নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ছেলের স্কুল থেকে জানাল কোভিড টিকা নিতে জন্ম নিবন্ধন কার্ড সহ ছেলেকে একটি নির্দিষ্ট স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। ছেলের বার্থ সার্টিফিকেট নিলে হবে না ডিজিটাল নিবন্ধন লাগবে। অনলাইনে বসে গেলাম।
ডিজিটাল ফর্ম পুরনের এক পর্যায়ে বাবা মার জন্ম সনদ চাইল। শুধু এন আই ডি তে হবে না। জন্ম সনদ নাম্বার লাগবে। না হলে হবে না। আমাদের সকল প্রয়োজন এন আই ডিতে মেটে সঙ্গত কারনেই কখনো জন্ম সনদের কথা ভাবি নি। কিন্তু ছেলের জন্ম সনদ পেতে বাবা-মা'র জন্ম সনদ লাগবে! এখন এই জন্ম সনদ কই পাই?
শুনলাম জন্ম সনদের জন্য যেতে হবে আমার জন্মভিটায়/ইউনিয়নে। অর্থাৎ আজ থেকে পয়তাল্লিশ বছর আগে আমি সত্যিই জন্মেছিলাম কিনা সেটা নির্নয় করবেন এখনকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ তো সেই চারিত্রিক সনদপত্র নেয়ার মত! চেনেন না জানেন না অথচ অনুরোধের ঢেকি গিলে লিখে দেন " আমার জানামতে তাহার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র"।
যাই হোক এই স্বল্প সময়ে তো সেই সনদ গ্রহন তো আর সম্ভব নয়, কাজেই বাধ্য হয়ে বার্থ সার্টিফিকেট নিয়েই টিকাকেন্দ্রে ছুটলাম। উল্লেখ্য আমার ছেলেটা জন্মেছিল বারডেম হাসপাতালে; ভাবলাম যেহেতু সেখানকার বার্থ সার্টিফিকেট আছে সেহেতূ টিকাটা মিললে মিলতেও পারে।
ছুটলাম টিকা কেন্দ্রে। তাঁরা আর কি করবে। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম! সেখান থেকে একই কথা জানাল জন্ম সনদ ছাড়া টিকা দেয়া যাবে না। ব্যার্থ মনোরথ হয়ে ফিরে আসলাম। টিকা দেয়া হলনা ছেলেটাকে। কে জানে এর পরে হয়ত শুনব টিকা না নিলে অনলাইন ক্লাসও বন্ধ করে দেবে! সরকার একদিকে টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করছে অন্যদিকে এমন সব আজগুবি প্রবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এর মানেটা কি?
সংযুক্তি- টিকাতো পেলামই না দেখে এলাম টিকা কেন্দ্রের বাইরে কি ভীষণ অব্যবস্থাপনা। মা বাবাকে টিকা কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না শুধু মাত্র শিক্ষার্থীরা (ষষ্ঠ শ্রেনি থেকে দশম শ্রেনীর)ঢুকতে পারছে। এ যেন পরীক্ষা কেন্দ্র!
ভয়ার্ত শিশুদের কেউ একা যেতে চাচ্ছে না। কারও বাবা-মা একা যেতে দিতে চাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থিরা একা একা যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের উদ্বিগ্ন মা বাবারা কোভিড বিধি নিষেধ না মেনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে শিশুদের ফেরার অপেক্ষা করছেন। সংযুক্ত ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে কোভিড টিকা নিতে যাওয়াদের কোভিড বিধি নিষেধ মানার প্রবণতা কতটা ছিল। তবে ছোট রাস্তার পাশে এত লোক দাড়ানোর কোন ব্যবস্থাও রাখা হয় নি। অথচ উত্তরায় প্রতিটি সেক্টরে মাঠ ছিল চাইলে তাঁর যে কোন একটি মাঠ সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কেন্দ্র করা যেত। কিন্ত সে ক্ষেত্রে তো সংশ্লিষ্টদের সেইরকম দ্বায়িত্ব সচেতন হতে হবে। সব দেখে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাবটাই কেবল পরিলক্ষিত হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়।
শেষ পর্যন্ত ছেলেটাকে টিকা দিতে তো পারলামই না মাঝখানে একটা ঘন্টা ভিড়ের মধ্যে ঝুকিতে দাঁড়িয়ে থাকলাম। বুঝলাম না ব্যর্থতা টা আসলে কার। সমাধানই বা কি।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এনআইডি কি আমার জন্ম সনদ নয়? নয় কেন সেটা বলুন। ছেলের জন্ম নিবন্ধন আমি যখন প্রয়োজন মনে করব তখন করব রাষ্ট্র
সব সময়ই তাঁর এক্সেস দেবে এটাই তো স্বাভাবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজটালি জন্ম নিবন্ধন করব এটাই তো স্বাভাবিক। মা-বাবার জন্ম সনদ কেন চাইবেন যখন মা বাবার এন আই ডিতে জন্ম তারিখ দেয়াই আছে?
দুঃখিত কার হয়ে কথা বললেন কি বললেন, কেন বললেন সেটাই বুঝলাম না।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতদিন পর্যন্ত ঢাকায় অন্ততঃ টিকাদান/গ্রহণ কর্মসূচী এবং "সুরক্ষা" থেকে টিকাদানের সনদপত্র ডাউনলোড প্রক্রিয়াটি বেশ সন্তোষজনকভাবেই এগিয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর কথা বলতে পারবো না। কিন্তু এখন ছাত্রদের বেলায় এসে বিষয়টি নিয়ে এরকম অব্যবস্থাপনা থেকে থাকলে তা পূর্বের সাফল্যকে ম্লান করে দিবে।
আপনার দাবীর সাথে একমত হয়ে আমিও দাবী জানাচ্ছিঃ "শিক্ষার্থীদের টিকা প্রাপ্তি সহজ করুন"!
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভাই আমি ডাবল ডোজ টিকা নিয়েছি কোন ভোগান্তি ছাড়াই। ছেলের বেলায় যেটা আরও সহজ হওয়ার কথা। বিষয়টা ঠিক তাঁর উলটো হল। যে দেশে ইপি আই এর মত এত অর্গানাইজ একটি প্রতিষ্ঠান আছে সে দেশে কোভিড টিকা দানের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হওয়ারই কথা নয়। অথচ স্বার্থ লোলুপ একটি গোষ্ঠি কেবল নিজেদের স্বার্থে ইপি আই কে ব্যবহারই করল না। সমস্যা ইচ্ছে করে বাধানো হচ্ছে। এমন একটি লোকও আপনি পাবেন না যে তাঁর সন্তানকে নির্ধারিত ডোজ এর বেশি টিকা দেবে। শিক্ষার্থীদের টিকা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেয়া উচিৎ। সেখানে তাদের রিলিফের খাদ্য নেয়ার মত করে নিতে হবে কেন?
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৭
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ভাই, ছেলের জন্মনিবন্ধনের জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর লাগবে। আবার আপনার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আপনার বাবার জন্মনিবন্ধন নম্বর লাগবে। তিনি ইতোমধ্যে মৃত্যু বরণ করে থাকলেও চলবে না। এই এক আজব দুষ্টচক্র।
আমার মেয়ের এনালগ জন্মনিবন্ধন করা আছে। কিন্তু সেটা চলবে না, ডিজিটাল করা লাগবে যেটা টিকা দেয়ার সময় যাতে পিসিতে সার্চ করে পাওয়া যায়। জন্মনিবন্ধন করতে পারছি না, তাই মেয়ে টিকা নিতে পারছে না। কার কাছে এর সমাধান চাইবো ?
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার প্রশ্ন হল যাবতীয় সকল কাজ যদি এন আই ডি তে করা সম্ভব হয় তাহলে কেন সন্তানের জন্ম সনদ নিতে মা বাবার জন্ম সনদ নাম্বার দিতে হবে এন আই ডি নয়? তাঁর মানে কি এন আই ডিতে উল্লেখ করা জন্ম তারিখ সঠিক নয়? আপনি অনলাইনে শত চেষ্টা করেও এটা করতে পারবেন না। এই জন্ম সনদ নিতে আপনাকে সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে ধন্যা দিতে হবে। নাহলে জন্ম সনদ পাবেন না। আর জন্ম সনদ না পেলে আপনার সন্তান টিকা পাবে না। দেশ বিশাল ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে!
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২১
এপোলো বলেছেন: দেশের আমলারা নিয়ম তৈরী করে ভোগান্তি বাড়ানোর জন্য । ওরা সহজভাবে চিন্তা করতে জানে না, জিলাপির প্যাঁচ ওদের মাথায় আর কথায়।
পোলিও টিকা আর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় তো এতো ঝামেলা করতে দেখিনি। করোনার টিকাতে কেন এতো মারপ্যাচ। জনগণের ভোগান্তি কমাতে সরকারি আমলাদের "ভালোমানুষি" কামনা করা ছাড়া এখন করার কিছু নাই। কারণ বাংলাদেশ এ সরকারি চাকরিতে "জনসেবা" নিশ্চিত করতে কোনো নিয়মকানুন এর বালাই নাই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ওরা সহজ বোঝে না! ওর প্যাচ বোঝে প্যাচে দুর্নিতি সহজতর হয় যে!
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৫৫
সোহানী বলেছেন: কি এক অবস্থা দেখি। টিকা কিভাবে দেয়া যায় সহজে তার ব্যবস্থা করা উচিত। ত
বে এটাও ঠিক যে জন্ম নিবন্ধনটা খুব জরুরী। এমন কি আমরা দেশের বাইরে থাকি কিন্তু দেশের ভিসা বা পার্সপোর্ট রিনিউ করতে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন লাগে। যেটা আগে ছিল না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিশ্চয়ই জন্ম নিবন্ধনটা খুব জরুরী, তাঁর থেকে বেশি জরুরী জন্ম নিবন্ধন করাটা সহজতর করা।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: একদম আমার মনের কথা বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
নাহল তরকারি বলেছেন: ০১। আপনার ছেলের জন্ম নিবন্ধন সময় মত করেন নাই কেন?
০২। আপনার জন্ম ৪৫ বছর আগে এটা নির্ণয় করিবে চেয়ারম্যান। ব্যাপারটা তেমন না। আপনি যেই জন্ম তারিখ তাদের দিয়েছেন, তাই সেই তথ্যই এন্ট্রি করেছেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।