![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণজাগরণের পর ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খুন হয় রাজিব হায়দার। ব্লগারদের মধ্যে তিনিই প্রথম। এর পর “আমার দেশ” পত্রিকায় ব্লগের কিছু লেখা ছেপে সমগ্রদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়যে নাস্তিক মানেই গালাবাজ চটি লেখক। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও এটাই সত্য যে; তারা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। এর পর ২০১৪ সালে ১৯ এপ্রিল আল্লামা শফি বিবৃতি দেন যে; নাস্তিক হত্যা করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমাদের কোন অবস্থান ছিল না। এই দেশে ধর্মান্ধ থাকার যেমন অধিকার আছে তেমনি নাস্তিকদের থাকার অধিকার আছে এই সরল বাক্যটা আমরা মানুষকে বোঝেতে সক্ষম হইনি।
বাংলার সাধারণ জনগণ ভাবে নাস্তিক মানেই ধর্মবিদ্বেষী অথবা ইসলাম বিদ্বেষী। তারা এটা ভুলে যায় নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়। বা নাস্তিক কোন গোত্র নয় যে সবাই এক রকমভাবে তাদের নাস্তিকতা করে। বাংলাদেশে হাজারো মানুষ আছে যারা কোন কিছুতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু এগুলো নিয়ে আলোচনা করতেও তারা আগ্রহী না। তাই নাস্তিক হলেই যে ধর্ম বিষয়ে বা সমালোচনায় আগ্রহী হবে এমনও না। আর নাস্তিক মানেই সব একগোত্রের তাও না। কারণ নাস্তিক আওয়ামীলীগারও হয়, নাস্তিক বামপন্থীরাও হয়, নাস্তিক বিএনপিও হয় আবার হেফাজতও হয়। তাই কে ভুতে বিশ্বাস করে কে করে না এটা অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত দর্শনের আলোকে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে তাই হয়তো অবিশ্বাসীদের সাথে অন্য বিশ্বাসীদের কিছুক্ষেত্রে বেশ মিল আছে। কিন্তু একজনের দায় আরেকজন অবশ্যই বহন করে না। কিন্তু বাংলার মুল্লুকে বেশি ভাগ মানুষ সবাইকে একই পাল্লায় বসিয়ে বিচার করে। সমস্যাটা এই খানেই। ফলে অনেকের কর্মকাণ্ডের প্রতি বিদ্বেষ ঘৃণা তারা হাতের কাছে পাওয়া কোন নাস্তিকদের উপর ঢেলে দেয়। তাই আমি নিরাপদ জায়গায় আছি কিন্তু এর মানে এই না আমি এমন কিছু করব যার জন্য দেশের অনিরাপদে থাকা আরো বিশজন মানুষ মৃত্যু ঝুকিতে পরে। আমি জানি অসংখ্য মানুষ দেশ ছাড়তে চাচ্ছে, অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যায়। এই অফিসে যাওয়ার পথেই কিন্তু খুন হলেন অনন্ত বিজয় দাশ, খুন হলেন ওয়াশিকুর বাবু!
এভাবে আর কতো।আমরা সবাইতো মানুষই।
©somewhere in net ltd.