নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ একটি বিজ্ঞাপনে ৮/৯ বছরের বাচ্চাদের মুখ থেকে বলাচ্ছে- রিয়ার সঙ্গে লাঞ্চ! মানে হল, রিয়া নামক বান্ধবীর সাথে দুই ছেলে বন্ধুর একত্রে লাঞ্চ একটি বিশেষ কিছু। প্রেমের প্রথম দীক্ষা বুঝি এখানেই।
এর পরেই আসুন কার্টুন চরিত্র ডোরেমন এ। যেখানে সিজুকা নামের মেয়ে বান্ধবীকে দেখে ছেলে বন্ধু নমিতা তো পাগলপ্রায়।
বাংলা সিনেমা এবং নাটকে প্রেম ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিষয় যেন নির্মাতাদের মাথায়ই ঢোকে না।
মোবাইল ইন্টারনেটের বিজ্ঞাপন বলছে, নেট মানে চোখ খুলে পাখীটার(!) মুখ......।
বাচ্চা শিশুটিকে নিয়ে যাবেন তাদেরই জন্যে গড়া শিশু পার্কে। সেখানে উঠতি বয়সী যুবক যুবতিদের নির্লজ্জ পনা দেখে দেখে শিশুরা হয়ে পরে বিবশ।
এর সাথে আরও যোগ করুন নেশা দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং অবাধ ব্যবহারের সুযোগ।
আর এভাবেই এই শিশুরা কৈশোরে পদার্পণই করছে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে যার পুরোটাই নারী কেন্দ্রিক। আর একবিংশ শতাব্দীর মহা আশীর্বাদ মোবাইল তো আছেই। কৈশোরেও পৌঁছুতে দেয় না শিশুদের, তার আগেই হাতে উঠে যায় পর্ণ ভিডিও। আপনি 'মা' লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন। অবাক হয়ে যাবেন কন্টেট গুলো দেখে। আপনার সন্তান হয়ত এভাবেই ঢুকে যাচ্ছে পর্ন দুনিয়ায়। অবাক বিস্ময়ে সে আসব দেখে। তার কৈশোরের নির্মল আনন্দের জায়গাটার পুরোটাই দখলে নিয়ে নেয় এক ভ্রান্ত উদ্দীপনা। শিশু নারী স্বত্বাকে দেখে আনন্দ উপকরণ হিসেবে। একক সন্তানের পরিবারে তো মা ছাড়া শিশু কোন মেয়ে সান্নিধ্যই পায় না। নারীর যে অন্যরুপ সেটা সে জানার সুযোগই পায় না। এই শিশুদের কাছে স্বাভাবিক ভাবেই নারী মানেই আনন্দ-ভোগ! কে শেখাচ্ছে? তারই অভিভাবক গন এমনকি এই সমাজ এবং রাষ্ট্র নিজেই।
আমরা শিশুর লেখাপড়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি। শিশুটির সুস্থ বিনোদন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না। মা তার সন্তানকে নিয়ে বাসার আরাম আয়েস ছেড়ে সারাটা দিন স্কুলের সামনের ফুটপাতে বসে থাকছেন। অথচ এই সন্তানটির যে নির্মল বিনোদন চাই সেটা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। আমরা শিশুদের অন্দরে একবার তাকাই না। তার ভাবনা, তার ভাল লাগা, তার আনন্দ উপকরণগুলো তার জন্য কতটা ভাল বাঃ সে তার কতটা সুস্থ ব্যবহার করতে পারছে আমরা তাও ভাবছি না। আমরা ভাবছি না সে মানুষ হয়ে উঠতে পারবে কিনা।
আমরা বলছি শিশু কিন্তু বিভিন্ন ভাবে মেয়ে শিশুদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে দিচ্ছি। একটি ছেলের যেমন বাবা-ভাই-বন্ধু-অভিভাবক অনেকগুলো চরিত্র হতে পারে তেমনি একটি মেয়েরও মা-বোন-বন্ধু-অভিভাবক এ সবগুলো চরিত্রেই দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ শব্দটার মাঝে নারী-পুরুষ একাকার। আপনি কি কখনো এটা আপনার সন্তানকে শিখিয়েছেন? অধিকার কিংবা দাবী উভয়েরই সমান। এ পৃথিবীর সকলে অর্জনে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান সমান, শিখিয়েছেন আপনার সন্তানকে? শেখান নি। শেখানো যে উচিৎ সেটাই হয়ত মাথায় আসেনি।
আমরা ঐশীকে দেখেছি। দেখেছি এমন অজস্র কিশোরকে যারা প্রতিনিয়ত বখে যাচ্ছে। আমরা কাকে দায়ী করি নিজের দিকে একটিবার ফিরে তাকাচ্ছি না। আপনি যখন একটি অঙ্গুলি অন্যের দিকে নির্দেশ করছেন তখন আপনার বাকি চারটি অঙ্গুলি কিন্তু আপনার দিকেই ফিরে আসছে। সে অঙ্গুলি আবার আপনাকেই ব্যঙ্গ করছে না তো?
কি অদ্ভুত! এত কিছুর পরেও এ রাষ্ট্র এ সমাজ শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে সুস্থ আচরণ আসা করে।
আমরা কিশোর অপরাধ নিয়ে কথা বলছি। যগ সূত্র গুলো খুঁজি না, কিভাবে এক একটি শিশু অপরাধী হয়েই কৈশোরে পা বাড়াচ্ছে। কারা তাকে অপরাধী হিসেবে তৈরি করছে সেটা ভাবছি না। আমরা সুস্থ তো?
[email protected]
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিই তাই আমাদের শিশুদের নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। আমরা শিশুর লেখাপড়া ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি শিশুটির সুস্থ বিনোদন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না। আমরা ভাবছি না সে মানুষ হয়ে উঠতে পারবে কিনা। অনেক ধন্যবাদ রুবন। ভাল থাকবেন।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
সেলিম৮৩ বলেছেন: ভাই, রোগের ইতিহাস বা কারণ ধরে চিকিৎসা করলে; রোগ নিরাময় তত সহজ হয়।
ইংরেজীতে একটা কথা অাছে, Prevention is better than cure. অর্থাৎ প্রতিকারে চেয়ে প্রতিরোধ ভালো।
কিশোরেরা কেন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে?
বর্তমানে অাকাশ সাস্কৃতি, অশ্লীল সাইটে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা, বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি, লাগামহীন মাদকের বিস্তার, সহজলভ্য মোবাইল ভিডিওগুলো কিশোরদের নারীকেন্দ্রীক কৌতুহুলতা, যৌনতার সুড়সুড়িকে চরম মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে।
অাপনার লেখায় কথাগুলো অত্যান্ত স্পষ্ট করেই বলেছেন। ধন্যবাদ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এমন এক কঠিন সময় আমরা পার করছি যা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখুন মা লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলাম দ্বিতীয় ভিডিওটার শিরোনাম এল, একটি আপত্তিকর যৌন উত্তেজক ভিডিও লিংক! ভাবুন তো।
আপনার সন্তানের হাতে স্মার্ট ফোনটা তো তুলে দিচ্ছেন। আর মোবাইল কোম্পানী গুলো অবিরাম নেট ব্রাউজিং এর জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে বাচ্চাটা ইউটিউবে গিয়ে কি পাচ্ছে?
আমাদের সরকার বাহাদুর থেকে শুরু করে পরিবারের অভিভাবক প্রত্যেককেই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। আমার আপনার সন্তান যদি অপরাধী হয়ে না ওঠে সে জন্যে আমাকে আপনাকেই উদ্যোগী হতে হবে।
অশেষ ধন্যবাদ সেলম ভাই আপনাকে।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবসময় এসব নিয়ে আমি চিন্তিত থাকি। কীভাবে সন্তানদের এসব থেকে মুক্ত রাখবো। নিজে না হয় চেষ্টা করব ঘরে, কিন্তু বাইরে?
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কাজটা কঠিন অন্তত ঘর থেকে চেষ্টাটা শুরু করি। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনার লেখাটা ভাল। সমস্যাগুলো ঠিকই চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু দোষটা কার?
মোবাইল কোম্পানীর দোষ দিচ্ছেন? মার্কেটিং-এর টার্মের নিজেদের পণ্যকে আকর্ষণীয় করার জন্য তাদের কোন কিছু করাতে কিন্তু কোন বাঁধা নেই। একমাত্র এক্সট্রিম পর্যায়ের যৌন উত্তেজক কিছু তারা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রেই একমাত্র তাদেরকে দোষী ধরা যাবে। অন্যথায় তো তারা তাদের ব্যবসার জন্য মার্কেটিংই করছে শুধু। দোষটা কই?
এভাবে আপনি যত কিছু দেখবেন - কোনটাকেই কিন্তু আপনার অবৈধ বা যৌন উত্তেজক বলতে পারবেন না।
'নেট মানে ঘুম থেকে উঠেই পাখিটার মুখ...' এই বাক্যের অর্থ আপনার আছে ঘুম থেকে উঠেই গার্লফ্রেন্ডের চেহারা দেখার সহজলভ্যতাই মনে হবে। কারণ, আপনি ভিডিওতেও তাই ই দেখছেন। কিন্তু, সত্যিকার অর্থে কথাটা নিয়ে ভাবে কয়জন ভাল ভাবে? বাক্যটার আসল অর্থ হল - নেটের সুবাদে ঘুম থেকে উঠেই প্রিয়জনের মুখটা দেখতে পাওয়া... প্রিয়জন বলতে আপনার স্ত্রীকে বুঝায়, গার্লফ্রেন্ডকে বুঝায়, আপনার মা-বাবা-ভাই-বোনকে বুঝায়, আপনার সন্তানকে বুঝায় - সত্যি বলতে যে মানুষটা আপনার প্রিয় তাকেই বুঝায়। তাহলে, কেন শুধু গার্লফ্রেন্ডকেই ভাবছেন? নেগেটিভটা কার মাঝে আসলে - ভেবে দেখেছেন??
নেগেটিভটা হল সন্তানদের বাবা-মায়ের মাঝে। কারণ, তারা নিজেরা ভাবে না - এবং সন্তানকেও মূল অর্থটা বুঝানোর চেষ্টা করে না। যদি তারা চেষ্টা করতো সন্তানকে মূল অর্থটা বুঝানোর - তাহলে সন্তানগুলো নিজে থেকেই একটা সময় নেগেটিভ ব্যাপারগুলো থেকেই পজিটিভ অর্থ বের করার অনুপ্রেরণা পেতো।
তো এখন দোষটা কার?
ইউটিউবে যা আছে বা গুগলে মা-বাবা-ভাই-বোন লিখলেই যে সাজেশনগুলো চলে আসে - সেগুলোর ক্ষেত্রে সমাধান কি? আপনি কি ইউটিউব বা গুগোল বন্ধ করে দিতে বলেন? তাহলে তো ক্ষতিটাও কম হবে না। শিশুরা হয়তো রক্ষা পাবে অশ্লীলতার কবল থেকে - কিন্তু যারা দরকারী কাজের জন্য এগুলো ব্যবহার করে তাদের কী হবে? তো, এই ক্ষেত্রে দোষটা - বাবা-মা কেন বাচ্চাটার হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিচ্ছে? ওয়েল, এটারো কিন্তু দরকার আছে। এই যুগে বাবা-মায়ের উভয়েই চাকরী করে এমন পরিবারের সংখ্যা কম না। এতে তাদের বাচ্চাকে একা থাকতে হয়। সেজন্য বাচ্চার সাথে যোগাযোগের নিমিত্তে একটা ফোন দিয়ে রাখা হয়। যাতে কর্মে গিয়েও একটু পর পর তারা তাদের বাচ্চার খোঁজ রাখতে পারে। হ্যাঁ - এটাকেও দোষ ধরা যায়। বাবা-মায়ের দুজনকেই কেন চাকরী করতে হবে? একজন ঘরে থাকলেই তো হয়। সেক্ষেত্রে, কে ঘরে থাকবে এই উত্তরে কিন্তু আবার অন্য একটা সমস্যা চোখে পড়ে। সেটা হল জেন্ডার ইনইক্যুয়ালিটি। এরকম করে, আরো এগিয়ে যান - দেখবেন সমস্যাগুলো একটা থেকে কই কই চলে যাচ্ছে!!!
আসলে নির্দিষ্ট করে সমস্যার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
এক্ষেত্রে সমাধানটা আমি বলব - বাবা-মায়ের উচিৎ সন্তানকে সঠিক শিক্ষাটা দেওয়া। সময় না, আমি বলছি শিক্ষার কথা। সেই শিক্ষা বর্ণমালা অ, আ-এর না, সেই শিক্ষাটা হতে হবে জীবনের অ, আ-এর সম্পর্কে। যদি বাবা-মা ভালভাবে এই শিক্ষাটা দিতে পারে, তাহলে শিশুটি যতই ইন্টারনেট বা মোবাইল ব্যবহার করুক বা টেলিভিশনের কমার্শিয়ালে বা কার্টুনে প্রেমের আহবান দেখুক - সে কিন্তু ঐগুলোকে সযতনে এড়িয়েই যাবে বা যেটা থেকে সম্ভাব্য পজিটিভ যে অর্থ নেওয়া যাবে সেটাকেই ধরে নিবে।
আর, প্রেম কিন্তু ভাই খুব খারাপ কিছু না। সত্যি বলতে, ছোট বেলায়ই যদি প্রেম, ভালবাসা খারাপ - এটা মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় - তাহলে, বড় হয়ে সে প্রেমে পড়ার পর বা কাউকে ভালবাসার পর উল্টোপাল্টা কিছু করে বসতে পারে। কারণ, প্রেমে পড়লে প্রথমে টের পাবে সুখের উত্তেজনাটা। শৈশব থেকে খারাপ জেনে আসা কাজটায় এত সুখ - এটা তাদেরকে দ্বিধায় ফেলে দিবে। দ্বিধার কারণে তারা বুঝতেও পারবে না যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সময়োপযোগী হবে। যার ফলেই কিন্তু অনাকাঙ্খিত ব্যাপারগুলো ঘটে। এর চেয়ে, ছোট বেলায় যদি তাকে বলা হয় - প্রেম খারাপ না ভাল সেটা তুমিই বুঝবে - তবে এখন না, বয়স বাড়লে। এখন তোমার এসব নিয়ে ভাবাও ঠিক হবে না। এটা ছোটদের বিষয় না।
তাহলে কি আপনার মনে হয় - ঐ বাচ্চাটাকে প্রেমের হাজারটা প্রলোভন দিলেও তার মাথায় প্রেম ঘুরবে?
সত্যি বলতে - বাবা-মাকেই বদলাতে হবে। তাদেরকে হতে হবে আদর্শ। তাদেরকে হতে হবে সন্তানের কাছে সুপার হিরো। তাহলেই তো সমস্যা দূর হবে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বাবা-মাকেই বদলাতে হবে। তাদেরকে হতে হবে আদর্শ। তাদেরকে হতে হবে সন্তানের কাছে সুপার হিরো। তাহলেই তো সমস্যা দূর হবে। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। তবে কি জানেন প্রেমের বৃহৎ ক্যানভাসটাকে যদি তুলে ধরতে নাপারেন তা কেবল কামুকতাই শেখাবে।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমাদের পারিবারিক বন্ধন দিন দিন হালকা হয়ে যাচ্ছে -- একজন কিশোর কিশোরী কোথায় যাচ্ছে কি করছে -- তারা আসলে কি চায় তার খবরই আমরা রাখি না
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
আহা রুবন বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। শিশুদের নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে।