নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারনের ভোগান্তি

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২


একটি বিশেষ কাজে বাংলামটর গিয়েছিলাম। ফেরার পথে না সিএনজি না বাস। বেশ কিছুক্ষণ পর একটি সিটিং সার্ভিস বাস পাওয়া গেল। সৌভাগ্য ভেবে উঠে পড়লাম। কাওরান বাজার মোড় ঘুরতে গিয়ে বাজিয়ে দিল এক প্রাইভেট কারের সাথে আর যায় কোথায়? ট্রাফিক তেড়ে এলো। জানা গেল গাড়িটা ছিল কোন এক সচিবের। কি দফা হল জানি না। সচিবের গাড়িটা বিদায় নিতেই ট্রাফিক সার্জন বাসের ড্রাইভার হেল্পারকে নিয়ে কই যে গেল তা আমরা গাড়ী ভর্তি মানুষগুলো কিছুতেই ঠাহর করে উঠতে পারলাম না। অগত্যা বাস থেকে নামতে হল।
অবিশ্বাস্য বিষয় হল, প্রায় এক ঘণ্টা যাবত চেষ্টার পর অবশেষে একটি সিএনজিকে উত্তরা আশার জন্য রাজি করানো গেল তাও মিটারের থেকে ৩০ টাকা বেশি দিয়ে। তার থেকেও বড় কথা হল ঐ এক ঘণ্টার মধ্যে গাড়ীর চালক বা হেলপার কাউকেই ফিরে আসতে দেখা গেল না। ঐ গাড়ীর যাত্রীদের কজনের পক্ষে সম্ভব ছিল সিএনজি ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছনো তা বলাই বাহুল্য। আর কাওরান বাজার এমনই একটি স্থান যেখান থেকে মিরপুরে অনেক বাস পাওয়া গেলেও গাজীপুর উত্তরার যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ ঐ রুটে গাড়ীর সংখ্যা খুবই কম। দু একটি যাও বা পাওয়া যায় তা থাকে যাত্রীতে ঠাসা। কাজেই কাওরান বাজার থেকে সে সব গাড়িতে ওঠা সত্যিই দুরূহ।
আমার প্রশ্ন হল চালকের অন্যায়ের জন্য মামলা দেয়ার বিধান আছে। কিন্তু এত গুলি যাত্রীকে এভাবে রাতের বেলা মাঝ রাস্তায় বিপদে ফেলার বিধান কি আছে? আমাদের ট্রাফিক সার্জনদের মাঝে মাঝেই দেখা যায় ঠিক এভাবেই মাঝ রাস্তায় হঠাত করে গাড়ী আটকে দিতে। যাত্রীদের কি উপায় সে হিসাবটা তাঁরা কখনোই করেন না। একটি নির্দিষ্ট বাস স্ট্যান্ডে গাড়ীর যাত্রীদের নামিয়ে দিন তাঁরা অন্য গাড়ী পেয়ে যাবেন কিন্তু স্টপেজ ছাড়া এভাবে গাড়ী আটকে দেয়া, যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া। এটা কি আইন না অসভ্যতা?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.