নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীরু, লোভী, বর্বর, অসভ্য, নির্গুণ, কৃপণ, অশ্লীল, রগচটা, স্বার্থপর, বেআদব, প্রতারক, দুরাচারী, অকৃতজ্ঞ,স্বার্থাণ্বেষী,পরনিন্দুক, মিথ্যাবাদী, উচ্চাভিলাষী, ইঁচড়ে পাকা, অসামাজিক, অবমূল্যায়নকারী ও ভাল মানুষের ভান ধরা আদ্যোপান্ত একটি খারাপ ছেলে...

মিহাল রাহওয়ান

মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!

মিহাল রাহওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্ণতা ২

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

-ওরা সবাই যাবে আর আমি একা বাসায় বসে বসে কি করবো? আমি তো বড় হয়েছি, না কি? এখনো একা একা একটু বেড়াতে দিবে না?
-কথা কানে যায় না? অন্য ছেলেদের সাথে তুলনা করবি না। এই আমি হাসান তোর বাপ, অন্যদের না। কান খুলে শুনে নে আমি বেঁচে থাকতে এসব ট্যুরে যাওয়া তোর হচ্ছে না।
-বাবা! মাত্র তিন দিনের ট্যুর। যাই না বাবা..
-চড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব, আবার মুখে মুখে কথা বলিস! আজ থেকে তোর ভাত বন্ধ...
-বাবা! প্লিজ..
-এখনো সামনে দাড়িয়ে আছিস?

মাথা নিচু করে ড্রইংরুম থেকে বেরিয়ে আসে শাওন। মন মেজাজ খুব খারাপ হয়ে আছে। বিশেষ করে বাবার উপর বেশ রাগ হচ্ছে। ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে দক্ষিণে ঘুরতে যাবে, প্ল্যানটাও শাওনেরই অথচ এবারের ট্যুরেও তার যাওয়া হবে না। লুকিয়ে যাওয়ার চিন্তাটা আগেই বাদ, বাসার অনুমতি ছাড়া সে কোথাও যায় না আর তাছাড়া পকেটে টাকাও নেই...

-এই... ঘুমিয়ে পরেছো নাকি?
-উঁ..
-শাওন খেয়েছে?
-না। তুমিই তো..
-হুম... তুমি খাবার নিয়ে যাও। একটু বুঝিয়ে আসো।
-কি বোঝাব? এই বয়সে যদি হই হুল্লা না করে কবে করবে? ছেলেটা ঘুরতে যেতে চেয়েছে, ড্রাগস নেওয়ার জন্য তো আর চায়নি! যেতে দেও না...

কিছুক্ষণ চুপ থেকে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাসান সাহেব স্ত্রীর দিকে তাকায়। ম্লান হেসে মাথাটা হালকা ঝোকানোতে যেন অসহায় আত্নসমর্পণ।
-যাও, আগে বলো ভাত খেয়ে নিতে। এভাবে না খেয়ে থাকলে শরীর খারাপ করবে। আর ওকে গিয়ে বলো ব্যাগ রেডি করতে। দেখো ওই আলমারিতে আমার নীল শার্টটার পকেটে দেখো হাজার তিনেক টাকা আছে।
-আ আ আচ্ছা... ঠিকই আছে। আমি এক্ষুণি যাচ্ছি। ইয়ে... চা খাবে?
-চিনি ছাড়া

অফিসের ডেস্কে মাথা নিচু দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছেন হাসান সাহেব। গতো দুইদিন ধরে প্রেশারটা বারবার অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথাটাও সময় সময় নাড়া দিয়ে উঠছে। ঔষুধ খাওয়া হয় না প্রায় সপ্তাহ দুয়েক হয়ে গেল। আসলে এ মাসের ঔষুধগুলোই তো কেনা হয় নি। ঔষুধের জন্য রাখা তিন হাজার টাকাটা কান্তিলালের ঔষুধের দোকানে যায় নি, ঘুরে এসেছে কক্সবাজার থেকে...

-বিশ্বাসঘাতক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

রানা আমান বলেছেন: বাবারা এমনই হয় ।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাল লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.