নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ আগস্ট ঘটা করে জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকুন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫২



যদি ক্রমানুসারে আসি তাহলে প্রথমেই ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হয়- মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর পত্র। সঠিক জন্ম তারিখ নির্ধারণে আজো যা সবার কাছে সকল ক্ষেত্রেই গ্রহণ যোগ্য। এরপরে আসবে ম্যারেইজ সার্টিফিকেট। তারপরে নির্বাচনে প্রার্থিতার আবেদনপত্র এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথে উল্লেখিত জন্ম তারিখ। চারটি স্থানে চার রকম জন্ম তারিখ একজন সচেতন নাগরিকের বেলায় কতটা গ্রহণযোগ্য তা আমার আলোচনার বিষয় নয়। বোধ করি আমি কেন এ দেশের কোন মানুষেরই এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহও থাকত না। যদি না এই তারিখগুলোর মধ্যে ১৫ আগস্টকে টেনে না আনা হত।



১৫ আগস্ট তো এ দেশের মানুষের কাছে আর দশটি সাধারণ দিনের মত নয়। এ দিনটি এ দেশের প্রতিটি মানুষের কাছেই আরেকটি ২৫ শে মার্চ কালরাত্রির মতই বা তারও বেশি বেদনাদায়ক। যে পাকিস্তানের জালিমরা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বা তার পরিবারের সদস্যদের গায়ে হাত তোলার মত ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস করেনি। সেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে খুন করেছে এ দেশেরই কিছু বিশ্বাসঘাতক। যারা এক সময় এই মহান নেতার নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সেদিন তারা এটাও প্রমান করেছিল যে, সব মুক্তিযোদ্ধাই মহা মানব নন। যে ধারাটি এখনও পরিলক্ষিত হয় অত্যান্ত দৃষ্টিকটুভাবে। এই খুনের পিছনে কার কতটা সমর্থন ছিল। কারা কারা এই নির্মমতার সাথে সরাসরি জড়িত। এবং কে বা কারা তাদের পরবর্তীতে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছে তা আর আজ গোপন নেই।



শেখ মুজিবুর রহমান কোন ব্যক্তি মাত্র নন। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক বা নিছকই একজন রাজনীতিবিদও নন। তাকে একটি জাতির জনক বলেও তার অবস্থানকে নির্ণীত করা অসম্ভব। শেখ মুজিব ইতিহাসের অংশ নন তার জীবদ্দশার ইতিহাসই তাকে আবর্তিত। এ দেশের কাউকে এ মহানায়কের সমকক্ষ করতে চাওয়াটাই হাস্যকর। আর তা প্রমাণিতও।



শেখ মুজিব আর স্বাধীনতা; কাকে বাদ দিয়ে আপনি বাংলাদেশকে স্বীকার করবেন? এ দেশের প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা দর্শনধারি হতে পারে। প্রত্যেকের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে, থাকবে আলাদা সমর্থন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন প্রশ্নটি আমার প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে। আমার মাতৃভূমির স্বাধীনতার স্থপতিকে নিয়ে হবে। তখন কোন ভিন্নতা থাকতে পারে না। আমি যেমন আমার পিতাকে অস্বীকার করে নিজেকে লাওয়ারিস হিসেবে পরিচয় দিতে রাজি নই। তেমনি আমার পিতার অসম্মানকেও আমি সহ্য করতে পারি না। অন্তত আমার মধ্যে যদি সামান্যতম মনুষত্ববোধ থেকে থাকে।



মাননীয় নেত্রী, আপনার পিতা যদি ভুল করে আপনার জন্ম দিন ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ কিংবা ৫ আগস্ট ১৯৪৪ লিখে থাকেন। তার সে ভুলটি আপনাকে ঊর্ধ্বেই স্থান দিত। প্রধান মন্ত্রী হিসেবে যারা আপনার জন্মদিনটি ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ লিখলেন তারাও আপনার হিতাকাঙ্ক্ষী সন্দেহ নেই। তবে যারা রাতারাতি একে পাল্টে ১৫ আগস্ট ১৯৪৬ করে দিল তারা আর যাই হোক আপনার মঙ্গলকামী নয়। এটা হলফ করে বলতে পারি।



বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন শেখ মুজিবের যে ধারে কাছেও নন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেখ মুজিবুর রহমান এমনই এক উচ্চতর আসনে অধিষ্ঠিত। যেখানে পৌঁছানো এ জাতীর আর কোন সন্তানের পক্ষে সম্ভব কিনা তা একমাত্র ভবিষ্যতই বলতে পারে। এ দেশে এমন অজস্র মানুষ আছে যারা আওয়ামীলীগের বর্তমান রাজনীতি এবং এর নেতৃত্বকে পছন্দ করেনা। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, ভালবাসে। যার হয়ত ভোটও আওয়ামী লীগকে না দিয়ে বিএনপি বা অন্যান্য দলকেই দেয়। অন্তত তাদের কথা ভেবে হলেও ১৫ আগস্ট ঘটা করে জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকুন। ১৫ আগস্ট এ জাতীর শোক দিবস তা আপনি মানুন আর নাই মানুন। এ দিনটিকে আনন্দের দিন হিসেবে পালন- তারাই করতে পারে যাদের কাছে মানবতা বিরোধী অপরাধ কোন অপরাধই নয়। যাদের পিতৃ পরিচয়ের কোন প্রয়োজনই নেই। যারা বিবেক বর্জিত। আশা করি আপনি এর কোনটিই নন।

[email protected]



- See more at: http://www.aponvubon.com/blog/index.php?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.