নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা মোটেই সু বিবেচিত নয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৪



একদিকে করোনায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে অন্যদিকে ঘোষিত পনের দিনের লক ডাউনের দশ দিনের মাথায় কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত! এরপরে কি কেউ আর এই সব লক ডাউন মানবে? মানা কি সম্ভব? দিনের পর দিন মাসের পর মাস ব্যবসা বাণিজ্য, কাজ কর্ম ছাড়া কি করে বাঁচবে মানুষ। সরকার যদি চাইত একটানা একুশ দিন ১৪৪ ধারা দিয়ে মানুষকে ঘরে আঁটকে রাখতে পারত। কষ্ট হলেও মানুষ সেটা সামলে নিতে পারত। কিন্তু এভাবে দুদিন পর পর লক ডাউন দিয়ে মাসের পর মাস মানুষকে কর্মহীন করে রাখা মোটেই সু বিবেচিত নয়।
সরকার যদি শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করত, পারত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব প্রদান, প্রশাসনের কঠোর নজরদারী। প্রচারণা জেল জরিমানা যা কিছু প্রয়োজন সব কিছুই করা যেত। আর সে সব মানুষ মেনেও নিত। মেনে না নিলে বাধ্য করা যেত। সরকার সেটা না করে লক ডাউনের পথ বেছে নিলো। আবার সে ক্ষেত্রেও শিল্পোদ্যোক্তাদের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করেই কেবল লক ডাউন দেয়া হয়, উঠিয়ে নেয়া হয়। অথচ শিল্প কারখানা গুলো চলে যে মানুষগুলোর শ্রম ঘামে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টি থাকে কথা মালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটা কি দায়িত্বশীলতার পরিচয়?

উক্ত দুই শ্রেণী ছারাও এ দেশের জনসংখ্যার সব থেকে বড় অংশই হল। যারা না সরকার না শিল্পপতি কারো দিকেই না তাকিয়ে থেকে নিজেরাই ব্যবসা বাণিজ্য, ছোট ছোট শিল্প কারখানা, কুটির শিল্প গড়ে তোলে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি অজস্র কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সম্ভবত এরাই এ দেশে সবথেকে বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আপনারা যাদের খোজই রাখেন না। সেই সব কর্ম উদ্যোক্তারা প্রায় পথে বসেছে। মাসের পর মাস এই লক ডাউনের মধ্যে পরে।
ঈদের আগে চোদ্দ দিনের লক ডাউন শেষে সব ছেরে দিলেন। অজুহাত ব্যবসা, ঈদে বাড়ী যাওয়া। এটাই যদি করবেন তাহলে ঈদের আগে লক ডাউন কেন দিলেন? ঐ সময়টায় মানুষ কিছু কাজ করতে পারত। লাভের লাভ তো কিছু হলই না মাঝখান দিয়ে মানুষগুলো নিঃস্ব হল। অনেক ঢাক ঢোল পেটালেন ঈদের পরে 'কঠোর' লক ডাউন। চলবে পনের দিন। আমরা ভাবলাম যাক এবার বুঝি সত্যিই সংক্রমণের সেকলটা ভাঙ্গবে। কিসের 'কঠোর' লক ডাউন। শহরে কিছুটা যাও বা মানুষ মানল গ্রামে একেবারেই মানল না। ফলাফল সংক্রমণের হার ত্রিশের কোটায় আঁটকে রইল। এই যখন অবস্থা তখন আবার সেই শিল্পপতিদের কাছে সরকার মাথা নোয়াল। দশ দিনের মাথায় কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্রোতের মত ছুটে আসছে ঢাকায়। তাঁরা সাথে করে নিয়ে আসছে জীবাণু। এতদিন ধরে ঢাকায় আক্রান্তের হার কিছুটা কম ছিল এবার সেটা সমান হবে! কদিন পরে যখন আক্রান্তের হার চল্লিশের কোটায় গিয়ে ঠেকবে, তখন আবার লক ডাউন ঘোষণা করবেন। এভাবে চলতে পারে না। সত্যিই এভাবে চলতে পারে না।

সৃষ্টিকর্তার কাছে মানুষ অসহায় তাই সে প্রতিবাদ করে না বরং চেষ্টা করে সরকারের সাথে মিলে সকল বিপর্যয় থেকে উত্তরণের। কিন্তু সেই বিপর্যয় যখন আমাদের ভুল সিদ্ধান্তে আরও বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন তো তার প্রতিবাদ হবেই। একটার পর একটা হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে একের পর এক লক ডাউনের স্বীকার হতে হয়েছে। লাভটা কি হল? সব কিছুর তো একটা সীমা থাকে। এরপরে মানুষ যদি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তখন কি হবে? তখন তো স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি অনেক কিছুই ভেঙ্গে পরবে। সামাল দিতে পারবেন?
করোনার এই মহামারি থেকে আমাদের যেমন বাচতে হবে তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য কাজ কর্ম সচল রেখে জীবন যাপন করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে শিল্পপতি নয় স্বল্প আয়ের এবং স্বল্প আয়োজনের উদ্যোক্তাদের স্বার্থটাই আগে দেখতে হবে। নয়ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। দিতে বাধ্য। করোনার টিকা দান কর্মসূচী আরও জোরদার করুন। লক ডাউন নয় এবার শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করুন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাধ্য করুন নিজ নিজ এলাকায় শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে। সাধারণ মানুষকে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করার সুযোগ দিন। আর যদি একান্তই মানুষকে ঘরে আঁটকে রাখতে চান তাহলে শতভাগ আঁটকে রাখার ব্যবস্থা করুন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,





ভালো লেখা।

সবটাই হটকারী সিদ্ধান্ত। একেবারে লেজে গোবরে অবস্থা।
যারা এই অবাস্তব ও অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত দেয় তাদের কি ! তাদের তো আর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কামাই পাতি করতে হয়না! হলে বুঝতো ................

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। একেবারেই লেজে গোবরে অবস্থা। শ্যাম-কুল দুটোই রাখতে গেলে যা হয় আর কি।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা ভীষণ সুখেই আছি হীরক রাজার দেশে,
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রাজা— মানছে সবাই হেসে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হীরক রাজার দেশ! খারাপ বলেন নি রাজীব।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন:

আহা... স্বাস্থ্যবিধি.....
তোমাকে লঙ্ঘন করে ঢাকায় আসা আর ঢাকা ত্যাগ করার এমন দৃশ্য আর কতকাল আমাদের দেখতে হবে......

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যে যাই বলুক, এবারের দায় পুরোটাই সরকারের।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব বকা দিয়ে লিখেছেন ।



এরকম বকাই দরকার । ভাল লাগলো সাথে শংকা বেড়ে গেল ।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিই আমি সাধারনত এতটা রুঢ় হই না। এ ক্ষেত্রে না সহ্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে। এভাবে কি চলতে পারে বলুন? অনেক ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই। ভাল থাকবেন।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৭

গফুর ভাই বলেছেন: আসলে আমারা সবাই বলতে বলতে ক্লান্ত।যদি সরকারি আমলা আর কুটিল সার্থের মন্ত্রিরা শুনেও না শুনার ভান করে থাকে কেমনে চলবে দেশ।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: চলবে না এই সরকারের একটা পুরোনো রোগ আছে। এক সময় সবই করে, তবে অনেকটা ক্ষতি শেষে।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৪৪

বারবোসা বলেছেন: গালিব ভাই,আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি,শিল্পপতিদের সরকারের দুর্বলতার কারণ যুক্তিসংগত। একজন কর্মজীবি চাকরি হারালে ওই পরিবার পথে বসে।কিন্তু একজন শিল্পপতি দেউলিয়া হলে তার সাথে হাজারটা পরিবার পথে বসবে।আমাদের মতো দেশে সরকারকে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হয়,যেখানে কর্মসংস্থান অপ্রতুল।
আমাদের বড় সমস্যা হল,বাসা একজায়গায় আর কাজ করতে হয় আরেক জায়গায়।যেহেতু আমাদের পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী,তাই সরকারের এই বিষয়টা মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করি।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বারবোসা ভাই এই একই ভুল আমরা সবাই করছি। আপনি একটা হিসাব করুন রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকের সংখ্যা কত। এর বাইরের ছোট ও মাঝারী শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক এবং স্বাধীন ব্যবসায়ী এদের মোট সংখ্যা কত। তাহলেই বুঝতে পারবেন ভুলটা কোথায় হচ্ছে।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০৩

বারবোসা বলেছেন: ভুল সংশোধনঃ *শিল্পপতিদের প্রতি সরকারের হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.