নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
অস্থায়ী মেনে নিয়েই মানুষের অনন্তকাল ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার অক্লান্ত প্রচেষ্টা। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার এই যে আকাঙ্ক্ষা তার সময় সীমাটাই বা কতকাল? এ প্রশ্নের উত্তর কারো কাছেই নেই। আপনার মৃত্যুর পর আপনি কতদিন বেচে থাকতে চান? এ প্রশ্নের উত্তরটা হবে, যতদিন সম্ভব। অর্থাৎ আমরা জানি, সেটাও খুব বেশীদিন নয়।
আমরা জানি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য কিছু মানুষ কয়েক হাজার বছর অব্ধি মানুষের স্মরণে থাকে। তাদের আবার কখনোই এ পৃথিবীর প্রতি আকর্ষণ দেখা যায় নি। আর তারা স্মরণীয় হতে কিছু করেন নি। সে আকাঙ্ক্ষা তাদের কখনোই দেখতে পাওয়া যায় নি। তারা মহানুভব তারা নিজেদের বিলিয়ে দিতেই বেশি পছন্দ করতেন আর সে কারণেই তারা চির স্মরণীয়। সে সংখ্যা হাতে গোনা, বাকিরা সময়ের সাথে সাথেই মুছে যায়।
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বলা যায় যদি মানুষ জীবদ্দশায় এমন কোন কাজ করে থাকে যা মানবতার জন্য কল্যাণকর। তাহলে তার দ্বারা মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তার আত্মা শান্তি লাভ করে থাকে। কিন্তু তারা সেটা অনন্তকাল ধরে বেচে থাকার জন্যে করেন না। পর পারে লাভের আশাই তাদের সকল কাজের মুলে।
মোট কথা যারা স্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের এই বেচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ছিল না।
সাধারণ মানুষকেই বেঁচে থাকার এই আকাঙ্ক্ষায় তাড়িত হতে দেখা যায়
যারা মূলত মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই হারিয়ে যায়। কেউ দুদিন আগে কেউ বা দুদিন পরে। পৃথিবীর বুকে পরে থাকে সামান্য কিছু চিহ্নমাত্র তাও বড়জোর এক শতাব্দী। তারপর একেবারেই মুছে যায়। তার থেকেও বড় কথা এই মনে রাখায় চলে যাওয়া মানুষটার লাভটাই বা কি? তাহলে তারা কি উদ্দেশ্যে অনন্তকাল ধরে বেচে থাকার চেষ্টা করেন?
©somewhere in net ltd.