নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
কদিন আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি অফিসিয়াল মিটিং এ বসেছিলাম। এরই এক ফাকে দেশ নিয়ে আলোচনা শুরু হল। কথা হচ্ছিল পুলিশের প্রসঙ্গে। এক পর্যায়ে একজন বলে বসলেন দেশের অধিকাংশ পুলিশই সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। আমাদের ঐ আড্ডায় তখন প্রায় পনের জন। জানতে চাইলাম এর মধ্যে কেউ পুলিশি হয়রানির মুখে পড়েছেন কিনা। উত্তর এলো না। জানতে চাইলাম আমাদের মধ্যে কারো আত্মীয় স্বজন পুলিশি হয়রানির মুখে পরেছেন কিনা। এবারও উত্তর এলো, 'না'।
বললাম তার মানে এই নয় যে, পুলিশি হয়রানি কাগুজে প্রোপাগান্ডা মাত্র। পুলিশি হয়রানি কম বেশী কিছু যে হচ্ছে তার প্রমাণ আমরা মাঝে মাঝেই দেখতে পাই। তবে সে সংখ্যাটা এতটা নয় যেমন করে বলা হচ্ছে। তবে যেহেতু পুলিশের উপর আমাদের সর্বদাই নির্ভর করতে হয়। চাইলেই যে কাউকে যে কোন সময় হেনস্থা করার সুযোগ তাদের রয়েছে; ভয়টা সেখানেই। এখান থেকে বেড়িয়ে আসাটা অত্যন্ত জরুরী।
পুলিশের কিছু সদস্য সমাজ সেবামুলক কাজের সাথেও জড়িত। যে খবরগুলি সচরাচর খবরে আসে না। আসলেও তা ফলাও করে প্রচার করা হয় না। যেটা প্রচার করা উচিৎ। পুলিশকে আমরাই বা কতটা বন্ধু করে নিতে পারছি? সেটাও ভাবার বিষয়।
পুলিশের উশৃঙ্খল আচরণের বৈধতা প্রদানের সুযোগ নেই তবে তাদের এই আচরনের পেছনের কারনগুলো খুজে দেখাটাও জরুরী। তাদের আবাসন সমস্যা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, পরিবার থেকে দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন থাকা যে অনেকটাই আবেগহীন করে তুলছে সেটাও তো ঠিক। এ সব সমস্যার সমাধানেও দৃষ্টি দেয়া জরুরী। সেই সাথে নৈতিক মূল্যবোধের অভাব দিন দিন আমাদের জাতীয় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে যার প্রধান কারন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যতা। যার জন্য শুধু পুলিশ বাহিনীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ। তবে বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে দেখা দরকার।
পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা শুধু পুলিশ প্রশাসনের জন্যই নয় সাধারণ মানুষের জন্যও জরুরী।
পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্যদের কারণে গোটা পুলিশ বাহিনীর অসংখ্য অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একই সাথে তাও সাধারণ মানুষের সম্মুখে তুলে ধরা উচিৎ বলেই মনে করি।
Photo credit:FB Antora Akter
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হ্যা ভাই আমি এই ব্যতিক্রমকেই নিয়মিত হিসেবে দেখতে চাই আর তা দেখতে হলে আমাদের এই ব্যতিক্রমকেই সামনে নিয়ে আসতে হবে যাতে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হন। আপনি খারাপ বলতে বলতে এক সময় ভালটাও খারাপ হয়ে যাবে সে পুলিশ বলুন আর আপনার সন্তান কিংবা ভাই বলুন।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
বিষক্ষয় বলেছেন: ঠিক,
"অধিকাংশ নয় বলুন কিছু সদস্য " মানুষ ..............বাকি গুলি ....................
আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন সরকার দলের কর্মিদেরই বলতে শুনেছি '#নকি কারো মা না, পুলিশ কারো বন্ধু না"........অন্তত বাংলাদেশি পুলিশ জনগনের বন্ধু না
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যদি আপনার কথাকে মেনেও নি তাহলেও প্রশ্ন থেকেই যায় দায়টা কার বা কাদের?
আসলে অধিকাংশ খারাপের অর্থটাই আমরা বুঝি না। আর সে কারনেই নির্বাচনে সোতসাহে ভোট দিতে যাই। ভোট দেই। যদি প্রশ্ন করা হয় যাকে ভোট দিলেন ক্যান দিলেন? উত্তর মিলবে না যদি প্রশ্ন করা হয় যাকে ভোট দিলেন না ক্যান দিলেন না। সে প্রশ্নের উত্তরও মিলবে না। এর কারন একটাই আর তা হল আসলে আমরা কোন কিছুই ভেবে বলছি না বুঝে করছি না। সমস্যাটা আমাদেরও কিছু কম নয়।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
রাসেল বলেছেন: If you go for any service to police then you may judge the police. I went only for two cases and sufered. What will I say?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেছেন: ভাই ভোট না দিয়েই সরকার গঠন হয়ে যায়
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেছেন: ভাই একমত হতে পারলাম না আপনার সাথে। আপনি কি কখনো police clearance নিয়েছেন থানা থেকে? আপনি কি কখনও জি,ডি করতে গিয়েছিলেন থানাতে অথবা থানা থেকে জি, ডি তুলেছেন কি কখনো । আপনার কেউ কি কখনো মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। তবেই পুলিস সপ্মকে আপনার ধারণা পরিস্কার হবে। হ্যা আপনার ছবি গুলো ব্যতিক্রম । কিন্তু ভাইয়া আমাদের ভাবতে হবে কমন গুলো নিয়ে। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে কিন্তু ব্যতিক্রম কখনোই উদাহারণ হতে পারে না ।