নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
আজ পর্যন্ত কেউ কি শুনেছেন, নামাজ আদায় করে না বলে (অভিভাবক ছাড়া) কেউ কাউকে ধমক দিয়েছে কিংবা মেরেছে? অথচ নামাজ শেষে মোনাজাত ধরা না ধরা নিয়ে মারামারিতে একজন মুসুল্লির প্রাণ কেড়ে নেয়া হল! যেখানে নামাজের সাথে মোনাজাতের কোন সম্পর্কই নেই।
আমরা এমনি মুসলমান, যে মুসলমান তার ধর্মের মুল কথাগুলোই জানে না। অথচ সামান্য বিষয়ের বিভেদ হলেই একে অন্যকে মারতে উদ্যত হন ইমানই দায়িত্ব মনে করে! এর মধ্যে থেকে জঙ্গি উৎপত্তি হবে না তো কি উৎপন্ন হবে?
মসজিদের কমিটির সদস্যরা সারাদিনমান ব্যস্ত থাকেন কি করে মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধন করা যায়, কি করে মসজিদকে আরো বেশি আয়েশি করে তোলা যায় তাই নিয়ে। ইসলামের জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার ব্যপারে নেই তাদের তেমন কোন উদ্যোগ। বহু মসজিদের ইমামরা পর্যন্ত ইসলামের আলোয় আলকিত নন যার প্রমান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য কালিরচর গ্রামের মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমাম। যার প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় মোনাজাত ধরার মত একটি অনাবশ্যক কাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলায় এক ভাই মৃত্যু বরন করেন আরেক ভাই গুরুতর আহত হন।
ইসলাম সম্পর্কে জানানোর ব্যবস্থা করুন। ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মসজিদের শান শওকত বাড়ানোর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি না করে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বিলানোর চেষ্টা করুন। নয়ত এই আপনারাই, আজ যারা ইসলামের মহান দরদী সেজে বসে আছেন হাশরের ময়দানে তারাই সবার আগে ধৃত হবেন।
২| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
আবু ছােলহ বলেছেন:
জাহিদ হাসান,
আপনি কি এই 'ওদের' বাইরের কেউ?
বাড়াবাড়ি, মারামারি কোনটাই কাম্য নয়।
তবে, দুআ' মুনাজাতকে যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন তাদের কারনেই সমাজে এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে বলে ধারনা করা অবান্তর নয়। অভিজ্ঞতাও তাই বলে।
তথ্যসূত্র দিলে ভাল হত।
আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েত দান করুন।
১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মসজিদে মোনাজাত নিয়ে বাকবিতণ্ডা, মুসল্লি খুন http://www.jugantor.com
৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি এতটা মূর্খ না। একটা সামান্য মোনাজাত করা নিয়ে মারামারি করব এত নিচু মনের আমি নই।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
আবু ছােলহ বলেছেন:
ধন্যবাদ, যুগান্তরের লিঙ্ক দেয়ায়। আরেকটু ডিটেইলস করছি। সরাসরি নিউজ পেজে যেতে-
মসজিদে মোনাজাত নিয়ে বাকবিতণ্ডা, মুসল্লি খুন
যা, ধারনা করেছিলাম তাই। তথাকথিত আধুনিকতার ছদ্মবেশি সংস্কারপন্থী উগ্র কর্তৃক প্রকৃত আমলদারদের উপরেই হামলা হয়েছে। উগ্রবাদী দুআ মুনাজাত বিরোধীদের হাতেই খুন হয়েছেন একজন। ইন্না লিল্লাহ। দেখুন যুগান্তরের নিউজের অংশ বিশেষ-
''পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমাম মো. আল আমিন নামাজের পর অন্য ইমামদের মতো মোনাজাত ধরতেন না। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ইমাম উত্তেজিত হয়ে তাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় ইমাম পক্ষ ও কমিটির পক্ষরা বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়।
এর জের ধরে রাতে তারাবির নামাজের পর ইমামের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় দেলোয়ারসহ কয়েকজন মাথায় লাল ফিতা বেঁধে দুই ভাইকে পেটায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, বিগত ৩-৪ মাস ধরে হুজুর ওই মসজিদে ইমামতি করলেও এখানে তার কোনো আসবাবপত্র ছিল না। ওই ইমাম চাঁদপুরের বিশ্বপুর গ্রামের মো. দুলালের ছেলে বলে জানা যায়।
এদিকে নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, মেয়ে মিতু আক্তার ও ছেলে রুবেল এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান।
সদর থানার ওসি লোকমান হোসেন জানান, নিহত নূর হোসেনের মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে আসলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া ওই ঘটনায় মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।''
আমাদেরকে আল্লাহ পাক হেদায়েত দান করুন।
নিউজটি নজরে আনায় অভিনন্দন মোঃ গালিব মেহেদী খাঁনকে।
ভাল থাকুন ভাই।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
আবু ছােলহ বলেছেন:
জাহিদ হাসান,
আপনাকে বুঝাতে পারি নি। বলেছিলাম, আপনার বক্তব্য ''বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারী'' বলে যাদেরকে বুঝালেন, আপনিও তো বাংলাদেশি হিসেবে তাদের ভেতরকার একজন নিসন্দেহে। মারামারি করার লোক আপনি- একথা বলতে চাই নি।
ভাল থাকবেন।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ এগুলো।
৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি তো দেখছি এখানে দু পক্ষই উগ্রবাদী এবং দুই পক্ষই অজ্ঞ। আর এই অজ্ঞতাই মুসলমানদের জন্য আজ সবথেকে বড় অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এ জন্যেই বোধ হয় মহান আল্লাহ্ সবার আগে বলেছেন পড়(জান)। পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন।
৮| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
স্বতু সাঁই বলেছেন: হা হা হা.. সংবাদটা পইড়া হাসি পাইলো, তাই হাসলাম।
৯| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
হাফিজ রাহমান বলেছেন: 'প্রশ্ন : ফরজ নামাজের পর মুনাজাতের বিধান কি ?
উত্তর : মুনাজাত অর্থ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, কোনো কিছু চাওয়া বা আবেদন করা। ইসলামী শরীয়তে এর জন্য কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় নি। সরবে নীরবে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করা যেতে পারে। সুতরাং মুনাজাত একটি প্রয়োজন সাপেক্ষ ব্যাপার। ইহকাল ও পরকাল বিষয়ে মানুষের প্রয়োজনের কোনো শেষ নেই বলে মানুষের চাওয়া পাওয়ারও কোনো অন্ত নেই। উপরন্তু দু‘আ-প্রার্থনা ইবাদত-উপাসনার অন্যতম একটি অঙ্গ। হাদীসে দু‘আকে ইবাদতের সারবস্তু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং আল্লাহর নিকট দু‘আ প্রার্থনা না করা হলে আল্লাহ তা‘আলা রাগান্বিত হন বলেও হাদীসে সতর্ক বার্তা এসেছে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজের পরেও মুনাজাত করা যেতে পারে। এতে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। বরং হাদীসে দু‘আ কবুলের আশাব্যাঞ্জক কিছু মুহূর্তের কথা বলা দেয়া হয়েছে। ফরজ নামাজের শেষের সময়টি সে মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুতরাং ব্যক্তি পর্যায়ে নামাজের পরে মুনাজাত করা যেতে পারে; এব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। বরং এটি একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে মুনাজাতের ব্যাপারে উলামা মহলে কিছুটা দ্বিমত পরিলক্ষিত হয়। তবে যদি মুনাজাতের এ পদ্ধতিকে আবশ্যক মনে না করে এবং প্রথাগত রূপ না দিয়ে একান্ত স্বাভাবিক নিয়মে গ্রহণ করা হয় তবে এরও অবকাশ রয়েছে। তবে আজকের বাস্তবতা হলো, সাধারণ মানুষ এ বিষয়টিকে নামাজের আবশ্যকীয় অংশ এবং প্রথাগত আচার হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। ভাষায় না হলেও তাদের কার্যক্রমে এটিই প্রমাণিত হয়। মুনাজাত না হলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সবার সাথে হাত না উঠানোকে আড় চোখে দেখা, মুনাজাত শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেউ মুনাজাতে রত থাকলে তাকে মুনাজাত শেষের বার্তা পৌঁছে দেয়াসহ সংঘটিত নানা আচরণ ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিত মুনাজাতের আবশ্যকীয়তারই বার্তা বহন করে। এর সাথে যুক্ত হয় সশব্দে মুনাজাত করে মাসবুক মুসল্লীদের একাগ্রতায় বিঘœতা সৃষ্টির মত অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। এতে করে দেখা যাচ্ছে, জনসাধারণের মাঝে সম্মিলিত মুনাজাতের এ পদ্ধতিটি নামাজে ইমামের ইকতেদা তথা অনুসরণের মত আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুনাজাতের ক্ষেত্রে এসব অবাঞ্ছিত বাধ্যবাধকতা ও প্রথাসর্বস্বতা পরিহার করা উচিৎ। এবং মুনাজাতের এ বিষয়টিকে একান্ত ইমাম সাহেবের উপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ। তার ইচ্ছা হলে কখনো করবেন। ইচ্ছা না হলে করবেন না। মুসল্লীদের ইচ্ছা হলে এক্ষেত্রে ইমামের অনুসরণ করবে। ইচ্ছা না হলে অন্যান্য আযকার পাঠে রত হবে। কিংবা ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজন হলে চলে যাবে। মুসল্লীদের এ নিয়ে কথা বলা কোনো ক্রমেই কাম্য নয়। তবে লক্ষণীয় হলো, মুনাজাতের সম্মিলিত এ পদ্ধটি সরাসরি সহীহ হাদীস, আসার এবং সাহাবী ও তাবিয়ীদের কর্মপদ্ধতিতে পাওয়া যায় না। তাই এ পদ্ধতিটিকে মাসনূন পদ্ধতি বলা যায় না। কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোনো নির্ধারিত নিয়ম বা রীতি ছিল না। তিনি সাধারণভাবে এ সময়ে বিভিন্ন যিকর ও মুনাজাত পাঠ করতেন। হাদীসের গ্রন্থগুলোতে প্রায় ত্রিশ রকমের যিকর এবং দু‘আর কথা উল্লেখিত হয়েছে। কখনো তিনি যিকর পাঠ শেষে ডানে বা বামে কিংবা মুসল্লী সাহাবীদের দিকে মুখ করে ঘুরে বসতেন। কখনো বা সালামের পর উঠে দাড়িয়ে নসীহত করতেন। ইত্যাদি। আল-আহাদীসুল মুখতারাহ, হাদীস তিনশত তিন। মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৭৩৪৫, মাআরিফুস সুনান ৩/৪০৯, আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৬৭-৬৮, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/১৯৯-২০৬'
অতি সাধারণ এ বিষয়টি নিয়ে মুসলিম ভাইয়ের প্রাণ হরণ- ছিঃ কত নগন্য কর্ম ! ধর্মের নামে প্রান্তিকতার এ হিংস্রতার প্রতিবিধান কাম্য। আল্লাহ সকলকে সুমতি দান করুন।
১০| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মসজিদের কমিটির সদস্যরা সারাদিনমান ব্যস্ত থাকেন কি করে মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধন করা যায়, কি করে মসজিদকে আরো বেশি আয়েশি করে তোলা যায় তাই নিয়ে। ইসলামের জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার ব্যপারে নেই তাদের তেমন কোন উদ্যোগ। @ এই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: ছি: ছি: কি অবস্থা বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের।
এতটা নিচে নেমে গেছে ওরা?