নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
-বাবা কয়েকটা মাস একটু কষ্ট করতে পারবে না ?
-তোকে বড় করার জন্য সারাজীবনই তো কষ্ট করলাম, কি করতে হবে সেটা বলে ফেল...
-সামনের মাসে এই ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিতে হবে। গুলশানের দিকে একটা ফ্ল্যাট পেয়েছি কিন্তু সেটা অনেক ছোটো মাত্র তিন রুমের।
-বাহ ভালো হবে তো। এবার আরামসে থাকা যাবে...
-বাবা মাত্র তিন রুমের ফ্ল্যাট। একরুমে আমি আর ও থাকবো আরেকটায় রুমী আর অন্যটা গেস্টরুম... তোমার জন্য রুম ম্যানেজ করতে পারিনি
-ওহ আমি নাহয় গেস্টরুমেই শুয়ে নেবো আর গেস্ট আসলে দাদুভাইয়ের সা...
-কি যে বলো বাবা!! তারচেয়ে আমি বলি কি এই একটা মাস তুমি একটু কষ্ট করো না! অবশ্য কষ্টও হবে না তোমাকে।
-কি বলছিস কিছুই তো বুঝতে পারছি না!
-বাবা উত্তরায় একটা যে নতুন বৃদ্ধাশ্রমটা সেখানে এই একটা মাস কাটিয়ে এসো। রাজার হালে থাকবে। শুধু একটু দূরত্ব এই যা।
-ও
-তারপরের মাসেই দেখো আরেকটা বাসা নিয়ে নেবো বড় দেখে। তোমার জন্য আলাদা রুম থাকবে।
-না না সেটা কোনো ব্যাপার না।
-তাহলে বাবা এই মাসটা একটু স্যাক্রিফাইস করো না !
-অঁ হ্যাঁ হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই। কবে নিয়ে যাবি বল আমি ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে রাখি গে
-আজকে বিকেলেই .. চিন্তা করো না আমি দুদিন পর পরই তোমার ব্যাগপত্র সব দিয়ে আসবো। তোমার বৌমাই গুঁছিয়ে দিবে
-যা ভালো মনে করিস! তুই আরামে থাকলেই আমার শান্তি
মাস তিনেক পর...
-এখানে কি মাহিন চৌধুরি থাকে ?
বাড়ির দাড়োয়ান সেলিম উল্লাহ খবরের কাগজটা রেখে তাকালো লোকটার দিকে। হলদে হয়ে যাওয়া তিলে পরা সাদা পাঞ্জাবি পাজামা পায়ে ক্ষয়ে যাওয়া রাবারের স্যান্ডেল আর হাতে একটা মলিন কাগজ
-জ্বি না এই নামে তো কেউ নেই
-ও এখানেও নেই !
-উনি আপনার কে হন ?
-আমার ছেলে ! একমাত্র ছেলে। জানেন আমেরিকা থেকে বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে এসেছে। অনেক পড়াশুনা করেছে, এখন ব্যবসা করে নিজের অফিসও আছে...অনেক ভালো ছেলে। সোনার টুকরা মাহি
-তো চাচা আপনি কি হারিয়ে গেছেন ?
-উঁ
-এটাই কি আপনার ছেলের ঠিকানা ?
-হ্যা এটাই তো দিয়ে বলেছিলো এখানে ও থাকবে কিন্তু জানেন গত এক মাস ধরে প্রায় হাজারখানেক বাসায় নক করেছি খুঁজে পাই নি মাহিকে। ও বলেছিলো দুদিন পর আসবে কিন্তু আজও .....
.....জোড়াতালি দেওয়া চশমাটা খুলে আরিফ সাহেব চোখটা মুছে নিলেন। বুকের বাঁ পাশটা আজ কেমন খালি খালি লাগছে। অনেক হালকা। আকাশের দিকে তাকালেন আরিফ সাহেব, যাবার সময় বোধহয় হয়ে এলো...
-বিশ্বাসঘাতক
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: কাঁদলে মন বেশ ভালো থাকে
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কষ্টের কথা পড়লে চোখে পানি আসে।
লেখায় A++
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কর্পোরেট জীবনাচারের কুফল!!!!
যৌথ পরিবারের যে নীতি, নৈতিকতা, সামাজিকতা, সামষ্টিকতার অনুভব সব ভেঙ্গুচূরে একাকার একক পরিবারের ক্ষুদ্রচিন্তায়, স্বার্থপরতায়!!!
+++
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: বাড়ছে যান্ত্রিকতা, হারাচ্ছে মানুষিকতা :/
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইরকম ছেলে সত্যিই আছে নাকি বাস্তবে?
আমার কেন যেন মনে হয় নেই।
তবে লেখাটা খুবই দুঃখ পাবার মত।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: এতো শুধু গল্প। বাস্তবটা আরো জঘন্য :/
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১
ইদানীং জাহিদ বলেছেন: যান্ত্রিকতা
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাস্তবটা আসলেই আরো জঘন্য কারণ, বাবা-মাকে কষ্ট দিলে খুব একটা শান্তিতে থাকা যায় না। সেইটাই আরো বেশি কষ্ট দেয়। প্রতিনিয়ত অনুশোচনায় পোড়ায়। দুঃখের হলেও সত্য, কেউই কিন্তু কোন গল্পে এই অনুশোচনার কথাটা ফোঁটায় না।
আমি আম্মুর থেকে বেশ দূরেই থাকি। তবে এতটা না যে, নিয়মিত দেখতে যাওয়া যাবে না। কিন্তু সব মিলিয়ে নিয়মিত আম্মুকে দেখতে যাওয়া হয় না। তবে, দেখতে যাওয়া যেত - এইরকম অবস্থায় দেখতে না গেলে - কেমন বাজে একটা অনুভূতিতে পড়তে হয় তা আমি জানি।
যাই বলেন - বাবা-মার থেকে দূরে থাকলে ভাল থাকা যায় না। সাময়িক ভাল হয়তো থাকা যায় - কিন্তু পূর্ণাঙ্গতা থাকে না। আর সাময়িক ভাল থাকার জন্য তো একটা কুকুর ছানাও অনেক ভাল সঙ্গী।
সেই সময় ছেলেটার কেমন লাগতে পারে - এই অনূভূতিটা কেউ একটা গল্পে ফুঁটিয়ে তুলতে পারলে খুব খুশি হতাম।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আজকে কথা বলার ভূত ধরেছে - তাই বেশি বেশি কথা বলছি।
মন খারাপ করবেন না আবার!
আমি আপনার লেখাকে খারাপ বলছি না। মুক্ত আলোচনা করছি।
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: অথচ আজকাল অনেকেই সেই অপূর্ণতার দিকেই ছুটছে... :/
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬
উল্টা দূরবীন বলেছেন: মন খারাপ করার মত লিখা লিখছেন ভাই। তবুও ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কোন সন্তান শান্তিতে থাকতে পারেনা।
মা বাবার প্রতি প্রতিটা সন্তানের যত্নবান হওয়া উচিত।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: ভালো থাকুক সকল বাবা মা
১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের সব ধরণের ঘটনাই ঘটে। বাংলাদেশে ছেলেরা নিজের বউ পেয়ে তাদের বাবা-মাকে দেখে না, আবার এমনও হয়, শশুর-শাশুরী-স্বামী মিলে বউকে অত্যাচার করে। কিছুদিন আগে একটা ভিডিউ দেখলাম, ননদ ও শাশুরী মিলে বাড়ির বউকে নগ্ন করে পেটাচ্ছে। এগুলো অাসলে পরিবারের শিক্ষা। আমার পরিচিত অনেকেই আছে, তারা বাবা-মার দেখাশোনা করেন না, তাদের যুক্তি, তার বাবা মা তাকে পড়াশোনা করতে দিতো না, সে নিজে জোর করে পড়াশোনা করেছে, নিজের টাকায় পড়াশোনা শেষ করেছে! আবার এমনও দেখেছি, নিজের টাকা দিয়ে পড়াশোনা করেও বাবা-মায়ের জন্য জীবন দিয়ে দিচ্ছে। সবই পরিবারের শিক্ষা। আমার বাবারা ৫ ভাই, সবাই যার যার মতন আলাদা হয়ে গেছে, আমার বাবা ও ছোট কাকা কোনদিন আলাদা হননি! বাবা বলেন, বাবা-মা এখনও জীবিত, তাদের রেখে কীভাবে আলাদা হই। আমার ঠাকুরমা-ঠাকুরদাদা আামর মা'র সাথে অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করেছে, তার আমার বাবা কোনদিন আলাদা হননি! আমার বাবা মাত্র থ্রী পর্যন্ত পড়েছেন, আমার ঠাকুরদাদা আমার বাবাকে স্কুলের প্যানট কিনে দিতে পারেননি, খরচ দিতে পারেনি, তাই বাবা স্কুল চালিয়ে যেতে পারেনি। জীবিকার সন্ধানে ঢাকা চলে এসেছেন। বাবা'র বয়স হয়ে গেছে, আমি নিজেই অামার ঠাকুরদাদা-ঠাকুরমার যাবতীয় চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করি, যতদিন তারা বেঁচে থাকবেন করবো। আবার বাবা তার বাবা-মার জন্য যেটা করেছেন, সেটার পুরস্কার যেন আমি তাকে দিতে পারবো, সেই বিশ্বাস নিয়ে আছি। আপনার লেখাটা পড়ে ইমোশনাল হয়ে গেলাম, তাই এতো কথা বললাম। বুড়ো মানুষদের কেউ অবঞ্জা করলে আমার অনেক কষ্ট লাগে।
১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ :/
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই বাস্টার্ড।
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সুলতানা রহমান বলেছেন: বুড়ো বাবা মা দের জন্য কোন জায়গা থাকেনা।
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১
জুন বলেছেন: আগামী দিনগুলোর কথা ভেবে ভয় করছে Mihal Rahwan ।
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
লালপরী বলেছেন: বাস্টার্ড
১৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
মহামতি আইভান বলেছেন: তোমার ফেসবুক আইডিতে বোধয় গল্পটা প্রথম পড়েছিলাম। অসাধারন একটা গল্প। আর গল্প বলেই হয়তো সহ্য করতে পেরেছিলাম। এমন গল্প বাস্তবে কখনোই দেখতে চাই না।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: )
২০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
উদাসিন পথিক বলেছেন: খুব কমন ব্যাপার, তারপরও চোখের পানি আটকাতে পারিনি
২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ঘুনে ধরা সমাজের গল্প! ভালো লিখেছেন...
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
জহুরুল কাইয়ুম বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না!!