নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অর্থনীতি এবং কুম্ভকর্ণের ঘুম

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮


২০১৬ সালে সরকারি হিসাবেই ৭ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে স্থায়ী হয়েছে! আর প্রতিবছর দেশত্যাগের এই সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যার অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত আর ধনী!
এ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা আছে। সভা হচ্ছে সেমিনার হচ্ছে। অথচ এই সম্পদ যাতে দেশের হাত ছাড়া না হয় সে মত নেই কোন উদ্যোগ।

কেন তারা দেশছাড়া হচ্ছেন? উচ্চ শিক্ষিতরা দেশ ছাড়া হচ্ছেন উন্নত জীবনের আশায়। দেশ কেন তাদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারছে না? এ দেশে অসংখ্য বিদেশী আছেন যারা উচ্চ বেতনে চাকুরী করছেন। সরকার কি আজ পর্যন্ত এমন কোন নীতি গ্রহণ করেছে যাতে দেশিয় উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষের উন্নত কর্মসংস্থান হতে পারে। এমন কোন নির্দেশনা আছে যাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে হলেও এ দেশের মানুষের কর্মসংস্থান করে দিতে বাধ্য হবে।
ট্র্যাম্প যেমন বলেছেন আমাদের চাকুরী আমরাই করব। এমন নীতি গ্রহণ খুব কি কঠিন? আমেরিকার জন্য বিষয়টি জটিল হলেও আমাদের জন্য মোটেই কঠিন নয়। প্রয়োজন দেশপ্রেম আর সুষ্ঠু পরিকল্পনা।

এরপরে আসুন কেন ধনী শ্রেণীর মানুষগুলো দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে সেখানে আবাসন গড়ে তুলছেন। আপনারা আহাজারি করে মরছেন এই বলে যে, দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ধনিক শ্রেণীর মানুষ বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কেন যাবে না বলতে পারেন?
দেশে থেকে টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে না, ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে না, নিরাপত্তা পাবে না। তারা টাকা পাচার করবে না তো কি করবে?
টাকা ব্যাংকে আছে সমস্যা নেই উঠাতে গেলেই হাজারটা প্রশ্ন!
ব্যাংক থেকে ঋণ নিবেন উচ্চহারে সুদ গুনতে হবে।
পণ্য আমদানিতে সরকার অবিবেচকের মত ভ্যাট আরোপ করে বসে আছে। আপনাকে আন্ডার ইনভয়েসিং না করে উপায় নেই।
এটা কি কোন ব্যবসা বান্ধব অর্থনীতি?
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যংকে আমার একটা ডিপিএসের বিপরীতে কিছু টাকা লোণ নিতে চাইলাম ডিপিএসটি পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে চলছে। ব্যাংক আমাকে বলছে ১৫% সুদ দিতে হবে। আবার নিজের জমানো টাকার ৮০% এর বেশী টাকা দিবে না। মগের মুল্লুক আর কি?
বাড়ী করতে চাইলাম ব্যাংক ঋণ নিতে গেলে বলে দিল ফাউন্ডেশন সহ নীচ তলা নিজের টাকায় করতে হবে তারপরে ব্যাংক ঋণ দেবে। আমি যদি ফাউন্ডেশন সহ নীচ তলা শেষই করতে পারি তাহলে নীচতলার মার্কেটের দোকানের এডভান্সের টাকায় পরবর্তী দুই তালার কাজ করা যাবে। ঋণ নিতে হবে কেন? এটা বুঝি ব্যবসা বান্ধব অর্থনীতি?

আসুন ক্ষুদ্রঋণ প্রসঙ্গে একটু কথা বলি, জামানতের অভাবে ব্যংক ঋণ দিবে না সমিতি ঋণ দিচ্ছে। সমিতি ঋণ দিচ্ছে কিভাবে? এ লক্ষ টাকার বিপরীতে তাদের মাসে শুধু সুদই দিতে হবে ৫০০০/- টাকা অর্থাৎ ৬০% সুদ। এদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গলায় দরি দেয়া ছাড়া আর কি কোন উপায় আছে? নেই। সেটা কি সরকারের মহা পরিকল্পনাবীদ গন জানেন না? জানেন কিন্তু গায়ে লাগে না। কারণ একটাই তারা জন বান্ধব নন।

সরকারের ভ্রান্ত নীতির ফলে ডুবতে বসেছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। এই একটি ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কত লক্ষ লোক জড়িত সেটা এই পরিকল্পকের দল ভাবতেও পারবে না। গত দশ বছরের ঢাকা এবং আশেপাশের জেলায় জমির দাম বাড়েনি এক ভাগও। বরং বেশির ভাগ স্থানে দাম কমেছে।
লক্ষ লক্ষ ফ্ল্যাট অবিক্রীত পড়ে আছে সরকারী নীতির ফলে অথচ এই সরকারই আবার ফ্ল্যাট বানাচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। যে দামে তারা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চাইছে তার থেকে অনেক কম দামে এখনো উত্তরায় ফ্ল্যাট পাওয়া যায়। কারা কিনবে এই ফ্ল্যাট? যারা কিনবে তাদের আয়ের উৎস নিয়ে দুদকের মাথা ব্যথা থাকবে না?

এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আক্ষেপ করে বলছেন, বহুদিন বাদে একটি একটি ফ্ল্যাট বিক্রির রফা হল এক বিধবার সাথে। ব্যাংকে তার দুই কোটির কিছু বেশি টাকা এফডি আর করা । সেখান থেকে ৯০ লক্ষ টাকায় সে ফ্ল্যাটটি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন। এমতাবস্থায় ব্যাংকে নোটিশ করলেন। যেদিন তার টাকাটা উঠাতে যাওয়ার কথা সেদিন সকালেই দুদক এসে হাজির। এত টাকা সে কোথায় পেল। এতদিন ধরে টাকাটা ব্যাংকে রাখা তখন খবর নেই। যেই সেটা সে কোথাও কাজে লাগাতে চাইল অমনি দুদকের মাথা ব্যর্থ উঠল। প্রসঙ্গত টাকাটা তার মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া গচ্ছিত অর্থ। দুদক কি পেল না পেল সেটা বড় কথা নয়, যে অপমানটা তাকে করা হল। যে ভয়টা ধরিয়ে দেয়া হল আপনি কি মনে করেন এর পরেও সে ঐ টাকা কোথাও বিনিয়োগ করবেন?
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছাঁকা নিরেট সত্য গুলো এমনই!!!!

জবাবদিহীতা কারো নেই! প্রয়োজনই নেই!!!!

হীরক রাজার দেশে- রাজার ইচ্ছাই গণতন্ত্র!!!!!!আর চাটুকার মোসাবে মিডিয়া সুমীল সমাজ বাহবা করে খুদকুড়ো খাচ্ছে! আমজনতা ভাগছে! যারা পারছে না মরছে! একেবারে মরা না! তিলে তিলে মরা!!!

বাঁচার পথ কই?????


১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আপনি আমার লেখার প্রেরনা। অদ্ভুত লাগে তখন যখন দেখি প্রতিটি টিভি চ্যানেলে এত এত আলোচনা হয় অথচ প্রয়োজনীয় আলোচনাটা হয় কোথায়?
সবাই নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: দেশ ঊন্নননের জোয়ারে ভেসে যাচছে তো তাই!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: উন্নয়ন হয়ত হচ্ছে কিন্তু এ জোয়ারে সাধারন মানুষের জীবনযাত্রা কতটা উন্নত হবে প্রশ্নটা সেখানেই।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব দলের রাজনীতিবিদরা চাচ্ছে যে, শিক্ষিতরা অন্য দেশে চলে যাক।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: রাজনীতিবিদরা কেবল নিজেদের নিয়েই ভাবেন সেটাই এ দেশের প্রধান সমস্যা। আর সুশীল সমাজ তাদের ধ্বজাধারী। এ আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি?

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

জগতারন বলেছেন: সরকার কি আজ পর্যন্ত এমন কোন নীতি গ্রহণ করেছে যাতে দেশিয় উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষের উন্নত কর্মসংস্থান হতে পারে।[/sb

প্রিয় ব্লগার মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন , আপনার প্রতি আমার অভিন্দন, আজ সকালে উঠেই আপনার লিখা এই সুন্দর ব্লগ প্রবন্ধটি পড়ে খুব ভালো লাগল।
আমি বিদেশে আছি আজ ৩৫ বছর, পড়াশুনা করেছিলাম 'এ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারং টেকনোলজি' বিষয় এবং কাজ করেছি অ্যারিকায় বিভিন্ন উরোজাহাজ ম্যানোফ্যাকচারিং কম্পানি ও ইয়ার লাইনে ২৫ বছর। উরোজাহাজের প্রত্যেকটি বিষয়ে আছে আমার লাইফ লং বাস্তব অভিজ্ঞতা। বিশ্বাস করুন বিদেশ এখন আর ভালো লাগে না আমার একদম থাকতে ইচ্ছা করে না বিদেশে। যে দেশ আমাকে জন্ম দিল ইচ্ছা হয় সেই দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করতে। ইতি মধ্যে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে গিয়েছিলাম দেশে, ইচ্ছা ছিল একটা কিছু আরম্ভ করার। সেখানে আমার এক নির্মম অভিজ্ঞতা, যা আরম্ভ হয়েছিল প্রথম রক্ত সম্পর্ক আত্মীয় থেকে। দেশের আভাওয়া বা পরিবেশও প্রবাসী অনুকুলে না। সেখানে আমার সর্বনাশ করার এক প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছিল।

দেশের প্রশাসন প্রবাসী বন্ধব এক নীতি বা আইন এখন সময়ের আবেদন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার এই বাজে অভিজ্ঞতা আরো অনেকেরই। আমরা বিভিন্ন সময় এমনটি শুনতে পাই। সরকার যদি জনবান্ধব হয় তাহলে বিনিয়োগ ওয়ান স্টপ সার্ভিসে হওয়ার কথা। যে দেশে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে হাঁ করে বসে থাকে সে দেশে ব্যক্তি বিশেষের চাওয়ায় কিছুই আসে যায় না। তবে এ কথা গুলো প্রকাশ্যে আসা উচিত। তাতে অন্তত কিছুটা হলেও অবস্থার উন্নতি হবে। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। উপদেশ নয় অনুরোধ করব আরেক বার চেষ্টা করুন দেশটা তো আপনার। হায়েনার কবল থেকে রক্ষাও আপনাকেই করতে হবে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,




বিদ্রোহী ভৃগু র সাথে সহমত । আর জগতারন এর মতো শত উদাহরন আছে ছড়িয়ে ।

কিছু বলার নেই ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আহমেদ জী এস আমরা এতটাই ছোট যে আমাদের চিৎকার সরকার বাহাদুরের কান অব্দি পৌঁছে না। তাই বলে কি থেমে যাব? মোটেই না। আমরা চেচিয়েই যাব। অন্তত নিজেদের বিবেকের কাছে তো জবাবদিহি করা যাবে।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

কালীদাস বলেছেন: পোস্টে অনেকগুলো সেক্টরের কথা লিখেছেন, সবগুলো টাচ করা সম্ভব না। বাইরে থেকে উচ্চশিক্ষিত কারও জন্য দেশে টেকার উপায় নেই। পুরান হারামীগুলার সিন্ডিকেট উচ্চশিক্ষিত নতুন একজনকে কোনদিন দাঁড়াতে দেবে না। দেশে ফেরার পর আমাকেও বিকলাঙ্গ হয়ে বসে থাকতে হবে বা বাইরের সাথে পুরান কোলাবরেশনগুলো কন্টিনিউ করে যেতে হবে।

বাইরে যাওয়ার এবং সেটেল করার ট্রেন্ড লোয়ার ক্লাসে অনেক বেশি হায়ার ক্লাসের চেয়ে। সেখানে ব্যাপক হারে চলে আদম ব্যবসা। আনস্কিলড লেবার বছরের পর বছর সাগর পার হয়ে যাচ্ছে, ঠেকাতে পারছে কই? আর কনসিকোয়েন্সটা হল, লোয়ার ক্লাসে পড়াশোনা খুব উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে কি? বাড়লেও সেটার রিফ্লেকশন কই ইকোনমিতে? সিলেটের প্রবাসীরা ব্যাপক ধনী, দেশে একটা পয়সাও এরা পারতপক্ষে ইনভেস্ট করে না। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে গেলে দেখবেন প্যালেস বানিয়ে রেখেছে, বছরে, দুবছরে একবার মৌজ করে যায়। ইকোনমিতে ভুমিকা এই রেমিটেন্সের?

বাংলাদেশের ব্যাংক =p~ বাংলাদেশের ব্যাকিং সিসটেম প্রত্যেকটা দিক থেকে মধ্যযুগীয়। শুধু লোনের জন্য হাই রেট না, সেভিংস একাউন্টের জন্যও ইন্টারেস্টের রেট অনেক হাই, যদিও ব্যাপক সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে সেটা আল্টিমেটলি কিছুই থাকে না। আমার একটা একাউন্টে ২০১৩তে ২০ হাজার টাকা ছিল, সার্ভিস চার্জ কেটে ২০১৬এর জুনে ছিল ৯ হাজার। অথচ সার্ভিস কিছুই পাইনি। অনলাইন ট্রানজেকশন এখনও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, ক্রেডিট কার্ডের নামে চলে ফাজলামি, অনলাইনে কার্ড ইউজ করতে হলে আগে ফিজিকালি ব্যাংকে জানিয়ে আসতে হয়।

দুদক সবসময় ঠিক মত কাজ করলে দেশের অবস্হা অনেক ভাল থাকত। মাঝে মাঝে করে, আর করে নিরীহ লোককে হয়রানির শিকার করে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেকগুলি বিষয় টেনে আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনার সূত্রপাত। এই পুরাতন থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য আমাদের সবাইকেই উচ্চকিত হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.