নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
মহা পবিত্র আল কুরআনে রয়েছে কিছু সুস্পষ্ট সতর্কবাণী। যা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদের সতর্ক করতে বারবার উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ্ অসিম করুণাময় পরম দয়ালু। তিনি চান তাঁর বান্দারা ভুল করলেও তার দিকেই ফিরে আসুক। বান্দার ভুলে তার অসন্তষ্টিকে ছাপিয়ে যায় ভুল করার পর বান্দার ফিরে আশার সন্তষ্টি। বান্দা যাতে ভুল স্বিকার করে ফিরে আসে সে কারনেই তিনি বান্দাকে নানা মছিবতে ফেলেন। তিনি তা সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন। নিচে এমনই কিছু কুরআনে উল্লেখিত মহান আল্লাহ্র সতর্কবানী উল্লেখ করা হল। মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলকে এর মর্ম বুঝে তাঁর নির্দেশিত পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।
“তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছি এক ঝঞ্ঝা-বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি (সূরা আহযাব ৯-৯)।
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দেই, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতিস্বীকার করে (সূরা আনহাম ৪২-৪২)।
তারপরও এই অবিচারমূলক জুলুমকার্য করার পর তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনও সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনও প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল) সূরা ইয়াসিন ২৮-২৯)।
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি (সূরা আরাফ ১৩৩-১৩৩)।
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না (সূরা বাকারা ২৬-২৬/)।
অধিবাসীদেরকে আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি ও অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হল, তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয় (সূরা আরাফ ৯৪-৯৪)।
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন (সূরা মুদ্দাসিসর ৩১-৩১)।
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা উপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নীচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম (সূরা আনআম ৬৫-৬৫)। তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল (সূরা আ'রাফ ৯১-৯১)।
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু সূরা (কামার -৩৪)।
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহুজাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল (সূরা ইউনুস ১৩-১৩)।
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দেই না (সূরা সাবা ১৬-১৫)।
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ,পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তার নিয়ন্ত্রণাধীন (সূরা বাকারা ১৪৮-১৪৮)।
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও (সূরা বাকারা ১৫৫-১৫৫)।
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে) (সূরা সাফফাত ১৭৩-১৭৩)।
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেলো। (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম। আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূলশিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’ (সূরা আনআম ৪৪-৪৫)।
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো (সূরা ত্বা'হা ১৪-১৪)।
তোমরা কি ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছো যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেওয়া হবে (সূরা মুলক ১৬-১৭/১৬)।
নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছো যে আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি বর্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণীর পথ-নির্দেশ (সূরা মুলক ১৬-১৭-১৭)
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সংকটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে) (সূরা আ'রাফ ১৩০-১৩০)
জনপদের অধিবাসীরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল (সূরা আরাফ ৯৭-৯৮)।
আপনি কি দেখেননি আপনার রব আদ বংশের ইরামগোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন?
১৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মহান আল্লাহ্ সকল মানুষকে জীবন ধারনের জন্য তাঁর শারীরিক সয়ংসম্পুর্নতা সহ পারিপার্শ্বিক নানাবিধ উপকরন দান করেছেন। একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একান্ত যা প্রয়োজন তা দিয়েছেন পর্যাপ্ত এবং বিনাশ্রমে প্রাপ্য। এর পরে যে সব বারতি স্বাচ্ছন্দ
তাঁরা উপভোগ করে তাঁর জন্য দিয়েছেন শ্রম নির্ভর উপকরন।
মানুষ যা কিছু সৃষ্টি করে বলে ভাবে, আসলে তা সে সৃষ্টি করে না। সবই মহাজাগতিক উপকরনের রুপ পরিবর্তন মাত্র। মৌলিক কোন উপাদান সৃষ্টি মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মানূষ শুধু আল্লাহ্ প্রদত্ত জ্ঞানকে ব্যবহার করে তারই দেয়া উপাদানের নানাবিধ ব্যবহার করে। রোগ বালাই যিনি দেন, তিনি এর থেকে পরিত্রাণের জন্য জ্ঞানও দেন। যদি তা না দিতেন তাহলে এ পৃথিবী অনেক আগেই মানবশুন্য হয়ে রা।,আর সেটা তো তিনি চান না। তিনি এ পৃথিবী ধবংসের(কিয়ামত) একটি দিন ক্ষন ঠিক করে রেখেছেন। যা একমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। চাই আমরা তা বিশ্বাস করি আর নাই করি। মহান আল্লাহর নিয়মের কোন ব্যত্যয় হয় না।
সমস্যা হল মানুষ কখনো তার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রতা নিয়ে ভাবে না। ভাবে না তাঁর অসংখ্য অক্ষমতার কথাও। মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত সামান্য জ্ঞান নিয়ে তাঁর বড়াইয়ের শেষ নেই। এটাও যে তাঁর একটি সিমাবদ্ধতা সে সেটাও উপলব্ধি করতে পারে না।
মানুষ বড় বেশি অকৃতজ্ঞ আর অসহিস্নু। একই সাথে ভীষণ প্রতারক এক জীব। যে অহর্নিষ নিজের সাথে, অপরের সাথে এমনকি স্রষ্টার সাথেও প্রতারনা করে। মহান স্রষ্টা যাদের বলেছেন "মোনাফেক"। একই সাথে তিনি এও বলেছেন যে, জাহান্নামে "মোনাফেকের" অবস্থান হবে সবথেকে কঠিন সব থেকে ভয়াবহ। মহান আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করুন।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তারপরও আমাদের হুশ ফেরে না। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন । হেফাজত করুন।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মহান আল্লাহ্ আমাদের হেদায়েত দিন, আমাদের ক্ষমা করুন।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১২
শোভন শামস বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন । হেফাজত করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০১
সাসুম বলেছেন: রোগ বালাই নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম।
আচ্ছা, রোগ বালাই বা মহামারী ভেক্সিন নিয়ে কিছু বলা আছে? কিভাবে পাওয়া যাবে? বা কই পাওয়া যাবে?
আমার মনে হয়- চিকিতসা বা ভেক্সিন দেয়া আল্লাহর সাথে অন্যায়। তিনি সাজা দেয়ার জন্য রোগ বা মহামারি দিয়েছেন। মানুষ ভেক্সিন দিয়ে সেটা থেকে মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা আল্লাহর সাথে বেয়াদবির মত।