নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীরু, লোভী, বর্বর, অসভ্য, নির্গুণ, কৃপণ, অশ্লীল, রগচটা, স্বার্থপর, বেআদব, প্রতারক, দুরাচারী, অকৃতজ্ঞ,স্বার্থাণ্বেষী,পরনিন্দুক, মিথ্যাবাদী, উচ্চাভিলাষী, ইঁচড়ে পাকা, অসামাজিক, অবমূল্যায়নকারী ও ভাল মানুষের ভান ধরা আদ্যোপান্ত একটি খারাপ ছেলে...

মিহাল রাহওয়ান

মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!

মিহাল রাহওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য জার্নি (লিংকিন পার্ক)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪১


এক? দুই? পাঁচ? দশ? একটা কাজের জন্য আপনি কয়বার অডিশন দিবেন? কয়বার ‘স্যরি আপনাকে দিয়ে হবে না’ শুনেও নিজের আত্নবিশ্বাসটা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবেন? রবার্ট ব্রুস আর মাকড়সার গল্পটা তো সবাই জানেন, কিন্তু লিংকিন পার্কেরটা? চুয়াল্লিশবার অডিশন থেকে ব্যার্থ হয়ে ফিরেও নিজেদের রক মিউজিকের শীর্ষে নিয়ে যাবার গল্প? ‘জিরো’ থেকে লিংকিন পার্ক হয়ে ওঠার গল্প?



সালটা ১৯৯৬, লস এ্যাঞ্জেলস। আগুরা হিলের মাইক শিনোদা, রব বোরডন, ব্র্যাড জেলসন তিন স্কুল বন্ধু মিলে অনেকটা শখের বশেই গানের ব্যান্ড শুরু করলেন। নাম ‘জিরো’ (Xero)। ব্যান্ডে তাঁদের সাথে যোগ দেন জো হান, ডেভ কোনিক্স ক্যারেল আর মার্ক ওয়েকফিল্ড।অল্টারনেটিভ রক, ন্যু মেটাল ও র‍্যাপাকোর ধারায় টুকটাক বাজাতে বাজাতেই ব্যান্ডটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন তাঁরা। নিজেদের বাড়িতেই চারটা গানরেকর্ডও করে ফেলেন। ব্যান্ডের নামের সাথে মিলিয়ে ডেমো টেপটির নাম রাখা হয় ‘জিরো’।

কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও কোনো রেকর্ড কোম্পানির সাথেই চুক্তি করতে না পেরে তাঁদের মধুচন্দ্রিমা শীঘ্রই মিলিয়ে যেতে শুরু করে। কোথায় যেন কি একটার অভাব বোধ করছিলো ব্যান্ডটি।দু তিন বছরেও কিছু না হওয়ার হতাশায় টিকতে না পেরে একটা সময় ব্যান্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ব্যান্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক ওয়েকফিন্ড আর গিটারিস্ট ডেভ কোনিক্স।আকমকা এমন সিদ্ধান্তে ব্যান্ডের বাকিরাও মুষড়ে পরেন।বেশ কিছুদিন চুপ।

তারপরই বিধাতা যেন ব্যান্ডের দিকে মুখ তুলে তাকালেন আর মিলিয়ে দিলেন পাজেলের শেষ অংশ চেস্টার বেনিংটনকে।টাকা পয়সার অভাবে চেস্টার সেসময় বার্গার কিং রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি দ্য রক্সি নামে একটা লোকাল ব্যান্ডে গান করতেন। সে সময় চেস্টার এতোটাই অর্থসংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন যে তার প্রেমিকার জন্য বিয়ের আংটি কিনে দিতে না পেরে দুজনে আংটির ট্যাটু আঁকিয়ে বিয়ে করেছিলেন।হঠাত একদিন জিরো ব্যান্ডের ভোকালের অডিশনের জন্য গলা খুলতেই ব্যান্ডের বাকি সদস্যরা যেন অনুভব করলেন এবার কিছু একটা হতে চলেছে।

একজন পারফেক্ট ভোকালের পাবার সাথে সাথে পুরো ব্যান্ড যেন প্রাণ ফিরে পেলোনতুন আঙ্গিকে। প্রচন্ড আত্নবিশ্বাসী চেস্টার ব্যান্ডের নাম ‘জিরো’ বদলে রাখলেন ‘হাইব্রিড থিওরি’। কিন্তু তারপরেও কিছু একটা যেন বাদ পরে যাচ্ছিলো। রেকর্ড কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তির আশায় বারবার অডিশন দিয়েছেন। একবার দুইবার করতে করতে‘না’ এর সংখ্যাটা ততদিনে তেতাল্লিশে এসে পৌঁছেছে। তবুও অটল চেস্টার সহ পুরো হাইব্রিড থিওরি।গত চার বছরে যে রেকর্ডের কাছে তিনবার এসে ফেরত যেতে হয়েছে সেই ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সাথেই চুয়াল্লিশতম বারেস এসে কোনোমতে চুক্তি হলো।

এদিকে হাইব্রিড থিওরি নামে ইংল্যান্ডে আরেকটি ব্যান্ড ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলায় এটি তাঁরা আর ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।তাই আরো একবার বদলে যাওয়া। আবারও ব্যান্ড সাজলো নতুন রূপে।নাম হাইব্রিড থিওরি থেকে লিংকন পার্ক। কিন্তু এখানেও ফ্যাসাদ। লিংকন পার্ক ডট কম নামের ওয়েবসাইটের ডোমেইনের দাম তাঁদের নগালের বাইরে থাকায় নাম কিছুটা বদলে লিংকিন পার্ক রাখতে হলো।লিড ভোকালে চেস্টার, কিবোর্ডে মাইক শেনোদা, গিটারে ব্র্যাড ডেলসন, ড্রামসে রব বারডন, বেজ গিটারে ডেভ ফারেল আর টার্নটেবিলে জো হান।

চুক্তির পরের বছরই তাঁদের ব্যান্ডের পুর্বের হাইব্রিড থিওরি নামেই প্রথম এ্যালবাম বের হলো। যেটি ছিলো এককথায় মাস্টারপিস।প্রথম বছরেই প্রায় ৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি করে সে বছরের বেস্টসেলারে নাম ওঠানো।এরপর কি আর ফিরে তাকাতে হয়!

মিটিওরা (২০০৩)মিনিটস টু মিডনাইট (২০০৭)এ থাউজেন্ড সানস (২০১০)লিভিং থিংস (২০১২) এর মতো পাঁচটি টপ হিট এ্যালবাম লিংকিন পার্ককে নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।লিংকিন পার্কই প্রথম রক ব্যান্ড হিসেবে ইউটিউবে এক বিলিয়ন হিট পায়।শুধুমাত্র ফেসবুকেই তাঁদের ভক্তের সংখ্যা প্রায় ৬২ কোটি!দুটি গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড, একুশটি এমটিভি এ্যাওয়ার্ড সহ ব্যান্ডটি জিতেছে অগুনিত সব পুরষ্কার।বারবার ধাক্কা খেয়ে লাটিমের মতো ছন্নছাড়া ঘুরতে থাকা ব্যান্ডটি আজনিজেই একটি ব্র্যান্ড, লিংকিন পার্ক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.