![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা যে কি তা সুধী সমাজকে বলে বোঝাতে হবে না। গাড়ি বা বাইক চালানোর পূর্বশর্তই হলো একটি ভ্যালিড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধু একটি লাইসেন্সই নয়, একটি পরিচয়পত্রও বটে। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা এখন স্মার্টনেসেরও অংশ। সঠিকভাবে চর্চা করে গাড়ি বা বাইকের লাইসেন্স অর্জন করলে সেই চালকের দূর্ঘটনায় পড়ার হার বহুলাংশে কমে যায়। তা না হলে আমরা পত্রিকা খুলে পড়তেই থাকবো "বিভিন্ন জেলায় আজ সড়ক দূর্ঘটনায় .... জনের প্রানহানি"। আর ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব শুধু "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলন করেই যাবেন। সচেতন মানুষ মাত্রই আশা করে থাকেন যে নিজের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকুক। কিন্তু বিআরটিএ এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার/কর্মচারীর কারণে সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পোহাতে হয় দূর্ভোগ, হতে হয় হয়রান অথবা দিতে হয় অতিরিক্ত কিছু টাকা ঘুষ।
যারা এই পোষ্ট পড়বেন, তাদের অনেকেই হয়তো লাইসেন্সধারী। অনেকেই আশা করছেন লাইসেন্স করবেন। যারা লাইসেন্স করতে যাবেন বা করবেন, তাদের জন্যই এই পোষ্ট। সঠিক নিয়ম মেনে, ড্রাইভিং চর্চা করে লাইসেন্স পাবার চেষ্টা করুন। স্পিড মানি দেয়া বন্ধ করতে সচেষ্ট হউন। নিজে বাচুঁন, অন্যকে বাচঁতে দিন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মঃ-
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে আপনাকে শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হবে। শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম http://www.brta.gov.bd থেকে ডাউনলোড করে নিন অথবা লাইসেন্সিং অথরিটি (সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ) থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। তারপর ওই ফরম যথাযথভাবে পুরণ করে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সহ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ-
১. বয়সের প্রমানপত্র: স্কুল সার্টিফিকেট / পাসপোর্ট / জন্মনিবন্ধন সনদ / জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি (যে কোন একটি)। পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২০ বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
২. জাতীয়তার প্রমানপত্র: জাতীয় পরিচয় পত্র / পাসপোর্ট/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। এক্ষেত্রে ১নং এ যা দিয়েছেন, ২নং এ সেটি না দেয়াই ভালো।
৩. ঠিকানার যাচাইপত্র: আবারও জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ পানি/ গ্যাস/ বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত কপি। (আমার মতে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট এর কপিই উপরোক্ত ৩টি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানেই একজনের প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে। তারপরও যাদের এসব নেই, তাদের জন্য বাকি অপশনগুলো।)
৪. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক আবেদনকারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ নির্ধারিত ফরমে মেডিক্যাল সাটিফিকেট জমা দিতে হবে। এই ফরম http://www.brta.gov.bd এই সাইট থেকে বা বিআরটিএ এর অফিসে পাওয়া যাবে।
৫. ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৬. নির্ধারিত ফি: পেশাদার - ৩৪৫/= টাকা, অপেশাদার - ৫১৮/= টাকা বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ (ব্যাংক এর তালিকা http://www.brta.gov.bd এখানে পাওয়া যাবে। )
আবেদনপত্র, ফি জমা রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাইসেন্সিং অথরিটিতে জমা দেয়ার পর প্রার্থীকে বিআরটিএ'র সংশ্লিষ্ট অফিস হতে তিন মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে। এই লাইসেন্সে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার স্থান, সময় ও তারিখ উল্লেখ থাকে। ভাইয়েরা- আপারা প্র্যাকটিস কইরেন, প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নাই। টাকা দিয়া হয়তো (সু+অল্প =) স্বল্প সময়ে, কম হয়রানিতে লাইসেন্স বের করতে পারবেন কিন্তু দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার, সঠিক নিয়ম-কানুন ও তার প্রয়োগ, নিজের ও অন্যের জীবনের মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ।
আগামী পর্বে লিখবো স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও জানি প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। কড়ি খসালেই জলবৎ তরলং।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: দরকারি পোষ্ট । ভাল লাগল , শুভ কামনা
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: " এইগুলা সামু ফ্রি দিসে
ভালো পোস্ট ।
শুভেচ্ছা রইল
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
ভিটামিন সি বলেছেন: শুভেচ্ছা নিলাম। আমি ফ্রিগুলি নিমু না। কেউ চাইলে নিয়ে নিতে পারেন।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
সোহেল চট্টগ্রাম বলেছেন: ধন্যবাদ
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকেও।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
বাংলার নেতা বলেছেন: আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন, তার জন্যই এই লিখা। ড্রাইভিং লাইসেন্স আমারও নেই। দেশে থাকতে করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি এবং প্রবাসে এসে সময় পাই না + টাকাটাও এখানে বিরাট ফ্যাক্টর। লাইসেন্স আর পাসপোর্ট করে ফেলুন। এই দুই জিনিস যে কখন কাজে লেগে যাবে বলা যাবে না।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: দরকারি পোস্ট ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এই পোষ্ট পইড়া :!> :!> বিলাই জাতির বহুত উপকার হপে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
ভিটামিন সি বলেছেন: আমি দুঃখিত আপনার কোন উপকারে আসলো না বলে।
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
ফারুক-৭০০০ বলেছেন: তথ্যমূলক পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, পেশাদার আর অপেশাদার দুটির মধ্যে কোনটা ভাল।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
ভিটামিন সি বলেছেন: দুইটাই ড্রাইভিং লাইসেন্স। অপেশাদার মানে হলো আপনি নিজের গাড়ী নিজে চালাবেন - প্রাইভেটকার টাইপ। আর পেশাদার হলো আপনি ড্রাইভার হিসেবে গাড়ী চালাবেন, চাকুরী করবেন ইত্যাদি। তবে নিজে বাস বা ট্রাক কিনে যদি চালাতে চান এবং সেটা কোন ক্যাটাগরীতে পড়বে আমি জানি না। ধন্যবাদ।
৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পোষ্টের ছবিটা দেখে কমেন্ট করেছিলাম।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
ভিটামিন সি বলেছেন: ওহ তাই। ছবিটা তো গুগলে সার্চ দিলেই পাবেন। ছবিটা দেয়ার কারণ হলো যাতে পোষ্ট পড়ার আগেই ছবি দেখে মনে প্রফুল্লতা আসে। কি ছবি দেখে আপনার হাসি আসে নাই? ঈমানে কইবেন..
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
ম েনা েন শ দাস বলেছেন: আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স এ বয়স ঠিক নেই । সমাধান চাই ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
ভিটামিন সি বলেছেন: ময়মনসিংহে তো কোন অফিস নেই। আপনাকে ঢাকায় আসতে হবে। মিরপুর এ বিআরটিএ অফিসে এসে করে নিতে হবে। এই বিষয়টাও পরে আলোচনা করবো। আপনারা সাংবাদিক মানুষ, আপনাদের লাইসেন্স দরকার আছে নাকি? জাষ্ট নাম্বার প্লেটে লিইখ্যা দিবেন সাংবাদিক।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
ভুল্কিস বলেছেন: সিংকাপুরের মানু কত জানেরে
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭
ভিটামিন সি বলেছেন: মোরগা কি কয় রে??? হা হা হা
১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
রেইন ফরেস্ট বলেছেন: পোস্টে +
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: খুবই উপকারি পোস্ট।
“ভাইয়েরা- আপারা প্র্যাকটিস কইরেন, প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নাই। টাকা দিয়া হয়তো (সু+অল্প =) স্বল্প সময়ে, কম হয়রানিতে লাইসেন্স বের করতে পারবেন কিন্তু দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার, সঠিক নিয়ম-কানুন ও তার প্রয়োগ, নিজের ও অন্যের জীবনের মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ” -গুরুত্বপূর্ণ এ কথাগুলো উল্লেখ করায় পোস্টটি খুবই সমৃদ্ধ হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল ভাই, বিষয়টিকে হাই-লাইট করার জন্য।
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: কাজের পোষ্ট । অনেক ধন্যবাদ ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
জাতির বোঝা বলেছেন: নগদ নারায়ন ছাড়া হবে না রে ভাইয়া!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৪৩
ভিটামিন সি বলেছেন: তা জানি। কিন্তু নারায়ণ দিলেই তো - না করে সময় নষ্ট, উইথআউট কষ্ট পেয়ে যাবেন কেষ্ট। তখন তো আর কেউ-ই ফেরাতে পারবে না দুর্ঘটনা। আজকের প্রথম আলোতে দেখুন - নাটোরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩২ জন নাই হয়ে গেছে।
আমি আপনি যদি ওই হারামীদেরকে নারায়ণ না দেই - তাহলে ওরা পাবে কোথায়? ওদরেকে তো আমরাই দিয়ে দিয়ে জিবটা বড় করেছি। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: " খুবই প্রয়োজরীয় পোষ্ট। তবে পুরো পক্রিয়া শেষ করতে আনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।