![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সাথে প্রতারণা করি না। যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখি
কোথায় কাজ করবেন? পড়াশুনা শেষ করে সবাই তো কাজ খোজেন। অনেক সময়ই মানুষ বুঝতে পারে না কোথায় কাজ করতে যাবেন আর পেলেও কোনো জায়গায় কাজ করবেন কি না। আসলে কাজের ক্ষেত্রে সব জায়গাতে থাকলেও সব জায়গায় কাজ করে আনন্দ পাবেন না। যেমন একজন কৃষিবিদ যদি এলজিইডি বিভাগে কৃষিবিদ হিসাবে চাকরী পান তাহলে তার ১২টা বাজা সারা। আবার একজন প্রকৌশলী যদি কৃষিবিভাগের ভবন নির্মান বা তদারকীর জন্য নিয়োগ পান তারও অবস্থা শেষ।
আসল কথা হলো- যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি সেই বিষয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাকরীর জন্য চেষ্টা করলেই ভাল। যদিও দূর্মূল্যের বাজারে চাকরি পাওয়াটাই কঠিন।
আমি একজনকে জানি যিনি কৃষি বিভাগের ক্যামেরামান। এন্ট্রি পোস্টেই তাকে অবসরে যেতে হবে। অবশ্য তিনি যদি সরকারি বা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে যান তাহলে তার উন্নতি হতে বাধ্য। আবার এলজিইডিতে অনেক কৃষিবিদ আছেন- তারা প্রকৌশলীদের কাছে নির্যাতনের স্বীকার।
আবার কৃষি বিভাগের মাঝে প্রবণতা এমন যে কৃষিবিদ ছাড়া কাউকে চাকরি দেওয়া যাবে না-- কৃষি বিভাগে। সফটওয়ার, সিস্টেম এনালিস্ট এগুলো ক্ষেত্রে কৃষিবিদ নেওয়া হচ্ছে। তথ্য অফিসারের পদগুলোও কৃষিবিদদের জন্য নির্ধারিত। এমনকি সেখানে যদি মেডিকেল অফিসার পদে কৃষিবিদ নেওয়া যেতো তাহলেও তাদের আপত্তি থাকতো না।
কৃষি বিপণন- এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- অথচ সেখানে কৃষি অর্থনীতিবিদরা থাকলেও মার্কেটিং এর লোক সীমিত।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্ট্উটটে- কৃষি বিদ আর মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। আর মৎস্য বিভাগে প্রাণিবিজ্ঞানী এবং মৎস্যবিজ্ঞানীদের মাঝে পুরানো দ্বন্দ্ব। প্রতিটি বিভাগেই সংকীর্ণতা দিয়ে ভর্তি। হাসপাতালে ডাক্তার নয় এমন কারো দাম নেই- প্রকৌশল বিভাগে প্রকৌশলী ছাড়া আর কারো মূল্য নেই, কৃষি বিভাগে কৃষিবিদ ছাড়া আর কাউকে সম্মান দেয়ার অভ্যাসটা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাড়া আর কারো দাম আছে বলে জানা নেই। সবখানে সংকীর্ণতা দিয়ে ভরা।
অতএবং চাকরি কোথায় করবেন- একটু ভাল করে বুঝে করাটাই ভাল। আপনার যোগ্যতা যতই থাকুক ভুল জায়গায় পড়লে আপনার সহকর্মীরাই জীবনটাকে তামা তামা করে দেবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: হা হা, আমি একমত
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০১
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার যোগ্যতা যতই থাকুক ভুল জায়গায় পড়লে আপনার সহকর্মীরাই জীবনটাকে তামা তামা করে দেবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনার কি মনে হয়>
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০১
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: বিষয়টি দারুণ। আমি আপনার সাথে একমত। তবে সবক্ষেত্রে এমনটি ঘটবে এমন বলা যায় না। তবে সংকীর্ণতার নানা প্যাটার্ন আছে। ধন্যবাদ লেখার জন্য।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন ঘটে
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০১
তোমোদাচি বলেছেন: জব স্যাটিস্ফেকশন একটা বড় বিষয়, তাই সেই কাজ ই করা উচিত যেটা সে পছন্দ করে। শুধু চাকুরী করার জন্য আর বেতন পাওয়ার জন্য অপছন্দের জায়গা ঢুকলে কাজে তো ভাল করাই যায় না, জীবন্টাও তামা তামা হয়ে যায়!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: সহমত।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
তোমোদাচি বলেছেন: ছেলেবেলা থেকে আমি পছন্দ করি মাষ্টারী! প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক বাবাকে দেখে এই পোকা মাথায় ঢূকেছে।
এখন অন্য চাকুরীর ভাল কিছু অফার আছে তারপরো মাষ্টারী করার জন্যই বেটার একটা জায়গা খুজছি। দেখা যাক কি হয়!!!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আশা করি পেয়ে যাবেন।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
বোকামন বলেছেন:
যথার্থই বলেছেন।।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
কম বেতনে চাকুরী করা ভালো তা যদি হয় সম্মানের ও যেখানে কাজ করার স্বাধীনতা আছে !
আমার মত চাকুরী করা উচিত, যেমন আমার এখন ঘুম পাইছে, চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমামু। কেউ কিছু বলবে না !!!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: হা হা হা, তেমন পাওয়া গেলে অসুবিধা কি? মনের শান্তিটাই আসল
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাবজেক্ট অনুযায়ী চাকরী পাওয়া বেশ মুসকিলের ব্যাপার!!!!
চাকরীর ক্ষেত্রে আমি প্রিফার করে কাজের ক্ষেত্র, পরিবেশ এর উপর। কাজ করার স্বাধীনতা থাকলে কমটাকায় চাকরীও ভালো।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন শিক্ষিত চাকুরিজীবীদের সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি। কত রকমের সংকীর্ণতা তা আর বলে বোঝানো যাবে না- ডিসিপ্লিনগত সংকীর্ণতা- প্রতিষ্ঠানগত সংকীর্ণতা- জেলাগত সংকীর্ণতা- আত্মীয়তা, রাজনীতি ইত্যাদি তো আছেই। তাছাড়া আছে লিংগ বৈষম্য। এসব কারণে কাজের পরিবেশ ভাল পাওয়া আসলেই কঠিস।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
বাংলাদেশে যে কেউ যে কোন বিষয় থেকে পড়ে যেকোন সেক্টরে কাজ করতে পারে।
কঠিন বস্তবতা।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কাজ করতে পারে বটে তবে কাজের মাঝে আনন্দ কয়জন পায় সেটা দেখা দরকার।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
ইখতামিন বলেছেন:
onek valo laglo post ta
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ;
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনার যোগ্যতা যতই থাকুক ভুল জায়গায় পড়লে আপনার সহকর্মীরাই জীবনটাকে তামা তামা করে দেবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনার কি মনে হয়>??
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “এমনকি সেখানে যদি মেডিকেল অফিসার পদে কৃষিবিদ নেওয়া যেতো তাহলেও তাদের আপত্তি থাকতো না। .....হাসপাতালে ডাক্তার নয় এমন কারো দাম নেই- প্রকৌশল বিভাগে প্রকৌশলী ছাড়া আর কারো মূল্য নেই, কৃষি বিভাগে কৃষিবিদ ছাড়া আর কাউকে সম্মান দেয়ার অভ্যাসটা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাড়া আর কারো দাম আছে বলে জানা নেই। সবখানে সংকীর্ণতা দিয়ে ভরা”
---------------------------
সরকারি চাকরির রন্ধ্রে রন্ধ্রে এরকম অবস্থা বিরাজ করছে। যেভাবে নিয়োগ-পদোন্নতি হচ্ছে, তাতে মেধাবীরা আগ্রহ হারাচ্ছে সিভিল সার্ভিসের প্রতি। আপনার লেখাটি যেন সেসব জীবনেরই একটি ছোট্ট জানালা খুলে দিলো।
শেষে যা বললেন, তার উত্তরে বলছি: ভিক্ষুকের কোন পছন্দ করার সুযোগ নেই। কর্মসংস্থানের এ দুর্যোগে জেনেশুনেও অনেকে নির্যাতনের চাকুরিতে প্রবেশ করছে। তবু সাবধানতার প্রয়োজন তো আছেই!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৪
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কেবল সিভিল সার্ভিস নয়, এনজিও বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মাঝেও এই সংস্কৃতি বিদ্যমান। একটি সঠিক সাংগঠনিক ষংস্কৃতি গড়ে ওঠে নি।
১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এখন শুধু পোস্ট পড়ে রাখলাম! এই বিষয় নিয়ে ভাবিনি আগে।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৪
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ভাবা দরকার আছে।
১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
সর্বনাশা বলেছেন:
আপনি একটি খুবই বাস্তব সমস্যার প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। এই সংকীর্ণতা মানসিক দৈন্যতার। যার জন্ম গোষ্ঠীগত বর্ণবাদী মানসিকতায়। বিদেশে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও এই সমস্যা আছে, তবে অনেক দেশেই এটি আমাদের মত এতটা নগ্ন নয়। আমাদের অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠানে এই সংস্কৃতির চর্চাটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই করা হয় গোষ্ঠী স্বার্থে। যাঁরা এর ভুক্তভোগী তাঁরাই বোঝেন এটি কতটা অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক।
সুতরাং পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে পারলে ভাল হয়। নয়্ত আমার মতো অশান্তিতে থাকতে হবে, যেমন আছি এক যুগেরও বেশী সময় ধরে।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০
কালোপরী বলেছেন:
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কিছু তো বললেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। কর্মক্ক্ষেত্রের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অফিসেও জিওলজিস্টদের জয়জয়কার অন্য কারু খাওয়া নেই। প্রকৌশলী হোক আর জিও ফিজিস্ট হোক ডাসন্ট মেটার। খাওয়া না থাকলে ব্যাপারটা কেমন হয় বলেন তো ।