নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার 'দুর্মর' কবিতায় সাহসী, প্রতিবাদী, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার যে বাংলাদেশকে দেখিয়েছেন। - 'সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী/অবাক তাকিয়ে রয়/জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়। 'বাংলার তরুন সেনানীরা যেন সেই বাংলাদেশকেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার কোনো সম্প্রচার সংস্থাই চলমান বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার টি ২০ খেলা দেখানোর স্বত্ব না কেনায় সিরিজটি অস্ট্রেলিয়ার জনগণ দেখতে পাচ্ছে না। জানা গেছে, বাংলাদেশ দলের হোম সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার ফক্সটেলের কাছে খেলা দেখানোর স্বত্ব বিক্রি করতে চাইলেও তারা তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এমন ঘটনা ১৯৯৪ সালের পর বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজেই প্রথম ঘটল। অস্ট্রেলিয়া বনাম বাংলাদেশের এই খেলাটি তাদের কাছে এতটাই মুল্যহীন মনে হয়েছে!
বাংলাদেশে এসে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা একদিকে যেমন বাবল বন্দি হয়ে থেকেছে অন্য দিকে খাবারের শেফটা পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। তাঁরা যেন সর্গের দেবতা করুণা করে মর্ত্যে নেমে এসেছেন! এমনই ভাবখানা। এদের পতন চায় না ক্রিকেট বিশ্বে এমন একটি দেশও নেই। এদের অহমিকা আর অসৌজন্যের উদাহরণ দিতে বসলে শেষ হবার নয়। আর সে কাড়নেই বোধ হয় বাংলাদেশের সোনার টুকর ছেলেরা যখন ওদের এক একটা উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন তখন বাঘের হুংকার ছেড়েছেন। যেন বলতে চেয়েছেন সর্গ থেকে এবার তোদের মাটিতে নামিয়ে এনে তবেই ছাড়ব। তাঁরা তা করে দেখিয়েছেনও। ভারতের আনন্দবাজার যখন দ্বিতীয় টি ২০ জেতার পরেও লেখে অঘটন! তখন শুধু অস্ট্রেলিয়া নয় ভারতও অহংকারের আরেকটা উদাহরণ হয়ে থাকল। কিন্তু সিরিজ জয়ের ম্যাচ শেষে সেই আনন্দবাজারই এবার সত্যের দুয়ারে এসে দাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এবার সংবাদমাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের চমক, দুই ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জয়’।
প্রথম দুটি খেলায় বাংলাদেশ ডমিনেট করে জিতলেও তৃতীয় খেলাটিতে বাংলাদেশ দারুণ মুনশিয়ানাও দেখিয়েছে। শুরু থেকেই বার বার অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে যাওয়া খেলাটিকে বার বার নিজেদের দিকে টেনে এনে শেষ হাসিটা হাসা এক কথায় অসাধারণ। অষ্ট্রেলিয়ার মত দলকে পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২০ রানে আঁটকে রেখেছে বাংলার তারুন্য নির্ভর এই দলটি। নিকট অতীতে যে কোন ফরম্যাটে বিশ্বের কোন দলই কি এটা পেরেছে?
ফলাফলের দিকে তাকান। প্রথম ম্যাচে ১০৮ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে ১২১ রান তৃতীয় ম্যাচে ১১৭ রান এই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার রানের বহর। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ২৩ রানে জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে, তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। এরপরেও কি ক্রিকেট মোড়লরা তাচ্ছিল্যের চোখে তাকাবে। তাকাতেই পারেন কিন্তু তারুণ্যে ভরপুর আমাদের এই সেনারাও ক্রিকেট বিশ্বকে খুব ভালভাবেই জানান দিচ্ছে। একদিন ঠিক ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবে তাঁরা। সেদিন আজকের প্রভুরাই আমদের ভেট দেবে। সেই সুদিনের অপেক্ষায়।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বড় আনন্দের। বড় গর্বের।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২১
বিটপি বলেছেন: ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান আফগানিস্তানের মত অপদার্থ দেশগুলোর কাছে বিশাল ব্যাপার, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতেও মানুষ মাঠে যায়না। বর্তমান ক্রীড়া বিশ্বের ক্রিকেট একটা অচ্ছুৎ খেলায় পরিণত হয়েছে। ১৩ আসরে তাই ৫ বার টাইটেল জিতেও অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে ক্রিকেট খেলা তাই মূল্যহীন। এই খেলায় জেতা না জেতা তারা খুব একটা গা করেনা। আমি একজন অস্ট্রেনিয়ান ক্রীড়া অনুরাগীর কাছে জেনেছি, ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিকে একটা ব্রোঞ্জ মেডেল জেতা একজন অস্ট্রেলিয়ানের কাছে অনেক সম্মানের।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তাহলে একজন অস্ট্রেলিয়ান সকল অস্ট্রেলিয়ানের প্রতিচ্ছবি? আপনি কি এই গ্রহের বাসিন্দা?
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই জয় বড় আনন্দের।