নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবচ্ছেদ -৩১- ভাষার নগ্নতা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪




ভাষার প্রয়োগে বড়ই বিড়ম্বনা কবি....
অশ্লীল শব্দগুলো সব লাগাম ছুটে আস্তাবল থেকে
বেরিয়ে আসছে খলবলিয়ে..
গলগলিয়ে হরহরিয়ে....
বুলেটের গতিকেও যেন হার মানাবে আজ...

আমি বাধা দেই নি....
আজকাল নিচুস্তরের খিস্তিখেউড় অনেক পবিত্র মনে হয়...
ভাষার ভনিতা নেই ওতে
শুনতে খারাপ লাগলেও প্রকাশ অকপট...
বোঝাতে কমতি নেই আবেগের প্রকাশ....
যেন নগ্ন দেব নন্দদুলাল...


ওদিকে কর্পোরেট ভাষাকে
শীতল সরীসৃপ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না...
ওখানে শব্দও মুখে মুখোশ পড়ে থাকে
হায়েনার মত ঝাকে ঝাকে হামলে পড়ে ডেস্কে ডেস্কে,
যদিও মুখে দেখে বোঝার উপায় নেই ওকি হায়েনা নাকি নিরীহ হরিণ..
এখানে হরণ হয়েছে প্রকৃত দেবদূত প্রবেশাধিকার ..
তবে যিনি এখানে বর্তমান তিনি সিং-ওয়ালা মেফিস্টোফিলিস...

এই ভাষার প্রয়োগে কর্পোরেট ইবলিশি,
দুমরানো মুচরানো কাগজের দলার মত
একে পুতে দাও শত শত হাত মাটির নিচে আর
উপভোগ কর মনখোলা খেউর খেউরি...
বেরিয়ে আসুক হৃদয় নগ্নতা খলবলিয়ে...
তোমাকে পাঠ করি শতভাগ...


সর্বস্তত্ব সংরক্ষিত

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



ভাষা নিয়ে চমৎকার শব্দশৈলী।

ভালবাসা অবিরাম..................

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ!


প্রথম পাঠে নিরন্তর শুভেচছা ও শুভকামনা!

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ভাষা টিকে থাকবে। তবে ভাষা একই রকম থাকবে না সব সময়। বদলে যাবে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ভাষা যেমনি হোক তার প্রকাশ যেন নগ্ন হয়। এতে হৃদয়ের চাপ কমে...

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
যৌক্তিক বক্তব্য এবং ক্ষোভের কাব্যিক প্রকাশ।
(মাফ করবেন,কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার লেখার স্টাইলের সাথে সামুর অপর একজন অলরাউন্ডার ব্লগারের লেখার স্টাইলের চাপা একটা মিল রয়েছে B:-) B:-) B:-)
এমনি বললাম। বিব্রতবোধ করলে মন্তব্যটা মুছে ফেলবেন প্লিজ!!)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





প্রথমেই কবিতাটির প্রতি আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


পরবর্তীতে আমিও জানতে আগ্রহী আপনি সামুর কোন অলরাউন্ডার ব্লগারের লেখার স্টাইলের মিল পেয়েছেন B-) B-)
আমি লেখালেখির কানেকশন খুব একটা বুঝি না। তবে যা লেখি নিজের মতই লেখার চেষ্টায়...

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: খুবই সুন্দর।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম! শুভকামনা সুপ্রিয় ব্লগার ইসিয়াক!

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার কবিতা পড়লাম ডানা ভাই।
আসলে ব্যস্ততার কারনে ব্লগে কম আসা হয়।
আশা করি আপনি ভাল আছেন?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা লেখার পরিমান আরো বাড়াবো ভাবছি কিন্তু সময়ের সাথে কাজের পাল্লা বাড়ছে। দেখি কি হয়। আমি ভাল আছি। আপনাদের ব্লগে দেখে ভাল লাগছে। কবিতায় পেয়ে ভালো লাগা আরো বেড়ে গেল।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাষার ব্যবহারের শেষ নেই।

একই শব্দ সুন্দর করে বললে এক অর্থ আর ব্যঙ্গ করে বললে অন্য অর্থ।

অনেক পর কবিতা পেলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




ভাষার ব্যবহারের শেষ নেই।

একই শব্দ সুন্দর করে বললে এক অর্থ আর ব্যঙ্গ করে বললে অন্য অর্থ।
- দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্যে ধন্যবাদ জানাই মাইদুল ভাই। আসলে ভাষার প্রকাশ যদি সরল হয় তাহলেই ভাল। জটিল প্রকাশ ও তীর্যক অভিব্যক্তি ভাষার প্রকাশকে কঠিন করে তোলে।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: শীল, অশ্লীল সবই ভাষা তবে কেউ যদি তার লেখায় যে কোন ভাবেই হোক, অশ্লীলতাকে প্রয়োগ করবে - এই ভাবনা থেকে লিখতে শুরু করে, তাহলে সেটা অবশ্যই মেনে নেওয়া যায় না ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

লেখকের ভাষার প্রকাশ ও পাঠকের অর্জিত কিংবা অনার্জিত জ্ঞান মানদন্ডের উপর নির্ভর করে লেখায় শ্লীল অশ্লীল। কবিতাটি ঠিক মত পড়ার সময় হয়ত হয়নি। কবিতায় ভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছিল।



আর লেখক কি লেখবে তাতে তার স্বাধীনতা আছে নিশ্চয়। আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: অনেকেই বলে সাহিত্যে অশ্লীল ভাষার জায়েজ । কিন্ত কেন জানি আমার অতটা ভালোলাগে না ভ্রমরের ডানা ।
তবে আপনার কবিতাটি অর্থবোধক যার জন্য ভালোলাগা থাকলো অনেক ।
+

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সাহিত্যে অশ্লীল বা অশালীন ভাষা আমিও পড়েছি আপু। সব কিছু খারাপ আবার সব কিছু ভাল লাগেনি। কিছু কিছু সাহিত্যে নগ্ন ভাষার প্রকাশ আমাকে আলোড়িত করেছিল। কিছু কিছু সাহিত্যে আবার তাকে বাজে ভাষা মনে হয়েছে। আমার মনে হয় বিষয়টা আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির মত। আপেক্ষিক সব কিছু। লেখকের কাছে যা শিল্প পাঠকের কাছে তা অশ্লীল। তাই আমি ভাষায় নগ্নতাকে স্বাগত জানাই। কেউ লেখায় অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করলে যদি পছন্দ না হয় তবে এড়িয়ে যাই। এটাই উত্তম।


আমার কবিতাটি কিন্তু ভিন্নার্থক! এখানে অন্য কিছু বলতে চেয়েছি আপু।আপনি অর্থবোধক বলায় কবিতাটি সার্থক হল। প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন আপু!

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ভাষা যেমনি হোক তার প্রকাশ যেন নগ্ন হয়। এতে হৃদয়ের চাপ কমে...

মন্তব্যের উত্তরটা বুঝলাম না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাষার নগ্ন প্রকাশ বলতে আমি যা বুঝিয়েছি তা হল আবেগিক প্রকাশ। মনের মধ্যে যা আসে তার নিঃসংকোচ প্রকাশ! কোন চাতুর্যপূর্ণ বাতুলতা কিংবা কৌশলের আশ্রয় নেওয়া নয়। এতে মাথায় কম প্রেশার পড়ে... আর আবেগিক স্বচ্ছতা, পবিত্রতাবোধ আসে!

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

ব্লগে কিছু অশ্লীল মানে অশালীন ভাষার কবিতাও আসে। মানুষ বাহবা দিয়ে দেখলাম সাহসও দেয়। ইদানিং মানুষ শরীরিয় কবিতা লিখে দেখলে গা ঘিনঘিন করে। আল্লাহ হেদায়েত দিন তাদের।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




কবিতায় আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগছে ছবি আপু! কবিতায় কিছু শারিরীক শব্দের প্রয়োগ অত্যন্ত নান্দনিকভাবে করা যায়। তবে তা কুরুচিপূর্ণ হলে বিষয়টা আপত্তিকর হয়ে যায়। এধরনের শব্দ প্রকাশে লেখকের খুব সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্চনীয়! সবার অনুভূতি সমান নয়। পুরোটাই আপেক্ষিক!


শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সুপ্রিয় কবি!

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কবিতা পেলাম। আপনার আগমনে খুশী হলাম।
কবিতা পাঠের আগে প্রচ্ছদের ছবিটির ভাবনাতেই সময় কেটেছে অনেক
এটা কি প্রাচীন শীলা লিপীর খন্ডিত অংশের কারুশিল্প না অন্য কিছু ?
যাহোক কবিতায় মুগ্ধ , কবিতায় উঠে এসেছে ভাষা কেমন ভাবে বাঙময় হয়।

মুখ দেখে বুঝার উপায় নেই সেকি হায়েনা নাকি নিরিহ হরিণ
....................................................................
তবে যিনি এখানে বর্তমান তিনি সিং ওয়ালা মেফিস্টোফিলিস..
দারুন এখটি উপমা দিলেন আপনার কবিতাতে ।

টেনিদাকে নিয়ে 'চার মূর্তি' নামে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসে শব্দটি দেখেছিলাম । সেখানে টেনিদার একটি বিখ্যাত সংলাপ ছিল "ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক"।

যতদুর মনে পরে মেফিস্টোফিলিস নামটি ঐতিহাসিক ভাবে কিংবদন্তীর এক উচ্চাভিলাষী পন্ডিত জোহান জর্জি ফাউস্টের সাথে জড়িত। জনশ্রুতিতে আছে ফাউস্ট তার আত্মার মূল্যে শয়তানের সাথে একটি চুক্তি করে ও মেফিস্টোফিলিস শয়তানের এজেন্ট হিসাবে অভিনয় করে। নামটি ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে ফাউস্ট চ্যাপবুকগুলিতে ব্যবহৃত হয়। ষোড়শ শতাব্দিতে ক্রিস্টোফার মার্লো থেকে গোথি পর্যন্ত অনেক লেখকই এটা তাদের লেখায় ব্যবহার শুরু করেন ।

সপ্তদশ শতকে শেক্সপিয়ার তাঁর Merry Wives of Windsor এ মেফিস্টোফিলসের উল্লেখ করেছেন আর বার্টন রাসেলের মতে নামটি একটি আধুনিক আবিষ্কার যা নিখুঁতভাবে বিভিন্ন রূপকে আধুনিক শয়তানের একটি মার্জিত প্রতীক হিসাবে আভির্ভুত হয়।

যদিউ শুনা যায় মেফিস্টোফেলিস এখন নরকে আবদ্ধ তারপরেও আমরা দেখি মেফিস্টোফেলিস এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের মাথার উপরে । তারা স্বচ্ছন্দে বিভিন্ন রূপকে বিচরণ করছে যত্র তত্র, আর তার শ্লীল ,অশ্লীল রুচী ,কুরুচী কিংবা নগ্ন ভাষার মারপ্যাচে বিবিধভাবে মানুষকে করছে বিভ্রান্ত ।

ধন্যাবাদ আপনার কবিতায় মেফিস্টোফেলিসের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে স্মৃতির অনেক গভীরে চলে গিয়েছি বলে। কবিতা বুঝি কম, তবে কবিতায় থাকা শব্দ বুঝতে চেষ্টা করি তা শ্লীল অশ্লীল ,নগ্ন, ভগ্ন যেটাই হোক না কেন ।

আচ্ছা ধরুন দুষিত সমাজ হতে মুক্তির লক্ষ্যে পতিতার কান্না জাতীয় কবিতায় শ্লীলতার ভিতরে থেকেও সঙ্গতকারণে গুটি কয়েক নগ্ন ভাষা এমনিতেই এসে যাবে, এরকম ক্ষেত্রে তা কি খুবই গর্হিত কিছু হবে । বিষয়টি জানা দরকার । কারণ এমন একটি কবিতা রচনা প্রক্রিয়াধীন আছে ।

মুগ্ধ করা আপনার কবিতাটি প্রিয়তে গেল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ড. ফস্টাস ক্রিস্টোফার মার্লোর অসাধারণ এক উপন্যাস! ফস্টাস, মেফিস্টোফিলিস, লুসিফারের চরিত্র একে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মার্লোর যুগে এই রচনাটি পুরো ইউরোপ জুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছিল। শেক্সপীয়ার এর কিছু কিছু রচনার থেকেও বেশি আলোচিত-সমালোচিত সাহিত্য ছিল এটি। শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করে ড. ফাউস্ট । তাকে তার আত্মা শয়তানের কাছে বিক্রি করতে হবে এই চুক্তির মাধ্যমে এবং এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে হবে নিজের রক্ত দিয়ে। পরিস্থিতি তাকে বিভিন্নভাবে বাধা দিতে চেষ্টা করেছিল যাতে সে চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে না পারে এমনকি যখন সে তার রক্ত দিয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে চেয়েছিল তখন তাঁর রক্ত জমাট বেঁধে যায় তবুও সে পিছু হটে নি। মোমবাতি দিয়ে সে তার রক্ত গলিয়ে তারপর চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। হায়রে লোভ!



ডক্টর ফস্টাস চেয়েছিল নিজের স্বাধীন ভাবে জীবনযাপন করতে কিন্তু সে বুঝতেই পারেনি এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে সে এক পরাধীন জীবনই বেছে নিচ্ছে। কারণ, তাঁকে লুসিফার শয়তানের অনুচর মেফিস্টোফিলিসের অধীনেই থাকতে হবে। সে চুক্তিমতো চব্বিশ বছর খুব আনন্দেই দিন যাপন করতে লাগল যা খুশি তাই করতে লাগল। এমনকী তাঁর এই জাদুর খবর শুনে রাজাও তাঁকে ডেকে পাঠাল এবং সে যেন এক জনপ্রিয় ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হল। অবশেষে চব্বিশ বছর পর তাঁর চুক্তি ফুরিয়ে আসে। তখন তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার মনে একটি বারের জন্য আফসোস হয়নি কিন্তু যখন তাঁর প্রাণ নেওয়ার সময় হয়েছে, তখন তার মনে পড়ে ঈশ্বরের কথা। তখন ঈশ্বরের কাছে সে অনেক কান্নাকাটি করে জীবন ভিক্ষা চায়। কিন্তু তখন আর ক্ষমা চাওয়ার সময় নেই। নিজের ভুলটা বুঝতে বড্ড বেশি দেরি করে ফেলেছে ডক্টর ফস্টাস। তাই এক রাশ কষ্ট নিয়ে তাকে পাড়ি জমাতে হয় পরপারে।

ফস্টাসের সাথে লুসিফারের কথোপকথন এর চুম্বক অংশ মারুফস ব্লগ থেকে কপিপেস্ট করলাম-


ফস্টাসঃ ওহে প্রথম আগন্তুক, তুমি কে?
অহঙ্কারঃ আমি অহঙ্কার। আমার জনক জননী আছে ভাবতে আমি ঘৃণা করি। আমি কবি ওভিডের সেই মক্ষিকার মতো। আমি চুপিসারে যে কোন কোনায় যেতে পারি। কোন কোন সময় আমি পরচুলার মত কোন মহিলার কপালে বসি অথবা পালকের পাখার মতো তার ওষ্ঠ চুম্বন করি। কিন্তু ছি ছি কি দুর্গন্ধ এখানে! এখানের মাটি সুবাসিত আর চিত্রিত কাপড় দ্বারা আচ্ছাদিত না করা হলে আমি আর একটি কথাও বলব না।
ফস্টাসঃ এই দ্বিতীয় আগন্তুক, কি তোমার পরিচয় ?
লালসাঃ আমার নাম লালসা। এক বুড়ো ইতরের ঔরসে আমার জন্ম হয়েছিল। আমার ইচ্ছাপূরণ হবে জানলে আমি কামনা করতাম যে এই বাড়ীটা আর এর অভ্যন্তরের সব মানুষ সোনা হয়ে যাক। তাহলে আমি তোমাদের বুকের খাচায় বন্দী করে রাখতাম। ওহ, সোনা তুমি কতই না মিষ্টি।
ফস্টাসঃ ওহে তৃতীয় জনা, তুমি কে?
ক্রোধঃ আমি ক্রোধ। আমার বাবাও নেই মাও নেই । বয়স অর্ধ ঘন্টা পূর্ণ হতে না হতেই আমি এক সিংহের মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসি। সেই তখন থেকে এই দীর্ঘ তরবারি যুগল নিয়ে দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রাত্ত ছুটে বেড়াচ্ছি । যখন যুদ্ধ করার জন্য কোন প্রতিপক্ষ পাই না তখন নিজেকেই ক্ষত-বিক্ষত করি। জন্ম আমার নরকে। মনে হয়, তোমাদেরই কেউ একজন আমার পিতা বলে প্রমাণিত হবে
ফস্টাসঃ চার নম্বর আগন্তুক, তুমি কে?
ঈর্ষাঃ আমার নাম ঈর্ষা। আমার বাবা চিমনী সাফ করত। আমার মা ঝিনুক কুড়াত। আমি পড়তে জানি না। তাই আমি চাই সব বই পত্র যেন পুড়ে যায়। অন্য কাউকে খেতে দেখলে আমি রোগা হয়ে যাই। ইশ, দুনিয়া জুড়ে যদি দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ত, যদি সবাই মরতো এবং শুধু আমিই বেঁচে থাকতাম! তখন তুমি দেখতে আমি কতই না মোটা তাজা হয়ে উঠি। কিন্তু তুমি বসেই থাকবে আর আমি দাড়িয়ে রইব? উঠে এসো নয়তো জাহান্নামে যাও।
ফস্টাসঃ বেরিয়ে যা হিংসুটে বঞ্জাত । আচ্ছা পঞ্চমীতোমার নাম কি?
পেটুকঃ জনাব, আমি কে জানতে চান? আমি পেটুক। আমার বাপ-মা বেঁচে নেই আমার জন্য তারা প্রায় কিছুই রেখে যায় নি। যসামান্য ভাতার ব্যবস্থা করে গেছে। তা দিয়ে দৈনিক ত্রিশবার খাবার ও দশ বার হালকা নাস্তা পানি কেনা যায়। প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটানোর পক্ষে এ পরিমাণ বড়ই নগণ্য। ও হ্যা, অত্যুত্তম পরিবারে আমার জন্ম। আমার দাদা ছিলেন লবণজারিত শুকরের মাংসের টুকরা। দাদী ছিলেন ক্ল্যারেট মদের বড় পিপা। লবণাক্ত হেরিং মাছ এবং সন্ত মার্টিন দিবসের৩৪ ভোজসভার নোন্তা, শুস্ক, গো মাংস ছিল আমার ধর্ম পিতা। এক ফুর্তিবাজ ভদ্রমহিলা ছিলেন আমার ধর্ম মাতা। সব বড় শহর নগরে তিনি সমাদৃতা ছিলেন। নাম তার মিস্ট্রেস মার্গারী মার্চ বিয়ার আচ্ছা ফস্টাস, আমার বংশ পরিচয় তো সবই জানলে; তুমি কি আমাকে নৈশ ভোজের দাওয়াত দিবে?
ফস্টাসঃ না আমি বরং তোর ফাসির দৃশ্য দেখতে চাই । নইলে তুই আমার সব খাদ্য আর পানীয় শেষ করে দিবি।
পেটুকঃ শয়তান যেন তোকে গলা টিপে মারে।
ফস্টাসঃ ওরে পেটুক তুই নিজের গলা টিপে মর গে। এই যে ষষ্ঠী, তোমার পরিচয় দাও।
আলস্যঃ আমি আলস্য। এক সূর্যকরোজ্জল সাগর তীরে আমি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলাম। জন্মাবধি সেখানেই শুয়েছিলাম। তুমি সেখান থেকে ডেকে এনে আমার বিরাট ক্ষতি করেছ। পেটুক আর লাম্পট্য যেন পুনরায় আমাকে বয়ে নিয়ে ওখানে রেখে আসে । আমি আর একটি কথাও বলব না। রাজার ভাণ্ডার এনে দিলেও না।
ফস্টাসঃ এই সপ্তমী, এই অসংযমী রমণী, তুমি কে?
লাম্পট্যঃ জনাব, আপনি আমার পরিচয় জানতে চান? আমার নামের প্রথম অক্ষরটি হল ‘ল’।
লুসিফারঃ এই তোমরা এখন নরকে ফিরে যাও নরকে! [পাপমূর্তিদের প্রস্থান] বল ফস্টাস, এই প্রদর্শনী তোমার কেমন লাগল?
ফস্টাসঃ আহ! চমৎকার! মনের খোরাক পেয়ে গেলাম।
লুসিফারঃ জানো ফস্টাস, নরকে সব ধরনের আমোদ ফুর্তির ব্যবস্থা আছে।
ফস্টাসঃ ইস! যদি নরক পরিদর্শন করে পুনরায় ফিরে আসতে পারতাম, কতই না প্রীত বোধ করতাম।
লুসিফারঃ সে সুযোগ তুমি পাবে। আজ মধ্য রাতে তোমাকে ডেকে পাঠাব। ইতোমধ্যে এই বইটা ভাল করে পড়ে নাও। অতঃপর তুমি যেমন খুশী তেমন আকৃতি ধারণ করতে পারবে।
ফস্টাসঃ শক্তিমান লুসিফার, অনেক ধন্যবাদ। আমি এ বইটাকে আমার জীবনের মত করেই সংরক্ষণ করব।
লুসিফারঃ বিদায় ফস্টাস। কেবল শয়তানের কথা স্মরণ কর।

লুসিফার সাবলীলভাবে নানান ছলা কলায় ফাউস্টকে প্রভাবিত করে। মেফিস্টোফিলিস এর দ্বারা তার মনে নানা পাপ চিন্তা জাগিয়ে তোলে। অর্থাৎ কর্পোরেট ভাষায় তার সাথে কথোপকথন চালায়। এতে বোকা ফাউস্ট নিজের আত্নাকে বিকিয়ে দিয়ে মহা মুসবতের দিকে ধাবিত হয়। যা থেকে তার মুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়ে। এভাবেই নানান মেফিস্টোফিলিস এর ছলে পড়ে অনেকেই ফাউস্টের দশায় পতিত হয়। এধরনের মেফিস্টোফিলিসরা সুন্দর কর্পোরেট ভাষায় মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে হিশহিস করে ফনা তোলে আর ছোবল দেয়।


সুপ্রিয় লেখক, মেফিস্টোফিলিসদের মিষ্টি কর্পোরেট ভাষার থেকে তাই আমার নিকট খোলা মনের খিস্তিখেউড় অনেক ভাল। ড. ফাউস্টের মত যাতনায় যেন কেউ না পড়ে।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার ২য় মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনাকে জানাই প্রীতি ও শুভেচ্ছা!

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার শব্চয়ন।
অশ্লীল ভাষা কখনই গ্রহনযোগ্য নয়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


শ্লীল ভাষা দিয়েও চরম অশ্লীল কাজ করা যায় আর অশ্লীল ভাষা দিয়েও অনেক সময় অনেক শ্লীল কাজ করা যায়। তবে উপস্থাপনা হতে হবে নান্দনিক। শ্লীল অশ্লীল পুরোটাই আপেক্ষিক মনে হয়!


কবিতার শব্দ চয়ন আপনার কাছে চমতকার লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল। শুভকামনা সবসময়!

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সাহিত্যের ভাষা মার্জিত ও সাহিত্যমণ্ডিত হওয়া অত্যাবশ্যক।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সাহিত্যের ভাষা যেমনি হোক নিয়ত হতে হয় পবিত্র! ধন্যবাদ!

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেকদিন পর ডানা ভাই। কেমন আছেন?
আসলে শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাত্রা অনেকেই বোঝে না। তবে কর্পোরেট ক্ষেত্রেই হোক আর সাহিত্যের ক্ষেত্রেই হোক ভাষায় শালীনতা অবশ্যই কাম্য। কবিতা সুন্দর হয়েছে। প্লাস।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



জ্বী ভাল আছি সম্রাট ভাই। আপনি ভাল আছেন নিশ্চয়! কবিতাটি সুন্দর লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল। প্লাস দেওয়াতে অশেষ কৃতজ্ঞতা! ভাষার প্রকাশ যাই হোক নেক নিয়ত থাকলেই আমি খুশি! শালীনতা অবশ্যই দরকার! সাহিত্যে শালীনতা অবশ্যই কাম্য! নান্দনিক ভাবে যে কোন ভাষার প্রকাশ হোক সাহিত্য রচনার প্রাণ!

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মিরোরডডল বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার লেখা ।
ভাষা ব্যাবহারে স্বাধীনতা থাকলে সেটা সাবলীল হয় ।
কথা এবং লেখায় ।
কিন্তু শালীনতা থাকতে হবে ।
বিষয় হচ্ছে কোনটা শালীন আর কোনটা অশালীন সেটা নির্ধারণ করা কঠিন ।
কারণ একজনের কাছে যেটা অশালীন , হতে পারে আরেকজনের কাছে এটাই স্বাভাবিক ।
Absolutely depend person to person
তারপরও সার্বজনীন যেটা গ্রহণযোগ্য না, স্থান কাল পাত্র বুঝে সেটা মেইনটেইন করাটাই বেটার ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


শালীনতা আর অশালীনতা সবই ঠিক আছে আসলে এটা আপেক্ষিক। তবে কবিতায় শালীনতা অশালীনতা নিয়ে নয় বরং সুন্দর কর্পোরেট ভাষার মন্দ দিক এবং নিম্নমানের খিস্তিখেউড় এর ভাল দিক নিয়ে লেখা হয়েছে।

কবিতা পাঠে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা!

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০২

নজসু বলেছেন:



প্রিয় কবিবর, আমরা নিজেরা আমাদের প্রিয় ভাষাকে ছোট করি। নিন্ম পর্যায়ে নিয়ে যাই।
আপনার ক্ষোভ। অভিমান যাই বলেন আমি আপনার সাথে একমত।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

কবিতাটি পাঠে আপনাকে ধন্যবাদ! শুভকামনা সবসময়!

১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নগ্নতার সূখ যে বুঝেছে
অশ্লীলতার সত্যকে সে ধারন করেছে!

মূখোশধারী কর্পোরেট মিথ্যার চেয়ে বড্ড ভাল নগ্ন অশ্লীল সত্য ;)

+++

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ভিগু ভাই,

আপনি বুলজ আই কমেন্ট করেছেন এ জন্যে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি কবিতায় এটাই বোঝাতে চেয়েছি!



ভালবাসা জানবেন ভাই!

১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২

নার্গিস জামান বলেছেন: ভীষণ সুন্দর :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনাকে ভীষণ সুন্দর একটি মন্তব্য করায় অশেষ ধন্যবাদ!

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ সুন্দর ‌। আপনার কবিতা মানে অন্য ফ্লেভার যুক্ত।++
শুভকামনা প্রিয় ডানাভাইকে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই! কবিতায় আপনার উপস্থিতি ভাল লাগা বাড়িয়ে দিয়েছে! ভাল থাকুন নিরন্তর!

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ফস্টাসের সাথে লুসিফারের কথোপকথনটা দুর্দান্ত!
ভাষা চয়েজ করার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সেখানে! কর্পোরেট ভাষাটা গ্রহণ না করে যে খোলা মনের খিস্তিখেউড় গ্রহণ করার কথা বলেছেন- সেটা মন্দ বলেন নি। তবে খোলা মনের খিস্তিখেউড়টা প্রকাশ করার সময় একটু মার্জিত হলে কিন্তু ভালই হয়।
লেখায় +++

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধন্যবাদ! লেখাটি আপনার ভাল লাগায় স্বার্থক হল। শুভকামনা সতত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.