নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে মানুষ টার আশা ছিল কবি হবার, তাইতো আজও স্বপ্ন দেখে শিকল ভাঙ্গার, বাকি জীবন বাউল হয়ে পথে হাটার ।

তানভীর আহমেদ সম্রাট

যদিও এখন শীতকাল, তাই বলে কি বসন্ত খুব বেশী দূরে!

তানভীর আহমেদ সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমিক্স- স্পাইডার ম্যান !

২১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৪


মার্ভেল কমিক্স হল যুক্তরাষ্টের অন্যতম বৃহৎ কমিক্স প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। মার্ভেল কমিক্স মূলত এর অনিমানবীয় চরিত্র স্পাইডার-ম্যান, এক্স-ম্যান , ফ্যান্টাস্টিক ফোর, আয়রন ম্যান, দি হাল্ক, থর, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, এবং ডেয়ারডেভিল ইত্যাদি চরিত্রের জন্য বিখ্যাত । মারভেল কমিক্সের অতিমানবীয় চরিত্রগুলো মূলত মারভেল ইউনিভার্সের নামে পরিচালিত হয়। এই চরিত্রগুলো অনেকসময় বাস্তব জীবনের শহর যেমন নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলস এবং শিকাগোকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।


১৯৬১ সালের নভেম্বর মাস। মার্ভেল কমিকস এক নতুন কমিক সিরিজ প্রকাশ করে, যার নাম, ফ্যান্টাস্টিক ফোর। মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক, ইনভিসিবল ওম্যান, হিউম্যান টর্চ, দ্য থিং- এই চার সুপারহিরোর দলটি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আবার সে বছরের জুনে মার্ভেল কমিকস ‘অ্যামেইজিং ফ্যান্টাসি’ নামে একটি কমিকস ম্যাগাজিনও প্রকাশ করতে শুরু করে। কমিকস-পাঠকদের সুপারহিরোর প্রতি আগ্রহ, নতুন ম্যাগাজিন-- সব মিলিয়ে তারা আরেকটি নতুন সুপারহিরো তৈরির কথা ভাবতে শুরু করে; বিশেষ করে মার্ভেল কমিকসের মূল লেখক স্টেন লি।


১৯৬২ সালে স্টেন লি এক নতুন সুপারহিরোর পরিকল্পনা করলেন। সে অনুযায়ী স্পাইডার-ম্যানকে আঁকলেন স্টিভ ডিটকো।
অনেক সাক্ষাৎকারেই লি এই মজার গল্পটি বলেছেন। চরিত্রটির কথা যখন ভাবছিলেন, হঠাৎ লি দেখলেন, একটা মাকড়সা দেয়ালে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আর তখুনি লি মাকড়সা-মানব তৈরির পরিকল্পনা করে ফেললেন।
এমনিভাবে, ১৯৬২ সালের অগাস্ট মাসে, ‘অ্যামেইজিং ফ্যান্টাসি’র ১৫ নম্বর সংখ্যায় জন্ম হয় সব্বার প্রিয় স্পাইডার-ম্যানের। কমিকে স্পাইডারম্যানকে প্রায়ই স্পাইডি, ওয়েব-স্লিঙ্গার, ওয়াল-ক্রলার বা ওয়েব-হেড নামেও ডাকা হয়।


গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, নিউ ইয়র্ক সিটির বাসিন্দা স্কুলছাত্র পিটার পার্কার তার আঙ্কেল বেন ও আন্ট মে এর ঘরে বেড়ে উঠছে। স্কুলের এক প্রদর্শনীতে এক তেজস্ক্রিয় মাকড়শার কামড়ে সে মাকড়শার মতো ক্ষিপ্রতা আর ক্ষমতা লাভ করে। স্পাইডার সেন্স এর মাধ্যমে সে কোনো আক্রমণের আগেই বুঝতে পারে। তার বৈজ্ঞানিক দক্ষতা দিয়ে সে একটি ছোট যন্ত্র তৈরি করে যা দিয়ে আঠালো জাল নিক্ষেপ করা যায়। শুরুতে জনপ্রিয় হবার জন্য সে একটি পোশাক তৈরি করে এবং এর নাম দেয় স্পাইডারম্যান। স্পাইডার ম্যানে রুপান্তর হবার পর পিটার যেসব অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে তাহোল, দেয়াল বেয়ে উঠার ক্ষমতা, শক্তিশালী জাল নিক্ষেপের ক্ষমতা, ক্ষিপ্রতা, শারীরিক কসরত দেখানোর ক্ষমতা, খালি হাতে লড়াই করার ক্ষমতা, অসাধারণ বুদ্ধিমাত্রা, আশ্চর্য পর্যবেক্ষণ শক্তি, তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়াশীলতা ইত্যাদি। একদিন সে এক চোর কে বাধা না দিয়ে পালানোর সুযোগ দেয় এবং পরবর্তীতে আবিষ্কার করে একই ব্যক্তি তার আঙ্কেল বেনকে হত্যা করেছে। স্পাইডারম্যান পরবর্তীতে হত্যাকারীকে খুজেঁ বের করে এবং প্রতিশোধ নেয় এরপর তার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সে জনকল্যান মূলক কাজ করতে থাকে ও নিউ ইয়র্ক সিটিকে নানা বিপদ থেকে মুক্ত করতে থাকে।


স্পাইডারম্যান হল পৃথিবী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল সুপারহিরোর একটি। মারভেল কমিকসের ফ্ল্যাগশিপ চরিত্র এবং কোম্পানির মাস্কট হিসেবে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হাজির করা হয়েছে; যেমন, এনিমেটেড বা মোশন টিভি সিরিয়াল, সংবাদপত্র এবং একটি জনপ্রিয় মুভি সিরিজ যার প্রথম তিন পর্বে অভিনয় করেছেন অভিনেতা টোবি ম্যাগুয়েরে। এমেইজিং ফ্যান্টাসিতে প্রকাশিত হবার পর থেকে স্পাইডারম্যান মারভেল কমিকসের বেস্ট সেলিং কমিকস হিসেবে চলতে থাকে।


তাই বন্ধুরা এখনও যদি আমরা এই জনপ্রিয় কমিক্স বইয়ের স্বাদ পেয়ে না থাকি তাহলে আজই বাজার থেকে কিনে এনে বাড়ীর ছোট বড় সকলে মিলে আমাজিং স্পাইডার ম্যানের এই কমিক্স গুলি পড়া শুরু করে দেই...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.