নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশুর ব্লগে স্বাগতম :D

তানজিলা রহমান

তানজিলা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকর্ষ এবং ফোটন ;)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

স্কুলে আমরা বেশ ভালোভাবেই নিউটনের মহাকর্ষ সম্পর্কিয় সূত্র রপ্ত করেছি, :)
তাই আমরা জানি প্রত্যেক ভরযুক্ত কনাই একে অপরকে আকর্ষন করছে কারন,

“মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকনা একে অপরকে আকর্ষন করে এবং এর আকর্ষন বলের মান বস্তু দ্বয়ের ভরের গুন ফলের সমানুপাতিক এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।”
-(Isaac Newton)

অর্থাৎ F∝m1×m2
এবং F ∝1/r²
আচ্ছা, ফোটনের তো ভর নাই তাহলে তো নিশ্চই এর উপর মহাকর্ষ বল কাজ করবে না। right?

→wrong!! -_-

আমি কশ্মিমকালেও বলেছিলাম নাকি যে মহাকর্ষ হতে হলে ভর থাকতে হবে? :3 আর বললেও মিথ্যা বলেছি :p কারন এখানে স্যার নিউটন কিঞ্চিৎ ভুল করে ফেলেছিলেন।

গ্রাভিটির উৎস ভর না
Gravity ⇎ mass

বরং গ্রাভিটির উৎস হল শক্তি এবং ভরবেগ।
Gravity⇔energy & momentum

এবং ফোটনের দুটি ই আছে
P=E/c & E=hf
নিসন্দেহে অন্যান্য ভরযুক্ত পদার্থের ও আছে,
P=γmv & E=γmc²

তাই নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি মূলত পুরোপুরি শুদ্ধ না তবে অনেকটা কাছাকাছি বলা যায়।

তো যেহেতু ফোটনের কাছে গ্রাভিটির উৎস আছে সেহেতু গ্রাভিটি তো থাকবেই। :D

ফোটন শুধু নক্ষত্র,গ্রহ,ব্লাকহোলের পাশ দিয়ে গেলে বাকিয়েই যায় না বরং নক্ষত্র,গ্রহ,ব্লাকহোলকে আকর্ষন ও করে।
যদিও এ আকর্ষন বল অনেএএএক ছোট কিন্তু শূন্য না :D

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষ বাক্যটায় ভাল লাগলো।
কম কিন্তু শূন্য না।

এই শূন্য নিয়ে ভাবলে বিজ্ঞানের অনেক অনেক রহস্য মাথায় এসে যাবে। এইটা হইতে পারে নামে শূন্য - কিন্তু এইটা সবচাইতে ভেজালেস্কর একটা শব্দ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

তানজিলা রহমান বলেছেন: :) ধন্যবাদ
কিন্তু ভেজালেস্কর কি? :o

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মানে ভেজালযুক্ত। :-B

কয়েকদিন আগে এই শূণ্য নিয়ে এক ফ্রেন্ডের সাথে আলাপে বসছিলাম। দুপুর ১২টার পর বসছি - ঐ আলোচনা শেষ হয়েছে রাত দশটায়। কারণ চায়ের দোকান বন্ধ করে ফেলেছিল তখন। তবুও আলোচনা শেষ হয় নাই।

১০ ঘন্টা শূণ্য নিয়ে আলোচনার ফলাফলও শূণ্যই ছিল।

যাই হোক, ফোটনের সাথে যদি ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণ থাকেই - নগন্য হলেও যদি থাকে - তবে তো ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর বিকিরণও হয়। কিন্তু এটা নিয়ে বহুল প্রচলিত যে, ব্ল্যাক হোল থেকে আলো বের হয়ে আসে না।
সেইটার সাথে তো আপনার অনুসিদ্ধান্ত কিছুটা সাংঘর্ষিক।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

তানজিলা রহমান বলেছেন: উহু এটা কিভাবে সাংঘর্ষিক হতে পারে? :) ব্লাকহোলের মুক্তিবেগ অনেক বেশি বিধায় ব্ল্যাক হোল থেকে আলো বের হয়ে আসে না। জটিল স্থানকাল বক্রতা এবং আকর্ষন জনিত কারন তো আছেই।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

দরবেশমুসাফির বলেছেন: কারন এখানে স্যার নিউটন কিঞ্চিৎ ভুল করে ফেলেছিলেন।

স্যার নিউটন ভুল করেন নি। ফোটনের ক্ষেত্রে মহাকর্ষের সমীকরণটির বিশেষায়িত রূপ ব্যবহৃত হবে ( এর মানে এই নয় যে সমীকরণটি ভুল )। আরও উল্লেখ্য যে স্যার নিউটন তাঁর সমীকরণ সাবএটমিক পারটিকেলের বিবেচনায় উপস্থাপন করেন নি। তাই তাঁর ভুল হয়েছে সেটা বলা যাচ্ছে না।

আচ্ছা, বলেন তো দেখি ফোটনের ভর না থাকলেও সেটার ভরবেগ আসল কিভাবে?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

তানজিলা রহমান বলেছেন: ভুল ছিলো তো :) ""আকর্ষন বলের মান বস্তু দ্বয়ের ভরের গুন ফলের সমানুপাতিক"" এটাই ছিল ভুল যা স্যার আলবার্ট আইন্সটাইন আমাদের দেখান। আকর্ষন বল কখনোই ভরের উপর নির্ভরশীল নয়।

আবার ভরবেগ p=mv ফোটনের জন্য প্রযোজ্যই নয় কারন এটা তো মূল সমীকরণ ই নয় ^_^ এটা দিয়ে আপনি ফোটন বা এর কাছাকাছি বেগের কিছুর ভরবেগ পাবেন না। অন্য সূত্র ব্যবহার করা হয়।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে কোন ভুল নেই। এটা সময়ে সময়ে বিবর্তিত হয়।

কিন্তু ফোটনের সাথে ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণ এটা নতুন করে ভাবাচ্ছে আমাকে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তানজিলা রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানে ভুল আছে আজ যেটা সত্যি কাল ঈ সেটা মিথ্যা এটাই তো বিজ্ঞানের আনন্দ! রহস্যময় আনন্দ!!
আকর্ষন তো আছেই :D


৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপক জ্ঞান গর্ভ পোস্ট, তা হঠাৎ ফোটন নিয়া ফাটাফাটি ক্যান? ;) :P

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

তানজিলা রহমান বলেছেন: ফাটাফাটি নয় সামান্য ঘাটাঘাটি ;) বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য ভালোবাসি অন্য কারন নেই।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভরবেগ হইলে ভর ইনটু বেগ| ভরবেগ ভরের উপর নির্ভর করে, তার কইলেন গ্রাভিটি নির্ভর করে ভরবেগের উপর, তাইলে কি পরোক্ষভাবেও গ্রাভিটি ভরের উপর নির্ভর করে না? আমি অবশ্য খুব কম জানি :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

তানজিলা রহমান বলেছেন: উত্তর আছে পোস্টেই ;)

আপনার প্রশ্নে ভরহীন কনিকার ফোটনের কথাই না হয় ভাবুন উত্তর পেয়ে যাবেন। :)

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হোসেন মালিক বলেছেন: ///////ফোটন শুধু নক্ষত্র,গ্রহ,ব্লাকহোলের পাশ দিয়ে গেলে বাকিয়েই যায় না বরং নক্ষত্র,গ্রহ,ব্লাকহোলকে আকর্ষন ও করে।
যদিও এ আকর্ষন বল অনেএএএক ছোট কিন্তু শূন্য না////////------

এমনকি হতে পারে না যে ফোটনেরও ভর আছে অনেএএএক ছোট কিন্তু শুন্য না?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

তানজিলা রহমান বলেছেন: উহু ফোটনের ভর শূন্য, যা প্রমানিত।
আর এটা না হলে বিশেষ আপেক্ষিকতায় স্যার আইন্সটাইন বলতেন ই না "ফোটনের বেগ সর্বোচ্চ"
কোনো ভরযুক্ত কনা আলোর বেগে চলতে পারবে না এটাও প্রমানিত।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আকর্ষন বলের মান বস্তু দ্বয়ের ভরের গুন ফলের সমানুপাতিক।

এখানে বস্তুদ্বয় বলতে কি সাবএটমিক পারটিকেলের কথা বলা হয়েছে?? না। নিউটন তাঁর প্রিন্সিপিয়া ম্যাথম্যাটিকায় কিন্তু বস্তুর সংজ্ঞায় সাবএটমিক পারটিকেলের কথা বলেন নি। তাহলে আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন যে নিউটন সাবএটমিক পারটিকেলের ক্ষেত্রেও এটা সত্য বলে দাবি করেছেন??

আইনস্টাইন নিউটনের সুত্র ভুল তা বলেন নি। তিনি দেখিয়েছেন যে ওই সুত্র অসম্পূর্ণ। যা দিয়ে সাবএটমিক পারটিকেলের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় না। অসম্পূর্ণ আর ভুল এই দুই জিনিসের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে।

উল্লেখ্য বিজ্ঞানের সকল সুত্রই কিন্তু অসম্পূর্ণ।

আপনি বলেছেনঃ

আবার ভরবেগ p=mv ফোটনের জন্য প্রযোজ্যই নয় কারন এটা তো মূল সমীকরণ ই নয় ^_^ এটা দিয়ে আপনি ফোটন বা এর কাছাকাছি বেগের কিছুর ভরবেগ পাবেন না। অন্য সূত্র ব্যবহার করা হয়।

ভরবেগ মানে ভর ও বেগের গুনফল । এখন আপনি যেই সুত্রই ব্যবহার করেন না কেন ভর শূন্য হলে [ভর গুন বেগ] কেন শূন্য হবে না??
(আমি জানি ফোটনের ভর নেই কিন্তু ভরবেগ আছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আপনি বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারছেন না। এটার ব্যাখ্যা কিন্তু আইনস্টাইনেরই থিওরিতে আছে। )


২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

তানজিলা রহমান বলেছেন: P=mv/√[1-v²/c²] কথা বলছেন কি? E²=m²c⁴+p²c² ব্যবহার করুন।

স্যার নিউটনের সূত্র সত্যিই দুর্ভাগ্য বসত ভুল হয়ে পরে।GR এটা ভালো ভাবে বর্ননা করে।
নিউটনিয় সমীকরন আমাদের সাধারন জীবনযাত্রায় যথেষ্ট কারন এর মান কিছুটা কাছাকাছি কিন্তু যখন সামান্য পৃথিবীপৃষ্ট থেকে বেড়িয়ে সৌরজগতে সামান্য সূর্য ও এর গ্রহ সম্পর্কে ভাবছেন তখন ই এর ভুল টি পাবেন। আমি মূলত সূর্য হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া নিয়ে আইন্সটানিয় ও নিওটনীও সূত্রের প্রয়োগের পার্থক্য করছি।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

চলতি নিয়ম বলেছেন: কে কইছে ফোটনের ভর নাই ??
Mass 0 (চোখ খোলা অবস্থায় ;) )

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

তানজিলা রহমান বলেছেন: ফোটন নিজেই বলছে! :)

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

চলতি নিয়ম বলেছেন: দুঃখিত, আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।
ক্যান সামু জবাব দাও |-)

(চোখ বন্ধ রাখলে ভর আছে ;) )

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

তানজিলা রহমান বলেছেন: বুঝলাম না :(

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

চলতি নিয়ম বলেছেন: ভর যে নাই এটা কি এক্সপেরিমেন্টালী প্রমাণিত নাকি ধরা হয়? (কোনো রেফারেন্স থাকলে দিয়েন) পড়ে দেখতাম। উইকি তে দেখালাম যে নন জিরো মাস।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

তানজিলা রহমান বলেছেন: যদি ফোটনের ভর অশূন্য হত তবে এর energy=pc হত না। তাছাড়া ওখানে খুব সম্ভবত রেস্ট মাস/রিলেটিভিস্টিক মাস এর ব্যাপার ছিল কিন্তু সব চেয়ে বড় কথা হল শুধু rest mass ই real, relativastic mass বলতে কিছুই নেই ভর একটাই। উইকি তে দেখেন প্রথমেই আছে mass 0.

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:

আমি কিন্তু কিছু বুঝিনাই, বিজ্ঞান প​ড়া ছাড়সি ৪ বছর+ হৈসে!
WeLcome to SiB, TanjiLa ||

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

তানজিলা রহমান বলেছেন: Thanku :)

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

ভারসাম্য বলেছেন: নিউটনের অনেক সূত্রই সাব অ্যাটমিক পার্টিকেল লেভেলে কাজ করবে না, তাই বলে সেটাকে সূত্রের ভুল বলা যায় না। চিরায়ত বলবিদ্যায় নিউটনের সূত্রগুলো ঠিকমতই (প্রায়!) কাজ করছে।

যাই হোক, লেখায় ভাল লাগা। :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

তানজিলা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
তবে বলবিদ্যা এবং মহাকর্ষ সূত্রে পার্থক্য রয়েছে তো :) বিজ্ঞানীরা বলবিদ্যার সূত্র গুলোকে বাদ দেয় নি যদিও এর কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিন্তু এর গুরত্ব অনেক।
তবে মহাকর্ষ সূত্রকে তারা ভুল বলেছেন :) আকর্ষন কখনোই ভরের উপর নির্ভরশীল নয়।

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমি কিছু বুঝি নাই!!!??? X( বিজ্ঞানের গভীর বিষয়ে জ্ঞান খুব কম সেজন্য হয়তো!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭

তানজিলা রহমান বলেছেন: :(

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

হোসেন মালিক বলেছেন: ///////উহু ফোটনের ভর শূন্য, যা প্রমানিত।
আর এটা না হলে বিশেষ আপেক্ষিকতায় স্যার আইন্সটাইন বলতেন ই না "ফোটনের বেগ সর্বোচ্চ"
কোনো ভরযুক্ত কনা আলোর বেগে চলতে পারবে না এটাও প্রমানিত। //////-------------------

সম্প্রতি সার্নের একটি পরীক্ষায় আলোর চেয়ে বেশি বেগে গতিশীল কণার ভ্রমণ সংক্রান্ত খবরটি মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে।
লিঙ্ক

সুইজারল্যাণ্ডের জগদ্বিখ্যাত সার্ণ ল্যাবে তাদের নিউট্রিনো উৎপাদক যন্ত্র দিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। এর মধ্যে একটি প্রজেক্টের নাম ছিল “অপেরা” [OPERA (Oscillating Project with Emulsion-tRacking Apparatus)]। সেই প্রজেক্টের বিজ্ঞানীরা সেখানে তাদের যন্ত্রের মাধ্যমে নিউট্রিনো (এগুলো এক অদ্ভুতরে কণা যারা সবচেয়ে বেশী ঘনত্বের বস্তুকেও অবলীলায় ভেদ করে যেতে পারে) প্রক্ষিপ্ত করছিলেন। এই প্রজেক্টের আরেকটি অংশ ছিল আবার ইটালিতে। সেখানে মাটির প্রায় ১৪০০ মিটার গভীরে গ্রান সাসো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে বসে আরেকদল বিজ্ঞানী সার্ণ থেকে ছুঁড়ে দেয়া নিউট্রিনো বিমগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টায় ছিলেন। প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার (প্রায় ৪৫৪ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছুনো প্রায় ১৫০০০ নিউট্রিনোগুলোকে তাদের সংবেদনশীল ডিটেক্টর যন্ত্র দিয়ে মেপে দেখলেন সেগুলো আলোর চেয়ে তাড়াতাড়ি এসে পৌঁছুচ্ছে। কিন্তু কতটা তাড়াতাড়ি? সে প্রায় আলোর গতির তুলনায় ৬০ ন্যানো-সেকেন্ড মানে এক সেকেণ্ডের ৬০ বিলিয়ন ভাগের একভাগ কম সময়ে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৪

তানজিলা রহমান বলেছেন: আপনি নিউট্রনের কথা বলছেন? :o সেটা তো সম্প্রতি নয় অনেক আগেই, বরং সম্প্রতি খবর এই যে তাদের তাদের যান্ত্রিক ক্রুটি ছিলো এবং তারা তা স্বীকার করেছে। :) আলোর বেগ এখনো সর্বোচ্চ।

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২

হোসেন মালিক বলেছেন: ব্লগার দরবেশমুসাফির বলেছেন : - "আচ্ছা, বলেন তো দেখি ফোটনের ভর না থাকলেও সেটার ভরবেগ আসল কিভাবে?

উত্তর : -
ভরকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়? এটি করা হয় F=ma সমীকরণটির মাধ্যমে যখন এটিকে কোভ্যারিয়্যান্টলি প্রকাশ করা হয় (অর্থাৎ এর উভয়পক্ষ লরেঞ্জ রূপান্তরের অধীণে একইভাবে পরিবর্তিত হয়)।F এবং a উভয়েই লরেঞ্জ রূপান্তরের অধীণে ৪-ভেক্টর– কাজে কাজেই m অবশ্যই একটি স্কেলার এবং এই রূপান্তরের অধীণে অপরিবর্তিত থাকতে বাধ্য। বাইজারের মতন তৃতীয় শ্রেণীর বই ই এ ধরণের ভুলের প্রচারের জন্য দায়ী। লরেঞ্জ রূপান্তরের অধীণে শক্তি বৃদ্ধি পায়–ভর নয়।”

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মালিক ভাইয়ের মন্তব্য থেকে, মানে লরেঞ্জ ট্রান্সফরমেশন থেকেই বলি,
যদি ফোটনের ভর না ই থাকে তাহলে তো লরেঞ্জ ট্রান্সফর্ম করেও ভরবেগ পাওয়া যাবে না। শূণ্যকে দিয়ে তার সাথে যেটাকেই মাল্টিপ্লাই করা হোক না কেন - তা তো শূন্যই থাকবে।

সেই হিসাবে তো ফোটনের ভরবেগ নেই। আর থাকলে, অবশ্যই ভর আছে। সেইটা অতি ক্ষুদ্রই হোক না কেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

তানজিলা রহমান বলেছেন: ফোটনের ভর নেই রেস্ট মাস 0

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

ভারসাম্য বলেছেন: আমি চিরায়ত বলবিদ্যা না বলে, চিরায়ত পদার্থবিদ্যা বললেই ভাল হত। যাই হোক, নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রও বিজ্ঞানীরা সরাসরি ভুল বলেছেন বলে আমার জানা নেই, তবে পার্টিক্‌ল ফিজিক্সে সেটা ঠিকমত কাজ করে না এবং ফোটনের ক্ষেত্রে সেটা পুরোপুরি অচল, কারণ ফোটনের ভর নেই। কিন্তু নিউটনের সময় ফোটন আবিষ্কৃতই হয় নি, আলোকে একটা কল্পিত মাধ্যমের বুকে তরঙ্গ হিসেবেই বিবেচনা করা হত।

যাই হোক, আইনস্টাইন পরবর্তীতে টেন্সর ক্যালকুলাসের (রেইমানিয়ান জিওমেট্রি) মাধ্যমে এটার সমাধান করেন এবং সেই সমাধান ভরযুক্ত বস্তুর ক্ষেত্রেও একই থাকল। অর্থাৎ, নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের আর প্রয়োজনই থাকল না। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষনীয়, নিউটন কিন্তু তার মহাকর্ষ সূত্রে কোন কার্য-কারণ ব্যাখ্যা করেন নি, কাজেই সূত্রটা ভুল বলা যায় না মোটেই। যদি সূত্রের বাইরে অন্য কোথাও নিউটন এটা বলে থাকেন যে, শুধুমাত্র ভরের কারনেই আকর্ষণের ব্যাপার ঘটে, তাহলে সেটা ভুল।

উপরে ব্লগার রক্তিম দিগন্তকে বলছি, ফোটনের আসলেই ভর নেই, কিন্তু ভরবেগ ( এখানে ভরবেগ হল ফোর্স, ভর ও বেগের গুণফল নয়) আছে। কারণ ভর নিজেই এখন আর পরম কোন রাশি হিসেবে গৃহীত নয়। এটার ইংগিত উপরে দরবেশমুসাফির করেছিলেন, কিন্তু লেখক সেটা এড়িয়ে গিয়েছেন হয়তো কোন কারনে। ( F=ma এবং E=mc^2 এর মধ্যেই ইংগিতটা পাবেন) @ রক্তিম দিগন্ত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

তানজিলা রহমান বলেছেন: কোনটা এড়ানোর কথা বললেন বুঝলাম না :)
ফোটনের মোমেন্টাম তো আইন্সটাইন এর সূত্রেই পাওয়া যায়, তাই নয় কি?
যেখানে,
E²=m²c⁴+p²c²
ফোটনের ক্ষেত্রে যেহেতু m=0
E²=0²c⁴+p²c²
E²=p²c²
E=pc
p=E/c
ভর নিস্প্রয়োজন!

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

রেজা এম বলেছেন: পুরান ঢাকার পুরান কথা !!!!
নতুন কি কইলেন আপা ????
B-) X(( ;)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

তানজিলা রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানের কোনো কথাই পুরোনো হয় না।
আর হ্যা সবাই এক ধরনের না, কথার মাঝে অমার্জিত ভাব অপছন্দনীয়।

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

ভারসাম্য বলেছেন: আমার মন্তব্যের ওই অংশটা ( ফোটনের ভর নেই, কিন্তু ভরবেগ আছে) যদিও ব্লগার 'রক্তিম দিগন্ত' -এর উদ্দেশ্যে বলা, তবে এই পোস্টের লেখক হিসেবে, সেটার ব্যাখ্যা দেয়া যেহেতু আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তাই এড়িয়ে যাবার কথা বলেছি। ৩ ও ৮ নং মন্তব্যে দরবেশ মুসাফিরও এটার উল্লেখ করেছিলেন।

যাই হোক, ভর জিনিসটি আসলে কী, সেটা বোঝানো গেলে হয়তো ভরশূন্য কোন কিছুরও ভরবেগ থাকা সম্ভব সেটা বোঝানো সহজ হবে। আমার আগের মন্তব্যটির উত্তরে, আপনার দেয়া সমীকরণটি ঠিক আছে, কিন্তু এটা ব্যাখ্যা হিসেবে যথেষ্ট নয় সাধারণ পাঠকদের জন্য। আমি নিজেও এখানে একজন সাধারণ পাঠকমাত্র। ;)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

তানজিলা রহমান বলেছেন: ওহ আচ্ছা,ফোটনের ভর নেই, কিন্তু ভরবেগ আছে এটা আগেও একবার বলেছিলাম দেখে পরে আর বলিনি।

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: লেখকের সাথে আমার শুধু একটি বিষয়েই মতভেদ। আর সেটা হচ্ছে নিউটনের থিওরিকে "ভুল" বলা।

আপনি তখনই কোন বৈজ্ঞানিক থিওরিকে ভুল বলতে পারবেন যখন সেটা আর কোন ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না অথবা সেটাকে সকল ক্ষেত্রেই অন্য কোন সুত্র দ্বারা রিপ্লেস করা হয়।

আপনি নিজেই বলেছেনঃ

নিউটনিয় সমীকরন আমাদের সাধারন জীবনযাত্রায় যথেষ্ট কারন এর মান কিছুটা কাছাকাছি।(কিছুটা কাছাকাছি না হয়ে প্রায় কাছাকাছি হবে)

অর্থাৎ একে এখনও সকল ক্ষেত্রেই অন্য কোন সুত্র দ্বারা রিপ্লেস করা হয় নি। তাই একে একেবারে ভুল বলা যায় না। আপনি যদি ব্যবহারিক বিজ্ঞান চর্চা করেন তাহলে আপনি দেখবেন কোন রাশির জন্য আমরা বেশ কয়েকটি মান বিবেচনা করে তার গড় ধরে নেই। এক্ষেত্রে ওই রাশির কোন মানকে আলাদাভাবে আমরা "ভুল" ধরে নেই না। থিওরিটিকাল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও কিন্তু অনেকগুলো সুত্র যারা একই বিষয় নিয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেয় তাদের এভাবেই দেখা হয়। কোন সুত্রই পুরোপুরি ভুল বলা হয় না। যদি ভুল হয় তবে অন্য কোন সুত্র দিয়ে সেটা পুরোপুরি রিপ্লেস করা হয়। যা এখনও নিউটনের সুত্রের ক্ষেত্রে করা হয় নি। তাই আপনি নিউটনের সুত্রকে ডাইরেক্ট ভুল বলতে পারেন না।

কারন এধরনের কথা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র না তাদেরকে এবং যারা মাত্র পদারথবিজ্ঞান শিখছেন তাদেরকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে।


২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৭

তানজিলা রহমান বলেছেন: যেটা ভুল তথ্য দেয় সেটাই তো ভুল, নয় কি? যাই হোক যেহেতু এটি আমাদের সাধারন প্রয়োজনের জন্য সেহেতু ঠিক আছে। কিন্তু বিজ্ঞানকে গভীর ভাবে জানতে আমরা সঠিকটার প্রাধান্যই দিয়ে থাকি। অন্তত এটা তো জানা দরকার যে সূত্রের অর্ধাংশই পুরোপুরি ভুল নতুবা আমরা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারব না।

২২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ফোটনের ভর নিয়ে লাগলো কেন সবাই বুঝলাম না। যেটা নাই, সেটা তো আর জোর করে খাটানো যায় না। তবে একটা ভালো প্রশ্ন হতে পারতো হিগস ফিল্ডের সাথে ফোটনের কোনো ইন্টারেকশন আছে কিনা!


নাইস পোস্ট আর স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.