, কীর্তিও মোছে না-
তবু কিছু পিছুটান থাকে, সুখছোঁয়া থাকে।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
কে আই তাজ বলেছেন: হুম হুম-
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: হুম