নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেবতাকেই দেবতার স্থান দিতে হয়, অপদেবতাকে নয়; অন্যথায় অনর্থ অনিবার্য

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

১৭ অধিবেশনের মধ্যে যোগদান মাত্র পাঁচটিতে। ৩৭০ কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থিতি মাত্র ৫৪ কার্যদিবস। এর সাথে ওয়াক আউট তো আছেই। এই চুয়ান্ন দিন অংশগ্রহণ আবার সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের বাধ্যবাধকতার কারণেই, অন্য কোন মহৎ উদ্দেশ্যে নয়।



৯০ দিন অতিবাহিত হলে সব সুযোগ সুবিধা ছাড়তে হবে এটা মাথায় রেখেই তারা সংসদ অভিমুখী হন। একদিন পদধূলি দিয়েই জায়েজ করেন ৯০ দিনের ভাতাদি। মানুষ কতটা নির্লজ্জ হলে পড়ে কাজ না করেও নিয়মিত বেতন ভাতা নিতে পারে তা দেখতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের চাঁদ মুখখানাই দেখতে হবে। যেখানে লজ্জার লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। তার থেকে বড় কথা হল এতে তাদের গলার জোরও এতটুকু কমে না বরং আরও বাড়ে। কেননা তারা গলার জোড়েই সব জায়েজ করে নিতে অভ্যস্ত।



উপরের পরিসংখ্যানটা যদিও বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি’র। তবে তাদের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বর্তমান সরকারি দলও আওয়ামীলীগও। প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এর আগে পঞ্চম সংসদে ৪০০ কার্যদিবসের মধ্যে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিল ১৩৫ কার্যদিবস। সপ্তম সংসদে ৪০০ কার্যদিবসের মধ্যে বিরোধী দল বিএনপি বর্জন করেছিল ১৬৩ কার্যদিবস। অষ্টম সংসদে ৩৭৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিল ২২৩ দিন। অর্থাৎ এরা যখন বিরোধী দল তখন উভয়ই যেমন কম বেশি একই আচরণ করে থাকে। ঠিক তেমনি সরকারী দলে থাকা অবস্থায়ও উভয় দলই নিজেদের চোখ বন্ধ করে রেখে তাবৎ দুনিয়াকেই অন্ধ ভাবতে শুরু করে।



জগত জুরে যে যাই বলুক তাদের বিরুদ্ধে হলে তা হয় পাগলের প্রলাপ। আর পক্ষে হলে অমৃত বানী। তখন তা-ই তারা বিরতীহীনভাবে উচ্চগ্রামে বাজাতে থাকেন। এই দল দুটি আজ কোন শতকে দাঁড়িয়ে আছে বোধকরি বেমালুম ভুলে বসে আছে তাও। নয়ত আজকের এই সময়েও মানুষকে এতটা গাধা ভাবার তো কোন কারণ নেই। অবশ্য সাধারণ মানুষকে যারা এতটা গাধা মনে করে তাদের বুদ্ধির ধার যে কতটা তা বুঝতেও কারো খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয়। যাই হোক সময় পাল্টেছে। সবাই বুঝলেও এই মোহান্ধরা যে এখনো তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হননি সেটা তাদের কার্যকলাপেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।



সরকারী দল মুখে যাই বলুক বিরোধীদলকে সংসদে রাখতে কখনোই খুব একটা আন্তরিক ছিল বলে মনে হয় না। আর বিরোধী দল তো জনগণ তাদের কেন ক্ষমতায় পাঠাল না এই ক্ষোভেই সংসদে অভিমুখী হন না। সংসদে যোগ দিয়ে সাধারণের পক্ষে দাঁড়ানো তো নয়ই; সংসদের বাইরেও তারা জনসাধারণের পক্ষ হয়ে একটি আন্দোলন করেনি। বিরোধী দলেরও যে জনসাধারণের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে এটা তারা মানেন কিনা সেটাই সন্দেহ।



আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ দেখে দেখে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে টিআইবি আইন করে তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের দাবী তুলেছে। এটা শুধু তাদের একার দাবী নয় এ দাবি এখন এদেশের সচেতন সকল নাগরিকের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আইন প্রণেতাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে আইন করতে হবে কেন? কেন তারা নিজে থেকেই দায়িত্ব সচেতন হবেন না। তারা যদি দায়িত্ব সচেতন নাই হন তাহলে আমরাই বা কেন তাদের উপরে দায়িত্ব অর্পণ করি?



দেবতাকেই দেবতার স্থান দিতে হয়, অপদেবতাকে নয়; অন্যথায় অনর্থ অনিবার্য।



আমাদের রাজনীতিবীদগন এতটাই ভোলা ভালা(!) যে দায়িত্ব পালন না করে সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গ্রহণ যে অনৈতিক-অন্যায় তাও তারা বুঝতে অক্ষম। আমরা কেন এই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের কাঁধে আমাদের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে স্বস্তিতে থাকি? এটাও তো ঘোরতর অন্যায়।

আমাদের রাজনীতিবীদগন কারো কাছেই দায়বদ্ধ নন এটা তাদের কথায়ই প্রমাণিত হয়। যখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা কখনো চাইনি, সংসদ অকার্যকর হোক। কিন্তু সরকার চায়নি আমরা সংসদে থাকি। সেই পরিবেশ তারা তৈরি করেছে। সে জন্যই আমরা সংসদ বর্জন করেছি।’



তার মানে কি, বিরোধী দলের সংসদে উপস্থিতি নির্ভর করবে সরকারী দলের চাওয়ার উপরে। তারা কি সরকারি দল কর্তৃক নির্বাচিত? জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে সরকারি দলের দোহাই দিয়ে সংসদ বর্জন করবেন এটা কি ধরনের দায়িত্ববোধ! জনগণ যে দায়িত্ব আপনাদের উপর অর্পণ করেছে আপনারা তা পালনে বাধ্য। হয় সঠিকভাবে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। না পারলে আল্লার ওয়াস্তে দায়িত্ব ছেরে দেন। আর আপনারা তো স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ দায়িত্ব কাঁধে নেন না; বরং অনেক চড়া মূল্যেই জনগণ আপনাদের নিয়োজিত করেন। তাহলে জনগণের দেয়া আমানত আপনি কেন রক্ষা করবেন না?



আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কি চাইলেই আপনি যে কাউকে ছেড়ে দেন? দেন না, তাহলে কেন অন্যের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা? মওদুদ আহমদ এর এই কথাটি বিএনপি বা ১৮ দলিয় জোট কি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করার মত সৎ সাহস দেখাতে পারবে? একই ভাবে মহাজোট কি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করতে পারবে যে তারা বিরোধী দলে গেলে সংসদ বর্জন করবে না। যদি নিজেদের দায়িত্ব পালনে অপারগ বলে মনে করেন তাহলে স্বেচ্ছায় নিজেরাই পদত্যাগ করবেন। এবং অনুপস্থিত থাকা দিনের বেতন ভাতা সুবিদাধীও তারা রাষ্ট্রকে ফেরত দিবেন। পারবেন না। এতখানি উদার মনের পরিচয় আর যাই হোক আমাদের বর্তমান নেতৃবৃন্দ আজো দিতে পারেন নি। তাই বলছি, উদার না হতে পারেন ধোঁকাবাজিটা বন্ধ করুন।আরও পড়তে লগইন করুন



[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

জহির উদদীন বলেছেন: একজন অনির্বাচিত নারী (এমপি) আমাদের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিদের স্পিকার হতে পারলে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন করতে দ্বিধা কোথায়.......?

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: দ্বিধা তো একটিই আর তা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন না।
আর এটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.