নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
ইট পাথরের শহরে থাকতে থাকতে হাফিয়ে উঠছেন, হাতে ছুটি নেই অথচ কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য মন আকুপাকু করছে? পকেটে বাজেটও তেমন নেই? সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবারকে সাথে নিয়ে ঢাকার আশেপাশেই কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসতে চান? সেক্ষেত্রে বালিয়াটির জমিদার বাড়ি হতে পারে আপনার ভ্রমণগন্তব্য। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসার মতো রাজধানী ঢাকার আশেপাশে যতগুলো দর্শনীয় স্থান আছে তাঁদের মধ্যে এটি অন্যতম। আর জমিদার বাড়িটি আমার দাদাবাড়ির পাশেই হওয়ায় প্রায় প্রতিবছরই গিয়ে একদিনের জমিদার সেজে আসি
ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটিতে জমিদার বাড়িটি। প্রায় বিশ একর জায়গা জুড়ে জমিদার বাড়িটিতে রয়েছে সাতটি প্রকান্ড প্রাসাদ। উনিশ শতক থেকে বিশ শতকের বিভিন্ন সময় জুড়ে নির্মিত হয়েছে এ সাতটি প্রাসাদ। এ স্থাপত্যের নকশা বেশ সাজানো গোছানো ও সম্পূর্ণ। বিশাল চারটি সিংহ ফটকে ঘেরা উঁচু প্রাচীরের এ জমিদার বাড়িতে ঢুকতেই সামনে পরবে চারটি একই নকশার দোতলা ও তিনতলা প্রাসাদ। যার একটিকে রঙমহল বলা হতো। রঙমহলটিতে এখন জাদুঘর হিসেবে সে সময়ের বিভিন্ন ব্যবহার সামগ্রী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর পেছনের অংশে রয়েছে কয়েকটি অন্দরমহল ও ঘাট বাঁধাই করা বিশাল এক পুকুর। এছাড়াও বাড়ির সীমানার বাইরেই রয়েছে আরেকটি বড় পুকুর।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পরিচালনায় জমিদার বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বাড়ির পেছন অংশে বানানো হয়েছে ওয়াশরুম। তবে জমিদার বাড়িটি সাটুরিয়া থেকে একটু ভেতরে হওয়ায় তেমন কোন খাবারের ব্যবস্থা নেই। যদি পরিবারের সাথে ঘুরতে যান তাহলে সাথে খাবার নিয়ে যাবার পরামর্শই দিবো।
জমিদার বাড়ির সামনের অংশ
জাদুঘরে সংরক্ষিত জিনিসপত্র (ছবি তোলা নিষেধ কিন্তু )
পেছনের পুকুরঘাট
জমিদার বাড়ির ভেতরের অংশ
সাতটি প্রাসাদের একটি
যেভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জনসেবা বা এস.বি লিংক গেটলক পরিবহনের বাসে করে মাত্র দুই আড়াউ ঘণ্টায়তেই সাটুরিয়া পৌঁছে যাওয়া যাবেন। বাসভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৮০ টাকা। সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র অটো রিকশা কিংবা ভ্যানে প্রতিজন ১০ টাকা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন বালিয়াটি জাদুঘর।
টিকেট ব্যবস্থা
বালিয়াটি জাদুঘরের জনপ্রতি টিকেটের দাম ২০ টাকা করে। জমিদারবাড়িটি রোববার পূর্ণদিবস এবং সোমবার অর্ধদিন বন্ধ থাকে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১২
মিহাল রাহওয়ান বলেছেন: ঘুরে আসুন। অল্প খরচে, অল্প সময়ে ঘুরে আসার জন্য ভালো একটি জায়গা।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেছেন: ভাল লেখা, আমরা গিয়েছিলাম
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১২
ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা, সুযোগ পেলে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলো।