নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টারজান০০০০৭

টারজান০০০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Brain Drain : কাকের বাসায় কোকিলের ছাও ! দেশটা আসলে কাদের ???

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৯



১. বুদ্ধুজীবী (বুদ্ধিজীবী নহে !) সম্প্রদায়ের প্রতি আমার অপছন্দ নতুন নহে। ইহাদের সাথে চলিতে চলিতে , ইহাদের ভণ্ডামি দেখিতে দেখিতে আমার মতন মুখ্যু-সুখ্যু, সাধ-সিধা টারজানও বুদ্ধুজীবী হইয়া হইয়া যায় কিনা সেই ভয়ে থাকি । ইহাদের প্রতি আমার রাগও কম নহে। ইহারাই জাতির কর্ণধার , দিক-নির্দেশক, বীকন ! জাতির এই অধঃপতনে ইহাদের ভূমিকা , ভণ্ডামি, কাপুরুষতাই বহুলাংশে দায়ী। ইহারা মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করিতে , সত্যকে বিভ্রান্ত করিতে , আড়াল করিতে অসৎ , স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতালিপ্সু গোষ্ঠীকে সহায়তা করায় জাতি দিকভ্রান্ত। এহেন বুদ্ধুজীবী সম্প্রদায়ের প্রতি অপছন্দ তাই অকারণে নহে !

২. আমার গুরুর নির্দেশে এহেন বুদ্ধুজীবী সম্প্রদায়ের সাথে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাইতে হয়। প্রোগ্রামে গেলেও সযতনে ইহাদের ঘনিষ্ঠতা এড়াইয়া চলি। তবে সবসময় সম্ভব হয় না। সম্প্রতি গেলাম ICPC(International Collegiate Programming Contest) র ন্যাশনাল ইভেন্টে ! বিশাল যজ্ঞ ! প্রায় ৮৫০ প্রতিযোগী। ইহারা আসিয়াছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ,কলেজ হইতে পোগ্রামিং কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করিতে। ইহারা জাতির মেধাবী সন্তান। খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ সন্দেহ নাই ! বিশাল আয়োজন আর অংশগ্রহন দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া গেলাম। ঘুরিয়া ঘুরিয়া দেখিতে দেখিতে আয়োজকদের দুইজন প্রফেসরের সাথে দেখা হইল। ইহাদের সাথে আলাপ-ঘনিষ্ঠতা আছে। প্রটোকল ভাঙিয়া ইহাদের সাথে মাঝে মাঝেই আলাপ হয় যাহা সর্বসাধারণ্যে অনেক সময়েই সম্ভব হয় না। বিশাল আয়োজনের প্রশংসা করিয়া তাহাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাইলাম। আলোচনা হঠাৎ ভিন্ন প্রসঙ্গে চলিয়া গেল।

৩. প্রফেসর, যিনি দীর্ঘদিন বিদেশে কাটাইয়া আসিয়াছেন, যাহার চেহারা চাল-চলনও বিদেশিদের মতোই , হঠাৎ বলিলেন , কি লাভ এই আয়োজনের ! ইহারা কেহ দেশে থাকিবে না, দেশে আসিবেও না। ইহাদেরকে আসলে আমরা বিদেশের জন্য বানাইতেছি। ইহাদের দিয়া দেশের কোন উপকারে আসিবে না , ইহারা দেশে থাকিবে না , দেশে কান্ট্রিবিউট করিবে না ! আপনি খোঁজ নিয়া দেখেন , বুয়েট/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমগুলো দেশে নাই , দেশে আসবেও না ! অপর প্রফেসর আরও আশ্চর্যজনক কথা শুনাইলেন ! তিনি তাহার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব প্রবাসীদের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখেন ! তিনি বলিলেন, অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত যাহারা বিদেশে থাকেন তাহারা দেশে মসজিদ , মাদ্রাসা, ইস্কুল,কলেজে দান খয়রাত করেন ,ফ্যামিলিতে টাকা পাঠান ! আর শিক্ষিত যাহারা থাকেন তাহারা যোগাযোগ করেন দেশে তাহাদের যাহা আছে তাহা বিক্রয় করিয়া তাহাদের কাছে টাকা পাঠাইয়া দিতে। দিনের পর দিন তাহারা ফোন করেন এই উদ্দেশ্যে। ইহারা দেশে টাকা পাঠান না , ফ্যামিলিতেও না , দানতো দূরের কথা ! প্রথম প্রফেসর বলিলেন , ইহাদের দ্বারা হইবে না। দেশের অশিক্ষিত ,অল্প শিক্ষিত ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ইহাদেরকেই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া দেশ চালানোর ব্যবস্থা করিতে হইবে !

৪. তাহাদের আলোচনা শুনিয়া ধাক্কা খাইলাম ! সত্যিইতো, জনগণের টাকায় , দেশের টাকায় আমরা কি তবে কোকিলের ছাও পালিতেছি? চোখ ফুটিলে ইহারা কি কোকিলের বাসায় চলিয়া যাইবে ? দেশ কি তবে ইহাদেরও নহে ?
আমাদের নেতা-খ্যাতা, এলিটদের পোলাপাইন বহু আগেই কোকিলের ছাও হইয়া গিয়াছে ! ইহারা দেশে আসিবে না , দেশের প্রতি ইহাদের টান নাই , দায়বদ্ধতা নাই ! মধ্যবিত্ত , নিম্নবিত্তদের মধ্যেও যাহারা জাতে উঠিতেছে তাহারাও কোকিলের ছাও হইয়া যাইতেছে ! তাহা হইলে দেশের কি হইবে ?
দেশ কাহাদের হইবে ?

৫. প্রফেসরদের আলোচনা সর্বাংশে সমর্থনযোগ্য নহে ! কোকিলের ছাওদের একার দোষ নহে। আমরা তাহাদের উন্নতির সিঁড়ি দিতে পারিতেছি না। তাহাদের সম্মানজনক পদ, পদবী , সম্মানী দিতে পারিতেছি না ! নোংরা রাজনীতির শিকার তাহারা হইতে চাহেন না , ইহাতে তাহাদের দোষ দেওয়া যায় না ! আমার নিকটাত্মীয় একজন নোংরা রাজনীতি পছন্দ করেন না বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছাড়িয়া বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন ! সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, গবেষণার পাশাপাশি দেশেও গবেষণাগার গড়িয়াছেন যেখান হইতে আমাদের দেশেরই ছাত্ররা ১০০ র বেশি পাবলিকেশন বিভিন্ন ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশ করিয়াছেন। দেশের প্রতি তাহাদের দায়বদ্ধতা নাই এমনটা সর্বাংশে সত্য নহে ! তবে বিপরীত চিত্রও কম নহে। আমারই একজন প্রফেসর ছুটি লইয়া বিদেশে পিএইসডি করিলেন। দেশে আসিয়া প্রমোশন ও ছুটিকালীন টাকা লইয়া বিদেশে ভাগিয়া গেলেন !

৬. সর্বাংশে সত্য না হইলেও প্রফেসরদের আলোচনা অমূলক নহে তাহার বাস্তব নমুনা বহুল পরিমানে দেখা যাইতেছে ! কোকিলের ছাও পালিয়া বাস্তবেই দেশের কি লাভ হইবে , দেশ কি পাইবে তাহা ভাবিয়া দেখিবার সময় আসিয়াছে। ইহারা যদি দেশে কন্ট্রিবিউট না করে , দেশের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকে তাহা হইলে বিকল্প ভাবিতে হইবে ! কোকিলের ছাও না পালিয়া কাকের ছাওকেই পালিতে হইবে, ইহাদেরই গড়িতে হইবে। অথবা কোকিলের ছাও কিভাবে কাকের বাসায় ফিরিয়া আসিয়া কন্ট্রিবিউট করে তাহা ভাবিতে হইবে ,উপায় বাহির করিতে হইবে !

(ব্যস্ততার দরুন মন্তব্যের জবাব যথাসময়ে দেওয়া সম্ভব হইবে না বিধায় দুঃখিত !)

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেশটা আসলে রাজনীতিবিদদের। আবার দেখা যায় এরাও একসময় সুযোগ বুঝে বিদেশে পাড়ি জমায়।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আসলে বিদেশিদের ! ইহারাই ক্ষমতা অনুমোদন করে , ক্ষমতায় বসায় ! রাজনীতিবিদরা পাপেট মাত্র ! এই দেশগুলো ব্রিডিং কান্ট্রি ! এখানে উৎপাদিত দ্রব্য , জন্মগ্রহণকারী মেধাগুলোকে নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়ে নিজেদের দেশ সমৃদ্ধ করে !

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি তো মাদ্রসার থিংক ট্যাংকদের সাথে থাকার কথা, ওখানেই থাকেন।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ কোকিলের বুড়ো ছাও ! :D

মাদ্রসার থিংক ট্যাংকদের সাথে থাকিতে পারিলে নিজেকে মহা সৌভাগ্যবান ভাবিতাম ! অবশ্য বুদ্ধুজীবী হইয়া অন্যের ইয়ে আহত করার দুর্ভাগ্য যে হয় নাই ইহাতেই শুকরিয়া !

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


যা দৃশ্য, কিছুদিন সবার টার্গেট হবে পড়াশোনা করেই বিদেশ যাত্রা।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহা অলরেডি টার্গেটেড ! যে পরিমান brain drain হইতাছে, আমার মতন টারজান আর লাস্ট বেঞ্চাররাই শুধু দেশে থাকিবে ! কাকের ছাও নিয়াই থাকিতে হইবেক !

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। আসলে আমরা যাদেরকে কোকিলের ছাও বলে চালিয়ে দিতে চাইছি আসলেই কি তারা কোকিলের ছাও? না। তারা আমার আপনার মতোই কাকেরই ছাও। যারা দেশের দন্ড-মুন্ডের মালিক তাদের ভুল ও অপরিণামদর্শিতার কারণেই কাকের ছাওগুলা কোকিলের মতো আচরণ করছে।

যারা রাষ্ট্রের কর্ণধার তাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা দরকার।

ইন্ডিয়াতে রাজীব গান্ধীকে তার কাছের লোকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন যে হারে দেশের ছাত্ররা ইউরোপ-আমেরিকায় পারি জমাচ্ছেন এর ভবিষ্যত খারাপ হতে পারে। তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন ওঁরা হচ্ছে আমাদের দেশের বিনিয়োগ। সত্যিই রাজিবগান্ধীর বিনিয়োগ মুনাফা সহ ইন্ডিয়াতে ফিরে এসেছে, আসছে। কিন্তু আমাদের নীতিনির্ধারণকারীদের এ বিষয়ে কি কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে বলে মনে হয়?

আল্লাহ না করুন, যারা পশ্চিমকে আজ নিজেদের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল বানাচ্ছেন, পশ্চিমা সভ্যতার যদি পতন হয় তারা কি করবেন? কোথায় যাবেন?

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। আসলে আমরা যাদেরকে কোকিলের ছাও বলে চালিয়ে দিতে চাইছি আসলেই কি তারা কোকিলের ছাও? না। তারা আমার আপনার মতোই কাকেরই ছাও। যারা দেশের দন্ড-মুন্ডের মালিক তাদের ভুল ও অপরিণামদর্শিতার কারণেই কাকের ছাওগুলা কোকিলের মতো আচরণ করছে।
ইহা সত্য ! ইহারা আমাদেরই সন্তান ! ইহাদের সর্বাংশে দোষ দেওয়া যায় না ! আমরা তাহাদের উন্নতির সিঁড়ি, সম্মানজনক পদ ,পদবি, সম্মানী দিতে পারিতেছি না। নোংরা রাজনীতি হইতে বাচাইতে পারিতেছি না !

যারা রাষ্ট্রের কর্ণধার তাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা দরকার।

উনাদের নিজেদের ছাও অনেক আগেই কোকিলের ছাও হইয়া গিয়াছে ! উনারাও পেতে গ্যাস হইলেই বিদেশে দৌড়ান ! উনাদের ভাবিবার সময় কোথায় ?

ইন্ডিয়াতে রাজীব গান্ধীকে তার কাছের লোকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন যে হারে দেশের ছাত্ররা ইউরোপ-আমেরিকায় পারি জমাচ্ছেন এর ভবিষ্যত খারাপ হতে পারে। তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন ওঁরা হচ্ছে আমাদের দেশের বিনিয়োগ। সত্যিই রাজিবগান্ধীর বিনিয়োগ মুনাফা সহ ইন্ডিয়াতে ফিরে এসেছে, আসছে। কিন্তু আমাদের নীতিনির্ধারণকারীদের এ বিষয়ে কি কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে বলে মনে হয়?
বিদেশে আমাদের কমিউনিটি বন্ডিং শক্তিশালী নহে। একজন ভারতীয় বিদেশে গেলে কমিউনিটিতে শক্তিশালী আশ্রয় পায় ! তাহারা দেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে। তাই তাহারা ভারতের জন্য বিনিয়োগ ! আমাদের কমিউনিটি ইহা পারে না ! শেকড় ভুলিয়া যায় ! আমাদের কূটনৈতিক মিশনগুলোও ডিম্ পাড়ে। কমিউনিটি বন্ডিংয়ে কোন কাজ করে না। তাই দেশের লোকও দেশ নিয়ে ভাবিবার আগ্রহ পায় না !

আল্লাহ না করুন, যারা পশ্চিমকে আজ নিজেদের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল বানাচ্ছেন, পশ্চিমা সভ্যতার যদি পতন হয় তারা কি করবেন? কোথায় যাবেন?
সত্যিই তো , কোথায় যাবে ! শিক্ষিত বিদেশিরা আজ দেশের ভিটেমাটিও বিক্রি করিয়া যাইতেছে !

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মেধাবীরা দেশের বাইরে চলে গেলে দেশের তেমন ক্ষতি হয় না। কারণ, সব সময় কিছু মেধাবী দেশে থেকে যায় ও কিছু ফেরতও আসে। দেশের ক্ষতি করে আসলে রাজনীতিবিদরা। তারা যেদিন সৎ হয়ে যাবে সেদিন দেশও ঠিক হয়ে যাবে...

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মেধাবীরা দেশের বাইরে চলে গেলে দেশের তেমন ক্ষতি হয় না।
দেশের অবশ্যই ক্ষতি হয় , কারণ দেশ মেধা হারায় ! একারণেই ১৯৭১ এ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ক্ষতি অপূরণীয় !

কারণ, সব সময় কিছু মেধাবী দেশে থেকে যায় ও কিছু ফেরতও আসে।
খোঁজ নিয়ে দেখেন কি পরিমান যাইতেছে , আর কি পরিমান আইতাছে ? দেশে যেসমস্ত মেধাবীরা আছেন তাহাদের বেশিরভাগই বুদ্ধুজীবী ! বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন করার ক্ষমতা তাহাদের নেই ! যাহাদের আছে তাহারা নোংরা রাজনীতির ভয়ে সামনে যান না !

দেশের ক্ষতি করে আসলে রাজনীতিবিদরা। তারা যেদিন সৎ হয়ে যাবে সেদিন দেশও ঠিক হয়ে যাবে !
রাজনীতিবিদগণ আমাদের ম্যাংগোপিপলের মধ্য হইতেই আসে ! জাতি হিসেবে আমরা যেদিন ভালো হইতে চাইবো , সেদিন ভালোর দিকে যাইবো !

রাজনীতিবিদগণের বেগম পাড়া আছে , তাহাদের পোলাপাইন কোকিলের ছাও অনেক আগের থেকেই ! দেশ নিয়ে তাহাদের মাথাব্যথা নাই ! দেশ হইলো তাহাদের কাছে ব্যবসাক্ষেত্র , টাকা বানানোর উপায় ! মেধাবীদেরই দেশ গড়ার চেষ্টা করিতে হইবেক !

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
উচ্চ স্তরের লেখা।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: GPA-5 ?

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে লিখলেন মনে হয়!আশা করি ভাল আছেন?

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: :D
এই ছবির কারণে সামু আমার পোস্ট খাইয়া দিছে ! X(( প্রতিবাদে আমার সব পোস্ট ড্রাফটে নিছি ! এইডাও নিবো !

আলহামদুলিল্লাহ , ভালো আছি ! আপনি ?

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগছে আপনার লিখা দেখে, অনেক দিন পর।

ব্রেইন ড্রেইন ভয়াবহ অবস্থায় চলছে। হয়তো এক সময় দেশে ছাবড়া থাকবে। আর আমার বিশ্বাস উপরেওয়ালারা ছাবড়াই চায়, অন্য কিছু না।

পাশের দেশে ব্রেইন ড্রেইন না, উল্টো বাইরের থেকে ব্রেইন ফুল করে দেশে ড্রেইন করে বলেই তারা আকাশে উঠে যাচ্ছে। অস্কার নিয়ে নোবেল নিয়ে দেশে ফিরছে।...............

২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ব্রেইন ড্রেইন ভয়াবহ অবস্থায় চলছে। হয়তো এক সময় দেশে ছাবড়া থাকবে। আর আমার বিশ্বাস উপরেওয়ালারা ছাবড়াই চায়, অন্য কিছু না।

উপরেওয়ালাদের জন্য দেশ একটি ব্যবসা ক্ষেত্র ! তাহারা মেধা তৈরী দেশে রাখার জন্য কিছু করিবে না , প্রয়োজনে বিদেশ থেকে হায়ার করিবে ! এরইমধ্যে দেশের জব সেক্টরে ভারতীয় , শ্রীলংকান , চীনারা ভরিয়া গিয়াছে !

পাশের দেশে ব্রেইন ড্রেইন না, উল্টো বাইরের থেকে ব্রেইন ফুল করে দেশে ড্রেইন করে বলেই তারা আকাশে উঠে যাচ্ছে। অস্কার নিয়ে নোবেল নিয়ে দেশে ফিরছে।

ফেরার সংখ্যা কমই ! তবে ফেরার চেষ্টা আছে ! আমাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা নেই !

দুঃখিত। প্রিয়জনের অসুস্থতা , হাসপাতাল ডিউটি , মৃত্যু , কামলাগিরি , বিষন্নতা , সব মিলিয়ে দেরি হয়ে গেলো !

৯| ২০ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আইন করলে কেমন হয়? বিদেশ যেতে পারবে না। তাহলে মাস্টার্স পিএইচডি করার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা আর বাইরে দৌড়াবে না। ডাক্তাররা লাইসেন্স এক্সাম দিয়ে দেশ ছাড়ার জন্য চেষ্টা করবে না। অন্য গ্রাজুয়েটরা বাইরে পড়তে যাবে না। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে আইন অনুযায়ী সাজা হবে। এমন করলে কেমন হতো? এইটাই বাদ আছে। আস্তে আস্তে এই রকম আইন বের করার জন্যও উস্কান। আপনি কি হসপিটালিনের ফাউন্ডার ডাঃ জুবায়ের?

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সর্বাংশে সত্য না হইলেও প্রফেসরদের আলোচনা অমূলক নহে তাহার বাস্তব নমুনা বহুল পরিমানে দেখা যাইতেছে ! কোকিলের ছাও পালিয়া বাস্তবেই দেশের কি লাভ হইবে , দেশ কি পাইবে তাহা ভাবিয়া দেখিবার সময় আসিয়াছে। ইহারা যদি দেশে কন্ট্রিবিউট না করে , দেশের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকে তাহা হইলে বিকল্প ভাবিতে হইবে ! কোকিলের ছাও না পালিয়া কাকের ছাওকেই পালিতে হইবে, ইহাদেরই গড়িতে হইবে। অথবা কোকিলের ছাও কিভাবে কাকের বাসায় ফিরিয়া আসিয়া কন্ট্রিবিউট করে তাহা ভাবিতে হইবে ,উপায় বাহির করিতে হইবে !
৬ নম্বর প্যারার পুরোটাই তুলিয়া দিলাম ! দেখুনতো ওখানে কি একপেশে কিছু বলা হইয়াছে ? সমস্যা ও সমাধান দুইটাই উল্লেখ করা হইয়াছে ! উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাহিরে যাইতে নিষেধ করা হয় নাই ! কিন্তু দেশের বাহিরে গিয়া দেশকে ভুলিয়া যাওয়া , ভিটা-মাটি বিক্রি করিয়া দেশ কে বিদায় দেওয়া , দেশের প্রতি কোনরকম কন্ট্রিবিউশন না রাখা কি অকৃতজ্ঞতা নহে ?

১০| ২০ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: যদি প্রাইভেসি নষ্ট হয়৷ আমার উপরের কমেন্টটি মুছে দিবেন। আবার যাকে ভাবছি আপনি উনি না হোন, তাহলে তো সমস্যা নাই :)

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমি টারজান ! ও ও ওওওওওওও :D

১১| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: কন্ট্রিবিউশান রাখে না এইটা খেলো কথা। রাখে, রাখার উপায় কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে উপরের মহলে কাজ করা যেতে পারে৷ কোকিলের ছাও কথাটায় আমার আপত্তি আছে। এই বাক্যাংশটা তখনই ব্যবহার করা যেত, যখন প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের মান একই হতো। এইখানে অনেক জায়গায় তো ছাও ফোটানো হয় নাই, পালন করা দূরের কথা। আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে বাইরের কোন দেশ বা ইউনিভার্সিটিও এই দেশ থেকে যে গেছে তাকে শিক্ষাজীবনে সেখানে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত সাহায্য করে নাই। বিষয়টি অনেকটি ব্যক্তিগত ( অন্তত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য)
তাই রাশভারি কথা বললে আর যারা চলে গেছে তাদের সমালোচনা করে আত্নতৃপ্তিতে ভূগলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে, এটাই মনে হচ্ছে। আসলে সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা একসাথে জড়িত। একটা নষ্ট হলে বা ফাংশন না করলে বাকিগুলোর কাজও ঠিক মতোন হবে না। এর মধ্যে কৃতজ্ঞতা আর অকৃতজ্ঞতার লেভেল ঠিক করে দেওয়া বা জাস্টিফাই করাও বেমানান। আর শেষে বলি, ওই প্রফেসরদের আমার বিনীত জিজ্ঞাসা,বিকল্প ভাবা শব্দটা কি থ্রেট বা কিছুটা স্বৈরাচারী মসলাযুক্ত?

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কন্ট্রিবিউশান রাখে না এইটা খেলো কথা। রাখে, রাখার উপায় কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে উপরের মহলে কাজ করা যেতে পারে৷

এটাতো আমিও বলিয়াছি , "প্রফেসরদের কথা সর্বাংশে সত্য নহে !" উদাহরণও দিয়াছি ! তবে রাখার পরিমানটা ব্যতিক্রম ! ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হইতে পারে না !

কোকিলের ছাও কথাটায় আমার আপত্তি আছে। এই বাক্যাংশটা তখনই ব্যবহার করা যেত, যখন প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের মান একই হতো। এইখানে অনেক জায়গায় তো ছাও ফোটানো হয় নাই, পালন করা দূরের কথা। আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে বাইরের কোন দেশ বা ইউনিভার্সিটিও এই দেশ থেকে যে গেছে তাকে শিক্ষাজীবনে সেখানে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত সাহায্য করে নাই। বিষয়টি অনেকটি ব্যক্তিগত ( অন্তত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য)

হ্যা ! ইহা সত্য ! আমাদের ব্যর্থতা আছে। ব্রেন ড্রেইনের অন্যতম কারণ তো আমাদের ব্যর্থতাই ! তবে প্রতিষ্ঠানের কন্ট্রিবিউশন কম বা না থাকিলেও দেশের , দেশের মানুষের তো আছে !

তাই রাশভারি কথা বললে আর যারা চলে গেছে তাদের সমালোচনা করে আত্নতৃপ্তিতে ভূগলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে, এটাই মনে হচ্ছে। আসলে সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা একসাথে জড়িত। একটা নষ্ট হলে বা ফাংশন না করলে বাকিগুলোর কাজও ঠিক মতোন হবে না।

মূল্যবান কথা বলেছেন !

এর মধ্যে কৃতজ্ঞতা আর অকৃতজ্ঞতার লেভেল ঠিক করে দেওয়া বা জাস্টিফাই করাও বেমানান।

দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা , দেশের ভিটামাটি বিক্রয় করিয়া দেশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা , দেশের প্রতি কোন কান্ট্রিবিউশন না রাখাটা কি মনে হয় ? দেশের মাটিতে খেয়ে পড়ে, দেশের প্রতি এমন আচরণ কি প্রশ্নবিদ্ধ নহে ?

আর শেষে বলি, ওই প্রফেসরদের আমার বিনীত জিজ্ঞাসা,বিকল্প ভাবা শব্দটা কি থ্রেট বা কিছুটা স্বৈরাচারী মসলাযুক্ত?

আমার মনে হয় না। উনাদের অন্ততঃ একজনকে আমি জানি , দেশের টানেই দেশে আসিয়াছেন। বিদেশে অবারিত সুযোগ থাকিলেও থাকিয়া যাননি ! উনি আক্ষেপ হইতেই বলিয়াছেন ! এই ক্রিমগুলো দেশের কোন কাজে লাগিবে না ইহার দুক্ষেই বলিয়াছেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.