![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সাথে প্রতারণা করি না। যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখি
মানবিক বোধের ইজারা?
ঈদে শিশুদের নতুন জামার জন্য অফার দিচ্ছে একটি সেল কোম্পানী। অনেকের আবেগ বেড়ে গেলে- বাহ কি ভাল কথা - রিচার্জ করলেই নতুন জামা শিশুদের জন্য।
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় নানা কাজ করার নিয়ম রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছা করলেই সেই ফান্ড থেকে হাজার শিশুকে জামা কিনে দিতে পারে। তার জন্য রিচার্জ শর্ত কেন?
আমরা কেন আমাদের মানবিক বোধকে ইজারা দেব এই সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাছে? যে টাকা আমার আপনার নিকট থেকে সংগ্রহ হবে- সেই টাকার সাথে প্রতিষ্ঠানের টাকা যুক্ত হবে। তার পর
১. বিজ্ঞাপন ও প্রচারের খরচ নির্বাহ হবে-
২. বাকী টাকায় কাপড় কিনে তা দেওয়া হবে শিশুদের
৩. সেই কাপড়ে কিন্তু প্রতিষ্ঠানের লোগোও থাকবে- না থাকাটা অস্বাভাবিক।
তাহলে বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য সে লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সেটা দিয়েই তো লক্ষ পথশিশুর ঈদের কাপড় হয়ে যেতো!
আসলে সবটার পিছনেই ব্যবসার ধান্ধা।
রিচার্জ করে ব্যবসা
প্রচার করে ব্রান্ডের পরিচিতি
কাপড় দিয়েও ব্রান্ডের পরিচিতি
সিএসআর এর মাধ্যমে সরকারের নিকট থেকে ট্যাক্স সুবিধা আদায়
দীর্ঘ মেয়াদী বাজার সৃষ্টির ধান্দাতো আছেই।
এখন আপনি নির্ধারণ করুন
নিজে বা দুই তিন জন মিলে একটা জামা কিনে একটি পথশিশুকে দেবেন? নাকি নিজের মানবিক বোধ ইজারা দেবেন?
আপনার মানবিক বোধ কিন্তু ব্যবসায়ের পণ্য হবে- আপনি নিজেও্র সেটা জানবেন না।
দ্রষ্টব্য: এই ব্লগটি লিখতে গিয়ে রেজা সিদ্দিক এর একটি লেখা থেকে প্রেরণা নিয়েছি।
Click This Link
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আমি এই কথাই বলতে চেয়েছি
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
ঝি ঝি পোকার আসর বলেছেন: মানুষের ভেতর থেকে মানবতা জিনিসটা উঠে গেছে
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: নিজেরটা জাগিয়ে তুলতে পারলে অন্যদেরও জাগবে।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: মানবিক বোধের ইজারা!
মসজিদ এর সামনে প্রায় ১৪ জন ভিক্ষুক কয়েকজন ভিক্ষুকই দেখি মানুষের দৃষ্টি আর্কষণ করে ভিক্ষা পায়, মানবিকতা আরও বেড়েছে এখন ব্লগ, ফেসবুক এ সবাই তাদের লেখার মাধ্যেমে মানুষের উপকার করতে যায়, আর প্রতিষ্ঠান গুলোর এ্যাড তো এতো টাই অনুভূতিতে নাড়া দেয় যেমন পথ শিশু জামা কিনতে পারেনি উল্টা করে পড়ে নিয়েছে তাইলে সমাজে কি মানবিকতা বেড়ে গেছে। স্থায়ী কোন সমাধান কি দিতে পারে না বছরে তাদের ব্যবসা প্রসারের কাজে যারা কোটি টাকা খরচ করেন একটু স্থায়ী সমাধান চায় সমাজের উঁচু শ্রেনীর মানুষের কাছে যাদের জন্য ঈদ যাকাতের শাড়ি -লুঙ্গির দোকান দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করে দোকানদারই.।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: সাধারণ মানুষই সাধারণের পাশে দাড়ায়। আর ব্লগ বা ব্যক্তি পর্যায়ে মানবিকতা আগে ছিল এখন কমে গেছে। বাড়লে তো সত্যিকার অর্থে মঙ্গল হয়।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। কাউকে না কাউকে তো এগোতে হবে।
আমার পোস্টের লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে ফেলেছি। আশা করি কিছু মনে করেন নাই।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১২
এল পেসিমিসতা বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন . বিজ্ঞাপনটি দেখার পর থেকে যে অদৃশ্য কাঁটাটি বারংবার বিঁধে আসছিল মনের পর্দায় , অবশেষে সেটি দূর হল ।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: রাজিব বলেছেন: মানবিক বোধের ইজারা ঐ কোম্পানি গুলো নেয়নি বরং আমরা তাদের সেধে দিয়েছি। আপনি নিজেই বলেছেন, "নিজে বা দুই তিন জন মিলে একটা জামা কিনে একটি পথশিশুকে দেবেন? নাকি নিজের মানবিক বোধ ইজারা দেবেন?" এবং আপনার সঙ্গে আমি ১০০% একমত। ঢাকার প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবার চাইলেই একটি গরীব শিশুকে ৫০০ টাকার ভেতর কাপড় কিনে দিতে পারে। ইদের দিনে না হয় এক কেজি গরুর মাংস বা একটা মুরগী কম রান্না হবে।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০২
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আসলেই তাই।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি,গোপনে অনেকে দেনও। বিনিময়ে তারা চান না কিছুই।এমনকি প্রচার,প্রসারও। কিন্তু বেশীর ভাগই ঢাকঢোল পিটিয়ে হয় ব্যবসার নয়তো নিজের প্রচারে নেমে থাকেন।
আপনার ৩নম্বর মন্তব্যের উত্তরে একমত। ধন্যবাদ।।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০৮
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ঢাকঢোল পেটানোর মাঝে যে স্বার্থ থাকে সেটা আমরা সবাই জানি।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: আপনার ভাবনার জন্য ধন্যবাদ। আমরা কিন্তু খুব সহজে এ অভাবী শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি যদি সঠিক ভাবে যাকাত আদায় করি। হিসেব করে দেখুনতো এ বছর আপনার যাকাত কত? আপনি কি তা আদায় করেছেন? আপনার সম্পদের যাকাতের অংশ কিন্তু ঐ অভাবীর প্রাপ্য।আমার যাকাতের টাকায় এমন কত জন শিশুর মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব,আমরা যারা স্বচ্ছল তারা একটু ভেবে দেখতে পারি।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০৬
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: মোদ্দা কথা হলো- কাজটি নিজে করলে- সেই কাজের জন্য আনন্দটা নিজেই পাওয়া যায় আর আপনার সহযোগিতা কোন পাত্রে পড়ছে নিজেই সেটা জানতে পারেন। এটাই আসল দৃষ্টিভঙ্গী
৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৫
প্রকৌশলী নির্ভিক রাইডার বলেছেন: কাজের একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন, ধন্যবাদ।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০৪
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন:
১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
নয়ন িজয়াউল বলেছেন: সবাই মানবিক ইজারার কথা বলেছেন। আমার মতে কর্পরেট গুলো তো সি এস আর এভাবেই করে। যেমন টেলিটক এস এসসি এ +দের সংবর্ধনা দেয় বিনিময়ে একটা সিম দেয় সিম টাতো পরে থাকে না ব্যবহারই হয়। আমরা তো রিচার্জ এমনি করি আর যদি টার্গেট পরিমার রিচার্জ করে বস্রহীন রা কিছু পায় তাতে সমস্যা দেখছি না।।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: বস্ত্রহীনের বস্ত্র পাওয়া নিয়ে কোনো বিষয় নয়। এদের কে বিজ্ঞাপনের মডেল বানানোর অধিকার কে দিল। আপনি কি ৩০০ টাকার পোষাকের বিনিময়ে মডেল হতেন?
গরীবের গরীবি নিয়ে ব্যবসায় কেবল রুচিহীন নয়- নিন্দনীয়ও বটে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
রাজিব বলেছেন: মানবিক বোধের ইজারা ঐ কোম্পানি গুলো নেয়নি বরং আমরা তাদের সেধে দিয়েছি। আপনি নিজেই বলেছেন, "নিজে বা দুই তিন জন মিলে একটা জামা কিনে একটি পথশিশুকে দেবেন? নাকি নিজের মানবিক বোধ ইজারা দেবেন?" এবং আপনার সঙ্গে আমি ১০০% একমত। ঢাকার প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবার চাইলেই একটি গরীব শিশুকে ৫০০ টাকার ভেতর কাপড় কিনে দিতে পারে। ইদের দিনে না হয় এক কেজি গরুর মাংস বা একটা মুরগী কম রান্না হবে।