নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশুনার পাশাপাশি একটু লেখালেখি করার চেষ্টা করি।

gentle breeze

gentle breeze › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলশুভ্র

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭




পার্কের সেই চিরচেনা বেঞ্চটিতে বসে
আছে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। আর
হ্যা, আপনারা কিন্তু ভুলেও ভাববেন না যে, এরা
বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড।আপনাদের মনে
প্রশ্ন জাগতে পারে ,তাহলে এদের সম্পর্ক কি ?
আসলে এরা দুজন হল স্বামী -স্ত্রী।
ছেলেটির নাম শুভ্র আর মেয়েটি হল নীলা।
ওদের প্রথম পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে।
২ মাস আগের কথা......
"
শুভ্র অনেক আগে থেকেই ফেসবুকে
লেখালেখি করতো ।তার লেখাগুলো নীলার
খুব ভালো লাগত। যদিও শুভ্র তার ফেন্ড লিস্টে
ছিল কিন্তু কখনও সে শুভ্রকে মেসেজ দেয়
নি ভয়ে, যদি সে রিপ্লাই না দেয় এই ভেবে।
সে শুভ্রের প্রতিটা পোস্টেই সর্বপ্রথম লাইক
দিত। শুভ্র ও কয়েকদিন যাবৎ বিষয়টি লক্ষ্য করে ।
তাই সে একদিন নীলাকে নক করে ।
-হাই (শুভ্র )
নীলা মেসেজটি দেখে অবাক হল। সে
ভাবতেই পারছে না যে ,শুভ্র তাকে মেসেজ
দিছে। অবশেষে দেরি না করে রিপ্লে দিল।
-হ্যালো (নীলা)
-কেমন আছেন? (শুভ্র)
-ভালো ,আপনি ? ( নীলা)
-ভলোই, তা কি করেন ? (শুভ্র)
-বসে আছি, আপনি ? (নীলা)
-ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতেছি। আচ্ছা
আজকের মত বাই। আবার পরে কথা হবে ।(শুভ্র)
-হুম ।বাই ভালো থাকবেন ( নীলা)
-আপনি ও (শুভ্র)
"
এভাবে আস্তে আস্তে ওদের বন্ধুত্বের
সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর ওদের সম্পর্কটা
আপনি থেকে তুমিতে পরিনত হয়।অল্পকিছু
দিনের, মধ্যে ওদের বন্ধুত্বের সস্পর্ক
আরো গভীর হয়।তাই একদিন তারা দেখা করা
সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দুজনই ঢাকাতে থাকতো ,পাশাপাশি
এলাকায় ।তারা একটি পার্কে দেখা করার সিদ্ধান্ত
নেয়।
নির্দিষ্ট দিনে শুভ্রই প্রথম পার্কে পৌঁছে নীলার
জন্য ওয়েট করতে থাকে ।(তারা যেহেতু
একে অপরকে কখনো দেখে নি ,তাই কথা
অনুযায়ী শুভ্র নীল পাঞ্জাবি পড়ে এবং নীলা
নীল শাড়ি পড়ে আসে ।)
কিছুক্ষণ পর শুভ্র দূরে কোনো নীলপরিকে
লক্ষ্য করে ।কিন্তু সে যতই কাছে আসে
,মেয়েটিকেে শুভ্রের চেনাচেনা মনে হয় ।
মেয়েটি যখন তার থেকে কিছুটা দূরে তখন সে
ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় ।কারন মেয়েটি হল
তাদের ভার্সিটির সবচেয়ে রাগী মেয়ে নীলা
।সে সবসময় এই মেয়েটি থেকে দূরে
থাকতো। তাই নীলা কাছে আসার আগেই সে
গাছের পিছনে লুকায় কিন্তু নীলা তা দেখতে
পায় ।সে শুভ্রকে টেনে সামনে আনে ।
এদিকে ভয়ে শুভ্র চুপসে যায় ।শুভ্রের এ
অবস্থা দেখে নীলার অনেক হাসি পায়। সে
শুভ্রকে তার দিকে তাকাতে বলে ।শুভ্র ভয়ে
ভয়ে তার দিকে তাকায় ।সে নীলার উপর প্রথম
ক্রাশ খায় এবং ভাবে স্বর্গের কোনো
অপ্সরী ভুল করে হয়তো তার সাথে নেমে
এসেছে ।নীলার ডাকে সে কল্পনার জগৎ
থেকে বাস্তবে ফিরে আসে ।তারপর
নীলাকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া, ঘোরাঘুরির পর বাসায়
আসে । কিন্তু সে কোনো কাজেই মন
বসাতে পারে না ,শুধু চারিদিকে নীলাকে
দেখতে পায় ।অন্যদিকে নীলারও একই অবস্থা।
সে শুভ্রকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছে না।
এইভাবে আরো কিছুদিন কেটে যায় ,কিন্তু শুভ্র
এখন নীলাকে আগের মত ভয় পায় না ।কিন্তু
এখনো নীলা অথবা শুভ্র কেউ কাউকে তাদের
মনের কথা জানায়, যদি তাদের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়
এইভেবে।
কিছুদিন পর ......
"
আজ শুভ্র সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবেই হোক সে
নীলাকে তার ভালবাসার কথা বলবে ।তাই সে
নীলাকে ফোন দিয়ে বিকেল ৪ টায় পার্কে
আসতে বলে । ঠিক সময়ে নীলা পার্কে পৌছে
যায় ।ওদিকে শুভ্র পরিপাটি হয়ে নিজেকে আয়নায়
দেখতে থাকে আর নীলাকে কিভাবে তার
মনের কথা বলবে তা প্রাকটিস করতে করতে
বেড়িয়ে পড়ে ।দোকান থেকে তিনটা
গোলাপ কিনে সে পার্কে ঢোকে ।আগের
যায়গায় সে নীলাকে দেখতে পায় ।তাই দেরি না
করে নীলার কাছে গিয়ে বসে ।
-কেমন আছো (শুভ্র)
-ভাল ,তুমি (নীলা)
-ভাল (তোমাকে যতক্ষণ না মনের কথা বলতে
পারছি ততক্ষণ ভাল নেই মনে মনে বলে শুভ্র)
-আসলে নীলা আমি তোমাকে একটা কথা
বলতে চাই ,জানিনা তুমি কথাটা কিভাবে নেবে (শুভ্র)
-ওকে ,বলো (আজকে মনে হয় গাধাটার সুবুদ্ধি
হইছে ,নীলা মনে মনে ভাবে )
শুভ্র আর দেরি না করে নীলার সামনে হাটু
গেড়ে বসে গোলাপ তিনটি বাড়িয়ে দিয়ে বলে
"
" নীলা বিশ্বাস করো , পার্কে যেদিন তোমার
সাথে দেখা হয় ওদিনই তোমাকে ভালবেসে
ফেলি ।শুধু যেদিকেই তাকাই তোমাকে
দেখতে পাই ।আই লাভ ইউ নীলা। তুুমি কি আমার
মনের মানুষ হবে।"(শুভ্র এক নিশ্বাসে কথাগুলো
বলে )
-আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি শুভ্র (নীলা কাদো
কাদো কন্ঠে বলে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে )
আরেক দিনের ঘটনা বলি ....
সেদিনও তারা সেই পার্কে বসে আছে ।
দুজনের মাঝে নিরবতা ।হঠাৎ নিরবতা ভেঙে নীলা
শুভ্রকে বলে উঠলো
-শুভ্র ,তোমাকে না খুব জরিয়ে ধরতে ইচ্ছা
করছে (নীলা)
-ফাজিল মাইয়া (আস্তে করে শুভ্র বলল)
-ওই কি বললা তুমি ,আমি ফাজিল (রেগে নীলা )
শুভ্র খুব ভয় পেয়ে বলল
-আরে আ..আমি তোমাকে বলি নাই ।আমি তো
ঐ মেয়েটাকে বলছি (একটি মেয়েকে
দেখিয়ে )
-কি আমি থাকতে তুুমি ঐ মেয়ের দিকে তাকাইসো
।আমি তো এখন পুরনো হয়ে গেছি (কাদো
কাদো কন্ঠে নীলা)
-স্যরি ,আমার ভুল হয়ে গেছে ,আই লাভ ইউ
সোনা। (শুভ্র)
-আচছা এবারের মত মাফ করলাম ।আর
কোনোদিন যদি অন্য মেয়ের দিকে তাকাও
,তাহলে চোখ তুলে ফেলবো মনে থাকে
যেন। আর লাভ ইউ টু.. (এ কথা বলে নীলা
শুভ্রকে জরিয়ে ধরে )
"
আর এভাবেই শুরু হয় ভালবাসার নতুন একটি অধ্যায়।
তিন বছর পর ......
"
শুভ্র ও নীলা উভয়েই লেখাপড়া শেষ করে ভাল
চাকরি পায় এবং উভয়ের পরিবারকে তাদের ভালবাসার
কথা জানায় ।যেহেতু তারা উভয়ই পূর্নবয়স্ক ,তাই
তাদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় ।
অতঃপর একটা শুভ দিনে তাদের বিয়ে হয় এবং
তাদের ভালবাসার সম্পর্ক পূর্নতা পায়। বিয়ের
পরেও সময় পেলেই তারা তাদের স্মৃতিবিজড়িত
পার্কে ঘুরতে যায় ।
"
এভাবেই আজীবন টিকে থাকুক প্রত্যেকের
পবিত্র ভালবাসার সম্পর্ক ।ভালবাসার জন্য প্রয়োজন
পবিত্র দুটি মনের
"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

জাহিদ নীল বলেছেন: Common kono notunotto nai

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

gentle breeze বলেছেন: hmm.thnQ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.