নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
ইন্টারভিউ বোর্ডে টেবিলের এপাশে বসা ছেলেটার চোখে সানগ্লাস। কেউ কখনো সানগ্লাস পরে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছে কি না জানা নেই। চুল উষ্কখুষ্ক, মোচড়ানো বোতামখোলা সাদা শার্টের সাথে পরনের স্যুটটা বড় বেমানান। এমন কাউকে আশা করে নি ইন্টারভিউ বোর্ডের কেউই। গম্ভীর মুখের লোকগুলোও একটু ভড়কে গেছে। রুমে অস্বস্তিকর নিরবতা। ছেলেটা গলা খাকরি দিতেই বাকিরা যেন সংবিৎ খুঁজে পেল।
তড়িঘড়ি করে হাতে ধরা ফাইলটার দিকে তাকালো কোম্পানির স্পেশাল এক্সিকিউটিভ শফিক রেজওয়ান।
-হুম। ইন্টারেস্টিং.. মিহাল রাহওয়ান?
-জ্বি
উত্তরটা কাঁপাকাঁপা গলায় দিলো ছেলেটা। জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিলো। কালো চশমার ওপাশটা যেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। সবার দৃষ্টি ওখানে গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
এরপর কি জিজ্ঞাসা করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না শফিক সাহেব। আমতা আমতা করে বললেন,
-ইয়ে.. আপনার বাবা কি করেন ?
-হু?
প্রশ্নটা শুনে মুহূর্তের জন্য শিউরে উঠলো ছেলেটা। যেন শীতের হিম ঠান্ডা বাতাস কাঁপিয়ে দিয়ে গেলো। একটু সামলে দাঁতে দাঁত পিষে বললো,
- উনি ঘুমান
-এ্যাঁ?
-হুম ঘুমান
-দেখুন আপনি মিস্টার মিহাল রাহওয়ান! আপনি এখানে ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন নাকি ফাজলামো করতে এসেছেন জানা নেই, তবে আপনি এখন আসতে পারেন।
কড়া গলায় বলে উঠলো শফিক সাহেব। চোখেমুখে প্রচন্ড বিরক্তির ছাপ।
ওপাশে বসা সানগ্লাসওয়ালা ছেলেটা বিড়বিড় করে কিছু বলছিলেন। শফিক সাহেব এবার নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালেন,
-পাগল নাকি আপনি! এ্যাই কি বলছেন বিড়বিড় করে?
-আচ্ছা মৃত্যুর পর তো সবাই ঘুমায়ই, তাই না?
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ানো শফিক সাহেব এবার নিশ্চুপ। মিহাল কাঁদছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। টেবিল ঘুরে মিহালের সানগ্লাসটা খুলে দিলো শফিক সাহেব। ছেলেটার অদ্ভুত গাঢ় কালো চোখটা কটকটে লাল। আর চোখের নিচটা কালো হয়ে আছে। গালে লবণের একটা পুরো প্রলেপ পরে আছে। আরেকটু লক্ষ্য করলে দেখতো ছেলেটার নখে লেগে আছে নরম মাটির আস্তরণ...
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২
আহসান শামীম বলেছেন: vai spbr fb er sthe ki add hote pari...
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
রানা আমান বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে এ গল্পটা আমার ।