নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঙ্কেল ম্যাক

www.facebook.com/s.prince.opu

আঙ্কেল ম্যাক

কিছু বিশ্লেষণধর্মী লেখা। নিতান্তই নিজের মন থেকে লেখা হয়েছে, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। সমালোচক সমালোচক একটা ভাব দেখা যেতে পারে :)

আঙ্কেল ম্যাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ পজেটিভ (এ+), এ প্লাস এর জন্য শিক্ষা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

২০০১ সাল, এস.এস.সি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হল। এই প্রথম ফলপ্রকাশ হল গ্রেডিং পদ্ধতিতে। পরীক্ষার্থী এবং তাদের স্বজনেরা খুবই চিন্তিত ছিল। ফল হয় মোটামুটি, সেবার এ+ পায় খুবই নগণ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী। তখনকার এ+ আর এখনকার গোল্ডেন এ+ নীতিগত দিক থেকে একই রকম! (মানে তখন চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বিবেচনা করা হতো না) সে যাই হোক, ধীরে ধীরে সময়ের চাকার ঘূর্ণনের ফলে আমরা আজ ২০১৩ সালে, পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, আমরাও এগিয়েছি (যদিও তা পৃথিবী’র অগ্রগামিতার সামনে নস্যি), আর সবচেয়ে এগিয়েছে আমাদের মাধ্যমিক, আর উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার মান। যেভাবে এ+ আর সোনালী এ+ এর সংখ্যা গুণোত্তর ধারার আকারে ফুলে ফেপে উঠছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মাঝেই আমরা মেধাবী ছাত্রছাত্রী রপ্তানি করে এমন প্রবৃদ্ধি অর্জন করবো যাতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আমরা স্বয়ং আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিবো। আর বিদেশ থেকে ছেলে মেয়েরা আসবে আমাদের এন.সি.টি.বি কারিকুলামে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার জন্য।

যাই হোক, আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান যে কতোটা উঁচু তা বোঝা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে যখন ডাবল গোল্ডেন অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিবেচিত হবার নুন্যতম নম্বর পায় না, চান্স পাওয়াতো আরও দূর আকাশের তারা। উদাহরণ স্বরূপ ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের ঢা.বি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের কথা ধরা যেতে পারে। যেখানে ৫০% এরও বেশি ডাবল গোল্ডেন পাওয়া শিক্ষার্থী নুন্যতম পাশ মার্কস পেতে ব্যর্থ হয় (৩০ এ ১২ ঢা.বি এর পাশ মার্কস) এরাই কিনা উচ্চমাধ্যমিকের মতো কঠিন সিলেবাসে সকল বিষয়ে ৮০% বা এর বেশি মার্কস পেয়ে এসেছে।



তো বুঝতে হবে কাহিনী কিছু একটা আছে। কি সেই কাহিনী? ভনিতা না করে বলেই ফেলি।

#০১. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এমনভাবে সেট করা হয় যাতে অগা চণ্ডী দাসও নির্বিঘ্নে পাশ মার্কস তুলতে পারে, এখন কথা এ+ এর, আরে ভাই, হল এর পরিবেশ যদি ছাত্র বান্ধব হয় তাহলে তো আর কথাই থাকে না। আগে যারা নকল করতো তাদের আর এখন সেই প্রয়োজন নেই। তাই নকল ছাড়াই এতো এ+, যাতে আমাদের অভিভাবক মহলের গর্বের সীমানা বহু আগেই পার হয়ে গেছে, পেয়েছে নতুন সীমানা।

#০২. বোর্ডের খাতা দেখার নীতিমালা। শতকরা এতজন ছাত্র পাশ না করলে আগামী বারের পরীক্ষার খাতা আর দেখতে পারবেন না। (প্রধান পরিক্ষক কতৃক প্রাপ্ত নির্দেশ, যা পাশের হার, আর এ+ এর হার বাড়ায় ঠিকই, সাথে সাথে শিক্ষার মানটাকে তলানিতে পৌঁছে দেয়)



#০৩. আগে স্কুল, কলেজগুলিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করলে কোন শিক্ষার্থী আর ওই বছর পরিক্ষা দিতে পারত না, ফলে কি হতো, সবাই নির্বাচনী পরিক্ষা থেকেই ভালো করে পড়াশুনা করতো, যারা পড়তো না, তারা পরীক্ষাও দিতে পারতো না। কিন্তু এখন, কিছু টাকা মুচলেকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী পায় পরিক্ষা দেবার সুযোগ, আর যদি তা নাও হয়, তো চিন্তার কিছু নেই, আগানে বাগানে অনেক স্কুল কলেজ আছে যারা এদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে। ফল প্রকাশের দিন তাদের কেও দেখা যায় এ+ প্রাপ্তির পরে বিজয় সূচক ভি দেখাতে।



ভালোভাবে প্রশ্ন করা (প্রশ্ন এমন ভাবে না করা যাতে করে একটা অধ্যায় পড়লে অন্য একটা অধ্যায় স্কিপ করা যায়. যেমনঃ বলবিদ্যা’র থিওরি পড়লে আর অঙ্ক করতে হয় না) , ভালোভাবে খাতা দেখা(যে যেমন লিখবে তেমন পাবে, এক নম্বর বেশিও না কমও না) , হলে কড়া গার্ড দেয়া (কড়া গার্ড দেয়া মানে আবার কারণে অকারণে শিক্ষার্থীদের ডিস্টার্ব করা না) , কোন শিক্ষার্থী যেন নির্বাচনী পরীক্ষায় পাশ না করে বা অন্য স্কুল কলেজ থেকে ভুয়া নামে বোর্ড পরীক্ষা না দিতে পারে তা নিশ্চিত করা।



আমার ছোটো মস্তিস্ক বলে শুধু এই কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান অনেক বেড়ে যাবে। পাশের হার, এ+ এর হার, মিষ্টি বিক্রির হার, টি.ভি পর্দায় মেয়েদের নাচানাচির হার (কথাটা পরে বিশ্লেষণ করবো!) কমে গেলেও, শিক্ষার মান বাড়বে বলে আমার মনে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.