নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
নারী পুরুষের মাঝখান থেকেই এক এক জন একেকজনের জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে। কিন্তু সমস্যা হল যার জন্য যে প্রযোজ্য ঠিক তার উল্টোটাই মেলে। তাই তোমরা যে বল না পারফেক্ট ম্যাচ! ঐ জিনিষটা আর হয়ে ওঠে না। ওটা একখানা অসম্ভব ঘটনা হয়েই রয়ে যায়।
ফলশ্রুতিতে জীবনটা হয়ে ওঠে ছাড় দেয়ার আদর্শ স্থান। তুমি যত ছাড় দিবে তুমি ততই ভাল থাকবে। এই ছাড় দিতে দিতে যদি স্বকীয়তাকেই বিসর্জন দিতে পার তবেই তুমি আদর্শ সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মর্যাদা লাভ করবে!
সমস্যা হল সবাই তো আর মেরুদণ্ডহীন হয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। যারা পারে না বিপত্তিটা তাদের নিয়েই। একসাথে চলতে গিয়ে পারস্পরিক সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার মনোভাব থাকতেই হয় কিন্তু তাই বলে একে অন্যজনকে পিষে চলবে এটা কাঁহাতক সয়?
তোমাদের ভাষায় ‘পারফেক্ট ম্যাচ’কে আমি বলি অত্যাশ্চর্য। তার কারণটা হল, এই জিনিষটা আবার মহান সৃষ্টি কর্তা বা ভাগ্য বিধাতার একেবারেই অপছন্দের! বিধাতা মহাশয় কখনোই এই জিনিষটার পক্ষে নন বলেই আমি অন্তত বিশ্বাস করি। দীর্ঘশ্বাস তার অসম্ভব প্রিয় একখান জিনিষ।
তার সৃষ্টি কাঁদবে, বিক্ষুব্ধ হবে তার কাছে নিস্তার চাইবে এই না হলে তিনি কেমন ত্রাতা। অতি ধার্মিক কেউ আশেপাশে থাকিলে তাকে উদ্দেশ্য করেই বলছি। মহান আল্লাহ নিজেই বলেন তোমাদের দুর্ভোগ তোমরাই কামাই করিয়া লও। তিনি এও বলেন আমার থেকে কৌশলী আর কে আছে?
বিধাতা বলছেন তুমিই তোমার দুর্ভোগের জন্য দায়ী। আবার বান্দার বিবেচনা শক্তি দাতাও কিন্তু স্বয়ং তিনিই। এখন তার কোন বেয়াড়া বান্দা যদি তার কাছে জানতে চায় যে, হে দাতা আমার এই বিবেচনা শক্তিখানা কম করে কেন দিলে?
তিনি কি উত্তর দিবেন তা জানিনা। তবে এর উত্তরও যে তৈরিই আছে সেটা নিশ্চিত। কেননা তিনি সবই জানেন।
সৃষ্টিকর্তা নিজেই বলেছেন যে, তিনি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। আর আমি তা মনে প্রাণে বিশ্বাসও করি। আর সে কারণেই প্রশ্নটা করছি, জোড়ে জোড়েই যদি সৃষ্টি করলেই তাহলে জোড়াখানার মানসিকতা দুই ধরনের কেন দিলে?
স্রষ্টার কৌশলের কাছে সৃষ্টি নাদান। তিনি কৌশলে এই অশান্তি খানার জন্ম দিয়ে আবার সৃষ্টিকেই দায়ী করেন!
তাহলে আমি কেন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব না যে, শান্তি তার প্রিয় বিষয় নয়। আর তাই পারফেক্ট ম্যাচও না!
©somewhere in net ltd.