নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব কাছে থেকে দেখা একজনের জীবন-যুদ্ধের গল্প বলবো আজ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

কিভাবে শুরু করবো বোঝতে পারছি না। ধরে নেই একটা ছেলে, তার নাম মেহেদী। বয়স ১০/১২ বছর; এই বয়সেই সে দেখে তাদের সংসারে ২য় মায়ের আগমন। এমনিতেই নিজেদের প্রায়ই উপোষ করে থাকতে হয়, তার উপর বাবার এমন কান্ড!! না থাক এভাবে শুরু করবো না। (বাস্তব জীবনের) গল্পটা অনেক বড় হয়ে যাবে।



গ্রামের জুনিয়র হাই স্কুল থেকে মেহেদি ৮ম শ্রেনী পাশ করে ভর্তি হয় থানা সদরের হাই স্কুলে; খ-শাখা, বিজ্ঞান; রোল-৯৪। তার পাশের বাড়ির সহপাঠীও ছেলেটিও ভর্তি হয় একই স্কুলে। খ-শাখা, বিজ্ঞান; রোল-৯৩। মেহেদীর বাবার পরিচয় তো উপরের প্যারায় দিয়েছি। যে লোক সুন্দরী বউ, ফুটফুটে মেয়ে ও একটা ছেলে রেখে ২য় বিয়ে করতে পারে, তার দ্বারা কি না করা সম্ভব আপনারাই বলুন। জমি বিক্রি, ধান বিক্রি, গাছ বিক্রি, গরু বিক্রি, মাছ বিক্রি, টাউটারী, বাটপারীসহ এমন কোন কাজ নেই যে সে

করে না। ৩/৪ বার জেলেও গিয়েছে, আবার বেরিয়ে এসেই আগের ধান্দা। এবার মেহেদীর দাদা মেহেদীর বাবাকে সউদী আরবে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে দেয় যে তার সংসার, ছেলে-মেয়ের ভরন-পোষন তার নিজেকেই করতে হবে, তিনি আর টানতে পারবেন না।

মেহেদী ও পাশের বাড়ির ছেলেটির মধ্যে কি নিয়ে যেন ঝগড়া হয়। দুজনে কথা বলে না। কিন্তু দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব-ভালোবাসা কমে নাই। একজন স্কুলে যাবার জন্য রেডি হয়ে বাড়ির পাশের রাস্তায় দাড়িয়ে সাইকেলের বেল বাজায়। অপরজন বের হয়ে আসলে দু জনে এক সাথে স্কুলে যায়, প্রাইভেটে যায়। একজনের সাইকেল নষ্ট বা অন্য কেউ ধার নিলে এক সাইকেলেই দুজন যায়। কিন্তু কেউই কথা বলে না। এরই মধ্যে মেহেদী তার বাবার বন্ধুর মেয়ে প্রেমে পড়ে যায়। বাবার পাঠানো টাকা সে দু হাতে খরচ করে। সহপাঠী ও পথ না মাড়িয়ে সোজা পথেই হাঁটে। এসএসসি পরীক্ষা এসে যায়। পরীক্ষা হয়। মেহেদী পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। সহপাঠী স্টার পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়। পরীক্ষায় ফেল করে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে, এলাকার ছোট ছেলেদেরকে ডেকে নিয়ে মসজিদে যায়, নামাজ পড়ে আসে। একেবারে ভালো মানুষ হয়ে যায়। স্কুল জীবনের প্রেমটাও ছুটে যায়। তার বাবাও সংসারে টাকা দেয়া কমিয়ে দেয়। ফলে ইন্টারে ভর্তি হয়েও খুজতে থাকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা পুলিশ, বিডিআর এর চাকুরী। এখন দুই বন্ধুতে মিল হয়েছে। দুজনে মিলেই ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামে লাইনে দাঁড়ায়। ফিজিক্যাল, মেডিকেল এ টিকলেও লজিক্যাল এ টিকে না। ফলে কারোরই চাকুরি হয় না। এ অবস্থায় একজন দালাল ধরে মেহদী বিডিআর এ চাকুরীর জন্য। দালাল জানায় চাকুরি হবে তবে আড়াইলাখ টাকা লাগবে এবং সেটা সিলেট জেলার কোটায় হবে। ময়মনসিংহের লোক সিলেটের হয়ে চাকুরি করবে, ভেরিফিকেশনে সমস্যা হবে না? দালাল জানায় এসব তারা দেখবে। কিভাবে কি করতে হবে তা সব দালাল হ্যান্ডেল করবে। অনেক চেষ্টা করে টাকার যোগাড় না করতে পেরে অবশেষে তার বাবাকে জানায়। তার বাবা আর এক প্রবাসীর কাছে মেহেদীর মাথা বিক্রি করে টাকা নেয়। ওই প্রবাসীর মেয়েকে বিয়ে করতে হবে এই হলো মাথা বিক্রির শর্ত। তবুও টাকা নিয়ে চাকুরিটা হয় মেহেদীর খেলোয়াড় কোটায়। বিডিআর ৬০তম ব্যাচ। এদিকে সহপাঠী ইন্টার পাশ করে ময়মনসিংহে যায় সার্টিফিকেট ভারী করার জন্য। মেহেদীর প্রথম পোষ্টিং হয় কক্সবাজারে। নাফ নদীতে টহল দেয়ার সময় মায়ানমারের লবন ভর্তি একটি ট্রলার আটক করে মেহেদীর টিম। এটাই তার দেশের জন্য প্রথম বড় কোন কাজ। পরে তার উপরের অফিসারের নির্দেশে ট্রলার ছেড়ে দেয়া হয়। দিন শেষে ভাগে পায় ৪০ টাকা। এই টাকা মেহেদী নিতে চায় না অবৈধ বলে। শেষমেষ নিতে বাধ্য হয়। কি করবে এই টাকা দিয়ে। তার এক ব্যান্ডের রেডিওটা চলছিলো না অনেকদিন ব্যাটরীর অভাবে। এই ৪০ টাকা দিয়ে দুটো ব্যাটারি কিনে। সেই রাত থেকেই শুরু হয় তার বমি ও ডায়রিয়া। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে। কিছুটা সুস্থ্য হলে ৭ দিনের ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতে এসে তার বন্ধুর সাথে এসব গল্প করে। কক্সবাজারের গল্প করে। রাত হলেই দুজনে বেরিয়ে পড়ে সিনেমা দেখতে। সে ভালো হয়ে গেলেও সিনেমা দেখার নেশা ছাড়তে পারে নি। ৭ দিন শেষে চলে যায় কর্মস্থলে। তারপর নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ঢাকা পিলখানায় সর্বশেষ পোষ্টিং। কক্সবাজার থেকে ফিরে এসে যোগ দেয় তার খেলোয়াড় টিমে। তারপর তার বাবার পছন্দ করা (যৌতুক নেয়া) মেয়েটির সাথে তার বিয়ে হয়নি; কারণ তার বাবা আরো টাকা চায় মেয়েটির পরিবারের কাছে। সব শেষে তার মায়ের পছন্দে তার খালাতো বোনকে বিয়ে করে। (গোপন কথা: দুজনের সম্পর্ক ছিল; আমি সাক্ষী)।

যেদিন পিলখানায় ইতিহাসের জঘণ্যতম হত্যাযজ্ঞ ঘটে, সেদিন সে পিলখানায় ছিলো না। উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় খেলা ছিল। খেলা শেষে ফিরে আসছিলো বিডিআর টিম। তারপরও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, শুনানি হয়, হাজিরা হয়। একটা প্রস্তাব আসে যে সে যদি আদলতে বলে, (যাদের বিরুদ্ধে এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে, সবার না-কয়েকজনের) তারা এই হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল, সে সাক্ষী তাহলে তাকে সাক্ষী বানিয়ে মুক্ত করে দেয়া হবে। কিন্তু মেহেদী এতে রাজী হয়নি। এতোবড় বেঈমানী সে করেনি। ফলে তার সাজা হয় সাড়ে চার বছরের। তারই অপর চাচাতো-চাচাতো ভাই স্বীকার করে এখন স্বাধীনভাবে ব্যবসা করছে। চাকুরিতে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছে কিনা এখন আর জানি না। সাজা হলে মেহেদীকে রাখা হয় কাশিমপুরে। আমি ২০১০ এ দেশে গিয়ে তার সাথে দেখা করি কাশিম পুরে। সেখানে সে আসামীদের সাক্ষাতের টাইম মেনটেন করতো। কারা-কর্তৃপক্ষ তার ভালো ব্যবহারের জন্য এই কাজ করতে দিয়েছে। দেখা হতেই দুজনেই কেঁদে ফেলি। তারপর অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে তাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহ কারাগারে। ওহ একটা কথা বলিনি। মেহেদীর একটা মেয়ে আছে। নাম তার কথামনি। সে তার বাবাকে দেখতে চায় বলেই কাশিমপুর টু ময়মনসিংহ। ময়নসিংহ কারাগারের গেইট পার হলেই সরকারী রাস্তা; তারপরেই মেহেদীর খালু / শ্বশুর এর জমি শুরু, ওখানেই বাসা। তাই কথামনি যেন তার বাবাকে প্রতিদিন দেখতে পায় সেজন্যই অনেক টাকা খরচ করে ময়মনসিংহে আনা হয়। অন্তঃত দিনে একবার তো কুড়ি মিনিটের জন্য দেখা যাবে। ২০১২ তে যখন দেশে গিয়েছিলাম, তখন আমি দেখা করি মেহেদীর সাথে। সেখানেও তার একই দায়িত্ব, টাইম মেইনটেইন। জেলখানা চত্বরে গিয়ে কয়েদিদের দেখা করার জায়গায় আমার সমবয়সী এক পুলিশকে দেখা করার কথা বলতেই সে জানতে চাইল কার সাথে দেখা করবেন, কিসের আসামী। আমি বলার পর সে বলল, মেহেদী ভাইয়ের সাথে দেখা করবেন, আসুন আমার সাথে। মোবাইলটা জমা দিতে বলল, দিলাম। মোবাইল জমার চার্জ ৫ টাকা। আমার কাছ থেকে কোন টাকা নিল না। তারপর সরাসরি নিয়ে গেল দেকা করার জায়গায়। শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম - "তুই ছাড়া পাবি কবে?" আমাকে জানায় আরও ২২ মাস। দাড়ি রাখলি কবে। আমাকে জানায় মাঝে মাঝে কয়েদিদের নামাজের ইমামতি করতে হয়। দাড়ি ছাড়া তো আর ইমাম হওয়া যায় না। আর কোন কথা বলতে পারিনি। আজ হিসেব করে দেখলাম আর আছে ৮ মাস।

মেহেদী ছাড়া পাবে ৮ মাস পরে। কিন্তু কষ্ট তার জীবন থেকে পিছু হটে নি। জেলে যাবার পরে তার বাবা দেশে ফিরে এসে তার ভাগের সম্পত্তিটুকু প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। আর লিখতে পারছি না। আমাকে ক্ষমা করবেন।



ওহ একটা কথা, মেহেদীর সহপাঠী আমিই ছিলাম। এই ভিটামিন সি

কেউ যদি কোথাও শেয়ার করতে চান আমার কোন আপত্তি নেই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: দুই বন্ধুর চরিত্র তা ভালো লাগচে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

ভিটামিন সি বলেছেন: আর চরিত্র!!! ভালো হয়েও জেলে। ওর বাবা কিন্তু আমার চাচাতো ভাই হয়।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কি বলব ভাষা খুজে পাচ্ছি না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

ভিটামিন সি বলেছেন: কিছুই বলার নেই। শুধুই সমবেদনা।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
সত্য ঘটনা শুনাবার জন্য ধন্যবাদ!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

ভিটামিন সি বলেছেন: সত্য ঘটনাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বাই দ্যা ওয়ে, আপনার ছেলের নামে নিক নিয়া আপনি কেন চালান?? তথ্য প্রযুক্তি আইনে আপনার নামে মামলা করতাছি। আপনার ছেলের অধিকার ফিরাইয়া দিয়া নিজের নামে নিক খুলুন।
কি ডরাইছেন??

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

তূর্য হাসান বলেছেন: মেহেদীর জন্য সমবেদনা রইল।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

ভিটামিন সি বলেছেন: মেহেদীর বাচ্চাটার জন্য ও সমবেতনা জ্ঞাপন করুন। যেখানে এই বয়সী একটা বাচ্চার তার বাবার কোলে উঠার কথা, বাবার হাত ঘরে সকালে-বিকালে হাটা-হাটি করার কথা, রাতে বাবা ঘরে ফিরলে বাবার নিয়ে আসা চকলেট-মিষ্টি আগ্রহ ভরে খাওয়ার কথা - সেখানে তাকে প্রতিদিন জেলে যেতে হচ্ছে বাবাকে দেখতে!!! কতটা নিষ্ঠুর আচরণ তার প্রতি হচ্ছে!!!!

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

জো জো বলেছেন: :(

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

ভিটামিন সি বলেছেন: কষ্টই পাবেন মধ্যবিত্ত আর নিন্ম-মধ্যবিত্তরা সারাজীবন।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সুমন কর বলেছেন: ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই দুঃখজনক। লেখার মাঝে গ্যাপ দিলে পড়তে সুবিধে হতো।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬

ভিটামিন সি বলেছেন: দুঃখিত আমি লেখাটাকে সাজাতে না পারার জন্য। আশাকরি পুরো লেখাটাই পড়েছেন। বিশেষ করে শেষ লাইনের আগের লাইন। ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খারাপ লাগল ঘটনা পড়ে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আসলেই খারাপ লাগে ভাই। বউটার কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু বাচ্চাটার কথা ভাবতেই খারাপ লাগে। প্রতিদিন তার বাবাকে দেখতে হয় জেল-খানার ভেতরে। অথচ জেলে থাকার মতো কোন অপরাধ করে নাই। সত্যিই অপরাধ করে থাকলে আর কারও কাছে না বললেও আমার কাছে বলতো।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: কষ্ট লাগলো। জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ৪ টি বছরের চেয়েও বড় কথা হচ্ছে হতাশা ও দু:খবোধ, যা শরীর ও মন দুটিই ধ্বংস করে দিতে পারে। শক্ত হতে হবে বন্ধু।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১১

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। কেউ যদি তাকে দেখতে চান, ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে বন্দীদের সাথে যখন দর্শকদের দেখা হয় তখন সেখানে গিয়ে শুধু ডাকবেন মেহেদি বলে। তাহলেই পেয়ে যাবেন। লম্বা, ফর্সা, দাড়িওয়ালা যুবক।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ইখতামিন বলেছেন:
:(

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

ভিটামিন সি বলেছেন: হুম কষ্টকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.