![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
একজন প্রবাসী শ্রমিকের আর্তচিৎকার।।
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ফোরম্যানের কথামতো চলি;
আদেশ করেন যা মোর ফোরম্যান এ -
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
এই বলে শেষ করি ভোর প্রার্থনা -
তারপরই দিন শুরু, হয় সময় গোণা।
ভোর ৫টায় উঠে যাই, চোখ-মুখ কচলে
টয়লেটে লাইন দেই কেউ আগে বসলে;
৫.২০ এ ছেড়ে যাবে শ্রমিক পরিবহনের গাড়ি
দৌড় দেই ফুটপাতে, যাই তাড়াতাড়ি।
চায়নিজ ড্রাইভার চ্যাং চুং বলে-
তারপর গাড়িখানা কর্মস্থলে চলে।
গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে হাত দেই কাজে
দেখার সময় নেই এখন ক'টা বাজে।
এভাবেই চলে আসে দুপুর বারোটা,
প্লাষ্টিকের চামিচেই সেরে নিই লাঞ্চটা।
খা্ওয়া শেষে ভাবি বসে প্রিয়জনের মুখ-
ভাবতেই মনে আসে, আহ! কি সুখ!! কি সুখ!!!
আর তো মাত্র কটা দিন, পরেই পাবো বেতন
নতুল লাল সাইকেল পেয়ে খুশি হবে খোকন।
সারাতে হবে আগে মায়ের অসুখটা
তারপরে দিতে হবে দোকান বাকীটা।
বাবাও কিনবে দুটা কাশির সিরাপ
শুনেছি আগামী মাসে ছোট ভাইয়ের ফরম-ফিল-আপ।
বোনটার বিয়েও দিতে হবে আমাকে
আমিই যে তাদের একমাত্র দাদারে।
বউটার চাওয়া নেই, নেই কোন আবদার
আমি যেন ভালো থাকি, এটাই চাওয়া তার।
পোঁ পোঁ সুরে বেজে উঠে ভেপুঁটা
১ ঘন্টার বিশ্রাম শেষ, ধরতে হবে কাজটা।
কাজে কাজেই কেটে যায় পরের সময়টা
কখন যে বেজে যায় রাত সাড়ে নয়টা।
তারপর ঘরে ফেরা, নাওয়া-খাওয়া-ঘুম
এভাবেই দিন-মাস-বছর কেটে যায়, চলে যায় সময়ের ধুম।
করি পরিশ্রম, ঝরাই ঘাম, বেচে দিই মাথাটা
মাস শেষে হাতে পাই কড়-কড়া ডলার কটা।
হাতে ধরি, ঘ্রাণ নেই, আহ! কি সুখ!! কি সুখ!!!
ডলারের বুকে দেখি প্রিয়জনের হাসিমাখা মুখ।
পাই না সময় আমি ব্যাংকে যেতে
ডলারগুলি তুলে দেই দালালের হাতে।
হুন্ডিতে টাকা দেবে সে আমার বাড়িতে
এত সুখ লাগে কেন আজ আমার নাড়িতে!!
যাবার সময় বলে যায়, "বোঝলা দুলাল,
এত কষ্ট কইরা টাকা কামাইয়া লাভ কি?"
আমি বলি, কেন ভাই, কি বলেন,
আসলে হয়েছেটা কি??
"ও দুলাল, তুমি কি দেশের কোন খবর রাখনি?
হরতাল-অবরোধে দেশ মাতা স্তব্ধ
ক্ষমতার কামড়া-কামড়িতে দেশে যোগাযোগ বন্ধ।
ব্যবসাও কমে গেছে, নেই কোন বিনিয়োগ
ব্যাংকের ভল্টে জমে আছে ডলারের স্তুপ।
একদা যে ডলার (সিংগাপুর) ছিলো ৬৫ টাকা দাম
আজ তা বিকোচ্ছে টাকা ৫৬ এরও কম।
তোমার সব শ্রম-ঘাম শুষে নিচ্ছে সরকার যন্ত্র
মনে মনে পড়ো তুমি দেশোদ্ধার মন্ত্র। "
এতকিছু বুঝি না ভাই, আমি অতি নগণ্য,
এই টাকাটা দিয়েছি মায়ের চিকিৎসা আর ছেলের লাল সাইকেলের জন্য।
- আমি লেখকও দুলালের মতো অতি নগণ্য।
তাই এই লেখাটি আবর্জনা বিশেষ মাত্র।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
ভিটামিন সি বলেছেন: এটাতো আমারই লেখা কোট করলেন দাদা।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: লাইন দুটি ভাল লাগলো তাই কোট করলাম, আর কবিতা নিয়ে মন্তব্য নি:প্রয়োজন
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ওহ তাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: - আমি লেখকও দুলালের মতো অতি নগণ্য।
তাই এই লেখাটি আবর্জনা বিশেষ মাত্র।
দ্বিমত থাকছে অবশ্যই।
বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামো যতটুকু শক্ত মাটি পেয়েছে পায়ের তলায়, তার অবদানের সিংহভাগ প্রবাসী শ্রমজীবীদের।
আমাদের মানসিক দীনতা এই সত্যটাকে ভুলে থাকে।
ক্ষমাপ্রার্থণা রইলো।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
ভিটামিন সি বলেছেন: দীপংকর দা, আপনার ভালো থাকার জন্যও অসংখ্য শুভকামনা রইল।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
রোদেলা বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাইরে ভাই ,কেবল কষ্ট কষ্ট কষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বউটার চাওয়া নেই, নেই কোন আবদার
আমি যেন ভালো থাকি, এটাই চাওয়া তার।