![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Any fool can know, it takes genius to understand
একটা সময় ছিল যখন ক্লাসের সেরা ছাত্রদের মাথায় হাত বুলিয়ে শিক্ষকরা বলতেন, 'তুমি বাবা রাজনীতি করো তাহলে দেশের অনেক উন্নতি হবে।' আর এখন ক্লাসে ফেল করা সন্ত্রাসী মাইন্ডেড বখাটেদের অবজ্ঞা করে শিক্ষকরা বলেন, 'তোরে দিয়ে তো লেখাপড়া হবে না তুই ব্যাটা রাজনীতি কর'। সময়ের পরিবর্তনে শিক্ষরদের জাস্ট এই ছোট একটা ভুল বার্তা আমাদের জাতীয় জীবনকে কতটা দুর্বিষহ করে তুলছে একবার ভেবে দেখেছেন?! যার ফলশ্রুতিতে ছাত্র রাজনীতি থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসা শিক্ষিত নেতৃত্বের পরিবর্তে এলাকার টেন্ডারবাজ, 'ক অক্ষর গোমাংস' টাইপ সন্ত্রাসিরা এখন আমাদের রাজনীতির বড় একটা অংশ দখল করে নিয়েছে।
রাজনীতি এখন বিনামূল্যের ব্যবসার মত হয়ে গিয়েছে। আপনি বিনা পূঁজিতে এখানে নাম লেখাবেন আর একসময় কোটিপতি হয়ে বের হয়ে আসবেন। এটা একটা অদ্ভুত ব্যপার, একাত্তরে স্বাধীনতার সময় যেখানে মাত্র ১৮ শতাংশ ব্যাবসায়ি সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল সেই সংখ্যা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৮ শতাংশে। এবং দেখা যায় একদম বিনা পূঁজিতে তারা রাজনীতিতে আসছে আর বিশাল অংকের অর্থ, জমি, বাড়ি, বিদেশে টাকা সবমিলিয়ে এক বিরাট অবস্থা করে তারা বেরিয়ে আসছে। একারনে দেখা যাচ্ছে সুইস ব্যাংকে ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালের তুলনায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ৪০.৭২ শতাংশ অর্থ বেশী জমা হয়েছে এবং এর মোট পরিমান হচ্ছে চার হাজার পাঁচশত চুয়ান্ন কোটি টাকা!
আর, দরজায় কড়া নাড়া উপজেলা নির্বাচনের অবস্থা তো আরও ভয়ংকর। এখানে ৩৯% প্রার্থিরই কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই আর ৮৭ শতাংশ প্রার্থিই ব্যবসায়ী! এই যদি হয় বর্তমান রাজনীতির অবস্থা তখন দেশের হাজার কোটি টাকার সম্পদ লোপাট হবে না তো কি হবে!! বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি সরকারের কাছে জানতে চাই এই টাকাটা কাদের নামে আছে? কারা সেটা পাচার করেছে? এই টাকার উৎস কি? এটা জানবার অধিকার আমার আপনার সবার আছে কারন আমরা এদেশে ট্যাক্স, ভ্যাট দিয়ে থাকি।
২১/০৬/২০১৫ তারিখের ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ যদি দেখেন তাহলে দেখবেন ‘ঋণ নাও মেরে দাও’ নামের একটি কলাম। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো থেকে গত পাঁচ বছরে দশ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এত টাকা কোথায় গেল? এই টাকাগুলো কাদের টাকা? এই টাকা আমার, আপনার, দেশের ষোল কোটি মানুষের। এই টাকা লোপাট করার কোনো অধিকার কারো নেই। সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রি বলতে পারেন না যে চার হাজার কোটি টাকা দুর্নিতি কিছুই না। এটা ওনার পকেটের টাকা নয়।
আর এ যুগের সকল শিক্ষকদের সম্মান জানিয়েই একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, 'আপনারা আর কিছু পারুন আর না পারুন দয়া করে জাতিকে কোন ভুল বার্তা দিবেন না। আজ যদি জাতীয় রাজনীতি চোর বাটপারদের হাতে থাকে তবে সেখানে আপনাদের দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই কারন আপনারা মানুষ গড়ার কারিগর। আপনারাই সেই চোর বাটপারদের ঠেলে দিচ্ছেন দেশ লুটের দিকে।'
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
আরেফীন তূর্য বলেছেন: প্রশ্ন করার অনেকেই আছে কিন্তু সে সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম যার কারনে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। যার ফলে সঠিক ও নিরপেক্ষ কোনো তদন্ত হচ্ছে না। আর সেই সুযোগে সুবিধাভোগীরা ইচ্ছেমত দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সরষের ভিতরেই যদি ভূত থাকে তবে সেই ভূত তাড়াবে কে?!
আর মিডিয়া?! এরা তো ভাই এখন একেকটা দলের অঙ্গ সংগঠন এর মত। এরা তো চোখ থাকতেও অন্ধ
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
ভুলুয়া বলেছেন:
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭
আরেফীন তূর্য বলেছেন:
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঘনঘোর আঁধার......তমসাচ্ছন্ন হচ্ছি.......
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
আরেফীন তূর্য বলেছেন: "মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে,
হারা শশীর হারা হাসি অন্ধকারেই ফিরে আসে।"
ইনশাল্লাহ আমরাও একদিন আলোর সন্ধান পাবো
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো থেকে গত পাঁচ বছরে দশ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এত টাকা কোথায় গেল? এই টাকাগুলো কাদের টাকা? এই টাকা আমার, আপনার, দেশের ষোল কোটি মানুষের। এই টাকা লোপাট করার কোনো অধিকার কারো নেই। সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রি বলতে পারেন না যে চার হাজার কোটি টাকা দুর্নিতি কিছুই না। এটা ওনার পকেটের টাকা নয়।
কিন্তু মানছে কে? ৯০০ কোটি ডলার এক বছরে পাচার হয়ে গেছে! কে আছে প্রশ্ন করার?
মিডিয়াগুলো অদ্ভুত ভাবে কেচো/তেলাপোকা তত্ত্বে জ্বি হুজুরী করে যাচ্ছে! জনগণের প্রতি তাদের দায় নিয়ে কারা তাদের প্রশ্ন করবে??
অন্ধকারে চলছে সবাই আরও গভীর অন্ধকারের দিকে!!!!!!!!!!!!