নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ আমি সেই নারীকুলের মুণ্ডু পাত করিতেই বসিয়াছি।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬


সমাজে কিছু নারী আছেন তাহাদের কাছে তাহাদের স্বামী খারাপ, তাহাদের শাশুড়ি খারাপ, দেবর-ননদ খারাপ। খারাপ বলতে যে সে খারাপ নয় ভয়ংকর খারাপ!
তারা চোর-জোচ্চোর, অসচ্চরিত্র, অভদ্র, ঠক, প্রতারক এক কথায় যতটা নেতিবাচক বিশেষণ দেয়া যায় তার সবটাই তাহাদের শ্বশুরকুলের জন্য প্রযোজ্য!
সময় সুযোগ পেলেই তাহারা বন্ধু গনের কাছে শ্বশুরকুলের গুষ্ঠি উদ্ধারে ব্রতী হন। আর বান্ধবী গনও মহা উৎসাহ নিয়ে সেই কুৎসা শ্রবণ করিয়া যার পর নাই আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন। মাঝে মাঝে নিজেদের জীবনের সাথেও তাহা মিলাইয়া দেখিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিয়া থাকেন এবং তালে তাল মিলিয়ে থাকেন। সে আসরে ফেরেশতাকুলের প্রবেশ নিষেধ তা বলাই বাহুল্য কেননা ঐ সকল নারী গন এমন সব অশ্রাব্য ভাষায় তাদের স্বামী ও শ্বশুরকুলের আত্মীয়স্বজনদের গাল মন্দ করিয়া থাকেন যে সেই একই ভাষায় যদি তাহাদের পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীরাও শুরু করিতেন তাহা হইলে সেখানে নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হইত। আর তা যে একেবারেই ঘটে না তাও নয়, কম বেশি সেই দৃশ্যও চোখে পড়ে। যাহার প্রত্যক্ষ ভিকটিম স্বামীকুল ছাড়াও ঐ নারীদের সন্তানেরা। যদিও তাহা তাহাদের ধর্তব্যের মধ্যে পরিগণিত হয় না।
পাঠক আপনি জেনে আরো আশ্চর্য হবেন এই সকল নারীকুলের কথার বিষ বাস্পেই শুধু তাহাদের স্বামীরা জর্জরিত হন না। বেশিরভাগ সময়ে তারা শারীরিক নির্যাতনেরও সম্মুক্ষিন হন!
এ সব শুনিয়া আপনি যদি জানিতে চাহেন যে, ঐ সকল নারী কাহার অন্ন গলাধঃকরণ করিয়া বাঁচেন কিংবা কাহাদের আশ্রয়ে তাহারা থাকেন। আপনাকে অবাক করিয়া দিয়া তাহারা নির্লজ্জের মত বলিবেন, কেন স্বামীর অন্নে! স্বামীর আশ্রয়ে!

তাহাদের বিস্মিত মুখ দেখিয়া আপনি নিশ্চয় আর এ প্রশ্ন করিবার সাহস পাইবেন না যে, যাহারটা খাইয়া বাঁচেন, যাহার অর্থে পথ্য গ্রহণ করেন এমনকি যাহার আশ্রয়ে থাকেন তাহার ও তাহার প্রিয়জনদের নিয়ে এমন কুৎসা রটাতে আপনাদের বিবেকে কি একটুও বাধিল না?

কি করিয়া সাহস পাইবেন এই সকল নারী ও তাহাদের অভিভাবক গন এই সাব্যস্ত করিয়া লইয়াছেণ যে, একবার যে পুরুষ তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া লইবে তাহাদের চামড়া ছাড়াইয়া ডুগডুগি বাজাইলেও ঐ অভাজনদের আর কিছুই করিবার থাকিবে না। কেননা বিবাহের নামে পুরুষটিকে তাহারা জন্মান্তরের জন্যে দখল করিয়া লইয়াছেন। এখানে অভিভাবক গনকে টানিয়া আনার কারণ দুইটি।
প্রথমত, এই কুশিক্ষার দায় তাহারা কিছুতেই এড়াতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, আমি এমনও বলিতে শুনিয়াছি । উক্ত নারীকুলের অভিভাবক গন তাহাদের কন্যাকে নিবৃত্ত না করিয়া উলটো তাহার স্বামীকে বলেন নিশ্চয়ই তোমার কোন দোষ রহিয়াছে না হলে আমাদের এত ভাল মেয়েটা এমন করিবে কেন। এমন বলিবেই বা কেন।
অবিভাবকগন এই কথা বলিবার ধৃষ্টতা দেখান কারণ তাহারা জানেন মধ্যবিত্তের সামাজিক মর্যাদার ভয় বড়ই প্রখর। গৃহাভ্যন্তরে যতই নির্যাতিত হউক না কেন বাহিরে তাহাদের মহা সুখী বলিয়াই প্রচার করিতে হইবে।
অতএব সমাজ সংসারের চাপে পরিয়া, লোক লজ্জার ভয়ে মরিয়া, আর সন্তান সন্ততির ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া আলোচ্য পুরুষগণের যতই ত্রাহি অবস্থা হোক না কেন তাহাদের পালাবার জো নাই।

এই নারী গন যে শুধু গৃহাভ্যন্তরেই এই কর্ম করিয়া বেড়ান তাও নহে বরং স্বামী বেচারাকে অন্যদের সম্মুখে অর্থাৎ বাহিরে এমনকি স্বামীর পরিচিত বা বন্ধু মহলে হেনস্থা করিতে পারিলেই তাহারা চরম শান্তি লাভ করিয়া থাকেন। আর সেটা না করিতে পারিলেই বরং নিজেদের পরাজয় বলিয়া গণ্য করেন।

স্বামী বেচারা বাহিরে যে কম্ম করিয়াই অর্থ রোজগার করুক না কেন সেটা তাদের কাছে স্বামীর দায়বদ্ধতা এবং গৃহ কর্মের তুলনায় একেবারেই নগণ্য কর্ম বলিয়াই বিবেচিত হইয়া থাকে। ফলে স্বামী বেচারার গৃহে ফিরিয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস লইবার জো'টি আর থাকিবে না।

পাঠককুল হয়ত ভাবিয়া বসিয়াছেন যে আমি বস্তিবাসীদের একটি খণ্ড চিত্র তুলিয়া ধরিয়াছি , তাহা কিন্তু নয়। যদিও এটি সমাজের খণ্ড চিত্র তবে এই চিত্রের কুশীলব যে কেবল বস্তিবাসীরাই তাহা ঠিক নয়।
বস্তিবাসীদের চিত্রে দুই পক্ষেরই মারামারি, গালাগালিটা চোখে পড়ে, যেখানে যুদ্ধটা চলে সমানে সমানে।
আমার আলোচ্য চিত্রটি মূলত নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের তথাকথিত শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত পরিবারের নারীদের খণ্ড চিত্র। লোকলজ্জার ভয়ে যা সাধারণত আলোচনার বাহিরেই থাকে। ইদানীংকালের আমাদের সমাজের অস্থিরতা এবং নানা বিশৃঙ্খলতার জন্য এই পারিবারিক কলহও কম দায়ী নয়।

ঐ সকল নারীকুলের তুলনা করিতে গেলে আমার কাছে যে উদাহরণটি সামনে চলিয়া আসে সেটি হল ফেরাউনের উদাহরণ, কথিত আছে ফেরাউনের কাছে নাকি একবার এক বিকট দর্শন মানুষ(মূলত জিবরীল আঃ) এসে আরজ করিলেন, হে বাদশাহ নামদার আপনি একটি বিচার করে দিন, যে ব্যক্তি তার মনিবের সাথে বেইমানি করবে তার শাস্তি কি হবে? তখন ফেরাউন নাকি বলেছিল,"তাকে নীল নদে বা পানিতে ডুবিয়ে মারা উচিত"।
উল্লেখ্য যে, ফেরাউন নীল নদে ডুবেই মারা গিয়েছিল।

যদিও স্বামী কখনোই স্ত্রীর মনিব বলে বিবেচিত হতে পারে না তথাপিও স্বামীর কষ্টার্জিত আয়েই যে সব স্ত্রীদের জীবন যাপন করিতে হয়। তাহাদের কাছ থেকে স্বামীকুল অন্তত কিছুটা কৃতজ্ঞতা আশা করিতেই পারে। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে যে স্ত্রী কুল এহেন আচরণ করিয়া থাকেন মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই তাহাদের উচিৎ বিচার করিবেন কিন্তু তাহা তো অনন্ত জীবনের কথা। এই জীবনে এহেন নারীকুলের জন্য সমাজে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তাহাও তো কম যন্ত্রণার নহে।

এতক্ষণ ধরে এই লেখা পড়িয়া যাহারা আমার উপরে প্রচণ্ড রেগে গেছেন তাহাদের কাছে বিনীত অনুরোধ। বুকে হাত রেখে বলুন তো আমি কি ভিন গ্রহের কোন মানবীদের নিয়ে বলছি? আজ আমি যে নারীকুলের মুণ্ডু পাত করিতে বসিয়াছি। আপনার আশেপাশে কি সেই নারীকুলের সন্ধান আপনি এখনো লাভ করিতে পারেন নাই?

আমাদের বিশিষ্ট নারীবাদী লেখক গন এতক্ষণে দারুণ চটেছেন সেও বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহাদের বলছি নারীর অশ্রু মোচনে আপনাদের ক্ষুরধার লেখনী তো আছেই। আমি না হয় কতক যন্ত্রণা বিদ্ধ পুরুষের পক্ষ হয়েই লিখলাম।
আমাদের সমাজে নারীবাদী লেখকের অভাব না থাকিলেও পুরুষ বাদী লেখক দেখা যায় না মোটেও। তার মানে এই নয় যে এ দেশে পুরুষ নির্যাতন হয় না। বরং সারা বিশ্বের মত এ দেশেও নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক। শেষ পর্যন্ত যার প্রভাব গিয়ে পরে সামাজিক অস্থিরতার ক্ষেত্রে।

যাহারা প্রাপ্তিকে নিজ অধিকার বলিয়া গণ্য করেন, কৃতজ্ঞতার ধার ধারেন না। পক্ষান্তরে সামান্য অপ্রাপ্তিকেই ভয়ঙ্কর ক্ষতি বলিয়া ধরিয়া লন। তাহাদের লইয়া জীবন যাপন সত্যি বড় ভয়ংকর অভিশাপ বৈ আর কিছু নয়।
ইহারা পরিবারের জন্য ক্ষতিকর, সমাজের জন্য ক্ষতিকর এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও দারুণ ক্ষতিকর। ইহাদের হাত থেকে পরিবার সমাজ তথা অনাগত ভবিষ্যৎ রক্ষা পাক ইহাই সর্বান্তকরণে কাম্য।

পাঠককুলের সুবিদার্থে ৭এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মানব জমিনে প্রকাশিত এমন দুটি কেস স্ট্যাডি সংযুক্ত করে দেয়া হলঃ

কেস স্টাডি-১
২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ঘরে ছয় বছরের কন্যা শিশু। পেশায় আইনজীবী স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর অসহনশীলতা, পরিবারের সদস্যদের প্রতি অশোভনীয় ও বৈরী আচরণ, যখন তখন বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়া, নিজের ইচ্ছামতো বাসায় ফিরে আসা এসব কারণে দাম্পত্য জীবন দুঃসহ হয়ে উঠে। শুধু তাই নয়, স্ত্রী ও তার দুই ভাই এসে একদিন তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে স্ত্রীর বাড়িতে শালিসের মাধ্যমে সুরাহা করতে চাইলে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ পরিবারের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে পুনরায় শালিসের মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করেন। উপস্থিত মজলিশে নিজ নিজ দোষ স্বীকারপূর্বক নিজেদের সংশোধনের জন্য তিন মাস সময় দেয়া হয়। পারিবারিক শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে শান্তিনগরের বাসায় ফিরেন তিনি। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পরও পরিস্থিতি বদলায় না। স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাকে নানা হুমকি দিতে থাকেন। এ অবস্থায় জীবনের শঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার কারনে ২৩শে আগস্ট ২০১৪ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রীকে তালাকের নোটিস দেন তিনি। এরইমধ্যে কন্যা এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী। স্বামী ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে মেয়ের ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়। বিভিন্নভাবে পরিচিতদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি কন্যা শিশুর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং তাকে ফিরে পেতে আইনি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ধারস্থ হয়েছেন।

কেস স্টাডি-২
চার বছর হয়েছে আরিফ (আসল নাম নয়) ভালবেসে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন স্মৃতিকে (আসল নাম নয়)। বিয়ের পর থেকে স্মৃতিকে নিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে লালবাগে থাকতেন তিনি। আরিফের অভিযোগ বিয়ের এক সপ্তাহ পর থেকেই স্মৃতির ব্যবহার খুব খরাপ হয়ে যায়। কথায় কথায় জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। শুধু তাই নয় খারাপ ভাষায় কথা বলতেন আরিফের অসুস্থ মায়ের সঙ্গে। স্ত্রীর অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে রীতিমতো হিমশিম খেত আরিফ। বেশ কয়েকবার ঝগড়া করে পিতার বাসায় চলে যায় স্মৃতি। বায়না ধরেছিলেন আলাদা থাকবেন আরিফের সঙ্গে। বিয়ের এক বছর পর তাদের সন্তান হয়। এরই মধ্যে আরিফ সৌদি আরব চলে যান। তখন তার স্ত্রী পিতার বাসায় ছিলেন। কিন্তু একবছর পর কাগজপত্রের ঝামেলার জন্য ফিরে আসতে হয় আরিফকে। তখন টাকার জন্য প্রতিনিয়ত ঝগড়া করতেন তার স্ত্রী। মাঝেমধ্যে খামছিও মারতেন ঝগড়ার একপর্যায়ে। তবে নারী নির্যাতনের মামলার ভয়ে কখনও স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেননি আরিফ। স্ত্রীকে সামাল দিতে না পেরে শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন ছয়মাস। কিন্তু স্ত্রী অপমান করে বের করে দিলে বন্ধুর সঙ্গে মেসে উঠেন তিনি। চকবাজারের একটি পাইকারি দোকানে চাকরি করতেন আরিফ। স্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে না থকলেও নিজের সন্তানের জন্য সাধ্যমতো টাকা পাঠাতেন তিনি। আরিফ তার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় ফিরে ঝগড়া করে নিজেকে আঘাত করে থানায় আরিফ ও তার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেন। ২৫ দিন জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আরিফ তার মায়ের সঙ্গে এসেছেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহায়তার জন্য।

[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আপনি কি ইহা নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকেই লিখিলেন? মানে আপনার স্ত্রীও কি আপনার পিতৃকুলের এমন বদনাম রটাইয়া থাকেন?

২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি যখন নির্যাতিত নারীদের নিয়ে লিখি নিশ্চয়ই তখন আপনি আমাকে নারী বলিয়াই সাব্যস্ত করিবেন না?
অনেক ধন্যবাদ অরুনি মায়া অনু আপনাকে। ভাল থাকুন নিরন্তর।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১০

শারলিন বলেছেন: নারীকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বেশীরভাগ পুরুষের মাথায় শুধু খারাপ কথাই আসে। আরে ভাই কখনও কি নারীর যায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেখেছে কেন ঐ নারী এমন আচরন করছে। অনুরোধ রইল একবার নারীর যায়গায় নিজেকে বসাবেন। দেখবেন আপনার ভাবনা গুলো কেমন বদলে যাচ্ছে। ভুলে যাবেননা নারী কখনও আপনার মা, কখনও আপনার বোন, কখনও আপনার মেয়ে।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শারলিন বাস্তবতাকে অস্বিকার করা মিথ্যের নামান্তর আমি কিন্তু বারবারই বলেছি এটি আমাদের সমাজের একটি খণ্ড চিত্র। কাজেই সকলের মুখপাত্র হয়ে আপনি একে ডিফেন্স করতে চাইছেন সেটা কি যৌক্তিক?
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। নারী আমার মা, বোন, মেয়ে মেনেই কিন্তু আমি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লিখেছি আপনার সুবিদার্থে এখানেই প্রকাশিত আমার কয়েকটি লেখার লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
নারীকেই হতে হবে নারীর রক্ষা কবচ। Click This Link
নারী বাঁচুক তার অধিকার নিয়ে, সম্মানের সাথে।http://www.somewhereinblog.net/blog/Tokitahmid/30042710
নারী চরিত। Click This Link
যখন বিষণ্ণ জন্মদাত্রী “মা”; সন্তানের যাচিত নরকবাস! Click This Link

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

কবি এবং হিমু বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালই লাগলো।মনে হল বিনোদন পেলাম।কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখা উচিত এক বা দুজন নারী দিয়ে সমাজ টাকে বিচার করলে হবে না।সবাই তো আর সমান নয়।তারপর ও আমার একটা জিনিস মনে হয়,আমাদের জীবনে সামাজিক সাইটগুলোর প্রভাব এতো বেড়েছে যে আমাদের মন-মানসিকতায় ও আচার-ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন এসেছে।আর এ পরিবর্তন নারী-পুরুষ সবার বেলাতেই।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

শারলিন বলেছেন: কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখা উচিত এক বা দুজন নারী দিয়ে সমাজ টাকে বিচার করলে হবে না।সবাই তো আর সমান নয়।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তাহলে তো হয়েই গেল।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

আহলান বলেছেন: এটা সমাজের একটি চীত্র ... অবাক হইনি।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একটি দুঃখজনক চিত্র! অশেষ ধন্যবাদ আহলান ।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ভাইজান, নিঃসন্দেহে অসাধারন ভাবে তুলে ধরেছেন। যেমন অনেকে বলতে পারেনা এই নির্যাতন গুলার কথা, ঠিক তেমনি অনেকে লিখতেও পারেনা সমালোচনার ভয়ে। শুভেচ্ছা থাকলে ভাইয়া, ভালো থাকবেন।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মধ্যবিত্তের সামাজিক মর্যাদার ভয় বড়ই প্রখর। গৃহাভ্যন্তরে যতই নির্যাতিত হউক না কেন বাহিরে তাহাদের মহা সুখী বলিয়াই প্রচার করিতে হইবে।
সমাজ সংসারের চাপে পরিয়া, লোক লজ্জার ভয়ে মরিয়া, আর সন্তান সন্ততির ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া আলোচ্য পুরুষগণের যতই ত্রাহি অবস্থা হোক না কেন তাহাদের একদিকে যেমন পালাবার জো নাই তেমনি অন্যদিকে প্রকাশেরও উপায় থাকে না। যা এই সমস্যাকে আরো বেশি জটিল করে তোলে।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

রাসেল বলেছেন: yes you are true. all of us find the wrong of others but not me. we think self is angel.

২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: রাসেল আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে সব নারীই নিজেকে ধুয়া তুলসিপাতা মনে করে ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পুরুষকে আত্মবিশ্লেষন করতে মাঝে মাঝেই দেখা যায়। কিন্তু নারী কখনো আত্মবিশ্লেষন করছে এটা দেখেছেন?

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে সব নারীই নিজেকে ধুয়া তুলসিপাতা মনে করে ।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: ভাই,আমি অবশ্য মুদ্রার দুই দিকই দেখেছি।নারীকুলে আপনার বর্ণিত টাইপ ও দেখেছি,আবার এর পুরা উলটাও দেখেছি।কথা হোল কি,পদ্ম ফুল তো গোবরেও ফোটে,তাইবোলে সেইটা কি পদ্ম নয়??
নারীকুল এর মতো আমাদের পুরষকুলেও কিন্তু ভালো এবং মন্দ,উভয়েরি যুগপৎ বসবাস।
এ অনেকটা ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড এর মতো বিষয়

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি তো সকল নারী বলিনি আমি বলেছি সেই সব নারী। ধরে নিন না আপনার নির্দেশিত নারীদের নিয়েই আমার এই লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.