নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
রিক্সাওয়ালার সাথে কিছুক্ষণ দর কষাকষি করে অন্য আরেকটা রিক্সার দিকে এগুচ্ছিলো মেহেদি। ভাবটা এমন যেন বনিবনা না হওয়ায় অন্য আরেকটা রিক্সা খুঁজছে। সে জানে লোকটা পেছন থেকে ডাকবে। এই ব্যাপারটা বেশ মজাই লাগে ওর। হলোও তাই...
এশার আজানের খুব বেশি দেরি নেই। রাস্তাঘাট মোটামুটি জ্যাম আছে। সে গিয়েছিলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। আরো কিছুক্ষণ থাকতো কিন্তু হঠাৎ বাসা থেকে জরুরী ফোন এসেছে। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে, তাই উঠে এলো।
ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানে কিছুক্ষণ আগেই তার ক্ল্যানের একটা অংশ তছনছ করে দিয়েছে অন্য ক্ল্যানের শত্রুরা। তাই তার মনোযোগটা এখন পুরোপুরিই মোবাইলের স্ক্রিনে। না হলে দেখতে পেতো বাঁ দিকের গলি দিয়ে আসতে থাকা সাদা মাইক্রো বাসটাকে।
ধুমমমম...
রিকশার সাথে পাশাপাশি লেগেছে মাইক্রোটা। রিকশার চাকাটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। রিকশাওয়ালা শেষ মুহূর্তে দেখায় সরে যেতে পেরেছিলো যদিও হাতের কনুই কেটে বেশ রক্ত ঝরছে তার। আর মেহেদি?
রিকশা থেকে প্রায় দুহাত দূরে পরে আছে। চুল চুইয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে, মাথাটা বোধহয় ফেটে গেছে। শরীরের একটা পাশে কোন সাড়া পাচ্ছে না।
আশেপাশের লোকজন দ্রূত জড়ো হয়ে এসেছে। ধরে ফেলেছে মাইক্রোচালককেও। মাইক্রোর ভেতরে থাকা কালো শার্ট পরা চিকন লোকটা নেমে এলো বেশ হন্তদন্ত হয়েই। একনজর দেখেই বুঝে গেলো অবস্থা বেগতিক। একটু এদিক সেদিক হলেই লোকজনের হাতে মার খেতে হবে। লোকটা বেশ ধূর্ত বলতে হবে। এমন অবস্থায়ও বিচলিত না হয়ে রিকশাওয়ালাকে ডেকে হাজার পাঁচেক টাকা ধরিয়ে দিলো। বেশ ফলপ্রসূ হলো ব্যাপারটা। আশেপাশের লোকজনের গুঞ্জন কিছুটা কমে এলো।
দুই পা এগিয়ে এসে লোকটা এবার নিজের ড্রাইভারকে কষিয়ে চড়ানো শুরু করলো যেন সব দোষ ওই লোকটার। চার পাঁচটা লাগানোর পর হঠাৎই যেন চোখ পরলো মেহদির দিকে। ছেলেটার অবস্থা বেশ গুরুতর, হাসপাতালে নিতে হবে। ছেলেটাকে ধরে মাইক্রোতে উঠিয়ে এবার নিজেই ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসলো সে। অবস্থা এখন পুরোটাই তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আশেপাশের লোকজনের ভিড়ের বৃত্তটা এখন আর নেই বললেই চলে। অনেকে তো আবার লোকটার এমন অভূতপূর্ব ব্যবহারের সরাসরি প্রশংসাই করে বসলো। সামনেই ইবনে সিনা হাসপাতাল, ছেলেটাকে যাচ্ছে বলে ইঞ্জিন চালু করলো লোকটা।
মাঝের সিটে মেহেদি সটান হয়ে শুয়ে আছে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে, সামনের সবকিছুই দুটো করে দেখছে সে। একটু মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকালেই দেখতে পেত তার পেছনের সিটে বসে থাকা দুজন লোকের পকেট থেকে বেরিয়ে এসেছে ভয়ালদর্শন ছুরি। জানালার কালো কাঁচের পুরোটাই তুলে দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোটা এখন আর ইবনে সিনা মেডিকেলের দিকে যাচ্ছে না, তাদের গন্তব্য অন্যকোথাও...
-বিশ্বাসঘাতক
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
রানা আমান বলেছেন: এই লেখাটা মনে হচ্ছে ফেসবুকের কোন গল্পের পেজ এ পড়েছি ।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
রানা আমান বলেছেন: না আমারই ভুল । সে গল্পটা অন্যরকম ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: অবিনব কিডন্যাপিং,