নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
দিনমজুর হযরত আলী তার প্রথম শ্রেণিতে পড়া শিশুকন্যা আয়েশা আক্তারকে নিয়ে ট্রেনের তলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেননি, ঘুণ ধরা পচে যাওয়া এই সমাজের গালে সপাটে এক চপেটাঘাত করে গিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভটা কি হল? সে চড় কি আমাদের আত্মসম্মান বোধে ঘা দিতে সক্ষম হয়েছে? আমরা কি আমাদের ত্রুটিটা বুঝতে পারছি? যাদের আত্মসম্মান বোধই নেই তাদেরকে কি আর অসম্মান করা যায়?
ঠিক তাই, আজ যারা সমাজপতি হয়ে বসে আছেন তাদের সব আছে নেই শুধু ঐ আত্মসম্মান বোধ টুকু, নেই সামান্যতম দায়িত্ববোধ। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের সমাজপতিরা তাদের দায়িত্ববোধ একই সাথে আত্মসম্মানবোধ বন্ধক রেখেছেন ক্ষমতার কাছে, অর্থের কাছে। শুধু তাই নয় আমরা সমাজ পতি হিসেবে বেছে নিতে শুরু করেছি সমাজবিরোধীদের। এটা যে কেবল নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলে তা কিন্তু নয়। শহর, উপশহর, গ্রাম, প্রত্যন্ত পল্লী সর্বত্রই এক চিত্র। আমরা আজ এমন একটি সমাজে বসবাস করছি যেখানে কেবলমাত্র ক্ষমতাবানদেরই জায়গা হয়। কেবলমাত্র ক্ষমতাবানরাই পান প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা। এখানে ক্ষমতাহীনদের নেই বেঁচে থাকার নূন্যতম নিরাপত্তা।
আজ আমাদের সমাজপতি হয়ে বসে আছেন জেল খাটা আসামী, কালো টাকার মালিক। হত্যা-লুণ্ঠনে চ্যাম্পিয়ন মানুষগুলো। কি রাজনীতি, কি সমাজপতি সর্বত্রই একই চিত্র দৃশ্যমান। আমি যে ভিত্তিহীন কথা বলছি না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ, পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধর্ষণ মামলায় জেল খাটা ব্যক্তিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি করা। খবরে প্রকাশ, গত ২৭ এপ্রিল ইউপি মেম্বার মোসলেম গাজীকে চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ১৬৭ নম্বর চরআগস্তি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি করা হয়।
কে তাকে সভাপতি করলেন? ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সী। জনকন্ঠ ৪.৪.১৭
জেল খাটা ধর্ষক ঐ মানুষটি কিন্তু তার এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি। আবার তার পৃষ্ঠ পোষক তার থেকেও বড় একজন জনপ্রতিনিধি। কারা তাদেরকে জন প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেন? আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। আবার কারা তাদের নির্বাচিত করেন? আমাদের মত দায়িত্ব জ্ঞানহীন সাধারণ মানুষগুলো।
এই সব জনপ্রতিনিধিদের মাসল ম্যান হিসেবে কাজ করে এলাকার বখাটে ছেলেরা। তারাই যখন এলাকায় মেয়েদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিঘ্ন ঘটায় তখন সাধারণ মানুষ প্রথমেই যে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন তারা কি করে তাদেরই মাসল ম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন? তাছাড়া যারা নিজেরাই পাপ পঙ্কিলতায় আকণ্ঠ ডুবে আছেন তাদের কাছ থেকে দায়িত্ববোধের আশা করাটাই তো বোকামি।
কাজেই বাবা-মেয়ের এই নির্মম মৃত্যুর দায় ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীদেরও নিতে হবে। নিতে হবে আমাদের সবার। কেননা আয়েশার পরিবারের বখাটে ফারুকের বাবার কাছে গিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাহায্য চেয়েছে। ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের কাছে গিয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি। উপরন্তু এর ফলে অভিযুক্ত ফারুক হযরত আলীর গরু নিয়ে জবাই করে সবাই মিলে ভাগ করে খেয়ে ফেলেছে। এত বড় ঘটনাটি নিয়ে কেন এলাকার মানুষ সোচ্চার হল না?
তার একটিই মাত্র কারণ, আর তা হল হযরত আলী এ দেশের একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ের একজন মানুষ। যার অর্থ নেই, যার কোন রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। স্বভাবতই সে ছিল একজন ক্ষমতাহীন মানুষ।
হযরত আলি ও তার মেয়েকে খুন করেছে এ দেশের কুলষিত রাজনীতি, আমাদের পচে গলে যাওয়া দুর্গন্ধময় এই সমাজ ব্যবস্থা সর্বোপরি আমাদের দুর্নিতিগ্রস্থ প্রশাসন। কারণ শেষ পর্যন্ত গত ৪ এপ্রিল হযরত আলি শ্রীপুর থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করেছিল কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। তার মানে হল হযরত আত্মহত্যা করতে চায়নি চায়নি প্রানপ্রিয় শিশুটিকে হত্যা করতে। তাকে সবাই মিলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে আর সে তার প্রানপ্রিয় মেয়েটিকে চিল শকুনের আহার হতে দিতে চায়নি বলেই তাকেও মেরে ফেলেছে। এ সমাজ একজন হযরত আলি একটি সাত আট বছরের শিশু কন্যার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ লজ্জা এই সমাজের এ দেশের প্রশাসনের। সর্বপরি রাষ্ট্রযন্ত্রের।
একজন প্রান্তিক মানুষ যখন ন্যায়বিচার চেয়ে সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে বিমুখ হয়ে ফিরে আসে তখন তার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ছাড়া আর কীইবা করার থাকে?
আজ হযরত আলি ও তার মেয়ে এমন নির্মম হত্যার স্বীকার হল বলে আমরা কথা বলছি। লেখা লেখি হচ্ছে হয়ত অভিযুক্ত ফারুক ধরা পরবে এমন কি তার বিচারও হবে। তার মানে কি এই যে, প্রতিটি বখাটেকে বিচারের আওতায় আনতে এবং সমাজকে উচ্চকিত হতে বাধ্য করতে সকল ভিক টিমকে আত্মহত্যা করতে হবে?
খোদ রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগে আজ মৌসুমি আক্তার নামে আরেকজন গার্মেন্টস কর্মী এই বখাটেদের উৎপাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এভাবে একের পর এক ভুক্তভোগীরা আত্মহত্যা করবে। প্রশাসন গা ঝারা দিয়ে উঠবে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আর আমরাও থেমে যাব। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে এই বিষবৃক্ষ গজিয়ে উঠছে তা নির্মূলে আমরা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছি না। সামাজিক প্রতিরক্ষা বুহ্য গড়ে তুলছি না। সবাই দায় এড়িয়ে চলছি। এভাবে চলতে থাকলে এ দেশ আর সাধারণ মানুষের বসবাস উপযোগী থাকবে না।
এর অবসান চাইলে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেই। প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। সমাজ যদি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তাহলে প্রশাসন আপনা থেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।
আমরা সমাজের প্রতিটি সন্তানকে নিজের সন্তান বলে মনে করলেই কেবল সকল শিশু, কন্যা, নারী নিরাপত্তা লাভ করবে। আমরা এটা কেন ভেবে দেখছি না এমন দ্বায়িত্বহীনতা পশুর মাঝেও দেখা যায় না। অথচ নিজেদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দাবী করে আচরণটা করছি পশুর থেকেও অধম।
পশুদের সমাজে কেবল ক্ষমতাবানদেরই জায়গা হয় অক্ষমদের নয় আমরা যেন সেই সমাজের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব প্রান্তিক পর্যায়ে নেতৃত্ব সুজনদের হাতে তুলে দেয়া; দুর্জনদের হাতে নয়। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পেতে পারে। আর প্রান্তিক পর্যায়ে যদি ভাল মানুষদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা যায় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি স্তরে ভাল মানুষদের নেতৃত্ব নিশ্চিত হবে। যা একটি উন্নত সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত জরুরী।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, আইনের হাত যত বরই হোক তা প্রত্যন্ত এলাকা এবং তৃণমূল অবধি পৌছয় না অথবা বলা যায় অর্থ আর ক্ষমতার প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে আইনের হাত শেকড় অব্ধি পৌঁছুতে পারছে না। অর্থের নামে এই অনর্থ, ক্ষমতার নামে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের এই সংস্কৃতি ভেঙ্গে ফেলা জরুরী।
তবেই এ সমাজে হযরত আলী, মৌসুমি আক্তারদের মত প্রান্তিক মানুষগুলো সম্মানের সাথে বাচতে পারবে। এ সমাজকেই পুনর্বাসিত করতে হবে সব হারানো হালিমাদের। নয়ত আমরা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাব।
[email protected]
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অন্যায়ের সম্মুখে নিরব থাকা তো ভাল মানসী নয়। সেও কম বড় অন্যায় নয়।
ঠিক বলেছেন ভাই, 'সকলকে জাগতে হবে তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই"।
অশেষ ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু আপনাকে।
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/ তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে" ------------ আমরা এইসব অন্যায় সহ্য করে মহাপাপের ভিতর ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছি ।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:১০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমরা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ধাবিত।
অশেষ ধন্যবাদ কানিজ ফাতেমা আপনাকে।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ মানুষের মাঝে ঐক্য ও সম্পর্ক নেই; বাবা-মেয়ের মৃতদেহ রেল লাইনের পাশে পড়ে ছিল, কয়েক'শ লোকজন দেখছিল, কেহ ১ টুকরা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়নি; সেই এলাকার লোকগুলো মোটামুটি ইডিয়ট টাইপের
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:১২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শুধু ঐ এলাকা বলছেন! আয়নার সামনে দাঁড়ালে যে সবাইকেই ইডিয়ট মনে হয়। কাকে সমর্থন করছি। কার কথা গলা ফাটিয়ে বলছি কার হাত শক্ত করছি। ভাবছি কি একবারও?
৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
মহেড়া বলেছেন: চপ্টাঘাত বহু আগেই দেয়া হয়েছে, এখনকার গুলো হচ্ছে জুতার বারি। তাতেও যদি আমরা বুঝি।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের বোঝাটা ভিশন জরুরী।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
মানবী বলেছেন: "কাজেই বাবা-মেয়ের এই নির্মম মৃত্যুর দায় ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীদেরও নিতে হবে।"
- আপনি নিতান্তই ভালোমানুষ হয়তো তাই এমনটা ভাবাও সম্ভব হয়! ধর্ষকদের এরা পুরস্কৃত করে, ফাঁসির আসামীদের জেল থেকে বের করে এনে ফুলের মালা গলায় পরিয়ে বরণ করে নেয়, এরা ধর্ষনের ভার নিতে পারে, ধর্ষকের বিচারের ভার নয়।
সিস্টেমের দুর্নীতি আর কূপমন্ডুক প্রশাসনের অন্যায়ের প্রতিবাদে কয়েক বছর আগে এমনই এক হযরত আলীর আত্মহনন শুধু নিজ দেশের শাসক নয়, আরব বিশ্বের শাসকগোষ্ঠির চেহারা পাল্টে গেছে।অথচ নপুংশকদের দেশে একজন হযরত আলীদের আত্মহনন কোন পার্থক্য সৃষ্টি করেনা।
"তবেই এ সমাজে হযরত আলী, মৌসুমি আক্তারদের মত প্রান্তিক মানুষগুলো সম্মানের সাথে বাচতে পারবে। এ সমাজকেই পুনর্বাসিত করতে হবে সব হারানো হালিমাদের। নয়ত আমরা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাব।"
- সত্যকথা! তবে সবাই তো ঘুমপাড়ানি গান শুনে ঘুমিয়ে আছে, এই সত্য অনুধাবন করবে কে!!
সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা আমার প্রতিবাদ এই অসভ্য রাজনীতি ঘুন ধরা সমাজ ব্যবস্থা আর আমাদের সার্বিক নপুংশকতার বিরুদ্ধে।
যদি এর পরেও না জেগে ওঠে যদি এর পরেও ঘুমিয়ে থাকে তাহলে এ দেশের মানুষ একদিন দেখবে এখানে কোন মানুষের জায়গা নেই। এটা হায়েনাদের অভয়ারন্য।
অনেক ধন্যাবাদ মানবী ভাল থাকুন নিরন্তর। নিরাপদ থাকুন হায়েনাদের থেকে।
৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
মানবী বলেছেন: "যদি এর পরেও না জেগে ওঠে যদি এর পরেও ঘুমিয়ে থাকে তাহলে এ দেশের মানুষ একদিন দেখবে এখানে কোন মানুষের জায়গা নেই। এটা হায়েনাদের অভয়ারন্য। "
- প্রায় দশ বছর আগে হুবুহু প্রায় এ্কই ভাষায় আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, হুঁশিয়ার করেছিলাম! সেদিন হাজার মানুষ জেগেছিলো সত্য, সুবিচার পাবার ঠিক দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে সব শেষ হয়ে যায়, শাসনভার বিচার ব্যবস্থা সব চলে যায় ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক হায়নার পালের কাছে!
আজ আপনি যে সাবধানবানী জানিয়েছেন দুঃখজন হলেও সত্্য যে আমরা ইতমধ্যে সেখানেই পৌঁছে গেছি, যে সময়ের আশংকাবানী জানিয়েছেন- আমরা আজ সে সময়েই অবস্থান করছি।
নানান হুমকী, হত্যা, গুম আর রক্তস্রোতের মাধ্যমে মানুষ তথা গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে, বন্ধু সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা!
তারপরও আপনার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। মনেপ্রাণে প্রার্থনা করি মানুষ যেনো আরেকবার জেগে উঠে ধর্ষক নামক একদল নরপশুর বিরুদ্ধে!
আপনি অনেক ভালো থাকুন।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: রাহেলা থেকে তনু বিচার হল কয়টা? থামেনি বখাটেদের অত্যাচার অথচ এই বখাটেরা এই সমাজেই ঘুরে বেড়ায়। এই সমাজ, এই রাজনীতি, এই মানুষই তাদের আশ্রয় দেয় প্রশ্রয় দেয়।
এ দেশে ব্লগে মানুষ জাগলে কি হয়?
এ দেশে খবরের পাতায় সংবাদ কর্মীরা জাগলে কি হয়?
এ দেশে কেবল রাজনীতি জাগলেই ফল মেলে।
আমরা জানি না আদৌ কোন কালে এই রোগাক্রান্ত রাজনিতির কবল থেকে এ জাতি বেড়িয়ে আসতে পারবে কিনা।
আমি আপনার উপলব্ধির সাথে একমত। তথাপিও চরম আশাবাদের জায়গা থেকেই কেবল চিৎকার করতে থাকা। আপনাকে আরো একবার আন্তরিক ধন্যবাদ।
৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: dear sir, you know what you have missed? the point that out administration is not free of corruption. A lady constable commits suicide being raped by SP, TNO rapes girl. I dare not say about school teachers.
And the people who are to create awareness, the most trusted class, our Maulavi-Imams, well that can be kept for later. Who can we rely on when this is the condition of the society?
৮| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২১
সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অর্থের নামে এই অনর্থ, ক্ষমতার নামে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের এই সংস্কৃতি ভেঙ্গে ফেলা জরুরী।
তবেই এ সমাজে হযরত আলী, মৌসুমি আক্তারদের মত প্রান্তিক মানুষগুলো সম্মানের সাথে বাচতে পারবে। এ সমাজকেই পুনর্বাসিত করতে হবে সব হারানো হালিমাদের। নয়ত আমরা নিশ্চিত ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাব।
নিমর্মম বাস্তবতা।
ভাল মানুষগুলোর নিরবতাও তাদের বেশী আস্কারা দিচ্ছে। যুগে যুগে জাগরণের যে ফল আমরা দেখেছি- সেই জাগরণের চেতনাই এখন অস্তমিত!
সকলকে জাগতে হবে তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই। ছৌট ছৌট প্রতিবাদের ক্রশ ধারাই বিশাল বড় পরিবর্তনের ভিত্তি!